নীতিহীন, পথভ্রস্ট কমিউনিস্ট যে কত নৃশংস, কত বর্বর তার একটি নজির দেখুন।
লিখেছেন লিখেছেন মেজর জলিল ২৭ জানুয়ারি, ২০১৪, ১০:৪৭:১৯ সকাল
২০১১ সালে উত্তর কোরীয়ার প্রধান নেতা কিম জং ইলের মৃত্যুর পর তার স্থলাভিষিক্ত হন তার ছেলে কিম জং উন। এবং ক্ষমতায় বসেই কমিউনিস্ট এর নীতি অনুসারে চালায় হত্যাযজ্ঞ, এর ধারাবাহিকতায় ক্ষমতায় আরোহনের কয়েকদিনের মধ্যেই হত্যা করেন সামরিক বাহীনীর দুই বড় কর্মকর্তাকে। এর পর ৩ ডিসেম্বর নাটকীয়ভাবে কিম জং উ্নের ফুফা জং সং থায়েককে সেনাবাহিনীর পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়।উনের ফুফা ও প্রভাবশালী কর্মকর্তা চ্যাং সং-থায়েক উত্তর কোরিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান এবং ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। তবে উনের ক্ষমতা গ্রহণের সময় তাকে নেপথ্য নায়ক বলে মনে করা হতো। কিম জং-ইলের বোনকে বিয়ে করার সুবাদে উনের ফুফা ছিলেন চ্যাং সং-থায়েক। চ্যাংয়ের ২ সহযোগীকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, নারীলিপ্সা, নেশাগ্রস্ততার মতো অপরাধমূলক তৎপরতার জন্যই থায়েককে সরানো হয় বলে জানায় সরকার।
যদিও এই হত্যাকান্ডের ব্যপারে ভিন্নমত আছে,নিউ ইয়র্ক টাইমসের এর মতে উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ স্থানীয় নেতা জ্যাং সং থায়েককে হত্যা করা হয় ব্যবসায়িক কারণে ! দেশটির কয়লা, ঝিনুক এবং কাঁকড়ার রপ্তানি বিরোধের জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়।
উত্তর কোরিয়ার অন্যতম প্রধান রপ্তানিপণ্য কাঁকড়া এবং ঝিনুক সমৃদ্ধ অঞ্চলের আধিপত্য নিয়ে থায়েকের অনুগত বাহিনীর সাথে দেশটির সামরিক বাহিনীর সংঘর্ষ বাধে। সামরিক বাহিনীর প্রধান এবং দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন তার ফুফাকে থায়েককে দখল ফিরিয়ে দিতে বললে তিনি অস্বীকৃতি জানান।
পরবর্তীতে সেনাবাহিনী দখল ফিরিয়ে নিলে থায়েককে গ্রেপ্তার করে বিচার এর মুখোমুখি করা হয়। ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ এনে তাকে মৃত্যুদণ্ড দণ্ডিত করা হয় এবং ১২ই ডিসেম্বর২০১৩ইং এই রায় কার্যকর করা হয়।
কিন্তু তাকে হত্যার প্রক্রিয়াটা খুব ই নিষ্ঠুর, তাকে ক্ষুদার্থ কুকুরে খাচায় উলঙ্গ অবস্থায় ঢুকানো হয়, এবং কুকুরের কামড়ে তার শরীরের মাংস ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে তার হত্যা নিশ্চিত করা হয়।এবং এই পুরা প্রক্রিয়া কিম জং উন নিজে বসে উপভোগ করেন।
তার থেকেও বড় নিষ্ঠুরতা ঘটেছে তার মৃত্যুর পর। থায়েকের পুরা পরিবার কে হত্যা করেছে এই কমিউনিস্ট নেতা উন। তাদের অপরাধ তারা জং থায়েকের আত্মিয়। থায়েকের বড় বোন ও তার স্বামী, ভাতিজা এবং তার দুই ছেলে ও আর এক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে।কতটা নিষ্ঠুর, বর্বর হলে একজনের অপরাধে পুরো পরিবার সহ রক্তের সকল আত্মীয়দের হত্যা করা হয়।
কিছুদিন আগেও কয়েকজনকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয় দক্ষিন কোরীয়ার ছবি দেখার অপরাধে। একটু ভাবুনতো কমিউনিস্টদের বর্বরতা।
আজ যে রাশিয়া, পোল্যান্ড, কিউবা, ভেনিজুয়েলা, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া আমরা দেখি এর পিছনেও লুকিয়ে আছে কোটি কোটি নীরিহ মানুষের প্রান।
একটু গভীর ভাবে বিশ্লেষন করলে দেখা যায়, কমিঊনিস্ট শাসন মূলত হত্যাযজ্ঞের উপর দাঁড়িয়ে, কমিউনিস্টের নীতি, আদর্শ বলে কিছুই নেই। এরা লাল চিন্তার অধীকারী, এরা রক্তের মাধ্যমে ক্ষমতার স্বপ্ন দেখে।
একজনের অপরাধে সকল আত্মিয়কে হত্যা করা কমিঊনিস্টের নীতি, আর এরাই মানবতা ফেরী করে বেড়ায়।
অথচ সুমহান ইসলাম এক্ষেত্রে কত উদার, আপরাধীকে শাস্তি (যদি মৃত্যু দন্ড)প্রদান করে তার পুরা পরিবারের দ্বায়িত্ব রাষ্ট্র গ্রহন করে। চুরির অপরাধে যদি চোরের হাত কাটা হয় তাহলে ঐ চোরের ভরণ পোষন ও রাষ্ট্র বহন করে।
বিষয়: বিবিধ
১২০০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন