কাতারে মুজাহিদ ও সাকার ফাঁসির খুশীতে হাজার হাজার মানুষের মিষ্টি মুখ ও গায়েবানা জানাযাতে উপস্থিতি মাত্র ০৮জন

লিখেছেন লিখেছেন আধা শিক্ষিত মানুষ ২৩ নভেম্বর, ২০১৫, ০৮:৪৫:০১ রাত

জামায়াত নেতা আলী আহসান মুজাহিদ ও বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি হওয়াতে খুশী হয়ে মিষ্টি মুখ করেছেন কাতারে হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশী। নিচে তার ছবিঃ





Ma Salam নামক একজন ব্যক্তি তার ফেইস বুক ওয়ালে উপরের ছবিটি পেষ্ট করে লিখেছেনঃ

যুদ্ধাপরাধীদের ফাসীর পর কাতারে মিষ্টি বিতরণ,

কাতার থেকে:এম এ সালাম:-

যুদ্ধাপরাধী আলী আহসান মুজাহিদী ও সাকা চৌধুরীর ফাসীর রায় কার্যকর করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কাতার প্রবাসী বড়লেখা আওয়ামী পরিবার,মোঃ কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে আজ দোহা কাতারের একটি পার্কে মিষ্টি বিতরণ করা হয়,আরও উপস্থিত ছিলেন মখলিছুর রহমান মেম্বার,বদরূল ইসলাম, ওলিদ আহমেদ সেলিম,নাজিম,সাবুল সহ অন্যান্যরা।


অপর দিকে একই ঘটনায় দূঃখ প্রকাশ করে জামায়াত নেতা আলী আহসান মুজাহিদের জন্য গায়েবানা জানাযাতে উপস্থিত হয়েছেন মাত্র ৮জন ব্যক্তি। নিচে তার ছবিঃ





পাঠক!

ঘটনা দুইটি একই দিনে একই সময়ে মাত্র ৫০০ মিটারের মধ্যে। আর শিরোনামগুলো তার ঠিক উল্টো।

যদিও এমএ সালাম তার পোষ্টে উল্লেখ করেছেন যে, কোন একটি পার্কে তারা মিলিত হয়ে মিষ্টি বিতরণ করছেন। কিন্তু কাতারের দোহা সিটি সম্পর্কে যাদের সামান্য জ্ঞান আছে, তারা ছবিটির দিকে খেয়াল করলে দেখবেন, ছবিতে যাদের দেখা যাচেছ, তারা সবাই কাতারের জায়দা টাওয়ার নিকটবর্তী ‍উকুদ পেট্রোল স্টেশনের নিকটের ফুটপাতের পাশের ঘাঁসে বসে আছেন। সামনে মাত্র ১টি মিষিটর বাক্স। আর ‍উপসিথতি মাত্র ৮জন। আর ঐ ছবির মধ্যমনি জাতীয় সংসদের হুইপ জনাব শাহাব উদ্দিন সাহেবের ছোট ভাই কফিল উদ্দিন। যিনি কাতার আজ থেকে ২০ বছর আগে একটি ইলেক্ট্রনিক দোকানের চুরি করার অপরাধে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন।

অপর দিকে আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয় কাতারের সর্ববৃহৎ মসজিদ সমূহের অন্যতম দোহা সিটির শারে আল আসমাখের ইমাম বুখারী মসজিদে। যেখানের উপসিথতি ছিল হাজার হাজার। ছবি গুলো দেখলেই বুঝা যাবে সেখানের উপসিথতির পরিমাণ। জানাযা পূর্ব শোক সভা ও দোয়া মাহফিলে যখন মুজাহিদের জন্য দোয়া করা হয়, তখন হাজার হাজার শোকাহত মানুষের কান্নায় মসজিদের পার্শবর্তী এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ‍উঠে। আর শোক সভাতে যখন বক্তারা বক্তব্য রাখেন তখন বর্তমান সরকারের প্রতি ঘৃণায় মানুষের ক্ষোভ প্রকাশ পায়।

উপরের দুইটি ঘটনাতে পূর্বের দুইটি ঘটনা স্মরণ পড়ে যায়।

১. আমাদের জাতির আব্বু যখন মারা গিয়েছিলেন, তখন নাকি তার জানাযাতে মাত্র ১৫জন লোক হয়েছিল। আর তদানিন্তন আওয়ামীলীগ নেতারা নাকি আমাদের আব্বুর রক্তাক্ত লাশ মাড়িয়ে বিদ্রোহী সরকারের মন্ত্রীত্বের শপথ নিয়েছিলেন। তখন অবশ্য আমি খুব ছোট ছিলাম ৫/৭ বছর বয়সের। এমন একটা লুঙ্গি পরতাম, যার মধ্য দিয়ে ভিতরের অনেক কিছু দেখা যেতো। সেই সময়ে রশিকেরা রশিকতা করে বলতেন “লুঙ্গির ভিতর দিয়ে নাকি বঙ্গবন্ধু দেখা যায়”।

২. বিশ্ববরেন্য মুফাস্সির আল্লামা দিলাওয়ার হোসাঈন সাঈদীর মামলা যখন চলে, তখন যাদেরকে সাক্ষী হিসাবে প্রসিকিউসন আদালতে পেশ করে, তাদের অধিকাংশই ছিল “চিছকে চুর”।

বিশেষ জ্ঞাতব্যঃ

১.



২. মসজিদে নববী মাদীনা মুনাওয়ারাতে আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের গায়েবানা জানাযা।



৩. জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররামে আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের গায়েবানা জানাযা।



৪. চট্টগ্রামে আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের গায়েবানা জানাযা।

বিষয়: বিবিধ

২২৯৭ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

351083
২৩ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:৩৫
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : [url href="http://www.bdfirst.net/blog/blogdetail/detail/1838/President/71795#.VlMxl16mGBc" target="_blank"]মানুষকে আল্লাহ ন্যায়বিচার করার নির্দেশ দিয়েছেন। মহান আল্লাহ এরশাদ করেন- “নিঃসন্দেহে আল্লাহ তোমাদেরকে ন্যায় বিচার ও সদাচরণ করার নির্দেশ দিচ্ছেন।” [সুরা আন নাহল, আয়াত- ৯০] যারা এই নির্দেশ অমান্য করে অবিচার ও জুলুমকে বেছে নিয়েছে তাদের জন্য পরকালে অপেক্ষা করছে মর্মন্তুদ শাস্তি। শেষ বিচারের সেই ফায়সালাই হবে সর্বোত্তম ফায়সালা। রাজাধিরাজ, মহারাজ, মন্ত্রী, সম্রাট, বিচারপতি কেউই সেদিন পালাতে পারবে না, কেউ না। সকলেই পাকড়াও হবে। আর যারা অন্যায়, অত্যাচার, নির্যাতন আর জুলুমের শিকার হয়েছেন শুধু আল্লাহর হুকুম পালন করার জন্য, যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হাসিমুখে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন তাঁদের জন্যতো রয়েছে চিরসুখের জান্নাত। সেখানেই তাঁরা অনন্তকাল থাকবেন। আর জালিমরা জাহান্নামের প্রজ্জ্বলিত অগ্নিকুন্ডে নিক্ষিপ্ত হয়ে শুধুই মৃত্যু কামনা করবে। কিন্তু তাদের মৃত্যুও হবে না। কারণ তাহলে তো শাস্তি শেষ হয়ে যাবে। তাদের গলিত দেহে পুনরায় অস্থি মাংস গজাবে, আবার আগুনে জ্বলবে, আবার ..........। এভাবে চলতেই থাকবে। [/url]
351086
২৩ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:৪২
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছি। শুধু মহান আল্লাহর কাছে বিচার চাই। খুউব খুউব স্বপ্ন দেখি একদিন নতুন সূর্য উদিত হবেই। আল্লাহ মজলুমদের সহায় হোন। মহাবীরদের আল্লাহ শহীদ হিসেবে কবুল করুন।
২৪ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০১:৫৫
291454
আধা শিক্ষিত মানুষ লিখেছেন : আমীন
351088
২৩ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১০:০৬
জেদ্দাবাসী লিখেছেন : সব ঠিক আছে। কিন্ত ৪নং ছবিটা সব এলমেলো করে দিল চট্টগ্রামে শহীদ আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের লাশ কবে নিল?

গায়েবানা নামাযে জানাযা হয়েছে জানি।
ধন্যবাদ
২৪ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০১:৫৭
291455
আধা শিক্ষিত মানুষ লিখেছেন : ধন্যবাদ। এডিট করে দিলাম।
351089
২৩ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১০:১৫
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

ছবি দিতে ভুল হয়ে গেছে, বদলে দিন, প্লীজ
২৪ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০১:৫৭
291456
আধা শিক্ষিত মানুষ লিখেছেন : যেমন?
২৪ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:২৬
291495
আবু সাইফ লিখেছেন : ৪নং ছবিতে কফিনটা কি সাকা-র? যদি তাই হয় তবে ছবির ক্যাপশনে সাকা-র নামটাও জুড়ে দেয়া উত্তম! কারণ গায়েবানা জানাযার সামনে কফিন থাকে কেমনে?
351105
২৩ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১১:৫৭
শেখের পোলা লিখেছেন : চট্রগ্রামে সম্ভবতঃ ওটা সাকা সাহেবের জানাজা৷ কারণ মুজাহিদ ভাইকে ফরিদপুর নেওয়া হয়৷ যাইহোক তাদের জন্য সমবেদনা জানাতে লোকের অভাব হয়নি৷ ধন্যবাদ৷
২৪ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ০৯:৩৮
291477
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : "সাকা" সাহেব!!!
এ নামে বাংলাদেশে সম্ভবত কারো নাম নেই মনে অয়। বাংলাদেশে এ শব্দটি শুনা যায় ঐ সমস্ত কুলাঙ্গারদের মুখে যাদের জন্ম হয়েছে এমন কিছু বেওয়ারিশ বেইশ্যার জঠরে যারা কোন মানুষের সাথে রাত যাপনের সুযোগ পায়নি। ফুটপাতের বেওয়ারিশ শিয়াল কুত্তার সাথে......... ইয়ের মাধ্যমে দুনিয়ায় এসেছে।
351106
২৪ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১২:০১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : যেমন আওয়ামি মিডিয়া তেমনই তার সমর্থক! হেফাজতে ইসলামির এক সমাবেশ চলার সময় সমাবেশ এর বিপরিত দিক দেখিয়ে বলছিল শ দুয়েক মানুষ উপস্থিত!!
শেষ ছবিটা চট্টগ্রাম নয়। অন্য কোথাওর ছবি।
351118
২৪ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১২:৪০
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : শয়তানদের কাজ দেখে লজ্জা লাগে।
351120
২৪ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০২:১৪
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : আমার জানামতে, শেষ ছবিটা মুফতি আমিনির।
351136
২৪ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০৪:০৬
কাহাফ লিখেছেন : বিশাল জনতার মিষ্টি খাওয়ার আয়োজনে উপস্হিতদের কয়েকটা থাপ্পরও দিয়ে আপ্যায়িত করাও দরকার ছিল!
১০
351147
২৪ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ০৮:৫৩
সত্যের পথিক লিখেছেন : শেষের ছবিটা পরিবতন করুন। ধন্যবাদ
১১
351157
২৪ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:০২
বিবেক নাই লিখেছেন : শয়তানদের কাজ দেখে লজ্জা লাগে।
১২
351159
২৪ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:২১
হতভাগা লিখেছেন : এত আহলাদিত হয়ে কি হবে ?

উনারা তো ২/৩ টার বেশী আসন পান না । কারণ বাংলাদেশের >৯৫% মানুষ মানুষ জামায়াতের উপর খুবই চটে থাকে ।

প্রবাসীরা যতই লাফাক না কেন তারা তো ভোট দিতে পারে না !

এদের ৭০২৩৮৫৩৬ জনের লাফানিতে কোন কাজ হবে না যদি ভোট না দিতে পারে এদের কেউ ।
২৪ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:০৭
291491
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : বাংলাদেশে “ভোট” প্রয়োগের মাধ্যমে কখন রাষ্ট্রের নেতা নির্বাচিত হযেছিল? বাংলাদেশের নির্বাহী প্রধান হওয়ার প্রধান যোগ্যতা মনে হয় ভিন্ন দেশের দালালী ও গোলামী করার পারদর্শিতা।
২৪ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:০৯
291509
হতভাগা লিখেছেন : ২০০১ সালে হয়েছিল , এর আগে ১৯৯১ সালেও হয়েছিল।
১৩
351172
২৪ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:৫৪
চোরাবালি লিখেছেন : আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন সর্বশ্রেষ্ঠ বিচারক।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File