বি, এন, পি ও জামায়াত ঃ একে অপরের দায় ও বাস্তবতা
লিখেছেন লিখেছেন মেজর জলিল ২১ জানুয়ারি, ২০১৪, ১১:৫০:০৯ সকাল
বিগত ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে জোটবদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে বি, এন,পি জামায়াত তথা চার দলীয় জোট দুই তৃতিয়াংশ আসন বিজয়ের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে। এবং এই বিজয়ের ক্ষেত্রে জামায়াতের ভোট ই মূল ভূমিকা হিসাবে কাজ করে।এ্ররই ধারাবাহিকতায় জোট এখনো বজায় আছে। জোটে থাকাকালীন সময়ে জামায়ত যে দুই মন্ত্রনালয় পেয়েছিল তা তারা দূর্নীতিমুক্ত রাখতে তারা সক্ষম হয়েছিল অন্যদিকে যেখানে বি এন পি ছিল পুরোটাই ব্যর্থ।তাদের মন্ত্রনালয় গুলো ছিল চুরির মহোতসবের জায়াগা। আর হাওয়া ভবনের কথা না হয় বাদ ই দিলাম।এর পর আসলো মইন ফখরুদ্দিনের অবৈধ সরকার। অই সময়ে তারেক রহমানের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেয়া হয়, কোকোর উপর ও চালানো হয় নির্যাতন। তার পর তারা কিভাবে মুক্তি পায় তা আমরা সকলেই জানি।
আর ঐ সময়ে অবৈধ সরকারকে বৈধতা দানের বিনিময়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী বাম নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। সরকার গঠনের কিছুদিন পর ই ২৫ শে ফেব্রুয়ারী ২০০৯ সালে পিলখানায় ঘটানো হয় ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকান্ড।এই হত্যাকান্ড ছিল ভারত সরকার ও আওয়ামি বাম সরকরের এই দেশের সেনাবানীর উপর প্রতিশোধ। পিলখানা হত্যাকান্ডের আগে শেখ সেলিম, ফজলে নূর তাপসের বাসায় একাধিকবার মিলিত হয় বি ডি আর এর সৈন্যরা, প্রশ্ন হল এই দুই ব্যক্তি কি বিডীয়ারের কর্তাব্যাক্তি? বা এদের মন্ত্রনালয়ের অধীনে কি বিডি আর??? তাহলে এদের সাথে মিটিং কেন??
যাই হোক এই হত্যাকন্ডের মাধোমেই শুরু হয় আওয়ামী বাম সরকারের নির্যাতন । এর পর পর্যায় ক্রমে খুলনা বি এল, কলেজ, খুলনা মেডিকেল থকে শুরু হয় শিবিরের উপর নির্যাতন। এরপর ই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরের সেক্রেটারি নোমানী হত্যাকান্ড থেকে ধারাবাহিকভাবে চলছে আওয়ামী বাম নৃশংসতা। প্রায় হাজারের কাছাকাছি জামায়াত শিবিরের নেতা কর্মিকে হত্যা করা হুয়েছে, হাজার হজার নেতা কর্মি পঙ্গু হয়েছে এই সরকার বিরোধী আন্দোলনে। আর সেই তুলনায় বি এন পির ত্যাগ শুন্য। তর্কের খাতিরে বি এন পির আরামপ্রিয় নেতারা জামায়াতের এই ত্যাগ স্বীকার না করলে ও দেশের সাধারন জনগন জানে এই সরকারের আমলে কার রাজপথে লড়েছে আর কারা ঘরের কোনে পালিয়ে ছিল।
একটা কথা তুলেছে বি এন পি এর ঘাড়ে জামায়াত, এই কথাটা হল বামদের একটা টোপ, দীর্ঘদিন ধরে বাম নাস্তিক ও সরকার এই টোপ দিয়ে রেখেছে। তারা দেখতেছিল কখন বি এন পি এই টোপ গিলে। কারন বাম ও আওয়ামিলীগ খুব ভাল করেই জানে জামায়াতের লক্ষ লক্ষ ডেডিকেটেড কর্মি আছে যারা স্বার্থের উর্ধে থেকে জান বাজি রেখে রাজপথে লড়তে পারে, যারা বুলেটের সামনে বুক পেতে সামনে এগিয়ে চলে। তারা জানে এই জামায়াত শিবির ১ মাত্র আল্লাহ ছারা কারো কাছে আত্মসমর্থন করেনা। তারা জানে দুনিয়াবী কোন শক্তি জামায়াত শিবিরকে দমাতে পারবেনা। আর এই কারনেই সরকার যে করেই হোক বি এন পি কে জামায়াত থেকে আলাদা করতে চাইছিল। আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে তারা বি এন পি কে টোপ গেলাতে পেরেছে। বি এন পি এই কথা বলতে পারেনা যে জামায়াতের তো নিবন্ধন আপনা্রা বাতিল করেছেন তারা তো নির্বাচন ই করতে পারবেনা, তাহলে আপনাদের কেন এত জামায়াত ভীতি??? আপনাদের হাতে তো প্রশাসনিক ক্ষমতা আছে নিষদ্ধ করার, তা না করে আমাদের কেন বলছেন জোট ভাঙ্গতে???
আওয়ামী বাম বলতেছে জামায়াত নাকি সহিংসতা করতেছে। ইতিহাসের সেরা কৌতুক হয়ে থাকবে আওয়ামী বামদের মুখে সহিংসতার কথা। একতা প্রবাদ আছে -ঝাঝড় (অসংখ্য ছিদ্র যুক্ত ঝুড়ি) বলে সুই তোর পাছা ফুটা। আওয়ামী বামদের পাছায় ফূটার অভাব নাই আর তারা বলে শিবিরের আন্দোলন সহিংসতা।আর বি এন পির অথর্ব নেতারা এই সত্যটুকু বলার ও সাহস রাখেনা।
জমায়াত শিবিরের নেতা কর্মিদের প্রকাশ্যে গুলি করে, কুপিয়ে হত্যা করবে, ঘর বাড়ী ভেঙ্গে, জ্বালিয়ে দেবে আর এর প্রতিবাদ করতে গেলি একে বলা হবে সহিংসতা। বন্দুকের , গ্রেনেডের সামনে ইট, লাঠী দিয়ে প্রতিরোধ করা সহিংসতা??? গত ৫ বছরে কোথাও জামায়াত শিবিরের কর্মিদের হাতে ১টা অস্ত্র কেউ দেখেছে??? সরকারের এত মিডিয়া এত বাহিনী তারা কি কোথাও দেখতে পাইনি জামায়াত শিবিরের হাতে অস্ত্র??? তাহলে তাদের নিয়ম তান্ত্রিক আন্দোলনকে কেন বলা হচ্ছে সহিংসতা??
বি এন পি কি পেরেছে কোন মিডিয়া বানাতে?? হ্যা পেরেছে ফালু, খোকা কে তৈরি করতে। যখন তাদের নেতৃকে গৃহ বন্দি করা হয় অন্য চ্যানেল যখন তা লাইভ দেখায় আর ফালুর চ্যানেল তখন নায়ক জসিমের
সিনেমা দেখায়। দিগন্ত টিভীর অনুমোদন ও বি এন পি দেয়নি।তাদের কোন পত্রিকা ই নেই। আমার দেশের বর্তমান মালিকানা কার কতটুকু তা সচেতন মহল জানে।আর এই পত্রিকার সম্পাদক ও তার নিজের সম্পত্তি বেচে পত্রিকা চালায়। তাদের দলের হাওয়াভবনের ব্যবসায়ী নেতারা ও পত্রিকার পাশে এসে দাড়ায়নি। সংগ্রাম অফিস থেকে ছাপিয়ে ও চালানো হয়েছে পত্রিকা। এই হল বি এন পি। জামায়তের মিডিয়া ছিল একমাত্র প্রচার মাধ্যম।
কার ঘাড়ে কে ওঠে??? যে শক্ত, সামর্থ থাকে তার ঘাড়ে ওঠে দুর্বল, অসমর্থ রা। বি এন পি তো শক্তিহীন তারা চলতে পারেনা, কারন তাদের মাঠে পাওয়া যায়না। তাদের নেতৃকে আটকে রাখলেও তারা ঘর থেকে বের হয়না। তারাতো দুর্বল তারা আন্দোলনের ডাক দিয়ে পালিয়ে থাকে। গত ৫ বছর তারা জামায়াত শিবিরের আন্দোলনকে ভাঙ্গিয়ে খেয়েছে। জামায়াত শিবিরের ঘাড়ে বসে আন্দোলনের কর্মসুচি দিয়েছে?? তারা যে কি পারে আর তদের যে কি শক্তি আছে তা এই সরকার জানে আর জামায়াত শিবিরের যে কি আছে তা ও জানে এই সরকার।এই দেশের জনগন ও জানে বি এন পির দেউলিয়াত্ব।আর তাই সরকার জানে যে জামাত কে সরাতে পারলেই বি এন পি কে শেষ করা যাবে, মূল প্রতিবন্ধক এই জামায়াত।তাই বি এন পি কে টোপ দিয়েছে।জামায়ত আওয়ামী,বাম, বি এন পির মত বাপের, স্বামীর ডিপোজিট ভাঙ্গিয়ে রাজনীতি করেনা। জামায়াত শিবির টিকে আছে থাকবে। কোন বুলেট, কারো চোখ রাঙ্গানিকে জামায়াত শিবির ভয় পায়না।
বিষয়: বিবিধ
২২৩০ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আঙ্গুর ফল টক!!!!!!!
মারিয়া
পরীবানু
মরুর মুসাফির
পরীবানু ,সততার আলো
অশ্বথমা
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
পরমা ,নীলমণীলতা
বিলকিস লায়লা
দস্তার
রুপবান
মুক্তিযুদ্ধ ৭১
দ্রাবীড় বাঙাল
লেয়লা ইসলাম
বিলকিস
বাংলা ৭১
ভিক্টোরিয়া
হেলেনা
পল্লব প্রভাতে
খালেদ
রুশো তামজিদ
বারাংগনা
মধুবালা
সখি
ফয়সাল১
মাঝি-মাল্লা, ,
লায়লার
লায়লা০০৭
রাতুল দাস
চকো চকো
সায়েদ-রিয়াদ
বিভ্রান্ত নাবিক
ফাজিল
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
মুক্তিযুদ্ধ ৭২
দ্রাবীড় বাঙাল
পিচ্চি পোলা
কাওসাইন হক
চাষা
jahed_ullah
নীরু
সাদা মন
সাদা মন
চোথাবাজ
আমি বিপ্লবী
সততার আলো সকাল সন্ধ্যা
এই নেরিকুত্তার এত নিক
মারিয়া
পরীবানু
মরুর মুসাফির
পরীবানু ,সততার আলো
অশ্বথমা
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
পরমা ,নীলমণীলতা
বিলকিস লায়লা
দস্তার
রুপবান
মুক্তিযুদ্ধ ৭১
দ্রাবীড় বাঙাল
লেয়লা ইসলাম
বিলকিস
বাংলা ৭১
ভিক্টোরিয়া
হেলেনা
পল্লব প্রভাতে
খালেদ
রুশো তামজিদ
বারাংগনা
মধুবালা
সখি
ফয়সাল১
মাঝি-মাল্লা, ,
লায়লার
লায়লা০০৭
রাতুল দাস
চকো চকো
সায়েদ-রিয়াদ
বিভ্রান্ত নাবিক
ফাজিল
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
মুক্তিযুদ্ধ ৭২
দ্রাবীড় বাঙাল
পিচ্চি পোলা
কাওসাইন হক
চাষা
jahed_ullah
নীরু
সাদা মন
সাদা মন
চোথাবাজ
আমি বিপ্লবী
সততার আলো সকাল সন্ধ্যা
এই নেরিকুত্তার এত নিক
জামাত বিএনপির আন্দোলনে অন্যতম নিয়ামক শক্তি হয়ে সাংগঠনিক শক্তিকে উজাড় করে জান প্রান দিয়ে লড়েছে কিন্তু কৌশলী রাজনীতিতে দূর্বলতা দেখিয়েছে। জামাত বিএনপিকে রাজপথের আন্দোলনে নামাতে বাধ্য করা উচিত ছিল। এজন্য বিএনপির সাথে জামাতের ওয়ার্ড ভিত্তিক লিঁয়াজো কমিটি করে বিএনপিকে রাজপথের এ্যকশন প্ল্যানে নামতে বাধ্য করা উচিত ছিল।
তাহলে এখন যেভাবে অনায়েসে সহিংসতার দায়ভার অন্যরা জামাতের উপর একক ভাবে চাপিয়ে দিচ্ছে,তা পারত না। আর প্রকৃতপক্ষে আন্দোলনও কার্যকর হত।
তাছাড়া বিএনপির নিষ্ক্রীয়তার জন্য বিএনপির ওপর দায় চাপিয়ে জামাত আলাদা একক অবস্থান নিলে আওয়ামীলীগ জামাতের উপর এতোটা আগ্রাসী হতো না।
এখন বিএনপি ঠিকই-ইইউ দেশীয় বুদ্ধিজীবি ও জামাত বিদ্বেষী বিএনপির নেতাদের কারনে সব সহিংসতার দায়ভার জামাতের উপর চাপিয়ে আলাদা হওয়ার প্রক্রিয়ায় আছে। এখন বিএনপি যদি জামাতের সাথে দূরত্ব তৈরী করে অথবা জামাত নিজেই আলাদা হয়,জামাতই বেশী চাপে পড়বে। আর বিএনপির ক্ষতি যা হবার হয়েই গেছে। ক্ষমতার জন্য ৪/৫ বৎসর অপেক্ষার বিকল্প নাই।
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন