দেখে এলাম নবীর দেশঃছবি ব্লগ-০৪ ((দুই পবিত্র মসজিদের স্থাপত্য এক্সিভিশন)
লিখেছেন লিখেছেন আধা শিক্ষিত মানুষ ০৫ এপ্রিল, ২০১৪, ০৩:০৪:২৩ রাত
পাঠক! আস্সালামু আলাইকুম। উপরের যে ছবিটা দেখছেন তা মক্কাতে মসজিদূল হারামের অনতিদূরে একটি প্রদর্শণী স্থল। বাংলাতে যার নাম হবেঃ দুই পবিত্র মসজিদের স্থাপত্য প্রদর্শণী। আরবীতে এর নামঃ معرض عمارة الحرمين الشريفين আর ইংরেজীতে এর নাম রাখা হয়েছেঃ EXHIBITION OF THE TWO HOLLY MOSQUES ARCHITECURE.
আমরা হুদায়বিয়া থেকে ফিরার পথে ওখানে উঠলাম। আমাদের রাহবার জনাব জুবায়ের আবরার আমাদের সাথেই আছেন। নিয়ে গেলেন এই প্রদর্শনীতে। যেখানে মক্কা মদীনার স্থাপনা সমূহের পুরাতন স্মৃতি আর ভবিষ্যতে পরিকল্পনা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
প্রবেশ পথে গ্লাসের মাঝে আরবী হরফে এই প্রদর্শণী সম্পর্কে অনেক কিছু লিখা হয়েছে। পড়ার সময় নাই, তাই ক্যামেরা বন্দী করা হলো। কিন্তু গ্লাসের কারণে আমরা সহ বিপরীত পাশে দাড়ানো পাহাড় ছবি হয়ে ক্যামেরাতে প্রবেশ করলো। লেখাটা মিটমিট করছে।
প্রদর্শনীর শুরু হয়েছে মক্কা মদীনার আর্কিটাকচারাল প্লান আর বর্তমান ছবি দিয়েঃ
নিচের এই ছবি গুলো সাজানো আছে যতন করে প্রদর্শনীর বিভিন্ন দেয়ালে। যা মক্কা-মদীনা পুরাতন সামগ্রিক চিত্র ফুটে উঠে।
আল্লাহর ঘর-বাইতুল্লাহর একটি কোনে স্থাপন করা হয়েছে একটি কালো পাথর। যার নাম হাজারে আসওয়াদ। ঐ হাজারে আসওয়াদকে মুড়ানো রয়েছে স্টিল বা পিতলের কাভার দিয়ে। সেই ধরণের একটি কাভার। যা ব্যবহার করা হয়েছিল অনেক আগে। তারই নমূনা সংরক্ষণ করা হয়েছেঃ
কাবা ঘরের গিলাফকে আটকিয়ে রাখার জন্য নিচের এই রিং ব্যবহার করা হতো বাদশা সউদ এর সময়েঃ
কাবাঘরের দরজা। যা কাবাঘরে ব্যবহৃত হয়েছে 1363 হিজরী সালেঃ
কাবাঘরের আরেকটি দরজা। ওটা 1045 হিজরী সনে সুলতান মুরাদ খানের শাসনামলে নির্মাণ করা হয়।
কাটের একটি খুটির অংশ বিশেষ। যা পবিত্র কাবাঘরে ব্যবহৃত হয়েছে 65 হিজরী সনেঃ
কাবাঘরের গিলাফ একসময় হাত দিয়ে এই ধরণের ম্যানুয়াল মেশিন দিয়ে তৈরী করা হতোঃ
কাবাঘরের একটি খুটি। যা ৬৫ হিজরীতে সাইয়্যিদুনা আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়ের রা. এর তত্বাবধানে স্থাপন করা হয়েছিল।
শিল্পীর তুলিত আঁকা কাবাঘরের অভ্যন্তরের দৃশ্যঃ
মক্কা মুকাররামাতে মসজিদে হারামে ব্যবহৃত একটি মার্বেল পথর। যা 1073 হিজরী সনে ব্যবহৃত হয়েছেঃ
একটি শিলালিপি। যা তাওয়াফের স্থানে ব্যবহৃত হয়েছে আব্বাসী খেলাফতের সময়ে 631 হিজরীতেঃ
সূরা ইখলাছ লিখা একটি শিলালিপি। যা 631 হিজরীতে কাবাঘরে স্থাপিত ছিলঃ
মসজিদে নব্বীতে রিয়াদুল জান্নাহ-তে প্রবেশের গেট। যা পূর্বে ব্যবহৃত হয়েছেঃ
ইনশাআল্লাহ ২০২০ সালে মদীনা মুনাওয়ারাহ দেখতে এমন হবে। মদীনা মুনাওয়ারার আর্কিটাচারাল প্লানঃ
মসজিদে নব্বীতে ব্যবহৃত একটি মনোরম দরজাঃ
জমজম কূপের পুরাতন অবস্থা। ১২৯৯ হিজরী সনে জমজম ব্যবস্থাপনার ছিল এমনঃ
জমজমের পানি বহনের পাত্র। এক সময় মানুষ এই ধরণের পাত্রে জমজমের পানি সংগ্রহ করতো। এটি চামড়া দিয়ে তৈরীঃ
কাবাঘরের পাশে অবস্থিত মসজিদুল হারাম কমপ্লেক্স এর বর্তমান ছবির সাথে মিলিয়ে দেখুন। আর চিন্থা করুনঃ আগে মসজিদুল হারাম কেমন ছিল?
নিচের প্রথম ছবিতে যে ঘড়িটি দেখা যাচ্ছে, তা একটি পুরাতন ঘড়ি। আর নিচের কলকবজাওয়ালা জিনিসটা ঐ ঘড়ির মেশিন। আমরা দূঃখিত যে এই ঘড়িটি সম্পর্কে
কোন ব্যাখ্যা দিতে পারছিনা। কারণ এসম্পর্কিত তথ্যাবলী আমরা হারিয়ে ফেলেছি।
এক সময় আমরা বেরিয়ে আসলাম সেই পথ দিয়ে, যে পথ দিয়ে আমরা প্রবেশ করেছিলাম। শেষ সময়ে ইন্দনেশিয়ান একজন কর্মচারী আমাদের হাতে ০১টি করে কুরআন শরীফের কপি তুলে দিলেন।
আমরা ওখান থেকে বেরিয়ে ছুটে চললাম তায়েফের দিকে। যেখানে রয়েছে আমার নবীর রক্ত ঝরার স্মৃতি।
বিষয়: বিবিধ
২৪৩৯ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাকে অনেক ধন্যাবদ সাথে সেয়ার করার জন্য।
আর হা,মডুদের প্রতি অনুরোধ এধরনের পোষ্ট মাঝে মধ্যে নির্বাচিত পোষ্টে রাখলে আমরা উপকৃত হব।
বর যখন ডাকবেন, তখন যাবো। তবে আপনার প্রয়োজনটা কি জনাব?
পোস্টটি স্টিকি করা হোক!!! - মোডারেটরদের ও সম্পাদক সাহেবের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন