বাংলাদেশে জামায়াত ভূঁইফোড় কোনো দল নয়।

লিখেছেন লিখেছেন বিপ্লবী ১৩ এপ্রিল, ২০১৩, ০৭:৫২:৪৭ সন্ধ্যা

সরকার নিয়ন্ত্রিত বামঘেঁষা মিডিয়াগুলোর কমন কথা হলো জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডব। প্রত্যেক দলেরই একটা বা পরিচয় আছে। শিবিরের বা জামায়াতেরও একটা পরিচয় আছে। বাংলাদেশে জামায়াত ভূঁইফোড় কোনো দল নয়। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে সত্যের পথের লড়াকু সৈনিক এরা। এ দেশের মানুষ এদের চেনে। মুসলমান হিসেবে ঈমানের দাবি পূরণের জন্যে আল্লাহর দেয়া প্রতিনিধিত্বের হক আদায়ের জন্যে এরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়েছে। এরা কুরআন অর্থসহ পড়ে এবং কুরআনে প্রদত্ত আল্লাহর নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্যে চেষ্টা করে। জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের গঠনতন্ত্র পড়লে একথা পরিষ্কার বুঝা যায়। এছাড়াও অগণিত বইপত্র প্রদর্শনী রয়েছে এদের যা তাদের উদ্দেশ্য আদর্শের ধারক-বাহক। এরা ধর্মকে রাজনীতির জন্যে ব্যবহার করে না। বরং আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য অতীতে নবী-রাসূলসহ শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর অনুসৃত পথেই এরা কাজ করে। ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। এখানে যেমন আছে রাজনীতি তেমনি আছে সমাজনীতি ও অর্থনীতি। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক অঙ্গন পর্যন্ত সর্বত্রই আল্লাহর বিধান প্রযোজ্য। যা বাস্তব জীবনে সফলভাবে বাস্তবায়িত করে গেছেন সর্বযুগের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মডেল হজরত মুহাম্মদ (সা.)। আল্লাহ বিশ্ব জাহানের রব-ইলাহ। তিনি মানুষকে সৃষ্টি করে অজ্ঞতার অন্ধকারে ছেড়ে দেননি। যুগে যুগে নবী রাসূল পাঠিয়েছেন এবং তাদের কাছে নাজিল করেছেন কিতাব বা সহিফা। দুনিয়ার প্রথম মানুষ হজরত আদম (আ.) ছিলেন প্রথম নবী। শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এবং শেষ কিতাব আল-কুরআন। এরপরে আর কোনো নবী আসবে নাÑ অবতীর্ণ হবে না আর কোনো কিতাব। কিয়ামত পর্যন্ত মানুষের জন্য এটাই একমাত্র আদর্শ। এতে সংযোজন বিয়োজনের কোনো অবকাশ নেই। যে আল্লাহ এটা মানুষের জন্য দিয়েছেন তার পরিচয় হলো তিনি অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ সব জানেন। কাজেই এটা ভাবার কোনো অবকাশ নেই যে, ভবিষ্যতে এটা কোনো কাজে আসবে না। বিভিন্ন গবেষণায়ও এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, ইসলাম সর্বযুগে সব সময় আধুনিক এবং যুগোপযোগী জীবন বিধান। ইসলামের অন্যতম শিক্ষা হলো এ দুনিয়ার জীবন একমাত্র জীবন নয়। দুনিয়ার জীবনের পরে আর একটি জীবন আছে। তার নাম আখেরাত। এ দুনিয়ার জীবনে সব কাজের হিসাব নিকাশ মানুষকে সেখানে দিতে হবে। কেউ কিছু লুকাতে পারবে না। এ দুনিয়াটা পরকালের কৃষিক্ষেত। কৃষক ভালোভাবে চাষবাস করলে যেমন ভালো ফসল পায় আর আরাম করে তা উপভোগ করতে পারে তেমনি একজন মানুষ এই দুনিয়ায় হক হালাল পথের আল্লাহর নির্দেশ মেনে চললে মৃত্যুর পরে পরম শান্তিতে থাকতে পারবে। যার নাম জান্নাত বা বেহেশত। যেখানে শান্তির কোনো অভাব নেই। আর আল্লাহর নির্দেশের বিপরীত হারাম পথে চললে মৃত্যুর পরে যাবে জাহান্নামে। সেখানে শান্তির কোনো অভাব নেই। কত শান্তি তা দুনিয়ার কোনো মানুষ কল্পনাও করতে পারে না।

এই চিন্তাধারার উপর ভিত্তি করেই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির কাজ করে। এটাই তাদের পরিচয়। বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে শুরু করে তারা এই পথেই কাজ করছে। শুরু করেছি মিডিয়ার প্রচারণা নিয়ে। জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডব। কেন তারা তাণ্ডব করে? সত্যিই কি তারা তাণ্ডব করে? দূর অতীতের দিকে না গিয়ে যদি আওয়ামী লীগের বর্তমান শাসন আমলের কথা একটু সততার সাথে পর্যালোচনা করি তাহলে বুঝতে একটু সহজ হবে। আওয়ামী লীগ এবার ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করেছে। কিভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে আমি সে প্রশ্নে যাচ্ছি না। কারণ অনেক কথাবার্তা অনেকেই বলেছেন। দেশের মানুষও সব পর্যবেক্ষণ করেছেন। সরকার গঠনের পর কেউ আর দলের থাকে না। তারা হয় দেশের সব মানুষের অভিভাবক। সরকারি দল বিরোধীদল নির্বিশেষে সবারই অভিভাবক সরকার। কিন্তু দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের মানুষের। এই সরকারকে তারা অভিভাবক হিসেবে না পেয়ে তারা পেয়েছে আওয়ামী লীগের সরকার হিসেবে। ক্ষমতায় এসেই তারা বিরোধী দল দমনে সক্রিয় হয়েছে। বিশেষ করে এ দেশকে ইসলামহীন করার জন্য তারা উঠে পড়ে লেগেছে। তারা ইসলামকে সমূলে উৎখাত করার জন্য বিজাতীয় সংস্কৃতি আমদানি করেছে। জাতির মেরুদণ্ড হিসেবে পরিচিত শিক্ষাব্যবস্থায়ও তারা হাত দিয়েছে। স্কুলের পাঠ্য বইতে তারা যা সংযোজন করেছে তা অত্যন্ত ঘৃণিত। পড়াশুনার মান কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে তা ভুক্তভোগী মাত্র সবাই জানে। ছাত্র শিক্ষকদের নৈতিক মান সম্পর্কে আর নাই বা বললাম।

ক্ষমতাসীনরা বলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তাদের নির্বাচনী ওয়াদা। বিচার মানেই তো ন্যায় বিচার। ন্যায় বিচারে কোনো আপত্তি কখনই বিবেকবান মানুষ করতে পারে না। ১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলামী কি ক্ষমতায় ছিল? তারা কি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের নাগরিক ছিল না। তৎকালীন পাকিস্তানে জামায়াতে ইসলামী সব সময়ই ন্যায়ের পক্ষে ছিল। ইতিহাস সাক্ষী এই ভূমিকার কারণে পাকিস্তানে জামায়াতে ইসলামী সরকার কর্তৃক কয়েকবার বেআইনী ঘোষিত হয়েছে। জামায়াত নেতৃবৃন্দ জেল-জুলুমের শিকার হয়েছে। বলা হচ্ছে জামায়াত পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর দোসর হিসেবে মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে। কথাটা কতদূর মিথ্যা তা যারা বলছেন তারাও জানেন। জামায়াত ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়নি। কথাটা সত্য। কিন্তু কেন নেয়নি? সম্প্রতি একটি দৈনিকে একজন স্বনামধন্য লেখকের একটি উদ্ধৃতি দিতে চাই। তিনি বলেছেন, ‘প্রণব মুখার্জি তাকে একবার প্রশ্ন করেছিলেন যে, তোমরা পাকিস্তান থেকে পৃথক হলে ইসলাম চাও নাÑ এ জন্যে। এখন আবার ইসলামের কথা বল কেন?’

মূলত শেখ মুজিব সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থেকেই এ দেশের জনগণের অধিকার আদায় করতে চেয়েছিলেন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে তিনি পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলেছেন। যাই হোক জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন ভূমিকা ছিল ইসলামের জন্যই। ইসলাম প্রতিষ্ঠার কাজ করতে গিয়ে তারা ব্যক্তিগত স্বার্থ বা সুযোগ-সুবিধার দিকে তাকাননি। এরপর যখন বাংলাদেশ স্বাধীন হলো সেই মুহূর্ত থেকে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী। এটা তাদের ঈমানের দাবি। বাংলাদেশের ৪২ বছরের ইতিহাস এর সাক্ষী। বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সব সময়ই জামায়াতে ইসলামী বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে। ক্ষমতাসীন দল বা বাম নেতারা বলেন : জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়। তারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না। কতটা সর্বৈব মিথ্যা এবং কোনো বেওকুফও এটা বিশ্বাস করবে না, পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর কি হয়? মানুষ যে দেশের নাগরিক তার তো দায়িত্ব সে দেশেই। জামায়াতে ইসলামী যেমন পাকিস্তান আমলে পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল ছিল, তেমনি আওয়ামী লীগও তো পাকিস্তানে রাজনৈতিক দল ছিল। তাদের ইতিহাস তো আরও দীর্ঘ। আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে আওয়ামী লীগ। তাহলে কি তারা পাকিস্তানে চলে যাবে?

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে আল্লাহর দীন কায়েমের মাধ্যমে দেশে শান্তি কল্যাণ প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। ছাত্রশিবিরও একই লক্ষ্যে ছাত্র অঙ্গনে কাজ করছে। আল্লাহর আইন ছাড়া মানুষের মনগড়া আইনের ভিত্তিতে দুনিয়ায় শান্তি কল্যাণ প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। সুধীজনদের কথায় উঠে আসে বর্তমান সময়ে প্রয়োজন সৎ, যোগ্য নেতৃত্ব। এই সততা কোথা থেকে আসে। যেখানে জবাবদিহিতার সুযোগ নেই সেখানে কেউ সৎ থাকতে পারে না। সেই জবাবদিহিতা যদি মহান আল্লাহর কাছে হয় যেখানে কেউ কোনোকিছু লুকাতে পারে না তাহলে সেই অনুভূতি সম্পন্ন লোকের চেয়ে সৎ আর কে হতে পারে? সেই অনুভূতি সম্পন্ন খাঁটি ঈমানদার লোক তৈরির কাজই জামায়াত শিবির নিরন্তর করে যাচ্ছে।

যা বলছিলামÑ এ সরকার ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধের নামে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করে। জামায়াতের অফিস ভাঙচুর, লুটপাট করে। তাদের মিছিল-মিটিং করতে দেয় না। কুরআন শরীফকে জেহাদী বই বলে যার কাছে কুরআন হাদীস বা ইসলামী বই পায় তাদেরকেই গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর রিমান্ডের নামে অকথ্য নির্যাতন করে। গুম করে ফেলে অনেককে। দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেলকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে হাজির করে। টুপি দাড়ি দেখলেই তাদেরকে জঙ্গি বলে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর ডজন ডজন মিথ্যা মামলা দেয়। পুলিশ ভালোভাবেই গ্রেফতার বাণিজ্যের মাধ্যমে পয়সা কামিয়ে নিচ্ছে। এখন আর হাজার নয়। লাখ লাখ টাকা দাবি করে। না দিলে আরও অনেক মামলা এবং নির্যাতন কপালে জুটে।

বলুন কি দোষ জামায়াত-শিবিরের? শেষ পর্যন্ত দেখা মাত্র গুলি করাÑ মসজিদে ঢুকে গুলি করার ঘটনা ঘটছে। পুলিশ এখন আর জনগণের রক্ষক নয় বরং তারা দলীয় ক্যাডার। তাদের সাথে আছে ছাত্রলীগ যুবলীগের ক্যাডার বাহিনী। এই পুলিশের সামনেই প্রকাশ্য রাজপথে কুপিয়ে হত্যা করল বিশ্বজিৎকে। পুলিশ নীরব দর্শক ছিল কারণ হত্যাকারীরা ছিল ছাত্রলীগের। বিশ্বজিৎ হিন্দু ছিল তাই এত হই চই হলো। ঐ দিনই সিরাজগঞ্জে ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা একজন জামায়াত কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এটা নিয়ে হই চই হয়নি কারণ সে মুসলমান-জামায়াত কর্মী, এমনি ঘটনা অহরহ ঘটছে। গাড়ি পোড়ায় কে? মন্দির ভাঙ্গে কে? হিন্দুর বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয় কে? এটা তো জামায়াত-শিবিরের চরিত্র নয়। যারা আল্লাহর কাছে জবাবদিহির ভয় রাখে তারা তো এ কাজ করবে না। জামায়াত-শিবিরের নাম কারও গায়ে লেখা থাকে না। যাদের আল্লাহর ভয় নেই তাদের কেউ এদের উপর দোষ চাপানোর জন্য এগুলো করছে না এর কোনো প্রমাণ আছে? যা কিছু হারায় গিন্নি বলেন কেষ্টা বেটায় চোর। এই কেষ্টা বেটাকে চোর বানানো হচ্ছে সবখানে। নারায়ণগঞ্জে ত্বকী হত্যার ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে জামায়াত-শিবিরের নাম আসলো। কিন্তু ত্বকীর বাবা কি বললেন? তিনি বললেন : ‘এখন খুনিরা ত্বকীকে খুন করে সহজেই জামায়াত-শিবিরের উপর চালিয়ে দিচ্ছে। কারণ তারা জানে এটা খুব সহজ। এই খুনি কে? একজন পিতা তার সন্তানের খুনের ব্যাপারেও কি মিথ্যা বলবে? আর সেও তো আওয়ামী লীগেরই কর্মী। এমনিভাবে অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে কোনো কথা তো লুকানো থাকে না। শহীদ মিনার ভাঙা ছাত্রলীগ ক্যাডারকে পাগল বলে চালিয়ে দেয়া থেকে শুরু করে সব কিছুই তো মানুষ দেখছে। সরকার একদিকে দলীয় ক্যাডার, ইসলাম বিরোধীদের পুলিশের নিরাপত্তা দিয়ে রক্ষা করছে অন্যদিকে তৌহিদী জনতাকে গুলি করে জুলুম নির্যাতন করছে।

এ বাংলাদেশ তৌহিদী জনতার দেশ। এ দেশে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টানরা পূর্ণ নিরাপত্তার সঙ্গে যুগ যুগ ধরে বসবাস করছে। ইসলামের শিক্ষা অন্য ধর্মাবলম্বীদের শান্তির সাথে বসবাস করতে দেয়া। কিন্তু সরকার সেই সম্প্রীতি নষ্ট করেছে। ইসলামকে সরকারের মুখোমুখি প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছে। এর ফলাফল কি হবে তা অনিশ্চিত। কিন্তু কুরআনের ঘোষণা : আল্লাহ তার দ্বীনকে বিজয়ী করবেনই। কাফেরদের জন্যে তা যতই অসহনীয় হোক। ‘তাই আল্লাহর পথের লড়াকু সৈনিকদের কোনো ভয় নেই। সত্য সঠিক পথের পথিক যারা তারা দুনিয়াতে এবং আখেরাতে উভয় জায়গাতেই সম্মানিত হবে।’ ‘যারা ঘোষণা করেছে। আল্লাহ আমাদের রব, অতঃপর তার উপর দৃঢ় ও স্থির থেকেছে, নিশ্চিত তাদের কাছে ফেরেশতা আসে এবং তাদের বলে ভীত হয়ো না, দুঃখ করো না এবং সেই জান্নাতের সুসংবাদ শুনে খুশি হও তোমাদেরকে যার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। আমরা এই দুনিয়ার জীবনেও তোমাদের বন্ধু এবং আখেরাতেও। সেখানে তোমরা যা চাইবে তাই পাবে। আর যে জিনিসেরই আকাক্সা করবে তাই লাভ করবে। এটা সেই মহান সত্তার পক্ষ থেকে মেহমানদারীর আয়োজন- যিনি ক্ষমাশীল ও দয়াবান। (হা-মীম আস-সাজদাহ)

Click this link

বিষয়: বিবিধ

১৩২০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File