শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ করে যুদ্ধাপরাধীদের হালাল করে দেন কিনা সেটাই এখন প্রশ্ন। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী

লিখেছেন লিখেছেন বিপ্লবী ০৯ এপ্রিল, ২০১৩, ১২:১০:৪২ দুপুর



জনাব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, জনাব শাহরিয়ার কবির, মুনতাসীর মামুন এরাই যেন বাংলাদেশ। অথচ বাংলাদেশের সৃষ্টিতে এদের কারও কোনো ভূমিকা নেই। লোকজন তো বেশ জোরেশোরেই এখন বলাবলি করছে, ঘাতক দালাল কমিটি গোলাম আজমের ফাঁসি ফাঁসি করে জনাবের হারানো নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দিয়েছেন। আবার শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ করে যুদ্ধাপরাধীদের হালাল করে দেন কিনা সেটাই এখন প্রশ্ন। শাহবাগে জয়বাংলা স্লোগান হলো—বঙ্গবন্ধু হলো না। জাহানারা ইমামের ছবি উঠলো, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর উঠলো না। এ কেমন ষড়যন্ত্র? এ কেমন কথা? জনাব মুনতাসীর মামুন যার চাচা মহীউদ্দীন খান আলমগীর পাকিস্তানের একজন রেজিস্টারি করা সেবাদাস, মহারাজাকার। জনাবের বাবা মিসবাহ উদ্দিন খান মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রাম পোর্ট ট্রাস্টের সচিব হিসেবে দালালি করেছেন। তার দাদা চাঁদপুরের শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন বলে শোনা যায়। গোষ্ঠীশুদ্ধ পাকিস্তানের দালালি করে তারা এখন মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তি। আর গোষ্ঠীশুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধ করে আমরা হলাম রাজাকার। মহীউদ্দীন খান আলমগীর, মুনতাসীর মামুন, শাহরিয়ার কবির, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু—কারও বাড়ি হানাদাররা মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়নি। আমার বাবার বাড়ি মানে মাননীয় মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর বাবার বাড়ি হানাদাররা মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছিল। আসাদুজ্জামান খান মঞ্জুর বাবা সামাদ উকিলের বাড়ি ছারখার করে দিয়েছিল, বদিউজ্জামান খানের দালান ডিনামাইট মেরে ধূলিতে পরিণত করেছিল। এসবের খবর নেই, যত বড় বড় খবর হানাদার তোষক মহীউদ্দীন খান অথবা মিসবাহ উদ্দিন খানদের। মহাজোট এসব নিয়ে যত জোট বাঁধবে ততই জট পাকবে। আমার ব্যথা দেশের যে সর্বনাশ হচ্ছে তা নিয়ে। সেখান থেকে আমরা ঘুরে দাঁড়াব কী করে?

বিষয়: বিবিধ

১১৫৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File