শেখ হাসিনা বললেন -আমরা করি উন্নয়ন, বিএনপি করে ভিক্ষা। কিন্তু তথ্য দিয়েই বললাম কারা দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে।

লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ২৫ জুলাই, ২০১৭, ০১:০৬:০১ দুপুর

জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বললেন -আমরা করি উন্নয়ন, বিএনপি করে ভিক্ষা। ]

কিন্তু হাজার হাজার প্রমান দেখুন মূলত আওয়ামীলীগের লুটপাটের তান্ডবে বাংলাদেশ নিঃশ্ব।

আওয়ামীলীগ ও শেখ হাসিনার বক্তব্যের জবাবে কিছু তথ্য দিলাম - [/b

২৫-জুলাই ২০১৭ প্রকাশিত তথ্যের কিছু অংশ , প্রতিবেদন জমা হচ্ছে আওয়ামীলীগের রাষ্ট্রপতির কাছে।

২০১১-১২ থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছর পর্যন্ত কয়েকটি মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও বিভাগের ওপর নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।এসব মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ওপর মোট ৩২টি অডিট রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪টি রিপোর্ট হচ্ছে সরকারের হিসাব সম্পর্কিত ও ৫টি বিশেষ রিপোর্ট। বাকি ২৩টি রিপোর্টে এসব আর্থিক অনিয়ম শনাক্ত হয়েছে।

রিজার্ভ চুরি , এখনো তদন্তাধীন লুটপাটের হিসাব যোগ করলে কয়েক লক্ষ কোটি টাকা বর্তমান আওয়মীলীগের সময়ে লুটপাট হয়েছে।


রিজার্ভ চুরির ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর আগেই সুইফট-সংশ্লিষ্ট ৩১টি কম্পিউটারের ফরেনসিক পরীক্ষা চালান ভারতীয় নাগরিক রাকেশ আস্তানা।
পরে ওইসব কম্পিউটার পরীক্ষা করে সিআইডি কর্মকর্তারা দেখতে পান, সব কম্পিউটারের লগই মুছে ফেলা হয়েছে।

আবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এসব কম্পিউটার হস্তগতও করা হয় লিখিত কোনো আদেশ ছাড়াই।

সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ভারতীয় নাগরিক রাকেশ আস্তানার উপস্থিতির বিষয়টি এখনো রহস্য হয়েই আছে তদন্তকারী সংস্থার কাছে। সোমবার এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দৈনিক বণিক বার্তা।

লিখিত কোনো আদেশ ছাড়াই বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্তত ৩০টি কম্পিউটার ওয়ার্ল্ড ইনফরমেটিকস সাইবার সিকিউরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাকেশ আস্তানার জিম্মায় দেয়া হয়েছিল সে সময়।

পুরো ঘটনাটি চাপা রেখে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তত্কালীন গভর্নরের নির্দেশে ভারত থেকে আসা রাকেশ আস্তানার হাতে ছেড়ে দেয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ সব কম্পিউটার।


এ বছর সবচেয়ে বেশি প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার অনিয়ম পাওয়া গেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে। এর মধ্যে ২ হাজার ৮৮৩ কোটি টাকার অনিয়ম ধরা পড়ে সোনালী ব্যাংকে।

একইভাবে অগ্রণী ব্যাংকের আর্থিক অনিয়ম শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৬১৯ কোটি টাকা।

ছাড়া ২ হাজার ৩৭২ কোটি টাকার অনিয়ম মিলেছে যৌথভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে।

বেসিক ব্যাংকের অনিয়ম ধরা পড়েছে ১ হাজার ১১ কোটি টাকার।

এদিকে বিদ্যুৎ বিভাগে ৩৫৩ কোটি টাকার অনিয়ম উদঘাটন করেছে সিএজির নিরীক্ষা বিভাগ।

অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে ৪২৮ কোটি টাকার অনিয়ম শনাক্ত করেছে সিএজি কার্যালয়।

নানা কৌশলে বিমানের ২৮০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে সিএজির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।এছাড়া সিএজির প্রতিবেদনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুর্নীতি ধরা পড়েছে।

রিপোর্টে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনিয়ম শনাক্ত হয়েছে প্রায় ২১৪ কোটি টাকার।

অনিয়ম ছাড়াও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পে ১৮০ কোটি টাকা,

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে প্রায় ১০৫ কোটি টাকা,

এছাড়া স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রায় ২৬৯ কোটি টাকা,

রেলওয়ে প্রায় ৫৭ কোটি টাকা,

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রায় ৪২ কোটি টাকা,

পর্যটন ও কৃষি কর্পোরেশনে ৫ কোটি টাকা,

রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানে ৬৭ কোটি টাকা,

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে ১৬ কোটি টাকা,

ঢাকা ও চট্টগ্রাম ওয়াসায় প্রায় ৩৩ কোটি টাকার অনিয়ম শনাক্ত হয়।

এছাড়া গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ৯৩ কোটি টাকা ও

অন্যান্য খাতে প্রায় ২৪ কোটি টাকার অনিয়ম চিহ্নিত হয়েছে।

হলমার্কের মতো সোনালী ব্যাংকের আরও একটি বড় ঋণ কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছে।

শুধু নারায়ণগঞ্জের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখায় ৬১৫ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতি করা হয়।

আওয়ামীলীগের কয়েকজন পরিচালক নামের লুটেরাদের পরিকল্পনায় হলমার্কের ঘটনায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে একটি আওয়মীলীগের প্রভাবশালী চক্র।

সে সময় সোনালী ব্যাংকে শেরাটন শাখা থেকেই নিয়ে যায় ২৬শ’ কোটি টাকা।


সেই সাথে রয়েছে আওয়ামীলীগের রাজনৌতিক নিয়োগপ্রাপ্ত দলীয় নেতাদের লুটপাট , হলমার্ক , শেয়ার বাজার লুটপাট , কুইক রেন্টাল লুটপাটে হাজার হাজার কোটি টাকা।

[b]

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফআই) প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে ১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে ৬ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে, যা দেশের মোট জাতীয় বাজেটের দেড়গুণ।

প্রতিবছর গড়ে পাচার হয়েছে ৭০ হাজার কোটি টাকা।

প্রতিবছরই এই পাচারের হার বাড়ছে

অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে টাকা পাচার। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ১২৫৭ কোটি ডলার (১ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকা) পাচার হয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে ২৬ হাজার কোটি টাকা বেশি।



এর মধ্যে শুধু ২০১৫ সালে পাচার হয়েছে ৭৬ হাজার কোটি টাকা।

১০ বছরে পাচার ৫ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা

* ২০১৪ সালে বেড়েছে ৩৩ শতাংশ *

সরকারি নিরীক্ষার সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি-কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল) নিরীক্ষায় চিহ্নিত হয়েছে এ অনিয়ম। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে সম্প্রতি সিএজির প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। শিগগিরই এসব প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে জাতীয় সংসদে।

বিষয়: বিবিধ

১০০১ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

383633
২৫ জুলাই ২০১৭ সন্ধ্যা ০৬:১৯
চেতনাবিলাস লিখেছেন : সব চেয়ে বড় কথা "চোরের মার বড় গলা। "
এইসব চুরির বিচার বাংলাদেশের মানুষ করতে পারবে তো?
383638
২৫ জুলাই ২০১৭ রাত ০৯:৫২
হতভাগা লিখেছেন : যার চাপার জোর যত বেশী বাংলাদেশের রাজনীতিতে সেই সফলকাম
383675
৩০ জুলাই ২০১৭ দুপুর ০১:০৯
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : অস্রের জোরে সাময়িক টিকে থাকা যায়, কিন্তু যখনই এই পাওয়ার শেষ হবে, তখন মানুষ জুতা আর ঝাড়ুপিটা করেই দুনিয়া থেকে বিদায় করবে।
ধন্যবাদ আপনাকে

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File