জামায়াতের কাছে আওয়ামীলীগের অসহায়ত্ব!!!!!!!!!!!!!

লিখেছেন লিখেছেন বিপ্লবী ১৩ অক্টোবর, ২০১৩, ০৪:৩৪:১৪ বিকাল



ভাবছেন এমন শিরোনাম কেন দিলাম। ভাবারই বিষয় কেন না আওয়ামীলীগ বার বার গলা ফাটিয়ে বলেন আওয়ামীলীগই একমাত্র আদর্শ বাদী দল। তারা মুজিবের আদর্শে বিশ্বাসী যদিও তারা ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক লেবাস। নির্বাচন আসলেই আওয়ামীলীগের করুন মৃত্যু হয় মুজিবের ভারত থেকে আমদানি করা ধর্মহীন আদর্শের।

যেমন নির্বাচনের সময় হলেই আওয়ামীলীগের নেতা নেত্রীর মুখে ইসলামের তাফসীর শুরু হয়ে যায়। যেমন হাসিনা নিঝে সবাদা বলে বেড়ান আমি প্রতিদিন তাহাজ্জের নামাজ পড়ি ,কোরান তেলাওয়াতের মাধ্যমে দিন শুরু করি। কেউ যখন উল্লেখিত কাজ করতে হাসিনাকে দেখে না তখন নিজের ঢোল নিঝেকেইত পিটাইতে হবেই। যাই হোক আসুন জেনে নেই আওয়ামীলীগের আদর্শের কাছে কি ভাব মৃত্যু হয়। আওয়ামীলীগ বরাবরই আদর্শ ভিত্তিক জনগোষ্ঠীকে সবচাইতে বেশী ভয় পায় আর এ কারণেই ইসলামী পন্থী আল্লাহ ও রাসুলের আদর্শবাদী রাজনীতিকে মোকাবেলা ও জনসমর্থনের জনে ধর্মনিরপেক্ষ হলেও এই ধর্মকেই ব্যবহার করতে দেখা যায় সব চাইতে বেশী।

যেমন ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জমিয়তুল মুদারেসিনের নেতাদের সাথে বৈঠক বসেছিলেন ইসলামের পবিত্র রক্ষার জন্যে এবং বলেছেন ইসলাম রক্ষার জন্যে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।(প্রথম আলো ৫ সেপ্টেম্বর )

এ ছাড়াও শিক হাসিনা সেনানিবাসে ৯৯ কম্পজিট বিগ্রেডের উদ্ধবধনে বলেছেন একমাত্র আওয়ামীলীগই ইসলামের প্রচার প্রসারে কাজ করেছে।

নৌপরিবহন মন্ত্রীসাহাজান খান প্রেস ক্লাবে এক আলোচনায় বলেছেন এ পর্যন্ত যত সরকার এসেছে তারা সবাই ইসলামের যথাযত বাস্তবায়ন না করে ইসলামের নাম ব্যবহার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছে কেবল শিক হাসীনাই ইসলামের যথা যত বাস্তবায়ন করেছে ও যারা বিভ্রান্ত করেছে তাঁদের কঠোর হস্তে দমন করেছে।

তিনি আরও বলেন শিক হাসিনা কয়েকবার হজ্জ করেছেন,নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। একমাত্র হাসিনার পক্ষয়েই ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা সমভব।

(কালের কণ্ঠ ২০ আগস্ট)

প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয় বাবা একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল এ সাক্ষাৎকারে বলেছেন তার মা কতটুকু ধর্মপরায়ণ বা ধর্মপালন করে।

শিক হাসিনা ও নৌপরিবহনমন্ত্রী যখন ইসলাম রক্ষার কথা বলেছেন ঠিক তখন আওয়ামীলীগের প্রেসিদিয়াম সদস্য নাসিম বলেছেন নির্বাচন কমিশনকে কঠোর ব্যবস্থা নীতে হবে কেউ যেন ধর্মকে ব্যবহার করতে না পারে। (ইত্তেফাক ১২ জুলাই)

দিপুমনি বলেছেন শুধু বাংলাদেশ নয় দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশে রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে । এমন সব বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এটাই প্রমাণ হয় যে আওয়ামীলীগ ধর্মনিরপেক্ষ দল হলেও নির্বাচন সামনে এলে ধর্মের ব্যবহার শুরুকরে তখন তাঁদের ধর্মহীন আদর্শের কথা মনে থাকেনা বস্তুত তাঁদের আদর্শের নৈতিক করুন মৃত্যু হয় পরাজিত বরন করে স্বার্থের জন্যে।

সরকার দেশের আলেম সমাজ ও ইসলাম পন্থী রাজনৈতিক দলগুলিকে যখন প্রতিপক্ষ হিসাবে দাড়করিয়েছে হাসিনার পস্য নাস্তিকদেরকে দিয়ে তখন দেশের আলেম ওলামাসহ দেশের আপমরজনগণ ঈমান রক্ষার ডাকদিয়ে ঢাকায় অবস্থান নিয়েছিল তখন হাসিনার ৫ মে গণহত্যা চালিয়ে কালেমার আওয়াজ চিরতরে বাংলার মাটিতে বন্ধকরতে চেয়েছিল কিন্তু তাতে হাসিনার ভুল পরিকল্পনাকারীরা বরাবরই বার্থহয়েছে তা ৫টি সিটিকর্পোরেশনের নির্বাচনে দেখা যায় এবং এতে দেশের মানুষ ইসলামী রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সক্তিগুলির সাথে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়েছে। এহেন অবস্থায় সরকার সরকার বার বার পরাজিত হয়ে দেশের প্রধান ইসলামিকয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে টার্গেটে পরিনত করে একের পর নেতাদের ফাঁসির রায় প্রদান করতে থাকে ও জামায়াত শিবিরের সকল পর্যায়ের নেতা কর্মীদেরকে জেল জুলুম থেকে শুরুকরে সরকারের পেটুয়া বাহিনী ও আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীসহ যোগী সংগঠন ছাত্রলীগ যুবলীগ দিয়ে গুলি করে হত্যা করে জামায়াত শিবিরের কাছ থেকে দেশের রাজপথ মুক্তিকরতে চেয়েছিল বার বার কিন্তু তাতেও যখন পরাজিত হয় তখন সর্বশেষ আওয়ামীলীগের মুর্গিসাহারিয়ারের সহযোগিতায় পাকিস্থান থেকে মওদুদি সাহেবের ছেলে ফারুক খানকে দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তন রাজনীতিতে নাকগলানোর সুজুগ করেদেয় টার্গেটে পরিনত করে জামায়াতকে। ফারুক খান কেন যে কেউ জায়াতের সমালোচনা করতেই পারেন তবে বাস্তব সত্য হচ্ছে ফারুক খান কোনদিনই জামায়াতের রাজনীতির সাথে কোন ভাবেই সম্পৃক্ত ছিলনা।

আওয়ামীলীগ ফারুক খানের মনগড়া মন্তব্যকে দেশের মানুষের কাছে প্রমাণ করতে চেষ্টা করে জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা মউদুদির ছেলেই যখন জামায়াতকে পছন্দ করেনা বাংলাদেশের মানুষ করবে কেন বা বাংলাদেশে তাঁদের রাজনীতি করার কোন অধিকার নাই।

ফারুক খান মউদুদির সমালোচনা করলেই মউদুদি সাহেবকে নিয়ে ইউরুপ, আমেরিকা ও আরব দেশ গুলিতে উল্লেখ যোগ্যভাবে মউদুদির দর্শন নিয়ে গবেষণ হচ্ছে এবং তাঁর দর্শনকে ভার্সিটির পাঠ্যতালিকায় স্থান পাচ্ছে।

আওয়ামীলীগ আসলে জানেনা যে মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতিষ্ঠা হাসান আলবান্নার নাতি ডাঃতারিক রামাদানও তাঁদের কড়া সমালোচক ।অপর দিকে বিশ্ববিখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ আসাদের ছেলে তালাল আসাদও তার পিতার যথেষ্ট সমালোচক । এবং আরও একটি সত্য ঘটনা হযরত লুত আঃ সালামের স্ত্রি,সন্তান একজন পয়গম্বরের দাওয়াত কবুল বা তার আদর্শের সাথে একমত ছিল না। সেই ক্ষেত্রে মউদুদির ছেলে জামায়াতের রাজনীতির সাথে একমত পোষণ না ও করতে পারে।

প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতের কাছে সরকারের অসহায়ত্বের করুন চিত্রএটি সরকার পাকিস্থান থেকে জামায়াতের বিরুদ্ধে ভাড়াটিয়া সাক্ষী এনে জামায়াতকে মোকাবেলা করতে দেখা যায়। আমার মনে হয় রাজনীতির মাঠে রাজনীতিকে বা প্রতিপক্ষকে আদর্শ দিয়েই মোকাবেলা করা দরকার চাটুকার বা প্রতারণা ও শক্তিপ্রয়োগের মধ্যদিয়ে না। এ ধারণের মিথ্যা ভিত্তিহীন গড়া জুক্তিদিয়ে একটি প্রতিষ্ঠিত আদর্শকে মোকাবেলা করা যায় না।এ ধারণের কর্মকাণ্ডে মানুষকে সাম্যিকভাব প্রভাবান্বিত করা গেলেও কিছু সময়ের ব্যবধানে মানুষ এর পিছনের কারণগুলী অনুধাবন করতে শুরু করে। তাই আমার মতে আওয়ামীলীগের এসকল কর্মকাণ্ড প্রকৃতপক্ষ্যে জামায়াতের আদর্শ মোকাবেলায় অসহায়ত্বেরই বহিঃপ্রকাশ।

-----------------------------------------------------------------

জানতে চাই কোন আদর্শবান,চরিত্রবান, সুষ্ঠুজ্ঞানের অধিকারী নারী এমন ভাবে হাসতে পারে।



বিষয়: বিবিধ

১৯৭৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File