জামায়াতের সংস্কারঃ আসুন ইরানের নেতৃত্ব নির্বাচনের দিকে একটু দেখি

লিখেছেন লিখেছেন আধা শিক্ষিত মানুষ ২৭ নভেম্বর, ২০১৩, ০৫:৫১:৪৮ বিকাল

((যাদের মাঝে ইরানের নাম শুনলেই “শিয়া-শিয়া” ভাব আসে, চুলকানী শুরু হয়ে যায়, তারা সময় নষ্ট করে এই পোষ্টটি পড়ার দরকার নেই।))

আমি ইরান বা ইরানীদের ধর্মীয় আক্বীদা বিশ্বাস নিয়ে কিছু লিখতে চাই না। আমি চাই না শিয়া-সুন্নী বিষয়ক বিরোধের অবতারণা করতে। আমি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ইরানকে উদাহরণে এনে জামায়াতের নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কিছু প্রস্তাবনা পেশ করতে চাই।

ইরান সম্পর্কে আমার পড়ালেখা একদম নাই বললেই চলে। ইরান সম্পর্কে আমার জানার সকল উপকরণ আমার কলিগ ইরানী বন্ধু। তিনি মাষ্টারস ডিগ্রীধারী এবং খুবই জানা শোনা মানুষ বলে তার থেকে জানাটাকে আমি পড়ালেখা করে জানার চেয়ে কম মনে করিনা।

জামায়াতের বর্তমান সাংগঠনিক ব্যবস্থাঃ

জামায়াতে ইসলামীর একটা ঐতিহ্য হলো, ওরা পুরাতনদেরকে শ্রদ্ধা করে-অবমূল্যায়ন করেনা। বিধায় বয়সের ভারে ভারাক্রান্তরা তৃণমূল পর্য্যায় পর্যন্ত সম্মানের সাথে বিভিন্ন পদে আসীন আছেন। এটা খুবই প্রসংশনীয় একটি দিক। আল্লাহর রাসূল সা. বড়দের নসিহত করেছেন ছোটদের স্নেহ ভালবাসা দিতে আর ছোটদের বলেছেন বড়দের সম্মাণ করতে। আর এই প্রেকটিসের ফল জামায়াত পেয়ে থাকে হরদম।

জামায়াতের নেতৃত্ব নির্বাচন প্রক্রিয়া একটু ব্যতিক্রমী। জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমীর ছাড়া আর কোন আমীর বা সভাপতি পদে নির্বাচন হয়না। জেলা উপজেলা এবং ইউনিয়ন মহানগরের মূল দায়িত্বশীল নিযুক্তির জন্য স্থানীয় সদস্য বা রুকনদের মতামত যাচাই করা হয়। কিন্তু জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমীর যাকে যেখানে নিযুক্তি দেন, তিনি সেখানেই আমীর বা দায়িত্বশীল নিযুক্ত হয়ে থাকেন। কিন্তু কেন্দ্র ও স্থানীয় পয্যায়ের সকল মজলিসে শুরা সদস্য বা রুকনদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকে।

এখানে বলে রাখা ভাল যে, কেন্দ্র বা জেলা উপজেলায় নির্বাহী কাজ পরিচালনার জন্য যে কর্মপরিষদ গঠন করা হয়, তা সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র জেলা বা উপজেলা আমীরের নিজস্ব এখতিয়ার। এতে মজলিসে শুরার সদস্যদের মতামত নেয়া হয়ে থাকে। কিন্তু মজলিসে শুরার মতামত মানা আমীরের জন্য বাধ্যতা মূলক নয়।

বিধায় কেন্দ্রে কে কোন পদে আসবেন, তার এখতিয়ার কেন্দ্রীয় আমীরের। আর জেলাতে জেলা আমীরের এবং উপজেলাতে উপজেলা আমীরের। এখানে বলে রাখা ভাল যে, সর্বস্তরের আমীর নিযুক্ত হয়ে থাকেন আমীরে জামায়াত কর্তৃক। কিন্তু বাস্তবে তা একটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। প্রকৃত পক্ষে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারীদের মধ্যে যারা দেশের যে এলাকা তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করেন, সে এলাকার জেলা আমীর কে হবেন বা না হবেন, তা ঐ সহকারী সেক্রেটারীর উপর বর্তায়। একই ভাবে উপজেলা সমূহে কে কখন আমীর থাকবেন বা না থাকবেন, তা জেলা আমীরের নিজস্ব এখতিয়ার এবং ক্ষমতার বিষয়।

এযাবত কালে এই প্রক্রিয়াতেই জামায়াতে ইসলামী চলছে। কিন্তু----------------।

জামায়াতের বর্তমান অবস্থাঃ

জামায়াতের মুরব্বীরা এখন কারাগারে। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সর্বত্র জামাতের প্রবীন নেতাদের হয় জেলে দেয়া হয়েছে, নতুবা ডজন ডজন মামলা দিয়ে তাদের ঘর ছাড়া করা হয়েছে। জামায়াতের সাবেক আমীর গোলাম আযম এবং বর্তমান আমীন মতিউর রাহমান নিজামী সহ জামায়াতের শীর্ষ স্থানীয় সকল দায়িত্বশীল জেলে। কেন্দ্রের সকল নেতা কারাবন্দী হওয়াতে ঢাকা মহানগরীর আমীর বয়সে যুবক জনাব রফিকুল ইসলাম খান এখন জামায়াত পরিচালনা করছেন। শুধু তাই নয়, পুরো জামায়াত এখন নিয়ন্ত্রণ করছেন ঢাকা মহানগরী জামায়াতের কমিটি। জামায়াতে কমপক্ষে ৫জন মহানগরী নেতা এখন কেন্দ্রীয় জামায়াতের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী কমিটির সদস্য। শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতারের পর জামায়াত পরিচালনার জন্য খুলনা থেকে মিয়া গোলাম পরওয়ার আর সিলেট থেকে ডাক্তার শফিকুর রাহমানকে পদোন্নতি দিয়ে কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু সামান্য দিনের ব্যবধানে দুইজনকেই কারাগারে চলে যেতে হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে জামায়াত ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়ার কথা ছিল এবং তাই ছিল যুক্তিযুক্ত। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। এই দূর্যোগ পূর্ণ সময়েও জামায়াত শিবির তাদের নিয়মিত কার্যক্রম একটি মুহুর্তের জন্য বন্ধ রাখেনি। জামায়াত ও শিবিরের কমিটি সমূহ গঠিত ও পূণর্গঠিত হয়েছে এবং হচ্ছে নিয়মিত এবং সময় মতো। জামায়াত শিবিরের মিছিলে উপস্থিতিতির সংখ্যা দিন দিন বেশী হচ্ছে। নিয়মিত দাওয়াতী কাজের মাধ্যমে রিক্রুটমেন্ট কার্যক্রম চলছে সেই আগের মতো, জনশক্তিকে সত্যিকার একজন মানুষ হিসাবে গড়ার নৈতিক প্রশিক্ষণের জন্য নেয়া শিক্ষা বৈঠক, শিক্ষা শিবির, পাঠচক্র, আলোচনা চক্র চলছে হরদম, বিভিন্ন প্রকাশনা সমগ্রী ও দাওয়াতী ম্যাগাজিন প্রকাশিত হচ্ছে বিরতিহীন ভাবে। দৈনিক সংগ্রাম আর সোনার বাংলা তার যাত্রা অব্যাহত রেখেছে সেই আগের মতো।

এমন পরিস্থিতিতে লন্ড ভন্ড যা হওয়ার ছিল তা হয়েছেঃ

-মাওলানা সাঈদীকে হারাতে হয়েছে তার মা ও ছেলেকে। নাতিনের বিয়েতে অনুপস্থিত থাকতে হয়েছে বাধ্য হয়ে (সম্ভবতঃ পুতি পেয়েছেন এবং অবস্থাতেই)।

-মাওলানা রফিকুল ইসলাম তার বাবার ইনতিকালে জানাযার নামাযে শামিল হতে পারেননি।

-মাওলানা নিজামীর পক্ষ হয়ে দেশ এবং জাতিকে শান্তনার বানী শুনাতে হচ্ছে মিসেস শামসুন নাহার নিজামীকে।

-অধ্যাপক গোলাম আযম যখন এই বয়সে পরম আদরে সেবা শুশ্রুশা নেয়ার কথা, তখন হাপতালে সময় পাস করতে হচ্ছে।

-সারা দেশের বিবাহ যোগ্য জনশক্তিকে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিয়ে করার কথা থাকলেও চুপি চুপি বিয়ের কাজটা সেরে নিতে হচ্ছে।

-সারাটা দিন ব্যস্ততার পর নিজ বাড়ীতে আপনজনের সাথে থাকার কথা থাকলেও থাকতে হচ্ছে জামাতী বলে পরিচিত নয় এমন কোন আত্মীয়ের বাড়ীতে অথবা কোন মসজিদে বা কোন পাহাড়ে জংগলে।

-অসুস্থ হলে পরিচিত ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা থাকলেও বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে নিজ এলাকার বাহিরে কোন অপরিচিত ডাক্তারের কাছে।

একটি পর্যালোচনাঃ

উপরের আলোচনা থেকে আমরা যা বুঝাতে চাই, তাহলোঃ জামায়াত চলছে চলবে-জামায়াতে গতিপথ রুখা যাবেনা। মুরব্বীদের অনুপস্থিতিতে তাদের পরবর্তী প্রজন্মরা অত্যন্ত দক্ষতা এবং যোগ্যতা দিয়ে ময়দানকে সামলে নিচ্ছে। একথা প্রমাণিত সত্য যে, জামায়াতের মুরব্বী দায়িত্বশীলরা তাদের সন্তানসম অনুজদের গড়ে তুলেছেন আপন করে, নিজের মতো করে। আর যুবক বয়সী প্রাক্তণ শিবিরেরা পিতৃসম দায়িত্বশীলদের অনুপস্থিতিতে পরিবারের হাল ধরেছেন মুরব্বীদের নসিহতের আলোকেই এবং যথাযথ ভাবেই।

একজন বাবা যখন দেখেন যে, তার সন্তান পরিবারের হাল ধরতে পূর্ণ সক্ষম হয়ে গেছে, তখন তিনি তৃপ্তির হাসি হেসে পরিবার পরিচালনার সকল দায়িত্ব সন্তানের হাতে সপোর্দ করে নিজে অবসর নেন। বেশীর ভাগ বাবাদের দেখা যায়, তখন বাড়ীর পাশের কোন দোকানে দীর্ঘ সময় আড্ডা দেয়া এবং যথা সময়ে মসজিদে হাজিরা দেয়ার রুটিন কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকেন।

জামায়াতের মুরব্বীদের দ্বীনি সন্তানেরা আজ জামায়াত নামক পরিবারের হাল ধরতে যেহেতু সক্ষম, তাই মুরব্বীরা কি এখন অবসরে যাবেন? নাকি আবার তারা তাদের নিজ দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেবেন?

ইরানের পদ্ধতিঃ

আমরা ইরানের প্রেসিডেন্টদের আমেরিকা বিরুধী জ্বালামীয় বক্তব্য পড়ে বা শোনে রীতিমতো পুলকিত হই। আমেরিকাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শণ করা চাট্টিখানি কথা নই। তাই আমরা এমন বক্তাকে সাধুবাদ জানাই, প্রশংসা করি, ঈমানের উচ্চতা বলে প্রচার করি। কিন্তু শুনলে অবাক হতে হয় যে, সেই সাহসীরা যে বক্তব্য দেন, তা কোন একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে আসা দিক নির্দেশনার আলোকে আনুগত্য প্রদর্শণ মাত্র। ইরানের সংবিধান অনুযায়ী দেশের প্রেসিডেন্ট সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী নন। বরং দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হলেন সেই দেশের ধর্মীয় নেতা। এর পর রয়েছেন হুজ্জাতুল ইসলাম নামে খ্যাত ৫জন ব্যক্তি। এর পর রয়েছে ধর্মীয় নেতার একটি বিশেষ কমিটি। ঐ সব ব্যক্তিবর্গের পর প্রেসিডেন্টের অবস্থান। ইরান পরিচালিত হয় ধর্মীয় নেতার দিক নির্দেশনায়। ধর্মীয় নেতা নিয়ন্ত্রিত হন তার বিশেষ কমিটি এবং হুজ্জাতুল ইসলামদের দ্বারা। ইরানের স্বশস্র বাহিনীর প্রধান কিন্তু প্রেসিডেন্ট নন-ঐ ধর্মীয় নেতাই।

ইরানের প্রতিটি অফিসে ধর্মীয় নেতার একজন প্রতিনিধি রয়েছেন। তার কোন কাজ নাই। তিনি সারাটা দিন অফিসের বিভিন্ন বিভাগে চষে বেড়ান। কিন্তু তিনির অজুত ক্ষমতা। তিনি যে কোন অফিসের যে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর যে কোন সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে পারেন। তিনির মূল কাজ হলো “ধর্মীয় নেতা অনুসৃত নীতি ও দৃষ্টিভংগীর” প্রতিফল হচ্ছে কি না তা দেখা।

একটি প্রস্তাবঃ

ইতিমধ্যে যেহেতু জামায়াতের মুরব্বীদের অবর্তমানে সর্বক্ষেত্রে অলটারনেটিভ দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এক সময়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় পর্য্যায়ে দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিদের। তাই শিবিরের প্রাক্তণ ঐসব দায়িত্বশীলদেরকে বর্তমান পদে বহাল রাখা হোক। সাংগঠনিক ব্যবস্থায় নিয়ে আসা হোক কিছু পরিবর্তন। যেমনঃ

- অপেক্ষাকৃত বয়সে যুবক বা তরুন এমন দায়িত্বশীলদের নিয়ে জামায়াতের সর্বস্তরের বর্তমান কমিটি সমূহ পূণর্গঠন করা হবে-কেন্দ্রীয়, মহানগর, জেলা, উপজেলার সর্বস্তরের সকল কমিটি। যেমনঃ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা ইত্যাদি।

- অপেক্ষাকৃত বয়সে প্রবীন দায়িত্বশীলদের নিয়ে সর্বস্তরে গঠিত হবে সুপ্রিম এডভাইজারী কাউন্সিল-কেন্দ্র, জেলা, উপজেলা সর্বস্তরে।

- উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কেবল তারাই হবেন, যারা ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট পর্য্যায়ে এক্সিকিউটিভ কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেছেন।

- কেন্দ্রীয় উপদেষ্টারা জেলা ও উপজেলা পর্য্যায়ের উপদেষ্টাদের সাথে যোগাযোগ রাখবেন। এবং এর মাধ্যমে তৃণমূল পর্য্যায় পর্যন্ত উদেষ্টা পরিষদের একটা নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে।

- উপদেষ্টারা মূলত কার্যনির্বাহী কমিটির কার্যক্রম তদারকির দায়িত্ব পালন করবেন। তারা দেখবেন যে, কার্যনির্বাহী কমিটি তার দায়িত্বপালনে বা সিদ্ধান্ত গ্রহণে ইসলামী নীতি, সাংগঠনিক মেজায-ঐতিহ্য ইত্যাদির প্রতিফলন হচ্ছে কি না।

- উপদেষ্টাদের ক্ষমতা হবে সীমাহীন। তারা যে কোন সময় কার্যনির্বাহী কমিটির যে কোন সিদ্ধান্ত স্থগিত বা বাতলি করতে পারবে। এমন কি পুরো কার্যনির্বাহী কমিটি যে কোন সময় বাতিল করতে পারবেন। জেলা উপজেলা পয্যায়ের উপদেষ্টা পরিষদ কেন্দ্রীয় উদেষ্ঠা পরিষদের সাথে আলোচনাক্রমে স্থানীয় পয্যায়ে এমন ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে।

- উপদেষ্টারা সংগঠনকে ইসলামীকরণ ও জামায়াতী করণে কাজ করবেন। কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা তাদের মেধা যোগ্যতা ইত্যাদি দিয়ে বর্তমান যুগের চাহিদার আলোকে উপদেষ্টাদের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবেন।

- উপদেষ্টারা নিয়মিত তালিম ও তারবিয়াতী বৈঠক সমূহে আলোচক হিসাবে উপস্থিত থেকে জনশক্তিকে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন ও সংগঠনের তাহজিব, মেজাজ, ঐতিহ্য সম্পর্কে ধারণা দেবেন এবং জাহেলিয়াতের সমস্ত চেলেঞ্জের মোকাবেলায় ইসলামের শ্রেষ্টত্ব প্রমাণের মজবুত কর্মী গড়ার কাজ করবেন।

উল্লেখ্য যে, ইরানী রাজনীতি আর আমেরিকান রাজনীতি এই প্রক্রিয়াতেই চলে। এতে করে কোন সমস্যা হয়না। বরং নতুন প্রজন্ম ময়দানমুখী থাকেন। ধীর স্থির নেতৃত্ব নীতি নির্ধারণী কর্ম করে। বিধায় আমরাও কি সেই ধরণের কিছু চিন্থা করতে পারি। সাজাতে পারি জামায়াতকে নতুন আঙ্গিকে। ভারসাম্য পূর্ণ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে লক্ষ্যে যেতে পারি আরো বেগবান হয়ে।

বিষয়: বিবিধ

২৩৬৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File