ধর্মের অবমাননা এবং আদালত

লিখেছেন লিখেছেন গ্রাম্য মাতব্বর ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১১:৫৮:২৩ রাত

পঞ্চদশ সংশোধনীর পর বর্তমান সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২ক তে রাষ্ট্র ধর্ম সম্পর্কে বিধান আছে “ প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম, তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানসহ অন্যান্য ধর্ম পালনে রাষ্ট্র সমমর্যাদা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করবেন।”

আইন বিভাগ সংবিধান প্রণয়ন করেন আর বিচার বিভাগের (আদালত) মহান দায়িত্ব একে রক্ষা করা। রাজনৈতিক বিতর্ক এবং উদ্দেশ্য বাদ দিয়ে বলা যায়, এদেশের ৯০% মানুষ মুসলমান বলে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করা হয়েছে। এজন্য ইসলাম ধর্ম, আল্লাহ, আল্লাহর বাণী কুরআন, তাঁর নবী ও পরকাল নিয়ে কটূক্তি ও বিষেদাগার করা একদিকে যেমন সংবিধানের ষ্পষ্ট লঙ্ঘন তেমনি ৯০% মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের শামিল। তদুপরি, জাতীয় স্থিতিশীলতাকে ধর্মের নামে অস্থিতিশীল করে তোলার ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রীয় অপরাধ।

যে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী এধরনের অপকর্ম করবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব আর বিচার বিভাগ রাষ্ট্রের এদায়িত্ব পালনে পূর্ণ সহযোগিতা করবেন। ব্লগার রাজীব ও তার ভাবধারাপুষ্ট কিছু পথভ্রষ্ট তরুণ এদেশে অনেকদিন ধরে উপরিউক্ত অপকর্মে লিপ্ত ছিল ও আছে।

পত্রিকায় এধরনের রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর হাইকোর্টের একজন বিচারপতি সংবিধান রক্ষাকল্পে রিপোর্টটির ফটোকপি করে তাঁর অন্য সহকর্মীদের অবহতি করেছেন মাত্র। তিনি এ সংক্রান্ত কোন রুল জারি করেননি। কিন্তু আজ সংসদে আইনমন্ত্রী বললেন ঐ বিচারপতির বিরুদ্ধে সরকার সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করার চিন্তা করছে। কিন্তু তিনিতো সংবিধান পরিপন্থী কোনকিছু করেননি বরং সংবিধানের স্বকীয়তা রক্ষা ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। তাঁর বিরুদ্ধে যদি (রাজনৈতিক বিবেচনায়) কোনপ্রকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয় তাহলে তা হবে বাংলাদেশের ৯০% মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের শামিল।

আমাদের প্রশ্ন হলো, রাজীব ও তার ভাবধারাপুষ্ট তরুনরা কিংবা অন্য যে কেউ আল্লাহ, রাসুল ও কুরআনের বিরুদ্ধে আর কতটুকু বললে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হবে?

বিষয়: বিবিধ

১১৭৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File