ছাত্রলীগ থেকে টর্চার সেলের দুরুত্ব এবং অতীত থেকে বর্তমান

লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০৭ জানুয়ারি, ২০২০, ০১:২৬:৫৭ দুপুর









বর্তমান আওয়ামীলীগের আমলে সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আওয়ামীলীগের টর্চার সেলের কথা সবাই ছবি ভিডিও সহ প্রমান পেয়েছেন। এসব টর্চার সেলে অনেক ছাত্রকে পিঠিয়ে হত্যা ও করা হয়েছে।এখন পর্যন্ত সর্বশেষ হত্যা করা হয় বুয়েটে আবরারকে।

কিন্তু আপনারা জানেন কি ?

১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের জন্মের সাথে সাথেই তাদের লাঠিয়াল বাহিনীটি পরিণত করা হয়।


১৯৬৩-১৯৬৫ সভাপতি কে.এম ওবায়দুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সিরাজুল আলম খান। কে.এম ওবায়দুর রহমান মেধাবী ছিলেন এবং তিনি তৎকালীন সময়ে ছাত্রলীগের একটি অংশকে ভারতের দালালির জন্য ব্যাবহারের বিরোধিতা করেন। কিন্তু অপরদিকে সিরাজুল আলম খান নিজেই ভারতের দালালির জন্য দলের একটি অংশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেন। সেই সময় দলীয় কোন্দলে কয়েকজনকে হত্যা করা হয়। যার দোষ চাপানো হয় বামদের উপর।

১৯৬০-১৯৬৩ সভা পতি ছিলেন শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শেখ ফজলুল হক মনি। শেখ মনির দানবীয় চাঁদাবাজি , লুটপাট দখলের অপকর্মের জন্য এক পর্যায়ে অতিষ্ট হয়ে যান সভাপতি শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন।

শেখ মুজিবের কাছে শেখ মনির বিষয় গুলো তুলে ধরলে শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন কে শেখ মুজিব হুমকি দিয়ে বলেন , শেখ মনি আমার পরিবারের। আমার পরিবার নিয়ে কারো কথা আমি শুনবো না। ওদের কাজ তারা করুক।

শেখ মনির পক্ষ থেকে শেখ মুজিব তৎকালীন ছাত্রলীগের ২ টি সভার মধ্যে ২ ভাগের মধ্যে শেখ মনির পক্ষ নিয়ে তিনি তৎকালীন ছাত্রলীগের মধ্যে কোন্দল লাগিয়ে কয়েকজন কর্মীকে হত্যার পথেই এগিয়ে যায়। শেখ মনি নিজেকে আগামীদের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অথবা রাষ্ট্রপতি দাবি করে হুংকার দিতে থাকে চারদিকে। শেখ মনির নির্দেশে রাজধানীতে খোলা জিপে করে অস্ত্র হাতে নিয়ে মহড়া দিতো যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে শেখ কামাল ও শেখ মনির জন্য আলাদা কক্ষ বরাদ্ধ থাকতো। প্রতিদিন ছাত্রীদের ঐসব রুমে নিয়ে শীলতাহানি করা হতো। কয়েকজন ছাত্রী সেই সময় আত্বহত্যা ও করে। নাজমা নামের একজন বামপন্থি নেত্রীকে তুলে নিয়ে শেখ কামাল ও শেখ মনির রুমে শীলতাহানি করার পর হত্যা করা হয়। তাদের বহরে অশালীন কার্যকলাপের বিরোধিতা করার সাহস কারো ছিল না । ক্রস ফায়ার ছিল প্রতিদিনের খবর।

সেই সময়ের ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভিসি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী (২ ডিসেম্বর ১৯৬৯ থেকে ২০ জানুয়ারি ১৯৭২) ও অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী (২১ জানুয়ারি ১৯৭২ থেকে ১২ এপ্রিল ১৯) আব্দুল মতিন চৌধুরী (১৩ এপ্রিল ১৯৭৩ ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫) - এসকল ভিসি আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতার কাছে বিষয় গুলো বিভিন্ন সময় তুলে ধরলেও শেখ মুজিব এসব পাত্তা দিতেন না। উল্টো ভিসিদের বলতেন পোলাপানদের এসব একটু কম দেইখেন। করুক কিছু ফুর্তি আমোদ। লজ্জিত ও স্তম্বিত হয়ে যেতেন সব ভিসি।

১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ আগস্ট পর্যন্ত শেখ মনি ও শেখ কামাল বাহিনী ক্যান্টিনের খাবারের কোন মূল্য দিতো না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খোলা জিপে করে টহল দিতো শেখ মনি ও শেখ কামাল বাহিনী।

ছাত্রলীগের জন্ম থেকেই দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আওয়ামীলীগের টর্চার সেল ছিল। ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে ১৯৭০ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত। সেই সময় শেখ মনি , তোফায়েল আ.ম. আব্দুর রব , নূরে আলম সিদ্দিকী , ইসমত কাদির গামা, শাহজাহান সিরাজ(বহিস্কৃত), মনিরুল হক চৌধুরী , মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ইনু , এরা সারা দেশে দলীয় সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরী করে সকল অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। তাদের প্রধান কাজ ছিল লুটপাট , ডাকাতি , দখল , ছিনতাই।

ছাত্রলীগের নেতৃত্বে মুজিব বাহিনী গঠিত হয়। মুজিব বাহিনীর বর্বরতা সেই সময়ের কলংকিত অধ্যায়। মুজিব বাহিনী একদিকে লুট দখল পাচার , ব্যাঙ্ক ডাকাতি করতো , অন্যদিকে তালিকা তৈরী করে তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধা , তরুণ চাতদের হত্যা করতো - যারা ভারত ও আওয়ামী বিরোধী ছিল

১৯৭৭-১৯৮১ সালে সভাপতি ওবায়দুল কাদের ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বাহালুল মজনুন চুন্নু। ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিতিতে নোয়াখালী ও লক্ষীপুরে কয়েকশত মানুষ হত্যা করা হয়। হত্যার পর দায়ভার দেয়া হয় জাসদের উপর। তৎকালীন সময়ে জাসদের আরেক সিরিয়াল কিলার ও লুটেরাআসম আব্দুর রবের গ্রূপের সাথে বহুবার হানাহানি হয়। সভাপতি ওবায়দুল কাদের ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বাহালুল মজনুন চুন্নু সারা দেশে গোপনে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে বোমা নিক্ষেপ করতো। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আওয়ামীলীগের টর্চার সেল ছিল। ছাত্রদের বাধ্য করা হতো ছাত্রলীগ করতে। তাদের কথা না মানলে ধরে নিয়ে যাওয়া হতো , অনেকে ফিরে আসতো কোনমতে জীবন নিয়ে , অনেকে গায়েব হয়ে যেত। তখন গুম শব্দটি কেউ মুখে আনতেও ভয় করতো।



১৯৮৩-১৯৮৫
সভাপতি আব্দুল মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। জাহাঙ্গীর কবির নানক তৎকালীন সময়ের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও খুনি । দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আওয়ামীলীগের টর্চার সেল ছিল। নানক বাহিনী নামের একটি জংলী বাহিনীর কাজ ছিল সারা দেশে লুট ডাকাতি , চাঁদাবাজি। তৎকালীন সময়ে নানক বাহিনীকে ভাড়ায় খুনের জন্য অনেকেই ব্যাবহার করতো। নানকের নেতৃত্বে তখন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ককটেল পার্টির তান্ডব চলতো। কেউ বাধা নিলেই তাকে ক্ষুর দিয়ে কেটে অথবা কোপানো হতো।

১৯৮৬-১৯৮৮ সালে সভাপতি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মোঃ আব্দুর রহমান। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আওয়ামীলীগের টর্চার সেল ছিল। ২ জনের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি হয়। সুলতান মনসুর নর্থ ব্যাঙ্গল বিরোধী একটি বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়ে প্রায় সকল মার্কেটে সরাসরি চাঁদাবাজি শুরু করেন। ছাড়া না দিলে জিম্মি করে খুন। মোঃ আব্দুর রহমান রাজধানীতে গড়ে তুলেন ক্যাডার বাহিনী। যাদের কাজ ছিল খুন , চাঁদাবাজি এবং রাতের আঁধারে আগুন লাগিয়ে দেয়া।

১৯৮৮-১৯৯২ সালে সভাপতি হাবিবুর রহমান (বহিস্কৃত) , শাহে আলম(কার্যকরী ) সাধারণ সম্পাদক ছিলেন অসীম কুমার উকিল। হাবিবুর রহমান কিছুটা নমনীয় ছিলেন। শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে কয়েকটি খুন না করার কারণে এবং অভ্যন্তরীণ কিছু বিষয়ের জন্য শেখ হাসিনার নির্দেশে হাবিবুর রহমান বহিস্কৃত হন। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আওয়ামীলীগের টর্চার সেল ছিল। নেত্রকোনা থেকে রাজধানীতে আসা অসীম কুমার উকিল দলীয় ক্যাডার বাহিনীকে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের জন্য কয়েকটি সিরিয়াল খুন করার সরাসরি নির্দেশকারী। এরশাদের পতনের কয়েকমাস আগে থেকে পতনের পর পর্যন্ত কয়েকমাসে ভারতে তৎকালীন সময়ে কয়েক কোটি টাকা পাচার করে। নেত্রকোনা অঞ্চলে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে অসীম। ৮৯ থেকে ৯১ পর্যন্ত রাজধানীতে ছিনতাই আগুন লাগিয়ে দেয়া এসব কাজের জন্য অসীমের বাহিনীর তান্ডবে তখন পুলিশি টহল বাড়ানো হয়।

ঢাবিতে ছাত্রলীগের মাদকাসক্ত নেতাদের কাছে জিম্মি ভিসিরা। তাদের সরাসরি মদদে এবং তাদের নির্দেশে সাধারণ ছাত্রদের উপর হায়েনার মতো আক্রম করতে থাকে ছাত্রলীগ। এখনো সেটাই চলতেছে। ঢাবিতে ছাত্রলীগের মাদকাসক্ত নেতাদের হাত থেকে শিক্ষক , ভিপি কেউ রেহাই পায়নি এবং এখনো পাচ্ছে না।


অধ্যাপক এম. শামসুল হক (১৭ আগস্ট ১৯৮৩ থেকে ১২ জানুয়ারি ১৯৮৬ ) অধ্যাপক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মিঞা , ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের (২৪ মার্চ ১৯৯০ থেকে ৩১ অক্টোবর ১৯৯২) অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ (১ নভেম্বর ১৯৯২ থেকে ৩১ আগস্ট ১৯৯৬ ) পর্যন্ত বামপন্থিদের সাথে ছাত্রলীগ আঁতাত করে গোপনে টর্চার করা হতো হত্যার হুমকি দেখিয়ে। তবে সেই সময় কিছুটা কম হলেও এর পরবর্তীতে আবারো টানবে রূপ নেয় ছাত্রলীগ।

অধ্যাপক এ. কে. আজাদ চৌধুরী (৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬ থেকে ১১ নভেম্বর ২০০১) অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী (১২ নভেম্বর ২০০১ থেকে ৩১ জুলাই ২০০২) অধ্যাপক এ. এফ. এম. ইউসুফ হায়দার (ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য) ১ আগস্ট ২০০২ থেকে ৯ সেপ্টেম্বর ২০০২) অধ্যাপক এস. এম. এ. ফায়েজ ৯ সেপ্টেম্বর ২০০২ থেকে ১৫ জানুয়ারি ২০০৯ )

অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক (১৫ জানুয়ারি ২০০৯ থেকে ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭) অধ্যাপক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান (সেপ্টেম্বর ৪ ২০১৭ থেকে বর্তমান )

১৯৯২-১৯৯৪ সালে সভাপতি মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ইকবালুর রহিম ।মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী মাদকের সিন্ডিকেট তৈরী করেন। লেলিয়ে দেয়া হয় ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের জঙ্গি হামলার জন্য। সেই সময় একটা স্লোগান ছিল ছাত্রলীগের চাপাতির গত থেকে রক্ষার উপায় নাই।



১৯৯৪-১৯৯৮ সালে সভাপতি এ.কে.এম. এনামুল হক শামীম ও ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ইসহাক আলী খান পান্না । সে সময় দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আওয়ামীলীগের টর্চার সেল ছিল। রাজধানীতে গড়ে তুলেন ক্যাডার বাহিনী। যাদের কাজ ছিল খুন , চাঁদাবাজি এবং রাতের আঁধারে আগুন লাগিয়ে দেয়া।টিন্ডারবাজিতে নিজদের মধ্যে ক্রস ফায়ার ছিল প্রতিদিনের খবর।

১৯৯৮-২০০২ থেকে সভাপতি বাহাদুর বেপারীও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন অজয় কর খোকন ।সেই সময় দলীয় কোন্দলে কয়েকজনকে হত্যা করা হয়। যার চাপানো হয় জামায়াত বিএনপি ও বামদের উপর। রাজধানীতে গড়ে তুলেন ক্যাডার বাহিনী। দলীয় ক্যাডার বাহিনীকে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের জন্য কয়েকটি সিরিয়াল খুন ও বাহিনীকে ভাড়ায় খুনের জন্য অনেকেই ব্যাবহার করতো।

২০০২-২০০৬ সভাপতি লিয়াকত সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু তৎকালীন সময়ের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও খুনি । দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আওয়ামীলীগের টর্চার সেল ছিল।লিয়াকত সিকদার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের জন্য কয়েকটি সিরিয়াল খুন ও বাহিনীকে ব্যাবহার করতো। নজরুল ইসলাম বাবু মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের জন্য কয়েকটি সিরিয়াল খুন করার সরাসরি নির্দেশকারী।

২০০৬-২০১১ সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন । তাদের সরাসরি মদদে এবং তাদের নির্দেশে সাধারণ ছাত্রদের উপর হায়েনার মতো আক্রম করতে থাকে ছাত্রলীগ। প্রায় সকল মার্কেটে সরাসরি চাঁদাবাজি শুরু করেন। ছাড়া না দিলে জিম্মি করে খুন।তাদের নৌবহরে অশালীন কার্যকলাপের বিরোধিতা করার জন্য কয়েকজন আনসার ও পুলিশ কয়েকবার নাজেহাল হয়। টিন্ডারবাজিতে নিজদের মধ্যে ক্রস ফায়ার ছিল প্রতিদিনের খবর।





২০১১-২০১৫ সভাপতি এইচ.এম. বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম । এই সময়ের কাহিনি সবার জানা ।ব্যাঙ্ক লুটপাট থেকে শুরু করে আইনজীবী হত্যা , পেটানো , টেন্ডারবাজি , সড়ক অবরোধ , আগুন জ্বালানো , রাজধানীতে গণহত্যা সহ হাজার হাজার অপরাধের সাথে তাদের নাম জড়িত। তাদের উপস্থিতিতে হল গুলোতে চলতো সাধারণ চাতদের টর্চার।

২০১৫-২০১৮ সভাপতি মো: সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস.এম জাকির হোসাইন । এই সময়ের কাহিনি সবার জানা ।তাদের উপস্থিতিতে হল গুলোতে চলতো সাধারণ চাতদের টর্চার। তাদের সময় সারা দেশে চাঁদাবাজি , সন্ত্রাসী , বর্বোরোচিত হামলায় সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রক্তাক্ত হয়।







