২০ রাকাআত তারাবীহ-এর পক্ষে যুক্তি দলীলঃ ০১
লিখেছেন লিখেছেন আধা শিক্ষিত মানুষ ১৯ আগস্ট, ২০১৪, ০৪:৫৯:০৬ বিকাল
শুরুতেই বলে রাখা ভাল যে, নিজের ইলম প্রকাশের উদ্দেশ্যে এই লিখনি নয়। কোন অহেতুক বিতর্কের মুখোমুখী হওয়াও এই লিখনির টার্গেট নয়। এই বিষয়ে ইদানিং আমি কিছু পড়ালেখা করেছি। ধারাবাহিক ভাবে সেগুলো শেয়ার করতে চাই মাত্র। আজ শেয়ার করলাম হযরত উমর রা. এবং হযরত উসমান রা. এর যামানার তারাবীহ সম্পর্কে। অতএব যারা ভিন্নমত পোষন করে মন্তব্য করবেন, তারা এই যামানাতেই থাকবেন। প্রদত্ত দলীল বা যুক্তির অসারতা উপস্থাপন করবেন। যদি অন্য সময়ের সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু স্টকে থাকে, তাহলে একটু অপেক্ষা করুন পরবর্তী পোষ্টের জন্য।
হযরত উমর রা. ও উসমান রা. এর সময়ে তারাবীহ ছিল ২০ রাকাআত-
عن السائب بن يزيد قال: كانوا يقومون على عهد عمر بن الخطاب رضـ في شهر رمضان بعشرين ركعة. قال: وكانوا يقرءون بالمئين، وكانوا يتوكئون على عصيهم في عهد عثمان بن عفان رضـ من شدة القيام.
“হযরত সায়িব ইবনে ইয়াযীদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উমর বিন খাত্তাব রা. এর যুগে সাহাবায়ে কিরাম ২০ রাকাত তারাবীহ পড়তেন। হযরত উসমান রা. এর যুগে তারাবীহ নামাযে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা কষ্টকর হওয়ার কারণে লাঠিতে ভর করে দাড়াতেন।” (বায়হাকীঃ সুনানুল কুবরা)
বিষয়: বিবিধ
১৩৯৮ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি যখন আল্লাহর রাসূলের তারাবীহ নিয়ে লিখবো, তখন আপনি এই মন্তব্য করে সাথে এতদ্বসংক্রান্ত হাদীস খানাও সংযোজন করতে পারেন।
আমি যখন আল্লাহর রাসূলের তারাবীহ নিয়ে লিখবো, তখন আপনি এই মন্তব্য করে সাথে এতদ্বসংক্রান্ত হাদীস খানাও সংযোজন করতে পারেন।
২। তিনি কি ধর্মে নতুন কোন মত বা পথ সৃষ্টি করতে পারেন?
৩। আপনি তারাবী নিয়ে যাই বলুন সেটা হতে হবে মুহাম্মাদ (সা) এর কথা থেকে।
আপনি কি রাসূল (সাঃ) থেকে একটি হাদীস বলতে পারবেন যেখানে রাসূল (সাঃ)বলেছেন "তোমরা ৮ রাকাআত তারাবীহ পড়।"? বা কাছাকাছি কিছু একটা?
রাসূল (সাঃ) তো উম্মি ছিলেন, কিন্তু আল্লাহ তাকে যে ইলম দিয়েছেন তা বিশ্বের যে কোন ইলমের চেয়ে তুলনাতীত গুনে উত্তম। সেই ইলম উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন সাহাবাযে আজমাঈনগন (রাযি.) যাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন উমর (রাযি.)। তার এই শিক্ষা তথাকথিত যে কোন শিক্ষার থেকে কোটিকোটি গুনে উত্তম।
আধা শিক্ষিত মানুষ হিসাবে আমি "অবতার" শব্দটার সাথে পরিচিত নই। এবং এটা ইসলামে ব্যবহৃত কোন পরিভাষা বলে আমার জানা নেই।
আপনার কাছে যদি কোন উক্তি বা দলীল থাকে, যে উক্তি প্রমাণ করে যে, হযরত উমর বা উসমান রা. এর যামানায় ২০ রাকাআতের কম তারাবীহ পড়া হয়েছে। তাহলে তা এখানে উপস্থাপন করতে পারবেন। তখন পাঠকদের জানাকে সমৃদ্ধ করবে।
মসজিদে নববীতে যে দিন ২০ রাকাআত তারাবীহ পড়ানো হয়, সে জামাতে উপস্থিত ছিলেন আশারায়ে মুবাসসারার ৯ জন সাহাবী, বদরী সাহাবী, উহুদী সাহাবী। তারা রাসূলের (সাঃ) আমলের ব্যাত্যয় দেখে একটি শব্দও করলেন না! আর যে আম্মাজান আয়িশা (রাযি.)-এর সনদের হাদীসকে আট রাকাআতের দলীল বলা হয়, তিনি তার বাসার পাশে এমন কিছু দেখে নীরব থাকলেন! বিশ্বাসযোগ্য?
আর তারা প্রতিবাদ করলেন, অথচ এ বিষয়ে কোন বর্ণনা কোন কিতাবে থাকলো না! বিশ্বাসযোগ্য?
আপনার আগামী পোষ্টগুলো পড়ে মন্তব্য করবো। তবে আমার নিবেদন হল - মেহেরবানী করে ইখতেলাফ করে তাফরিক্কা সৃষ্টি করা উচিত হবে। ইত্তেহাদ তৈরী করুন। অনেক দিন পর আপনার লেখায় মন্তব্য করলাম। দোয়া করবেন।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন