সাক্ষীদের সনাক্ত করবে কে ?
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০৩:৩৩:৩৭ দুপুর
অধস্তন আদালত বা ট্রাইব্যুনালে কোনো মামলার সাক্ষীকে তলব করা হলে সেদিনই তার সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন করতে হবে। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ না করে তাকে ফেরত পাঠানো যাবে না। শুধু তাই নয়, কোনো সাক্ষী হুমকিতে থাকলে তিনি মুখোশ পরে কিংবা কাঠগড়ার পাশে অস্বচ্ছ পর্দার আড়ালে দাঁড়িয়ে সাক্ষ্য দিতে পারবেন।
এসব বিধানসহ বেশকিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে ‘অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের জন্য সাক্ষী ব্যবস্থাপনা নীতিমালা’র খসড়া প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট। বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ আদালতের ওয়েবসাইটে ১৯ পৃষ্ঠার এ খসড়াটি প্রকাশ করা হয়।
সুপ্রিমকোর্ট প্রণীত এ খসড়ায় বলা হয়েছে, শুধু বিচারকের অসুবিধার কারণে যেন কোনো সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ না করে ফেরত পাঠানো না হয়। যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া একাধিক দিনে কিংবা একদিনে কয়েক দফায় কোনো সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ কিংবা জেরা করা যাবে না। তবে পুনরায় জেরা করার প্রয়োজন হলে সাক্ষীকে তলব করা যাবে। বাংলাদেশে ভুয়া স্বাক্ষী দিয়ে মামলা হবে ?
সাক্ষীদের সুরক্ষার নামে মুখোশ পরে , অস্বচ্ছ বা অন্ধকার পর্দার আড়াল থেকে দেয়া সাক্ষীদের সনাক্ত করবে কে ?
কোনো সাক্ষী হুমকি পেয়ে থাকলে তাকে পুলিশি নিরাপত্তায় বিশেষ পথে আদালতে হাজির করতে ও আদালত কক্ষ ছাড়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে। থাকতে হবে আলাদা বিশ্রামাগার (ওয়েটিং রুম)। কাঠগড়ার পাশে তার জন্য একটি অস্বচ্ছ বা অন্ধকার পর্দা থাকবে যাতে সাক্ষী অভিযুক্তকে দেখতে পারেন কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তি সাক্ষীকে দেখতে না পারেন। তবে পর্দাটি এমনভাবে বসাতে হবে যাতে বিচারক ও আইনজীবীরা সাক্ষীকে দেখতে পারেন। খড়সায় বলা হয়েছে, আইন সংশোধন করে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঝুঁকিতে থাকা সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা যায় কিনা সেটি ভেবে দেখতে হবে। কোনো সাক্ষী হুমকিতে থাকলে তিনি মুখোশ ও হিজাব পরে সাক্ষ্য দিতে পারবেন।
বিষয়: বিবিধ
১৫৮১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন