১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শেখ মুজিবুর রহমান নীরব ছিলেন। আন্দোলনে শরিক না হয়ে গোপালগঞ্জে নিজ বাড়িতেই ছিলেন।

লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ১৫ জুলাই, ২০১৭, ০৪:১৯:৩৮ বিকাল



কে সেই অলি আহাদ। অলি আহাদের জীবনী তুলে ধারার লক্ষ্য হচ্ছে - যে কেউ সত্য প্রকাশ করলে বলা হয় পাকিস্থান পন্থী , অথবা রাজাকার। কিন্তু কথিত চেতনাধারীদের মুখোশ খুললেই যদি রাজাকার উপাধি দেয়া হয় , তাহলে আসুন সবাই রাজাকার হয়েই সত্য প্রকাশ করি। অন্তত লেন্দুপ দর্জির চেতনার ফেরিওয়ালাদের লোকানো ইতিহাস জাতিকে জানতে দেই।

জাতীয় রাজনীতিতে তাঁর অভিজ্ঞতা সংবলিত গ্রন্থ জাতীয় রাজনীতি ১৯৪৫-১৯৭৫ এর প্রণেতা তিনি।বইটিতে ১৯৪৫ সাল হইতে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সুদীর্ঘ সময়ের রাজনৈতিক ঘটনার কিছুটা ঐতিহাসিক প্রমান আছে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে অলি আহাদ নামটি গুরুত্বপূর্ণ। ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এই রাজনীতিবিদ প্রথম জীবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের রাজনৈতিক সহকর্মী ছিলেন।

অলি আহাদ ছিলেন ১৯৪৮ সালে ৪ জানুয়ারিতে গঠিত পূর্ব পাকিস্তান মুসলীম ছাত্রলীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং পূর্ব পাকিস্তান যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক৷
১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ভাষা আন্দোলনের জন্য তিনি প্রথম কারাগারে নিক্ষিপ্ত হন । ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি. কম পরীক্ষায় প্রথম হওয়া সত্ত্বেও রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকার কারণে তত্কালীন কর্তৃপক্ষ তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম, কম পড়ার সুযোগ না দিয়ে চিরতরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করে।

অলি আহাদ এক সময় আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন ৷


শেখ মুজিব সরকার কর্তৃক ১৪৪ ধারা জারি করে সভা সমিতি বন্ধ করার প্রতিবাদে জানিয়ে আহাদ ১৯৭৪ সালের ২৮ জুন হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এ কারণে ১৯৭৪ সালের ৩০ জুন বিশেষ ক্ষমতা আইনে শেখ মুজিব সরকার তাঁকে গ্রেফতার করে।

তত্কালীন আওয়ামীলীগ সরকারের অত্যাচার , লুটপাট , পাচার , জবরদখল, নারকীয় গণহত্যা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে মাওলানা ভাসানীর নের্তৃত্ব দুঃশাসন বিরোধী এক তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলেন ৷আওয়ামীলীগ সরকার কর্তৃক ১৪৪ ধারা জারি করে সভা সমিতি বন্ধ করার প্রতিবাদে জনাব অলি আহাদ ২৮ জুন ১৯৭৪ তারিখে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন ৷ বিচারপতি দেবেশচন্দ্র ভট্টাচার্য ও বিচারপতি আবদুর রহমান চৌধুরী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টে বেঞ্চ ৯ অক্টোবর ১৯৭৪ তারিখে ১৪৪ ধারা জারিকে অবৈধ ঘোষণা করেন ৷ কিন্তু ইতিমধ্যে ৩০ জুন ১৯৭৪ তারিখে বিশেষ ক্ষমতা আইনে সরকার তাঁকে গ্রেফতার করে কারাগারে নিক্ষেপ করে ৷ তিনি ৪র্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সৃষ্ট একদলীয় স্বৈরশাসন তথা বাকশালী ব্যবস্হার বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়ান ৷

অলি আহাদ ২০ অক্টোবর, ২০১২ ঢাকার শমরিতা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।

যারা বাক্যের শুরুতে মধ্যখানে এবং শেষে বলছেন - সব কিছুতে ওই একব্যক্তির কাহিনী। মূলত বিষয় গুলো কি সত্য ? ইতিহাস প্রমান করে এইসব বানোয়াট বক্তব্য চরম মিথ্যাচার। আর কেউ বানোয়াট বক্তব্য চরম মিথ্যাচা রের বিরুদ্ধে সত্য প্রকাশ করলেই শুরু হয় হামলা মামলা। কারণ একটাই - সত্য প্রকাশিত হলে লেন্দুপ দর্জির চেতনার মুখোশ খুলে যাবে।

মূলত ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে কি মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান জড়িত ছিলেন ? তখন তো তিনি আরাম আয়েসে গোপালগজ্ঞ নিজ বাড়িতে ছিলেন। সেই প্রমান তো ভাষা আন্দোলনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের একজন আলী আহাদের বইয়ে লিখে গেছেন।

বিষয়: বিবিধ

১৩৫৩ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

383559
১৬ জুলাই ২০১৭ সকাল ০৯:১৬
হতভাগা লিখেছেন : আওয়ামী লীগের নেতাদের মুখে জানা যায় যে , শেখ মুজিব সে সময়ে কোন একা কারাগারে বন্দী ছিলেন । সেই কারাগারের টয়লেট এর জানালা থেকে নেতা কর্মিদের কাছে চিরকুট এর মাধ্যমে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়ে ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File