একজন উমরাহ যাত্রীর জন্য প্রয়োজনঃ ০৩
লিখেছেন লিখেছেন আধা শিক্ষিত মানুষ ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৩:৫৫:৩০ দুপুর
একজন উমরাহ যাত্রীর জন্য প্রয়োজনঃ ০২
((আধা শিক্ষিত মানুষের উমরাহ পালনের জন্য পড়াশুনা))
ইহরাম কালীন সময়ে যা নিষিদ্ধঃ
ইহরাম গ্রহণের পর আপনি এখন অন্য জগতের এক মানুষ। আপনি চিন্থা করুন যে, আপনার সামাজিক অবস্থান কোথায়? আপনি কত বিত্তশালী? আপনার ক্ষমতার পরিধি কতটুকু? এবার নজর দিন আপনার শরীরের দিকে, নজর দিন আপনার আশে পাশের কোন হাজী সাহেবের দিকে। কি দেখলেন? দুনিয়ার সবকিছু ছেড়ে দিয়ে মাত্র দুইটি চাদরের মালিক আপনি। আপনি আর আপনার পাশের জনের মাঝে কোন পার্থক্য নাই। আপনি লক্ষ্য করুন যে, এই পোষাকেই আপনাকে এই ধরণী থেকে চলে যেতে হবে। তাহলে কিসের এতো বাহাদূরী, কিসের এতো বড়াই।
নিজেকে প্রশ্ন করুনঃ আপনি কে? উত্তর আসবে-আপনি একজন দাস, আপনার কোন অস্তিত্ব ছিল না, একজন মহান সত্তা তার দাসগিরি করার জন্য আপনাকে তৈরী করেছেন। আপনি আবর্জনায় ভরা একটি ডাস্টবিন-যে ডাসবিনের ময়লা পৃথিবীর নিকৃষ্ট ময়লা সমূহের একটি-আপনি সেই চলন্ত ডাস্টবিন।আপনি যেখানে আছেন সেখানে আপনার অবস্থানের কোন গ্যারান্টি নাই। যে কোন সময় আপনার ট্রান্সফার অর্ডার আসতে পারে। তখন আপনি সাথে সাথেই প্রন্থান করতে হবে। প্রস্তান করতে হবে শুধু এমন নয়-প্রস্থান করে যেখানে যাবেন, সেখানে এখানকার একটিভিটিজ এর পংখানুপংখু হিসাব দিতে হবে। জবাব দিয়েই কান্ত হওয়া যাবেনা-আপনার জবাব নিপূণ হাতে তৈরী একটি রেকর্ড নামার সাথে মিলিয়ে দেখা হবে। এমনই এক নিরুপায় প্রাণী এই আপনি। আপনি এখন চলে যাওয়ার পোষাক পরে আপনার মালিকের বরাবরে হাজিরা দেয়ার প্রস্তুতি নিয়ে তৈরী। তাই বলছেনঃ লাব্বাইক-আমি হাজির।
যে মালিকের হুজুরে হাজির হতে আপনি ইহরাম গ্রহণ করলেন, সেই মালিক আপনার জন্য হালাল এমন কিছু বিষয় ক্ষনিকের জন্য হারাম করে দিচ্ছেন। আপনাকে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। আপনাকে ইহরামকালীন সময়ে নিম্নোক্ত কাজগুলো থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকতে হবে। যেমনঃ
১. চুল কাটা, নখ কাটা, শরীরের লোম উঠানো, শরীরের কোন অংশ দিয়ে রক্তে বের করা।
২. শরীর, পোষাক, খাদ্য বা পানীয়তে সুগন্ধি ব্যবহার।
৩. কোন ধরণের শিকার করা বা শিকারীকে শিকার দেখিয়ে দেয়া।
৪. স্ত্রী সহবাস করা বা উত্তেজনার সাথে স্ত্রীর শরীর স্পর্শ করা বা চুমু দেয়া।
৫. বিয়ে করা বা বিয়ে প্রস্তাব দেয়া বা আকদ করা।
৬. হাত মোজা বা পা মোজা পরিধান করা।
৭. পুরুষেরা মাথা ঢাকা। যেমনঃ পাগড়ী, ক্যাপ, টুপি ইত্যাদির ব্যবহার।
৮. ইহরামের দুই টুকরা চাদর ছাড়া অন্য কোন পোষাক পরা।
৯. মসজিদুল হারামের এলাকার কোন গাছপালা কর্তন করা বা কোন ঘাস মাড়ানো।
আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদেরকে উপরোক্ত নিষিদ্ধ কাজগুলো থেকে বেঁচে থাকার তাওফীক দিন।
চলবে-----------
বিষয়: বিবিধ
১৪৯৮ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
চলতে থাকুক....
মন্তব্য করতে লগইন করুন