Mercilessly beaten by BCL activists on February 6, 2018 for his alleged involvement with Shibir, Ahsan has dropped out from DU, is still suffering from PTSD and cannot see properly with his left eye. Photo: Star





During the road safety movement, BCL cadres flogged school-going children and teenagers with batons, rods, and hockey sticks. Many children were seriously injured and bleeding severely. Photo: Star













২০১৮ -২০১৯
সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, তাদের ব্যাপারে নানান আভিযোগ । তাদের উপস্থিতিতে হল গুলোতে চলতো সাধারণ চাতদের টর্চার। চাঁদাবাজি , সন্ত্রাসী , পুলিশ , সেনা , শিক্ষক , সাংবাদিক , ডাকসুর ভিপি সহ সকল অপরাধের সাথে তারা জড়িয়ে পরে। চাঁদাবাজির কথা ফাঁস হলে তাদের বহিস্কার করা হয়। এদের নেতৃত্বে ছাত্র চাঁদের উপর বার বার হামলা হয়। এমনকি ডাকসুর নির্বাচনের সময় ছাত্রীদের হলে ঢুকে হামলা ভাঙচুর করে। ছাত্রীদের সংবেদনশীল স্থানে লাত্তি দেয়ার ছবি ও মিডিয়াতে প্রকাশ পায়। তাদের সময় সারা দেশে বর্বোরোচিত হামলায় সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রক্তাক্ত হয়।



যে কয়েকটি ঘটনার পর আওয়ামীলীগে র শীর্ষ নেতারা বলেছিলেন খুনের সাথে ছাত্রলীগ জড়িত না। কিন্তু মিডিয়াতে ছবি সহ খুনিদের দলীয় পরিচয় প্রকাশকে কেন্দ্র করে চলে বিচারের নামে তামাশা।



আবু বকর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি স্যার এ এফ রহমান হলে সিট দখল নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় আহত হয়ে একদিন পর মারা যান।

সংগঠনটি প্রায়সময় ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, খুন, লুটপাট, যৌন সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে থাকে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা দুর্ধর্ষ ক্যাডার জসিমউদ্দিন মানিক ১০০ ছাত্রীকে ধর্ষণের ‘সেঞ্চুরি উৎসব’ পালন করেছিল।


জুবায়ের আহমেদ ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র। ২০১২ সালের ৮ই জানুয়ারি ছাত্রলীগের মধ্যে অন্তর্কলহে বিরোধীপক্ষের হামলায় আহত হয়ে একদিন পর মারা যান।

ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ধংসাত্মক এবং আইনবিরোধী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশে এই ছাত্র সংগঠনটি দেশের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় যখন এই সংগঠনের কিছু সদস্য বিশ্বজিৎ নামের একজন দর্জি দোকানীকে হরতাল চলাকালে ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাতের সময় কয়েকটি টিভি চ্যানেলের ক্যামেরায় ধরা পড়ে। বিশ্বজিৎ সে সময় হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যুবরণ করে।







২০১৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী দ্বারা নির্যাতিত হোন। এতে তার চোখের কর্ণিয়া মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এপ্রিলে কোটা সংস্কারের আন্দোলন শুরু হওয়ার পর ৯ই এপ্রিল বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মিছিল করে এবং বিভিন্ন সময় আন্দোলকারীদের উপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ।





বুয়েট তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাথে তার জড়িত থাকা নিয়ে সন্দেহ করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সন্দেহ করে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের ২২ বছর বয়সী ছাত্রকে তার সাম্প্রতিক একটি ফেসবুক পোস্টের কারণে আক্রমণ করা হয়েছিল, যা ভারতের সাথে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কিছু চুক্তির সমালোচনা বলে মনে হয়েছিল

বিষয়: বিবিধ

১৪৬৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

386795
১৫ জানুয়ারি ২০২০ রাত ০১:৫১
আকবার১ লিখেছেন : চমৎকার

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File