বিস্ময়ের কিছু আছে কি?

লিখেছেন লিখেছেন শিখা ১৭ জুন, ২০১৩, ১২:০৬:৪০ রাত

পনের জুন তারিখে বাংলাদেশের চারটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়ে গেল। এখানে সরকার সমর্থিত সব প্রার্থীরই পরাজয় ঘটেছে। সরকারের অধীনে থেকে একটি সুষ্ঠ নির্বাচন হয়েছে এবং এ জন্য সরকারী দল ধন্যবাদ পাবার যোগ্য। কিন্তু কথা হলো, সরকার সমর্থিত দল হেরে গেল। এটা আমার কাছে বিস্ময়ের জন্ম দেয়নি বরং স্বাভাবিক মনে হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে হয়তো কিছু উন্নয়ন হয়েছে। তারপরেও অনেক ব্যর্থতা আছে। বিডিআর হত্যাকাণ্ড, হলমার্ক, ডেস্টিনি, আই সি এল গ্রুপের অর্থ লোপাট, শেয়ার মার্কেটের ডাকাতদের বিচার না করা, রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, চরম দলীয় করণ, প্রশ্নপত্র ফাঁস কারীদের যথাযত শাস্তি প্রদান না করা, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, দূর্নীতির অভিযোগকারীকে দেশ প্রেমিকের সনদ প্রদান, অপরাধিদের শাস্তি প্রদান না করা সরকারের ভাবমূর্তি বা ইমেজ বলুন আর সমর্থন যাই বলুন অনেক তলানীতে ঠেকিয়ে দিয়েছে। অবশ্য, উপরের কথাগুলো আমাদের দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের বেলায় প্রয়োগ করা যায়। এ অবস্থায় সরকার সমর্থিত প্রার্থী পরাজিত হবেন এতে আর বিস্ময়ের কী আছে? অথছ ২০০৮ সালে এই সরকারই কতই না সমর্থন নিয়ে সরকার গঠণ করেছিল। একেবারে নগন্য নাগরীক হিসেবে বলতে চাই যে, আওয়ামিলীগকে নতুন করে ভাবতে হবে। তারা মুক্তিযুদ্ধকে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করে। তাদের মনে রাখতে হবে যে দেশের সিংহভাগ লোক মুক্তিযুদ্ধে অংশ না নিলে দেশ স্বাধীন হতোনা। অথচ এ কথা অনেকেই মানতেই চায়না। যে বৈষম্য দূর করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে আজ সেই বৈষম্য অনেক গুণে বেড়ে গেছে নানা ক্ষেত্রে। আমরা মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাদেরকে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বলে মনে করি, তাদেরকে শ্রদ্ধা করি।সর্বশেষ একটি কথা বলতে চাই, আর তা হলো, সুশাসন প্রতিষ্ঠা না করে, দেশের মানুষকে অশান্তিতে রেখে, জনগণকে - আমরা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি নামক মদিরা পান করিয়ে আর মাতাল করে রাখা যাবেনা। সেদিন হয়ত শেষ হতে চলবে অচিরেই। জানিনা এ লেখা প্রকাশ হওয়ার পর ঘরের দরজায় পুলিশ চলে আসে কিনা!

বিষয়: বিবিধ

১৩৬৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File