তোমরা যারা শাহবাগে এসেছো তাদের বলছি
লিখেছেন লিখেছেন আধা শিক্ষিত মানুষ ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১১:৪৪:৫০ রাত
তোমরা যারা শাহবাগে এসেছো তাদের বলছিঃ
@ তোমরা তোমাদের লোকদের দিয়ে গড়া ট্রাইবুনালকে দোষারোপ করছো। মানে এই ট্রাইবুনলের প্রতি তোমাদের আস্তা নেই। আর এই ট্রাইবুনালের প্রতি আমাদের আস্তা নেই-একথাটা আমরা অনেক আগেই বলেছি। কিন্তু তোমরা শুননি। যে জিনিসটা আমরা আগেই বুঝেছি আমাদের যোগ্যতা বলে, এটাকি আমাদের অপরাধ?
@ তোমরা যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনে ফাঁসি দাবী করছো, তাদের ব্যাপারে তোমাদের পিতা অনেক আগেই ক্ষমা ঘোষনা করেছিলেন। মানে বাংলাদেশের ভবিষ্যত সম্পর্কে ধারণা করার যোগ্যতা তোমাদের পিতার ছিলনা। তোমরা সেই কম যোগ্যতা সম্পন্ন পিতার সন্তান। কিন্তু এজন্য তোমরা কেন আমাদের দায়ী করছো?
@ তোমাদের বাবারা তোমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছিল লেখা পড়া করে দেশের যোগ্য নাগরিক হওয়ার জন্য। তোমরা খাতা কলমের বদলে হাতে নিয়েছো পিস্তল। তোমরা লেখা পড়ার পরিবর্তে তোমাদের মুরব্বীদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে রাজনীতির লেজুড় হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছো। বিধায় তোমরা যোগ্য নাগরিক হতে পারনি, হয়েছো ভাল মাস্তান। আমরা লেখা পড়া করেছি, পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করেছি, রাজনীতির ক্রীড়নক হিসাবে ব্যবহৃত হইনি, দেশের যোগ্য নাগরিক হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছি। আমাদের এই চর্চা কি অপরাধ?
@ আমরা এসেছিলাম মানুষ গড়া অঙ্গনে, বের হয়েছি মানুষ হয়ে। আমরা আমাদের সহপাঠি ছাত্রীদের বোনের মর্যাদা দিয়েছি। শিক্ষিকদের পিতার আসনে স্থান দিয়েছি। তোমরা একই অঙ্গনে পদচারণা করে শিক্ষদের সম্মানদিতে শিখোনি। তোমাদের দ্বারা শিক্ষরা শুধু লাঞ্ছিত হয়নি প্রহৃতও হয়েছে। আর আমাদের বোনদেরকে তোমরা ভোগের সামগ্রী হিসাবে দেখেছো, তোমাদের লালসার কাছে তারা তাদের ইজ্জতকে রক্ষা করতে পারেনি, তোমরা তাদরে দিয়ে ধর্ষণের সেঞ্চুরী উদযাপন করেছো। তোমরা পাশবিক সত্তার লালন করেছো, আমরা মানবিক সত্তার লালন করেছি। ফলে তোমরা পাশবিক হয়েছো আমরা মানবিক হয়েছে। আমরা এক আদর্শ চরিত্রবান যুবক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছি এটা কি আমাদের অপরাধ?
@ তোমরা আমাদের উপর জুলুম অবিচার করেছো এবং করছো। আমরা বিচার পাবোনা যেনেও আমাদের যোগ্যতা দিয়ে চেষ্টা করছি। আমরা যারা নিজেদের মাঝে যোগ্যতা সৃষ্টি করেছি তারাই আমাদের মুরব্বীদের পাশে দাড়িয়েছি আইনি লাড়াইয়ে। তোমাদের যাবতীয় অপপ্রচার আর শতাব্দির শ্রেষ্ট মিথ্যাচারকে মিথ্যা প্রমাণে আমাদের যাবতীয় যোগ্যতা দিয়ে চেষ্টা করেছি। এটা কি আমাদের অপরাধ?
@ তোমরা শাহবাগে মিছিল করতে শিখেছো, কিন্তু আইনের পুস্তক পড়তে শিখোনি। তাই যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুলালে গিয়ে দাড়াবার মতো সাহস তোমাদের হয়নি। তাই বয়সের ভারে নজ্জু অযোগ্য অখ্যাত এবং আইন বিষয়ে সুনাম ধন্য নয় এমন ব্যক্তিদের নিয়েই তোমরা প্রসিকিউশন টীম গঠন করতে বাধ্য হয়েছো। আমরা আমাদের একান্ত নিজেদের লোকদেরকে-যারা একদম টগবগে যুবক-যাদের মাঝে আছে ২৪ঘণ্টা কাজ করার কর্মস্পিহা, তাদের নিয়ে ডিফেন্স প্রাচীর দাড় করিয়েছি। আমরা পড়ালেখা করেছিলাম বলে যোগ্য হয়ে এখানে দাড়াতে পেরেছি, তোমরা পারনি। এটা কি আমাদের অপরাধ?
@ তোমরা তোমাদের নিজেদের লোকদের বিশ্বাস করোনা। তোমরা তোমাদের যোগ্য লোকদের প্রতি আস্তা রাখোনা। তোমরা প্রফেশনালদের মূল্যায়ন করোনা। তোমাদের সর্বান্তকরণে দলীয় করণ মজ্জাগত হয়ে গেছে। তাই তোমাদের ব্যাপারে কে জী হুজুর তাই প্রধান্য দিয়েছো। তোমরা তোমাদের প্রখ্যাত আইনজীবিদের অবমূল্যায়ন করেছো। তোমরা ব্যরিষ্টার আমীরুল হক, আনিসূল হক বা রফিকুল হকদেরকে প্রসিকিউশনে দাড় করাতে পারতে। কিন্তু তোমরা তা করোনি। তোমরা মালুম হালুম মার্কাদের প্রধান্য দিয়েছো। আমরা বিদেশ থেকে যুদ্ধাপরাধ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তোমরা ক্ষমতা দিয়ে সে সুযোগ দাওনি। তাই আমরা বাধ্য হয়েছি আমাদের নিজেদের লোকদের দাড় করাতে এবং আমরা পেরেছি। তোমরা পারনি। তোমরা পারনি-আমরা পেরেছি এটা কি আমাদের অপরাধ?
@ তোমরা চেয়ে ছিলে আমাদের নিঃশেষ করে দিতে। এজন্য তোমরা চিরুনী অভিযান দিয়ে শুরু করেছিলে। তোমরা আমাদের ছাত্র সংগঠনকে ভেঙে চুরমার করে দিতেও ষড়যন্ত্র করেছিলে। তোমরা আমাদের দূর্ভেদ্য দূর্গ তছনছ করতে প্রথম সারির সকল নেতাকে কারাগারে নিয়ে গেছো। দ্বিতীয় সারির সকল নেতাকে কারাগারে নিয়ে গেছো। তৃতীয় সারির যারা ছিলো, তাদেরকেও সম্প্রতি কারাগারে নিয়ে গেছো। এখন আমরা চতূর্থ সারির নেতাদের দিয়ে চলছি। কিন্তু তোমরা কি দেখলে সেদিন মতিঝিলে? আমাদের সংখ্যাটা কমেছে না বেড়েছে? আমাদের দেখে কি মনে হচ্ছে-আমরা কি ভয় পেয়েছি? তোমরা যখন পুলিশ প্রটেকশন আর সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা নিয়ে আর নাচ গান বিরানীর আয়োজন করে শাহবাগে এই ক্ষুদ্র আয়োজন করছো-তখন আমরা পুলিশের গ্রেফতারীর নিশ্চিত সম্ভাবনা জেনে, পুলিশের গুলীতে মৃত্যু বরণ করবো জেনেও তোমাদের চেয়ে অনেক অনেক গুণ বেশী সংখ্যায় আমরা ময়দানে প্রতিনিয়ত। আমরা এই সাহস আর হিম্মত অর্জন করেছি। আমরা আমাদের কর্মীদের এমন নেতৃত্বের যোগ্যতা সম্পন্ন আর আনুগত্য পরায়ন হিসাবে গড়তে পেরেছি-এটা কি আমাদের অপরাধ?হে শাহবাগের তরুণেরা!
এসো একটি সমৃদ্ধ বাংলাদশে গড়ার জন্য এগিয়ে যাই। পৃথিবীটা গড়ার আগে নিজেকে গড়ি। আগামীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদেরকে আদর্শ ও যোগ্য করে গড়ে তুলি।
সত্য যখন আসে, তখন মিথ্যা পরাভূত হয়-এটাই চিরন্তন কথা। অতএব, তোমাদের সাথে যারা মিথ্যাচার চালাচ্ছে-তারা তোমাদেরকে তাদের ক্ষমতার সিড়ি হিসাবে ব্যবহার করছে। একথা তোমাদের বুঝতে হবে।
তাই-শাহবাগ ছেড়ে এসো। আসো সত্য ও সুন্দরের পথে, মুক্তি আর কল্যাণের পথে। আগামী দিনের সোনার বাংলা গড়তে নিজেদেরকে সোনার মানুষ হিসাবে গড়ি।
বিষয়: রাজনীতি
১৫৩২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন