শিবির কেন জ্বালাও পোড়াও করছে বা পুলিশ মারছে

লিখেছেন লিখেছেন আধা শিক্ষিত মানুষ ০২ এপ্রিল, ২০১৩, ০৩:১৬:০৮ রাত



আমি জানিনা এই লিখাটা আমার পক্ষে যাচ্ছে না বিপক্ষে। সারা দেশে শিবিরের তান্ডব-এই শিরোনাম আমরা এখন প্রতিনিয়ত পত্রিকায় দেখছি।

এখন প্রশ্ন হচ্ছেঃ এটা কোন ধরণের ইসলাম? গাড়ী পোড়ানো কি ইসলাম সমর্থন করে? পুলিশকে এই ভাবে মারাটা কি ঠিক? জ্বালাও পোড়াও যা করা হচ্ছে তা কি অন্যায় নয়?

উপরের এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর খোঁজতে গিয়ে আমি ইতিহাস খোঁজলাম। কিন্তু শিবিরের ইতিহাসে এটা পাইনা। শিবির কখনো রাস্তায় গাড়ী পোড়ানো তো দূরের কথা একটা ঢিলও ছুড়েনি। শিবির কখনো পুলিশ মারেনি। কিন্তু এখন! এখন তা-ই হচ্ছে। তার একটা উত্তর আমি পেয়েছি। উত্তরটা হলোঃ

শিবিরের মুরব্বী হলো জামায়াত। জামায়াতের মুরব্বীরা সব সময় নসিহত করেন গাড়ী না পুড়ানোর, অস্রবাজী না করার, পুলিশকে সম্মান করার। কিন্তু শিবির যারা করে তাদের রক্ত গরম হওয়াতে সব সময় নসিহতে কাজ হয়না। তাই তারা চোখ রাঙান। এই চোখ রাঙানীতে কাজ হয়। শিবির মার খেয়েও কিল হজম করে।

কিন্তু এখন শিবির মুরব্বীহীন। শিবিরের মুরব্বী জামায়াতের সকল নেতাই এখন কারাগারে। শিবিরের প্রাক্তণ দায়িত্বশীল প্রায় সবাই-ই এখন কারাগারে। শুধু কি তাই? শিবিরকে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে সেই সংগঠণের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা সবাই কারাগারে।

তাই এখন সন্ত্রাস না করার জন্য নসিহত করার লোক জামায়াত শিবিরে নাই, রাঙানোর মতো চোখ আর কারাগারের বাহিরে নাই, কন্ট্রল করার মতো নেতা একজনও আর বাহিরে নাই।

শিবিরের আদর্শে আদর্শিত নেতা কর্মীর সবাই এখন কারাগারে। আর শিবিরে নবীন, পূর্ণ আদর্শিত হয়নি এমনরা এখন রাজপথে। বিধায় মুরব্বী বিহীন পরিবারে যে অশৃংখলা হয়, তা-ই হচ্ছে। কিন্তু মাঝ খানে দেশ হচেছ ক্ষতি গ্রস্থ।

অতএব,

দেশকে এই মুসিবত থেকে বাঁচাতে জামায়াত শিবিরের মুরব্বীদের কারাগারের বাহিরে আসার সুযোগ দিন।

বিষয়: রাজনীতি

১৬৭৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File