সাঈদী বিহীন সিলেটের তাফসীর মাহফিলে হাজির হলাম ১৪ বছর পরঃ শিয়ালদের ব্যাপারে সতর্ক করা হলো ওখানে
লিখেছেন লিখেছেন আধা শিক্ষিত মানুষ ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১২:১৬:২০ রাত
১৯৯৯ সাল থেকে প্রবাসী। অসুস্থ হয়ে ডাক্তারের পরামর্শে ২মাসে জন্য বাধ্যতামুলক দেশে অবস্থান করছি। রিকসা সিএনজি আর প্লেনে উঠা ডাক্তারের মানা। তাই পায়ে হেটে হাজির হলাম সিলেটের ঐতিহাসিক তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে। আনজুমানে খেদমতে কুরআনের উদ্যোগে ৩৮তম তাফসির মাহফিল।
বছরের পর বছর এই মাঠে তাফসির পেশ করেছেন বিশ্ব বরেন্য আলেমে দ্বীন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাঈন সাঈদী। সেই ৮ম শ্রেণীতে পড়া অবস্থা থেকে নিয়মিত হাজিরা দিয়ে আসছি এই মাহফিলে। ১৯৯৯সালে প্রবাসে যাওয়া পর্যন্ত ছিলাম ওর নিয়মিত উপস্থিতিদের একজন। মাহফিল থেকে অবশ্য ঘোষণা দেয়া হয়েছে যে, আগামী বছরে ইনশা আল্লাহ সাঈদী সাহেব সিলেট সরকারী আলিয়া মাদ্রাসার তাফসির মাহফিলে তাফসির পেশ করবেন।
মাহফিলে শিয়ালদের ব্যাপারে সর্তক থাকার জন্য বিশেষ দৃষ্টৃ আকর্ষণ করা হয়েছে। মাহফিলে বলা হয় আপনি অগ্নি কন্যা হোন আর যেই হোন না কেন শিয়ালরা পেলে কিন্তু ছাড়বেনা।
আলোচনা হচ্ছিলো নারীর অধিকার সম্পর্কে। বলা হচ্ছিলো যে, যার যতটুকু প্রয়োজন-ইসলাম তাকে ততটুকু প্রদান করেছে। কিন্তু একদল মানুষ যারা নারীদেরকে সমান অধিকারের নাম করে তাদের মাথার উপর ইট তুলে দিচ্ছে, রাস্তায় রাস্তায় কঠিন কাজ করাচ্ছে, তাদেরকে ফুসলিয়ে ঘরের বাহিরে নিয়ে এসে ঘরের কঠিন কাজ করাচ্ছে। ওদের মতলব নারীর অধিকার নয়, ওদের মতলব শিকারী শিয়ালের মতো।
শিকারী শিয়াল বলতে আলোচক একটি গল্পের অবতারণা করেন। একদা এক শিয়াল হাজির হলো মুরগীদের কাছে, যেখানে মুরগির মালিক তাদেরকে বন্দি করে রেখেছে। শিয়াল সেখানে গিয়ে তাদেরকে বললো, তোমাদের মালিক তোমাদের অধিকার হরণ করছে তোমাদের স্বাধীনতা হরণ করেছে। তোমরা বাহিরে থাকবা, আমার জঙ্গল তোমাদের জন্য উম্মুক্ত-সেখানে পাখ পাখালি সবাই যায়,হওয়া খায়, প্রকৃতি দেখে, দুনিয়াটাকে ভোগ করে। তোমাদের মালিক তোমাদের সে সুযোগ দিচ্ছেনা। অতএব হে মুরগী বোনেরা! বেরিয়ে আসো। আমরা সমবেত হই বনে।
আলোচক বলেন, এখানে মুরগীদের বাহিরে নিয়ে আসার পিছনে শিয়ালের মতলব কি? শিয়ালের মতলব সকলের কাছে পরিস্কার।
তিনি বলেন, আমাদের সমাজে কিছু পুরুষ রূপী শিয়াল আছে-যাদের মতলব আমাদের মা বোনদের স্বাধীনতা প্রদান নয়। বরং ওরা শিয়ালের মতো প্ররোচিত করে আমাদের মা বোনদের বাহিরে বের করে এসে ওদের সর্বস্ব লুটেপুটে খেতে চায়। অতএব ঐ সব শিয়ালদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, সে যেই হোক না কেন? সে হোক অগ্নি কন্যা অথবা অন্য কেউ-কেহই শিয়ালদের কবল থেকে মুক্তি পাবেনা।
আলোচকদের এই বক্তব্যের পর পুরো মাহফিল জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সর্বত্র দেখা যায় একই আওয়াজঃ শিয়ালদের কবল থেকে-বাংলাদেশ রক্ষা করো, শিয়ালেরা শিয়ালেরা-হুশিয়ার সাবধান।
বিষয়: বিবিধ
১৩৫৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন