আব্দুল জব্বার চেয়ারম্যানের ছেলের ফেইসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে

লিখেছেন লিখেছেন আধা শিক্ষিত মানুষ ১০ এপ্রিল, ২০১৬, ০২:০৯:২২ দুপুর



দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী জনাব আব্দুল জব্বার সাহেবের ছেলের ফেইসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে কিছু উল্টাপাল্টা বক্তব্য ও মন্তব্য নিয়ে আমার এই আলোচনা।



Abdullah Khalid Badshah এর ফেইসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে লিখেছেন "Shibbir Ahmed Shiplu"

আমি আব্দুল্লাহর (জব্বার চেয়ারম্যানের ছেলে) ফেইসবুক ওয়াল চেক করে দেখলাম শিব্বিরের স্ক্রীণশর্টে দেয়া স্টেটাসটি উনি ডিলিট করেছেন। শিব্বির আগাগোড়া একজন বিএনপি কর্মী। বিধায় জব্বার চেয়াম্যানের ছেলে কর্তৃক জামাত শিবিরকে গালি দিয়ে দেয়া স্টেটাসটি উনি কেন প্রচার করতে গেলেন, তা বোধগম্য না হলেও আন্দাজ করা যায়। তার তা হলো ঐ ইউনিয়নে জামায়াতের প্রার্থী থাকায় বিএনপির সুবিধা হয়নি।

আমি উপরোক্ত আব্দুল্লাহর সাথে ব্যক্তিগত পরিচিত নই এবং ফেইসবুকেও সে আমার বন্ধু নয়। তা ছাড়া জব্বার চেয়ারম্যানের যে এতো বড় একটি ছেলে আছে তাও আমার জানা ছিলনা।কিন্তু এই ফেইসবুক স্টেটাস থেকে আমার কেন জানি মনে হলো, ছেলেটার মাথায় ছিট আছে নতুবা ছেলেটা বড়লোকের বিমরতি খাওয়া ছেলে।

কারণ!

কারণ সেই ছোট কাল থেকে আমি তার দাদা, বাবা আর চাচাদের চিনি। তার নানাকেও চিনতাম। উপরোক্ত কেহই এই ধরণের ভাষায় অভ্যস্ত ছিলেন না। সে কোথা থেকে এটা শিখলো তা আমার বোধগম্য নয়। খোদ জব্বার চেয়ারম্যান এই ধরণের কথা বলতে পারবেন (অতীত ধারণার আলোকে) আমি তা বিশ্বাস করতে পারিনা।

জব্বার চেয়ারম্যান কে?

ইদানিং কালে অনেকেই বলেন যে, জব্বার চেয়ারম্যান জামায়াতের কেউ নন।আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলবোঃ

১. জব্বার চেয়ারম্যান একজন প্রবাসী জামায়াত কর্মী ছিলেন। দেশে এসে তিনি জামায়াতের শুভাকাংখীর ন্যায় সব সময় জামায়াতের লোকদের সাথে সম্পর্ক রেখেছিলেন।

২. জব্বার চেয়ারম্যানের বাবা আমৃত্যু জামায়াতের শুভাকাংখী ছিলেন এবং তিনি জামায়াতের অনেক মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন।

৩. জব্বার চেয়ারম্যানের ভাই আব্দুল ওয়াহহাব শিবিরের একটি উপশাখার সভাপতি ছিলেন।

৪. জব্বার চেয়ারম্যান যখন প্রথম চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন, তখন জামায়াত তার কর্মী হিসাবেই সর্বাত্মক সমর্থন দিয়ে নির্বাচনে জানপ্রান দিয়ে কাজ করে। কিন্তু তখনকার সময়ে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে এতো দলবাজী ছিলনা।

৫. জব্বার চেয়াম্যান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম তাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন বড়লেখা জামায়াতের তদানিন্তন আমির জনাব আব্দুল মালিক এবং বড়লেখা শিবিরের তদানিন্তন সভাপতি জনাব নজরুল ইসলাম।

৬. জব্বার চেয়ারম্যান যখন বিয়ে করলেন গাজীটেকার মন্তজির চেয়ারম্যানের মেয়েকে, তখন থেকে তার সাথে জামায়াতের দূরে চলা শুরু হয়।

৭. এর পর জব্বার চেয়ারম্যানের বোনের বিয়ে হয় এক সময়ের শিবির কর্মী এবং পরে ১০০% সুবিধাবাদী ঠিকাদার নজরুল ইসলামের সাথে।

৮. মন্তজির চেয়ারম্যান ও নজরুল ইসলাম ফ্যামেলীর সাথে আত্মীয়তার পর জব্বার চেয়ারম্যানের গতিপথ ও দৃষ্টি ভংগী বদলে যায়। তিনি একলা চলো নীতি অবলম্বন করেন। এবং জামায়াতীদের সাথে সম্পর্ক রাখতে লজ্জাবোধ শুরু করেন।

৯. এরই ধারাবাহিকতায় একসময় জামায়াতও তার উপর বিরক্ত হয়ে তার বদলে অন্য কাউকে নিয়ে চলার সিদ্ধান্ত নেয়।

১০. জব্বার চেয়ারম্যান পরিস্তিতি আঁচ করেও ফিরে আসেননি। আর এখন জামায়াতের কাছে প্রশ্ন-যদি জব্বার চেয়ারম্যান জামাতী হয়ে থাকনে, তাহলে জামায়াতের সিদ্ধান্ত কেন মানবেন না। অর্থাৎ তিনি এখন আর জামায়াতের লোক নন।

জব্বার চেয়ারম্যানের ছেলে আব্দুল্লাহ তার বাবা চাচাকে এই ইতিহাস কখনো জিজ্ঞেস করেনি, এটা ১০০ ভাগ সত্য। আমার করুনা হয় আব্দুল্লাহদের প্রতি, যারা সত্য ও সুন্দরের পথ ছেড়ে অনেক দূরে। লেখা পড়া বাদ দিয়ে রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত।

বিষয়: বিবিধ

১৬০৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

365222
১০ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০৩:৪৯
কুয়েত থেকে লিখেছেন : এই জায়গায় এসে সকলেই পিছু টান দেয় ব্যক্তি সার্থ ও লোভ এর কারনে। এই দূনিয়ায় প্রতিষ্টা পাওয়ার জন্য কেউ জামায়াত করেনা। যারা আবেগে প্রতিষ্টার জন্য এসেও যায় তারা বেশীদিন টিকে থাকতে পারেনা। ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে
365232
১০ এপ্রিল ২০১৬ বিকাল ০৫:৪৯
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

এমন উদাহরণ খুব কম নয়!!

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File