জীবনের রঙ্গিন স্বপ্ন গুলো রেখে চলে গেলে তুমি
লিখেছেন লিখেছেন আধা শিক্ষিত মানুষ ২৫ আগস্ট, ২০১৩, ১০:২২:৪১ রাত
তোমার সাথে আমার খুব ভাল পরিচয় নেই। তোমার সাথে আমার সরাসরি কথা হয়েছে এমন ঘটনাও খুবই কম। তোমার বিচরণ ভূমিতে আমি বিচরণ করেছি সেই 90 এর দশকে। তাই তোমার সাথে যোগাযোগের কারণ হয়ে উঠিনি। তুমি আমার চেয়ে বয়সে অনেক ছোট। তুমি যাদেরকে দায়িত্বশীল বলে শ্রদ্ধা করো, আমি তাদের তুমি বলে ডাকি। কিন্তু তুমি জীবনের রঙিন স্বপ্ন গুলো রেখে চলে গেলে না ফেরার দেশে।
তোমার জন্য অন্তর থেকে দোয়া করা ছাড়া আামার আর কি আছে।
তোমার সাথে আমার পরিচয়টা খুব ভাল করে হয়ে উঠেনি। সন তারিখ মনে নেই। 2004 অথবা 2005 সালের কোন এক রাতে। রাত বলতে সম্ভবত 11 অথবা 12টা। আমি ফিরেছি প্রবাস থেকে। তোমার সাংগঠনিক এলাকায় শব্বেদারীর আয়োজন। আমি আমন্ত্রিত সেখানে দারসে কুরআন পেশ করার জন্য। মোমবাতির স্বল্প আলোতে মাত্র কুশল বিনিময় হয়েছিল সেদিন সুজাউল আলীয়া মাদ্রাসার কোন একটি কক্ষে। যতদূর মনে পড়ে দেলাওয়ার হোসাঈন জয়নুল তখন বড়লেখা উত্তরের সভাপতি।
এর পর আর তোমার সাথে দেখা হয়নি। দেখা হয়েছিল গত সফরের আগের সফরে। তুমি সাংগঠনিক প্রোগ্রাম শেষ করে মৌলভীবাজার জেলা অফিস থেকে নেমে স্বাদ মিষ্টির দোকানের সামনে। আমি আর ফয়জুর রাহমান ফিরেছি স্বপরিবারে তখন সেখানে। ওখানেও স্বল্প কথামালা।
তোমার সাথে কথোপকথন যা হয়েছে, তা টেলিফোনেই বেশী। টেলিফোনেই তোমার থেকে আপডেট জেনেছি বারবার মৌলভী বাজারের সাংগঠনিক অবস্থার। একবার আমার টেলিফোনে তুমি বক্তব্য দিলে কাতার প্রবাসী মৌলভী বাজার জেলার ইসলাম প্রিয় ভাইদের উদ্দেশ্যে। তোমার বক্তৃতায় মোহিত হয়ে সেই পরিস্তিতিতে ভাইয়েরা আর্থিক কুরবানীতে উদ্ধেলিত হয়েছিল।
তুমি তোমার পদচারণার অংগন থেকে চলে গেলে বৃহত্তর অংগনে। সেই দেলাওয়ার হোসাঈন জয়নুল উত্তর পেরিয়ে দক্ষিণে। যে জাহিলিয়াতের চ্যালেঞ্জের মোকাবেলায় ইসলামই শ্রেষ্ট এই প্রমাণ দিতে নিজের হাতের প্রধাণ আঙ্গুল গুলি হারিয়ে গাজী হয়ে এখন তোমারই কর্মক্ষেত্রে কান্ডারী হয়ে আছে। আর তুমি ছিলে ছায়া হয়ে বটবৃক্ষের ভূমিকাতে।
বর্তমান প্রতিকূল পরিস্থিতিতে প্রবাসে থেকে তোমার হাসি মাখা চেহারাটা দেখেছিল ফেইস বুকের কল্যাণে প্রতিদিন। তোমাকে দেখেছি শত শার্দূলের মিছিলে অগ্রভাগে। আর সেই অগ্রভাগ থেকে তুমি চলে গেলে অগ্রে সবার আগে সবাইকে ছেয়ে তোমার রবের সান্নিধ্যে না ফেরার দেশে।
মরতে হবে। মরবে তুমি মরবো আমি। কিন্তু তোমার মতো টগবগে এক যুবক যখন সড়ক দূঘটনায় হঠাৎ করে হারিয়ে যায়, তখন তোমাদের হারানোর বেদনা কেমনি সহি।
কিন্তু জানি! জানি তবুও সইতে হবে। আমাদের রবের ফায়সালাকে গ্রহণ করতে হবে সন্তুষ্ট চিত্তে। তাই দোয়া করে তোমার জন্য। দোয়া করি মাবুদের দরবারে। যেসব মানুষকে উদ্দেশ্য করে রব ঘোষনা করবেন “হে প্রশান্ত আত্মা” তুমি হও তাদের মাঝে শামীল। আরজ করি তোমার জন্য তোমার বর যেন তোমাকে জান্নাতুল ফিরদাউসের মেহমান হিসাবে কবুল করেন। আর আমরা যেন সেই স্থানে তোমার সাথে মিলিত হতে পারি-এজন্য যা করা দরকার, তা যেন করার তাওফীক দেন। আমীন।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের মৌলভী বাজার জেলার সাবেক সভাপতি জনাব এবিএম কবির আহমদ মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় ইনতিকাল করেন। তার স্মরণে
বিষয়: বিবিধ
২৯০৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন