এমাজ উদ্দিন সাহেবকে একজন জামায়াত কর্মীর নসিহত
লিখেছেন লিখেছেন আধা শিক্ষিত মানুষ ১৭ জুলাই, ২০১৬, ১২:২৩:৪৯ রাত
আমাদের মুহতারাম এমাজ উদ্দিন সাহেব জামায়াতে ইসলামীকে কিছু নসিহত প্রদান করেছেন, যা পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এজন চতূর্থ গ্রেডের জামায়াত কর্মী হিসাবে খবরটি আমাকে একটু নাড়া দিয়েছে।
খবরের সার কথাঃ জাতীয় ঐক্যপ্রচেষ্টায় ‘প্রতিবন্ধক’ জামায়াতে ইসলামীকে মুক্তিযুদ্ধ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা বা জাতির বৃহত্তম স্বার্থে পাশে সরে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ড. এমাজউদ্দীন আহমদ।
তাকে খবরে বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবি বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে এবং আমার মনে হয় এব্যাপারে জাতীয় ঐক্যমতও রয়েছে। আমার জানামতে পৃথিবীতে একটি লোকও একথার সাথে দ্বিমত পোষন করবেনা যে, তিনি বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবি নন। কিন্তু তার বুদ্ধি ইদানিং হ্রাস পেয়েছে কিনা এ বিতর্কে না গিয়ে শুধু বলবো, লোকে বলে মানুষের বয়স বাড়লে নাকি উল্টাপাল্টা অনেক কিছু বলে। তিনি সে ধরণের কিছু করছেন কি না তা বোধ গম্য নয়। কারণ আমার কাছে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো পরিস্কার নয়। যেমনঃ
১. জামায়াতে ইসলামী কি দরখাস্ত দিয়ে জোটে নাম লিখিয়ে ছিল, না জামায়াতে ইসলামী বিএনপির মতো একটি দল হিসাবে সমান অংশীদারিত্ব নিয়ে জোটের রাজনীতি শুরু করেছিল।
২. জামায়াতে ইসলামী কি কোন ধরণের কোন বৈঠকে কড়জোরে নিবেদন করেছিল যে, তাদেরকে জোটে রাখতেই হবে-নাহলে তাদের অবস্থা সাড়ে ১২টা বেঁজে যাবে।
৩. জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে যে সীমাহীন অত্যাচার চালানো হয়েছিল, তার প্রতিবিধান কল্পে কখনো কি জামায়াতকে সহযোগিতা করার জন্য বিএনপির দারস্ত হয়েছিল।
৪. জামায়াতের নেতাদের ফাঁসি হওয়ার পর বিএনপি যেভাবে মুখে কুলুপ দিয়েছিল, তাতে করে জামায়াত কোন ধরণের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলো।
৫. বিগত কয়েক বছরের আন্দোলনের ইতিহাসে কখনো কি এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, জামায়াত বিএনপির উপর নির্ভরশীল।
৬. বিগত নির্বাচন সমূহের কোন একটিতে বা কোন একটি এলাকায় কি বিএনপি জামায়াতকে নূন্যমত ছাড় দিয়েছে?
৭. এই দীর্ঘ পথপরিক্রমায় কখনো কি জামায়াতে ইসলামী এই সম্মানিত বুদ্ধিজীবির কাছে দারস্ত হয়ে বাঁচার দরখাস্ত করেছিলো।
যদি এই সব প্রশ্নের জবাব নেগেটিভ হয়, তাহলে বিএনপির সাথে জামায়াতে সম্পর্ক কেমন-তা মহামান্য বুদ্ধিজীবি সাহেব একটু বুদ্ধি খাটিয়ে দেখবেন কি?
উনার ভাষা জাতীয় ঐক্যে যদি জামায়াত প্রতিবন্ধক হয়, তাহলে জামায়াতের সাথে এতো লুটুরফুটুর কেন? জামায়াততো এতো অপরুপা সুন্দরী তরুনী নয়, যে তার প্রেমে অন্ধ প্রেমিক হতে হবে।
তাই,
মুহতারাম এমাজ উদ্দিন সাহেবকে নসিহত করবোঃ জাতীয় ঐক্যের পথে প্রতিবন্ধক যদি জামায়াত হয়ে থাকে, তাহলে জামায়াতকে ত্যাগ করার জন্য আপনি আপনার নেত্রী স্বাধীনতার অতন্দ্র প্রহরী (!), দেশপ্রেমিকা (!) মুহতারামা নেত্রীকে পরামর্শ দিন।
আপনাকে আরো নসিহত করবোঃ জামায়াতের ‘মুরব্বিদের’ ভুল হয়েছে’ এই ধরণের কথা বলা একটি দৃষ্টতা পূর্ণ বক্তব্য। আপনার বয়স যদি কম হতো তাহলে বলতে বাধ্য হতাম যে, এধরণের উক্তিধারীদের জিব টেনে ছিড়ে ফেলার মতো দৃষ্টতা।
মুহতারাম বুদ্ধিজীবি সাহেব! আপনি জানেন কি-এ প্রশ্নে আমরা আমাদের ৪জন মুরব্বীকে হারিয়েছি, এই প্রশ্নে একটি বারের জন্য আমাদের মুরব্বীরা বলেননি যে, তারা ভূল করেছিলেন, এই প্রশ্নে কোন ৫ম শ্রেণীর জামায়াত কর্মীরও কখনো বলেনি যে, আমাদের মুরব্বীরা ভূল করেছেন। জামায়াতের ৭১এর ভূমিকা সম্পর্কে বুঝার ক্ষমতা যেমন নাস্তিক এবং ভারতের দালালদের নেই, তেমনি এতো বড় মাথার বুদ্ধিজীবিদেরও নেই।
তাই আপনাকে নসিহত করবো, আপনার নেত্রীকে নসহিত করুন, জামায়াত নিয়ে চিন্থা অন্তত আপনাকে করতে হবেনা।
সবশেষে বলতে চাই, দীর্ঘ সময়ের নির্যাতন আর ক্রাশ প্রোগ্রাম প্রমান করেছে, জামায়াতকে বাংলাদেশে রাজনীতি করার জন্য কারো দয়া ভিক্ষা বা নসিহত ভিক্ষা করতে হবেনা। কিভাবে নিজেরা বাঁচবেন সেই চিন্তা করেন।
(পুণশ্চঃ যে দলের নেত্রীকে বাসা থেকে জোর করে বের করে দেয়া হয়, আর নেত্রী মিডিয়ার সামনে বাপ মরার কান্নার মতো কান্নাকাটি করে, সেই দলের কেউ যখন জামায়াতকে পরামর্শ দেয়, তখন পাগলেরও হাসি পায়))
বিষয়: বিবিধ
৪৫৪৬৫ বার পঠিত, ৩৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
"বুদ্ধিজীবি"রাই যখন বিবেক প্রতিবন্ধী তখন জনসাধারণকে আর দোষ দেই কেমনে!!
এমন "বুদ্ধিজীবি" থাকলে বিএনপিকে আর দাঁড়াতে হবেনা!!
তবে আপনার মন্তব্যে কোন খারাপ ভাষা তো দেখিনি। আপনি অত্যন্ত ভদ্র ভাষায় অত্যন্ত খারাপ মানের একটা গালি দিতে পেরেছেন। আপনার শৈল্পিক ভাষার জন্য ধন্যবাদ।
আর জামায়াতের ৭১ এর ভূমিকা ড্রইং রোমে বসে বুঝা যায়না। বুঝতে হলে আওয়ামলিীগের ২/৪টা ডান্ডা খেলে বুঝা যায়। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী জামায়াতের ভূমিকা সম্পর্কে অনেক আগেই বুঝে মন্তব্য করেছিলেন।
জামায়াতের ডাকসাইটে যুদ্ধাপরাধীদের মনত্রীত্ব দিয়ে বিএনপি মুলত বাংলাদেশের স্বাধীনতাটাকেই হেয় করেছে । মানুষ দেখেছে যে বাংলাদেশের পতাকা সম্বলিত গাড়ি করে বাংলাদেশরই বিরোধীতা করা লোকেরা চলাচল করছে !
জামায়াতকে মাথায় তোলার খেসারত বিএনপিকে যে আর কত বছর দিতে হবে সেটা আল্লাহই ভাল জানেন ।
এই জামায়াতই বিএনপিকে ফেলার জন্য আওয়ামী লীগের সাথে ১৯৯৪-৯৬ এ জোট করেছে , তত্ত্বাবধায়কের ফর্মুলা দিয়েছে । ১৯৯৬ এর নির্বাচনে ২/৩ টা আসন পেয়েছে এই বিশ্বাসঘাতক জামায়াত।
অকৃতজ্ঞ জামায়াতকে এর পরেও জোটে নিয়েছিল , মন্ত্রীত্বও দিয়েছিল ।
জামায়াত আজ যে সাফার করতেছে এটা তাদের বহু পাপের শাস্তি ।
০ ৭১ এ পূর্ব পাকিস্তানের হয়েও স্বাধীনতা সংগ্রামের বিপক্ষে কাজ করা
০ যে নেতা তাদেরকে পুনরায় রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিল সেই নেতার দলের সাথে সুযোগ বুঝে চালবাজি করে বিপক্ষদলের সাথে তাল মিলিয়েছে
০ যেই ঘাদানিকে আওয়ামী নেতারাও ছিলেন সেই আওয়ামী লীগের সাথেই এক হয়ে বিএনপি বিরোধী আন্দোলন করে এই মাথামোটা দলটি
০ সর্বপরি ৭১ এ কৃত কর্মের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাওয়া । উল্টো দম্ভ ভরে বলে যে সেটা নাকি সঠিকই ছিল ! নিরীহ মুসলমানদেরকে বিনা কারণে হত্যা করা জামায়াতের কাজে সঠিক মনে হয়েছে !
এখন জামায়াতকে সাইজ করতেছে আওয়ামী লীগের সরকার - সেই আওয়ামী লীগ যাদেরকে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফর্মুলা দিয়েছিল জামায়াত। পৃথিবীতে বিরল এই ফর্মুলায় সংখ্যা গরিষ্টতা নিয়ে এই ফর্মুলাই আবার বাতিল করেছে তাদের পেয়ারের আওয়ামী লীগ এখন বিশালভাবেই রাজত্ব করছে - আর জামায়াতকে সাইজ করছে । জামায়াতের সাথে বিএনপিও সাফারার হয়েছে যারা ইনিশিয়ালী এই প্রক্রিয়ারই বিপক্ষে ছিল।
বাংলাদেশের মানুষ ক্ষমা করতে জানে , এজন্যই জামায়াতের নেতারা ১৭/১৮ টা আসনও পায় ।
কিন্তু দম্ভ করলে তো ভাই সেটা অন্য হিসাব ।
বিএনপির মধ্যে এখন বোধদয় হওয়া শুরু হয়েছে এই বিষাক্ত কাল সাপকে নিয়ে । গত ১০ বছরে এটাই বিএনপির পজিটিভ থিংকিং ।
জামায়াত যদি ৭১ এর কৃত অপরাধের জন্য ক্ষমা চাইতো তাহলে সেটা তাদের জন্য সাময়িকভাবে ইগোহানিকর হলেও সুদূরপ্রসারী লাভজনক হত । এতে রাম-বাম-রাম-চেতনা ব্যবসায়ীরা জামায়াতকে নিয়ে যে খেলা খেলে সেটা মার্কেট হারাতো এবং মানুষ উল্টো জামায়াতকে সিমপ্যাথীর চোখে দেখতো আর চেতনাবাজদের প্রশ্ন করতো যে- যুদ্ধের সময় তারা কোথায় ছিল ? কি করেছে ?
এই বুদ্ধি আপনাদের বড় বড় নেতাদের মাথায় ঢুকে নি আর আপনাদের মত ফোর্থক্লাস কর্মীদের মাথায় কি ঢুকবে ?
এসব কথা বলে নিজেদেরকে আরও মার খাওয়ার উপযুক্ত করতেছেন ।
- বিএনপির মাঝে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু রাম বাম মনে করে থাকে যে, জামায়াতকে মন্ত্রীত্ব প্রদান করে স্বাধীনতাকে হেয় করেছে। কিন্তু ওরা নিজেদের স্বার্থে স্বাধীনতাকে হেয় প্রতিপন্নকারী বিএনপিকে অন্ধ ভাবে অনুসরণ করেনা।
- যারা সব সময় অন্যের গোলামী করার মানসিকতা নিয়ে চলে, তারা তাদের দল এতো বড় ভূল করার পরও দল ত্যাগের চিন্তা করে না।
- জামায়াত জোট ভিত্তিক নির্বাচন না করে কি কি খেসারত দিয়েছে তার হিসাব না করে, জামায়াতের সাথে জোট না করে বিএনপি কি কি খেসারত দিয়েছিল তার একটা খতিয়ান চিন্তা করলে ভাল হতো।
- জামায়াতকে মন্ত্রীত্ব দেয়া হয়নি। জামায়াত শেয়ার হোল্ডার বিজন্যাসে প্রাপ্ত হিস্যা গ্রহণ করেছে মাত্র।
- জামায়াতকে কোন সাফার করতে হচ্ছে না। বরং জামায়াত তার জন্মলগ্ন থেকে এই সব সাফার করার মানসিকতা নিয়েই চলছে। জামায়াত পিঠ বাঁচিয়ে রাজনীতি করার মানসিকতা সম্পন্ন কোন দল নয়।
- ৭১ এ জামায়াত তদানিন্তন সময়ের স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য কাজ করেছে। তখন পূর্ব পাকিস্তান নামে কোন স্বাধীন রাষ্ট্র ছিলনা এবং বিএনপি নেত্রীর মতে ৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষনা প্রদান করা হয়নি-যতক্ষণনা জিয়াউর রাহমান স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছেন। অপর দিকে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্র হওয়ার পর বাংলাদেশ ১ সেকেন্ডের জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে কোন কথা বলেনি।
- জিয়াউর রাহমান কেবল মাত্র জামায়াতে ইসলামীকে রাজনীতির সুযোগ দিলে মনে করা হতো যে, তিনি সুযোগ দিয়েছেন। তিনি তার রাজনৈতিক দর্শন থেকে সর্বদলীয় রাজনীতির পথ খোলেছিলেন।
- জামায়াত আওয়ামীলীগের সাথে যেমন রাজনীতি করেছে, তেমন বিএনপির সাথে। এর দ্বারাই প্রমাণ হয় যে, জামায়াতের নিজস্ব একটি শক্তি আছে, স্বকীয়তা আছে।
-------------------------------------------------------- এই ভাবে সকল কথার জবাব দেয়ার আছে ।। কিন্তু হতভাগাদের নিয়ে বেশী লিখতে চাইনা।
০ বিএনপি মুক্তিযোদ্ধাদের দল । কতটা উদার হলে এরা বিপরীতমুখী একটা দলকে কাছে টানে , রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয় । জিয়া তো জামায়াতকে বাদ দিয়ে বাকী সবার রাজনীতি করার অনুমোদন করতে পারতো ?
কতটা অকৃতজ্ঞ হলে মানুষ সেই নেতার দলকে বাটে ফেলে ? সাপে নেউলের মত আওয়ামী লীগের সাথে জামায়াতের বন্ধুত্বতা জামায়াতকে বিপদে ফেলেছে বার বার ।
০ পশ্চিম পাকিস্তানের শোষন থেকে পূর্ব পাকিস্তানের ম্যাক্সিমাম মানুষই মুক্ত হতে চেয়েছিল । যাদের মধ্যে গোলামীর মানসিকতা ছিল তারা হানাদার বাহিনীকে আপ্যায়ন করেছে ।
০ এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় আওয়ামীলীগ - বিএনপি- জামায়াত একসাথে কাজ করেছে । সময়ে সময়ে জামায়াত - আওয়ামী লীগ এরশাদকে সাপোর্ট করলেও বিএনপি আপোষহীন ছিল । ফলে ৯১ এর নির্বাচনে ১৪৪/১৪৬ টি আসন পায় তারা । আওয়ামী লীগ ৮৮ টি , এরশাদ ৩০/৩২ টি আর জামায়াত সম্বভত ১৭/১৮ টি ।
একক সংখ্যা গরিষ্টতা না পাওয়ায় বিএনপি জামায়াতের সাথে কোয়ালিশন করে. আওয়ামী লীগের পক্ষে সেটা টাফ ছিল , কারণ মাত্র এরশাদকে ফেলেছে - মাস কয়েক পরে আবার এরশাদের সাথে জোট বাঁধলে সেটা হিতে বিপরীত হত ।
আর জামায়াতও সুযোগ পেয়ে যায় বিএনপির সাথে কোয়ালিশন করে নিজেদেরকে স্টাবলিশ করতে । ঘাদানিকেরা যখন গোলাম আজমকে জনতার আদালতে ফাঁসি দিয়েছিল সেখানে বিএনপির নেতারা ছিল না ।
অথচ জাহানারা ঈমাম (যাকে জামায়াত জাহান্নামের ঈমান বলতো) মারা যাবার পর ঘাদানিকের শরীক দল আওয়ামী লীগকে সাথে নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করে জামায়াত ।
অকৃতজ্ঞ জামায়াত ১৯৯৬ এ ভোট পায় ২/৩ টা । আওয়ামী লীগ (১৪৫ ) + এরশাদ (৩২) মিলে সরকার গঠন করে । বিএনপি পায় ১১৬ টি আসন ( বেশী আসন পাওয়া বিরোধী দল)।
২০০১ এ ৪ দলের মোট আসন হয় ২২৫ এর মত (জামায়াত ১৭/১৮ টি)। আওয়ামী লীগ পায় ৬০ টির মত ।
২০০৮ এ বিএনপির অবশ্যম্ভাবী ভরাডুবির কারন (৩০/৩২ টি আসন) জামায়াতের সঙ্গ (২/৩ টি)।
দেখাই যাচ্ছে যে দেশের মানুষ কখন জামায়াতকে কাছে টানে কখন আবার দূরে ঠেলে দেয় ।
০ আওয়ামী লীগকে তত্ত্বাবধায়কের ফর্মুলা কোন হিস্যায় দিয়েছিল জামায়াত ? কিছু কি পেয়েছিল আওয়ামী লীগের তরফ থেকে ১৯৯৬-২০০১ এ ?
বিএনপির কাছ থেকে ন্যায্য হিস্যে পেয়েছে মন্ত্রীত্ব আর আওয়ামী লীগের কাছ থেকে সেটা গত ৫/৬ বছরে আরও দারূন ভাবে পাচ্ছে ।
০ জামায়াত ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের তাবেদার । তাই এ অন্চলের স্বাধীনতার কাজ না করে তাবেদারি করেছে পশ্চিম পাকিস্তানের । তাদের সাফার করতে হয়েছে হাসুবু ২০০৮ এ ক্ষমতায় আসার পর । এর আগের ৩৫ বছর তারা জুস খেয়ে গেছে ।
অন্যায় করলে তার সাজা এক সময়ে না এক সময়ে পাবেই - যেটা জামায়াত এখন পেতে শুরু করেছে । প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম চলতে থাকবে এই সাফারিংস।
০ পাকিস্তানের অখন্ডতা বজায় রাখার জন্য কাজ করা জামায়াতের নেতাদের যুদ্ধ শেষ হবার পর পাকিস্তানেই চলে যাওয়া উচিত ছিল । সেখানে তারা বীর হিসেবেই সন্মান পেতে ।
০ জামায়াতকে কেউ রুমাল হিসেবে ব্যবহার করেছে , সেই রুমালে আঁতর মাখিয়েছে । সযত্নে রেখেছে ।
আবার কেউ টিস্যু পেপার হিসেবে ব্যব হার করে ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে ।
একজনের কাছ থেকে পায় ন্যায্য হিসেবে মন্ত্রীত্ব আরেকজনের কাছ থেকে পায় বাঁশ ।
তবে জামায়াত উভয় ব্যবহারকারীকেই সমান চোখে দেখে ।
আপনার সাথে সহমত, এই বেয়াদবের মাথায় কু বুদ্ধি গিজ গিজ করতেছে তাই আবোল তাবোল বকে...
যে দলের এতগুলো নেতা ফাঁসিতে মরল, শত শত তরুণ-যুবককে পুলিশী নির্যাতনে নির্মমভাবে পিটিয়ে মারল! তাদের নিকট থেকে নেতাদের বিরুদ্ধে একটি কথা বের করতে পারলনা। হাজার হাজার যুবক জেলের ঘানি টানছে, ক্ষমা চাওয়াই যদি সমাধান হত তাহলে কাউকে না কাউকে ক্ষমা চেয়ে সমাধানের দিকে ধাবিত হতে দেখা যেত।
তাছাড়া যারা ক্ষমা চাওয়ার তারাতো মরেই গেছে, যারা বেঁচে আছে তারা কোন গরজে ক্ষমা চাইবে কেননা যাদের নিকট ক্ষমা চাইবে তারা নিজেরাই ভারতের কেনা গোলামে পরিনত হয়েছে।
বরং দেশ বিক্রির কারণে তাদেরকেই অচিরেই জাতির নিকট উল্টো ক্ষমা চাইতে হবে! বর্তমান দেশে ক্ষমার মাধ্যমে কোন সমাধান নাই। সমাধান একমাত্র প্রতিবাদ ও গনপ্রতিরোধে। পারলে সেটা করুন নতুবা এমাজ উদ্দীন স্যার খালেদা জিয়াকে পরামর্শ দিতে পারেন যে, জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করে অতিস্বত্বর দেশে স্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য যাতে কাজ করেন। যদিও তারা সেটাও করতে পারবে বলে মনে হয়না।
যুক্তিপূর্ণ ও তথ্য সমৃদ্ধ কথা কতজন শুনে বা মানে-এটাই প্রশ্ন।
রামছাগল মন্ত্রিরা যাই বলুক তাদের দাদারা এটা জানে জামায়াত ছাড়া আসলে কোন ঐক্যই হবেনা।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনি দেরীতে পড়েও মন্তব্য করেছেন, এজন্য ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন