২০১৮ সালের নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামায়
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১০:২৪:৫০ সকাল
নির্বাচনী হলফনামা
খন্দকার মোশাররফের আয় বেশি মাছ চাষে
মোশাররফ হোসেন২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় দাখিল করা হলফনামায় মাছ চাষের কোনো উল্লেখ ছিল না। কিন্তু এবারের হলফনামায় মাছ চাষ থেকেই প্রতিবছর ২ কোটি ৪২ লাখ ২৮ হাজার ৫২০ টাকা আয় করেন বলে উল্লেখ করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সাংসদ থাকাকালে মাছ চাষ করে কোটিপতি হয়েছেন ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সাংসদ শরীফ আহমেদ।আয়ের সিংহভাগ মাছ চাষ থেকে এলেও সাংসদ হিসেবে সম্মানী ও বাড়িভাড়া থেকেও তিনি আয় করেছেন। নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
আওয়ামী লীগের সাংসদ শরীফ আহমেদ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সাংসদ হন।
শরীফ আহমেদের দুটি হলফনামা থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদ হিসেবে স্ত্রীর ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ১০ তোলা সোনা ছাড়া আর কিছু ছিল না। নিজের বা স্ত্রীর নামে স্থাবর কোনো সম্পদও ছিল না এই সাংসদের। সাংসদ হিসেবে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি মাছ চাষ করেছেন।
২০১৮ সালের নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামায় দেখা যায়, মাছ চাষ থেকে তাঁর আয় প্রতি বছরে ১৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া বাড়িভাড়া থেকে তিনি বছরে আয় করেন ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা। শেয়ার ও ব্যাংক আমানত থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৮০ টাকা। এ ছাড়া সংসদ সদস্য হিসেবে শরীফ আহমেদ বছরে ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা সম্মানী পান।
২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে শরীফ আহমেদের ব্যাংকে কোনো টাকা জমানো ছিল না।২০১৮ সালে তাঁর ব্যাংকে জমাকৃত টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৯৫৬ টাকা। রয়েছে ৫৬ লাখ ৫৩ হাজার টাকা মূল্যের টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার গাড়ি। পাঁচ বছরে শরীফ আহমেদ পৈতৃক সূত্রেও পেয়েছেন সম্পদ। এই খাতে যোগ হয়েছে ৯ দশমিক শূন্য ৫ শতক অকৃষি জমি, ২০টি পুকুর ও পাঁচতলা বাড়ি। গত পাঁচ বছরে এত কিছু অর্জনের বিপরীতে শরীফ আহমেদের ব্যাংকঋণও রয়েছে। একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে তিনি গাড়ি কেনা বাবদ ২০ লাখ ৯২ হাজার ৪০৩ টাকা ঋণ নেন। এ ছাড়া তাঁর নগদ টাকার পরিমাণ ৮ হাজার ৯৭১ টাকা।
সিলেটের ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে পাঁচটি আসনের সাংসদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত পাঁচ বছরের ব্যবধানে প্রত্যেকের আয় ও সম্পদ দুটোই বেড়েছে। এই পাঁচ সাংসদের তিনজন আওয়ামী লীগএবং জাতীয় পার্টির দুজন। প্রত্যেকেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে তাঁদের মধ্যে সিলেট-৫ আসনের সাংসদ সেলিম উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
সিলেট-১ (মহানগর ও সদর) আসনের বর্তমান সাংসদ ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবার নির্বাচনে অংশ নেননি। সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ) আসনের বর্তমান সাংসদ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে প্রথম আলোয় ‘আয় কমে গেলেও শিক্ষামন্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
২০১৪ সালে তাঁর বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট বাবদ কোনো অর্থ ছিল না।
বর্তমানে রহমতুল্লাহর মোট অস্থাবর সম্পত্তি আছে ২১ কোটি ৮৪ লাখ ২২ হাজার ৬৮৮ টাকার।পাঁচ বছর আগে ছিল ১২ কোটি ৬৭ লাখ ৮ হাজার ৭৮৯ টাকার। বর্তমানে নগদ আছে ২২ লাখ ৯৪ হাজার ৯৬৮ টাকা।
পাঁচ বছরের ব্যবধানে ঢাকা-১১ আসনের সাংসদ এ কে এম রহমতুল্লাহর স্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ১৫ গুণের বেশি। আর অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। এ ছাড়া তাঁর বার্ষিক আয় বেড়েছে আট গুণের বেশি।
১০ বছরে এমপি হাবিবের সম্পদ
শীর্ষ নিউজ, বগুড়া: বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে আওয়ামী লীগের সাংসদ হাবিবর রহমান ১০ বছর আগে নির্ভরশীলদের কাছ থেকে ধারের টাকায় নির্বাচন করেছেন। তখন তাঁর কাছে নগদ টাকা ছিল ২ লাখ ৭৭ হাজার ৪৭৫।
হাবিবরের স্ত্রী খাদিজা বেগমের সম্পদও ১০ বছরে প্রায় ৫ গুণ বেড়েছে। ১০ বছর আগে নির্ভরশীলদের নামে জনতা ব্যাংকে ৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকার খেলাপি ঋণ ছিল। এবার তিনি নির্ভরশীলদের কোনো ঋণের কথা উল্লেখ করেননি।
২০১৮ ও ২০০৮ সালে বগুড়া-৫ আসনে দাখিল করা হলফনামা ঘেঁটে সম্পদের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এবার হলফনামায় সাংসদ হাবিবর তাঁর বর্তমান অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৩ কোটি ২২ লাখ ৬০ হাজার ৩১৫ টাকা উল্লেখ করেছেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, সাংসদ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে প্রায় শতকোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে। এ ব্যাপারে গত ১৯ মে বগুড়া জেলা রেজিস্ট্রারের কাছে চিঠি দেয় দুদক। সেখানে সাংসদ হাবিবর ছাড়াও তাঁর স্ত্রী খাদিজা বেগম, ছেলে আসিফ ইকবাল, মেয়ে ফারজানার নামে জায়গাজমি, ফ্ল্যাট ক্রয়সহ যাবতীয় সম্পদের রেকর্ডপত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ছায়ালিপি দুদকে তলব করা হয়।
[q]১০ বছরের ব্যবধানে বান্দরবানের এই সাংসদের আয় বেড়েছে ৯ গুণ, সম্পত্তি বেড়েছে ১৪ গুণ। তবে এই দুই ক্ষেত্রেই তাঁকে পেছনে ফেলেছেন স্ত্রী মেহ্লা প্রুর। তাঁর সম্পত্তি (স্থাবর ও অস্থাবর) ৭৫ গুণ এবং আয় বেড়েছে ৯৩ গুণ।
[/q]
বীর বাহাদুরবৃহত্তর চট্টগ্রামের চার মন্ত্রীর মধ্যে সম্পত্তি এবং আয়ে অন্য সবাইকে ছাপিয়ে গেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং এবং তাঁর স্ত্রী।
১০ বছরের ব্যবধানে বান্দরবানের এই সাংসদের আয় বেড়েছে ৯ গুণ, সম্পত্তি বেড়েছে ১৪ গুণ। তবে এই দুই ক্ষেত্রেই তাঁকে পেছনে ফেলেছেন স্ত্রী মেহ্লা প্রুর। তাঁর সম্পত্তি (স্থাবর ও অস্থাবর) ৭৫ গুণ এবং আয় বেড়েছে ৯৩ গুণ।
হলফনামা অনুযায়ী, ২০০৮ সালে বীর বাহাদুরের স্ত্রী বা নির্ভরশীলদের আয় ছিল ৫০ হাজার টাকা। এখন স্ত্রী বা নির্ভরশীলদের আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। বীর বাহাদুরের বর্তমান বার্ষিক আয় দেখানো হয় ১ কোটি ৫৮ লাখ ৮১ হাজার টাকার। ২০০৮ সালে তা ছিল ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
২০০৮ সালে স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ ছিল ৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার। বর্তমানে তা ৮৮ গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৭১ লাখ টাকার। বীর বাহাদুরের অস্থাবর সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এর আগে ২০০৮ সালে তাঁর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৬৭ লাখ ৩৯ হাজার টাকা।
স্থাবর সম্পদেও অগ্রগামী স্ত্রী মেহ্লা প্রু। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্ত্রীর ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ ছিল। ৩৪ গুণ বেড়ে এখন তা হয়েছে সাড়ে ৪৮ লাখ টাকায়। বীর বাহাদুরের স্থাবর সম্পদ ৩৩ গুণ বেড়ে এবার হয়েছে ৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
২০০৮ সালে বীর বাহাদুরের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মূল্যমান ছিল ৮২ লাখ ৮৪ হাজার ৫৭৭ টাকা এবং বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ১১ কোটি ৯৮ লাখ ১৫ হাজার ৯৮৫ টাকা। সেই সময় কোনো দালান না দেখালেও এবারের হলফনামায় ৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকার কটেজ-রেস্টুরেন্টসহ ৯টি দালানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। দালানগুলোর অবস্থান উল্লেখ করা হয়নি। তবে জেলা শহরের মেঘলা পর্যটন এলাকায় উত্তরাধিকার সূত্রে ইজারা জমিতে করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
বেক্সিমকোর জন্য অগ্রণী ব্যাংকের বড় ছাড়
০৮ অক্টোবর ২০১৮,
বেক্সিমকো হোল্ডিংস লিমিটেডের নিশ্চয়তায় বা গ্যারান্টিতে ২০১১ সালে তিন প্রতিষ্ঠানের কাগুজে শেয়ারে ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে অগ্রণী ব্যাংক। প্রতিষ্ঠান তিনটি হলো বেক্সটেক্স, ইউনিক হোটেল ও জিএমজি এয়ারলাইনস। মূলত কোম্পানি তিনটির শেয়ারের বিপরীতে এই ঋণ নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে জিএমজি এয়ারলাইনসকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েও শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি বেক্সিমকো গ্রুপ। অপর দুই কোম্পানি বেক্সটেক্স ও ইউনিক হোটেলের প্লেসমেন্ট শেয়ারের বিপরীতে ঋণ দিলেও ওই শেয়ারের মালিকানা কাগজে-কলমে ব্যাংকের হয়নি।
ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের চাপেই অগ্রণী ব্যাংক কোম্পানিটিকে ৩০০ কোটি টাকার ঋণসুবিধা দিয়েছিল। সালমান এফ রহমান বর্তমানে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা।
এদিকে অগ্রণী ব্যাংক ছাড়াও শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির আগেই শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে প্লেসমেন্টে জিএমজির শেয়ার বিক্রি করে বিপুল অর্থ সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু শেয়ারবাজারে কোম্পানিটি তালিকাভুক্ত না হওয়ায় প্লেসমেন্টে বিনিয়োগের সিংহভাগ অর্থই ফেরত পাননি বিনিয়োগকারীরা।
বাই ব্যাক চুক্তিতে বিনিয়োগ
বেক্সিমকোকে দেওয়া অগ্রণী ব্যাংকের ঋণসুবিধা-সংক্রান্ত নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বেক্সিমকো হোল্ডিংস লিমিটেডের করপোরেট গ্যারান্টিতে বেক্সটেক্স, ইউনিক হোটেল ও জিএমজি এয়ারলাইনসের শেয়ারের বিপরীতে ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। বেক্সিমকো গ্রুপের বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ‘সেল অ্যান্ড বাই ব্যাক অ্যাগ্রিমেন্ট’-এর আওতায় ২০১০ ও ২০১১ সালে এ টাকা দেওয়া হয়। এর মধ্যে বেক্সটেক্স লিমিটেডের জন্য ১০৮ কোটি টাকা, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের জন্য ১২৫ কোটি টাকা ও জিএমজি এয়ারলাইনসের জন্য ৬৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়।
উল্লিখিত তিন কোম্পানির মধ্যে ইউনিক হোটেলের একটি বড় অংশের শেয়ার প্লেসমেন্টে বেক্সিমকো গ্রুপ নিয়েছিল। বাকি দুটি কোম্পানির মালিকানার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সালমান এফ রহমান ও বেক্সিমকো গ্রুপ। এ
র মধ্যে বেক্সটেক্স আগে আলাদা থাকলেও ২০১১ সালে বেক্সিমকোর সঙ্গে একীভূত হয়ে যায়। আর জিএমজি এয়ারলাইনস বর্তমানে নামসর্বস্ব একটি কোম্পানি। ২০১২ সালের ৩০ মার্চ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় জিএমজি এয়ারলাইনস।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বেক্সিমকো গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের হয়ে লিখিত বক্তব্য দেয় গ্রুপটির পক্ষে নিযুক্ত জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান ইমপ্যাক্ট পিআর। তাতে বলা হয়, বেক্সটেক্স, জিএমজি ও ইউনিক হোটেলের শেয়ারে ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে অগ্রণী ব্যাংক। সেল অ্যান্ড বাই ব্যাক চুক্তির আওতায় এ বিনিয়োগ করা হয়, বর্তমানে সুদাসলে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৩০ কোটি টাকা।
আলোচনার কেন্দ্রে
আর্থিক খাতে নানা অনিয়মের দায়ে বেক্সিমকো গ্রুপ তিন দশকের বেশি সময় ধরেই আলোচনার কেন্দ্রে। ১৯৯৬ ও
২০১০ সালে শেয়ার কেলেঙ্কারির ঘটনায় বেক্সিমকো গ্রুপের নাম রয়েছে। ব্যাংকের ঋণ নিয়মিত শোধ না করে নানাভাবে তফসিল সুবিধা নেওয়ার শীর্ষে বেক্সিমকো গ্রুপ।সম্পত্তি নিলামসহ নানা উপায়ে ঋণ আদায়ের চেষ্টা করেও কেনো ব্যাংক সফল হয়নি।
২০১৪ সালে সালমান এফ রহমানের দেওয়া প্রস্তাব মেনেই বাংলাদেশ ব্যাংক ‘ঋণ পুনর্গঠন নীতিমালা’ করে। অজুহাত দেওয়া হয়েছিল রাজনৈতিক অস্থিরতাকে।
এরপরই বেক্সিমকো গ্রুপের ৫ হাজার কোটি টাকাসহ ১১টি শিল্প গ্রুপের প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ পুনর্গঠন করা হয়, যার বেশির ভাগই এখন ঋণ পরিশোধ করছে না।
সামগ্রিক বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ প্রথম আলোকে বলেন, যত দূর মনে পড়ে, জিএমজি এয়ারলাইনস কীভাবে টাকা মেরে দিয়েছিল, সেই তথ্য শেয়ারবাজার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এসেছিল। এ গ্রুপটির সঙ্গে সরকারের সম্পর্কের কারণে কেউ কিছু করতে পারে না। তারা অর্থশক্তি দিয়ে রাজনৈতিক শক্তির মোকাবিলা করতে পারে।
[q]শাজাহান খানের স্থাবর সম্পদ ৯৩ গুণ বেড়েছে[/q]
অথচ এখন লালমাটিয়া, বাড্ডা, মেরাদিয়া ও পূর্বাচলে নিজের এবং স্ত্রীর নামে জমি ও ফ্ল্যাট রয়েছে।
এক দশক আগে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের নিজের নামে ঢাকায় কোনো ফ্ল্যাট কিংবা জমি ছিল না।
গত ১০ বছরে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এই মন্ত্রীর স্থাবর সম্পদ ৯৩ গুণ এবং তাঁর স্ত্রীর বেড়েছে ১২ গুণের বেশি।নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শাজাহান খানের দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী শাজাহান খানের স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ৯৪ লাখ ১২ হাজার ৯৩৩ টাকা। তাঁর স্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ ২ কোটি ৮৬ লাখ ৯৩ হাজার ৪০৪ টাকা। আর যৌথ মালিকানায় শাজাহান খান ২ কোটি ৭৫ লাখ ২১ হাজার ৫৩২ কোটি টাকার সম্পত্তির কথা উল্লেখ করেছেন। সব মিলিয়ে শাজাহানের স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৬ কোটি ৬৯ লাখ ৩৪ হাজার ৪৬৫ টাকা।
এক দশকে শাজাহান খান এবং তাঁর স্ত্রীর স্থাবর সম্পত্তি বাড়ার হার যথাক্রমে ৯৩ ও ১২ গুণের বেশি।
কামালগত পাঁচ বছরে ১৫ কোটি ৭ লাখ ১৬ হাজার ৬৪ টাকার সম্পদ বেড়েছে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের।
টাকা। আর তাঁর দুই কন্যা-কাশফি কামাল ও নাফিসা কামালকে দান করেছেন ১৮ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৫১৪ টাকা। অবশিষ্ট ১৫ কোটি ৭ লাখ ১৬ হাজার ৬৪ টাকা তাঁর নিজস্ব সম্পদে যুক্ত হয়েছে।
ছিল হাজারের অঙ্কে এখন কোটির ধাক্কা
মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া উপজেলা) আসনের বর্তমান সাংসদ। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে এবার তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা ঘেঁটে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
২০১৪ সালে আবদুল মতিনের কাছে ছিল মাত্র ৪০ হাজার টাকা। এখন নগদ ও ব্যাংক মিলে আছে কোটি টাকার বেশি।
এবারের হলফনামায় সাংসদ পেশা হিসেবে ‘কৃষি’ উল্লেখ করেছেন। তবে আয়ের কোনো খাত দেখাননি তিনি।
*প্রার্থীদের দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণ
*প্রার্থীদের বেশি আগ্রহ শেয়ারবাজারে ও সঞ্চয়পত্রে
*রাজনীতিকদের এই দুই খাতে বিপুল বিনিয়োগ
আওয়ামী লীগ
হলফনামায় দেখা যায়, আওয়ামী লীগ থেকে ঢাকা-১ আসনে মনোনয়ন পাওয়া বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয়—এমন সব কোম্পানিতে বিনিয়োগ রয়েছে ২৫০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।তাঁর নগদ টাকা ২ কোটি ১০ লাখ এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ২ কোটি ৮৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এমনিতেই শেয়ারবাজারের অন্যতম আলোচিত নাম সালমান এফ রহমান। শেয়ারবাজারের দুই কেলেঙ্কারির সময়েই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল।
ঢাকা-১০ আসনে মনোনয়ন পাওয়া শেখ ফজলে নূর তাপসের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ৪৩ কোটি ২৭ লাখ ৫৫ হাজার টাকা এবং সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ৪৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। শেয়ারবাজার থেকে তাঁর আয় ৮ কোটি ১০ লাখ টাকা। তাঁর নগদ আছে ৬ কোটি টাকার বেশি এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা টাকা ৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। ২০১৪ সালে ফজলে নূরের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ছিল ৩২ কোটি ১৪ লাখ টাকার এবং স্ত্রীসহ দুজনের সঞ্চয়পত্র ছিল ৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তাঁর স্ত্রী ও নির্ভরশীল পুত্রের নামে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বা তালিকাভুক্ত নয়—এমন কোম্পানিতে ৬৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। তিনজনের ৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা রয়েছে ব্যাংকে ও নগদে। ২০১৩ সালে শাহরিয়ার আলমের শেয়ারবাজারে কোনো বিনিয়োগ ছিল না।
মাদারীপুর-১ থেকে মনোনয়ন পাওয়া নূর-ই-আলম চৌধুরী এবং তাঁর স্ত্রীর একটি ব্যাংক ও একটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ আছে ৩৭ কোটি টাকা। ২০১৩ সালে শেয়ারবাজারে অতালিকাভুক্ত কোম্পানিতে তাঁদের বিনিয়োগ ছিল ২১ কোটি টাকা।
ঢাকা-১১ আসনে মনোনয়ন পাওয়া এ কে এম রহমত উল্লাহ ও তাঁর স্ত্রীর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ প্রায় ২৪ কোটি টাকা। ২০১৩ সালে তাঁর নিজের নামে ছিল ৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ও স্ত্রীর নামে ২ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার।
জামালপুর-৩ আসনে মনোনয়ন পাওয়া বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম ও তাঁর স্ত্রীর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ রয়েছে ৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা। ২০১৩ সালের তুলনায় তাঁদের বিনিয়োগ তেমন বাড়েনি।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের মোট আয়ের মধ্যে শেয়ারবাজার থেকেই বেশি, ৬৬ কোটি ২২ লাখ টাকা।২০১৩ সালে শেয়ারবাজারে তাঁর কোনো বিনিয়োগ ছিল না। ৯ কোটি ৭ লাখ টাকার বিনিয়োগ ছিল সঞ্চয়পত্রে।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বা তালিকাভুক্ত নয়—এমন বিনিয়োগ ৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। তাঁর স্ত্রীর এ খাতে বিনিয়োগ আরও বেশি, ১০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। স্থায়ী আমানত বা সঞ্চয়পত্রে অবশ্য দুজনের বিনিয়োগ প্রায় ৪৯ কোটি টাকা। ২০১৩ সালে তাঁর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ছিল ১৪ কোটি ২০ লাখ ও স্ত্রীর নামে ১৭ কোটি ২১ লাখ টাকার। সেবার সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ ছিল ৩৮ কোটি টাকা।
ঝালকাঠি-১ আসনে মনোনয়ন পাওয়া বজলুল হক হারুন ও তাঁর স্ত্রী মনিরা হারুনের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ২২ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্রে ৫ কোটি টাকা। ২০১৩ সালে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ছিল ১৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা, সঞ্চয়পত্র ছিল ৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকার।
সাবের হোসেন চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রীর ১৩ কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বা তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানিতে। ২০১৩ সালে শেয়ারবাজারে তাঁদের বিনিয়োগ ছিল ৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর শেয়ারবাজারে ৬ কোটি ২৫ লাখ এবং সঞ্চয়পত্র ও স্থায়ী আমানত রয়েছে ১ কোটি ৫ লাখ টাকার। ২০১৩ সালে শেয়ারবাজারে তাঁর বিনিয়োগ ছিল ১ কোটি ৪ লাখ টাকা আর সঞ্চয়পত্র ১ কোটি ৫১ লাখ টাকার।
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ হ ম রুহুল হক ও তাঁর স্ত্রীর শেয়ারবাজারে ৩ কোটি ৬০ লাখ ও সঞ্চয়পত্রে ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার মতো বিনিয়োগ রয়েছে। ঢাকা-১২ আসনের প্রার্থী হাজি মো. সেলিম ও তাঁর স্ত্রীর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ৬২ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ রয়েছে ৪৪ কোটি টাকা। ব্যাংকে জমা রয়েছে ৩৭ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬ টাকা। এরশাদের হাতে নগদ রয়েছে ২৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯৯৮ টাকা, তাঁর স্ত্রী রওশন এরশাদের হাতে নগদ রয়েছে ২৬ কোটি ২০ লাখ ২৯ হাজার ২৩৩ টাকা। সঞ্চয়পত্রে এরশাদের বিনিয়োগ আছে ৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা ও রওশন এরশাদের ৮ কোটি ২৭ লাখ ৭ হাজার ১৭ টাকা। ২০১৩ সালে এরশাদের শেয়ার ছিল ৪০ কোটি টাকার এবং সঞ্চয়পত্র ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার।
জাতীয় পার্টির সদ্য অপসারিত মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারের নিজের নামে ৭ কোটি ৭০ লাখ ও স্ত্রীর নামে ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ দেখিয়েছেন। সঞ্চয়পত্রে তাঁর নিজের নামে বিনিয়োগ ৫ কোটি টাকা। ১৩ কোটি টাকা নগদ রয়েছে তাঁর। ২০১৩ সালে রুহুল আমিন হাওলাদারের শেয়ারে বিনিয়োগ ছিল ৭ কোটি টাকা, স্ত্রীর ছিল ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। সঞ্চয়পত্রে কোনো বিনিয়োগ ছিল না। তবে ব্যাংকে ছিল ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
নিজাম হাজারীর আয় বেড়েছে ৩ শ গুন, সম্পদের ছড়াছড়ি
বিগত পাঁচ বছরে প্রায় ৩শ গুণ আয় বেড়েছে ফেনী-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে স্ত্রীর আয়। পাঁচ বছরেই সম্পদের ছড়াছড়ি এই প্রার্থীর। দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্ত্রী বা প্রার্থীর ওপর নির্ভরশীলদের কোনো আয় ছিল না। এবারের হলফনামায়, অস্থাবর সম্পদ হিসেবে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ব্যাংকে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ দুই কোটি ১৪ লাখ ২১ হাজার ৪৫৩ টাকা নিজ নামে, স্ত্রীর নামে ৯৮ লাখ ২৭ হাজার ২৬ টাকা, অতালিকাভুক্ত শেয়ার নিজ নামে ৭১ লাখ, স্ত্রীর নামে ৬৮ লাখ টাকা, স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ নিজ নামে পাঁচ কোটি ৯৮ লাখ ৮৮ হাজার ৬৫৮ টাকা, স্ত্রীর নামে এক কোটি ৫০ লাখ টাকা। স্ত্রীর গাড়ির মূল্য অপরিবর্তিত থাকলেও নিজ নামে যুক্ত হওয়ার গাড়ির মূল্য ৬৫ লাখ টাকা।
তথ্য অনুযায়ী, স্থাবর সম্পদ হিসেবে কৃষিজমি নিজ নামে সাত কোটি কোটি লাখ ৮২ হাজার টাকা মূল্যের ১৯৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ, অকৃষি জমি নিজ নামে পাঁচ কোটি ৩০ লাখ আট হাজার ৩৪০ টাকা মূল্যের ১২৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ, স্ত্রীর নামে এক কোটি ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের ২৭৪ দশমিক এক শতাংশ অকৃষি জমি, নিজ নামে ৫০ লাখ টাকা মূল্যের নির্মাণাধীন তিনতলা বাড়ি, স্ত্রীর নামে দুই কোটি টাকা মূল্যের আটতলা নির্মাণাধীন বাড়ি, স্বামী-স্ত্রীর যৌথ অংশীদারিত্বে এক কোটি ৪৮ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের একটি অ্যাপার্টমেন্ট, স্ত্রীর নামে এক কোটি ১০ লাখ ৬৭ হাজার ২২৫ টাকা মূল্যের তিনটি অ্যাপার্টমেন্ট, নিজ নামে ২০ লাখ টাকা মূল্যের একটি মৎস্য খামার।
ঢাকা-১৪ আসনের বর্তমান সাংসদ আসলামুল হকের অস্থাবর সম্পদ গত ১০ বছরে ৪৫ গুণ এবং তাঁর স্ত্রীর বেড়েছে অন্তত চার গুণ। আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামা থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
২০০৮ সালের হলফনামায় আসলামুল হক তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার জায়গায় লিখেছিলেন অষ্টম শ্রেণি। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে জমা দেওয়া হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘরে উল্লেখ করেছিলেন বিবিএতে অধ্যয়নরত। এবার হলফনামায় তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করেছেন ‘হায়ার ন্যাশনাল ডিপ্লোমা’ ।
পাঁচ বছরে প্রায় ১৫ কোটি টাকার সম্পদ বেড়েছে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফের।
পাঁচ বছরে প্রায় ১৫ কোটি টাকার সম্পদ বেড়েছে তার
ভূমিহীন ভূমিমন্ত্রী, থাকেন স্ত্রীর বাসায়
নিজের বাসভবন বা কোনো দালান নেই, তাই স্ত্রীর বাড়িতে থাকেন ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ। এ ছাড়া পাঁচ বছর আগে নিজের নগদ কোনো অর্থ না থাকলেও বর্তমানে তা ১ কোটি ৩১ লাখ ৮ হাজার টাকা। অর্থাৎ শূন্য থেকে পাঁচ বছরেই কোটিপতি বনে গেছেন এই মন্ত্রী।একাদশ ও দশম সংসদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণ করেই এ তথ্য পাওয়া গেছে।
একাদশের জন্য দাখিল করা হলফনামার বিবরণীতে দেওয়া রয়েছে, পৈতৃক সূত্রে ৬০ বিঘা কৃষিজমি রয়েছে ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফের। কিন্তু এগুলোর মূল্য উপস্থাপন করা হয়নি। এ ছাড়া কোনো জমি নেই তার। তবে স্ত্রীর নামে ঈশ্বরদীতে একটি বাড়ি ও মহাখালীতে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ভূমিমন্ত্রীর নগদ ১ কোটি ৩১ লাখ ৮ হাজার টাকা রয়েছে, যা গতবার ছিল শূন্য। এ ছাড়া ৯৩ লাখ ১৯ হাজার টাকা দামের একটি গাড়ি রয়েছে তার। আর ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের অলঙ্কার, আসবাব ও ইলেকট্রনিক্স রয়েছে। এদিকে পাঁচ বছর আগে মন্ত্রীর স্ত্রীর নামে কোনো অস্থাবর সম্পদ না থাকলেও বর্তমানে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণ, ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক্স ও ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের আসবাবপত্র রয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
১৬৫০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আর বেক্সিমকোর মত বড় বড় লুটেরারা যত লুটবে ব্যাংক তাদের প্রতি ততই সদয় হবে। স্যাটেলাইট উপহার দিয়ে সালমান সাহেব এখন ভালই চালিয়ে যাচ্ছেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন