ষোড়শ সংশোধনী বাতিল রায় নিয়ে সংসদে কড়া সমালোচনা থেকেই বেরিয়ে এলো চেতনার কিছু কথা। আগামীদের জন্য প্রমান হয়ে থাকবে।

লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ১০ জুলাই, ২০১৭, ০২:৩০:৫৪ দুপুর



৯ জুলাই ২০১৭ বিনা ভোটের অনির্বাচিত সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে সরকার ও কথিত বিরোধী দলের অন্তত এক ডজন সদস্য এ নিয়ে বক্তব্য দেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনার সময় উপস্থিত ছিলেন শেখ হাসিনা।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, যারা দাবি করেন সংবিধান প্রণেতা, বাহাত্তরের সংবিধানকে শ্রেষ্ঠ সংবিধান বলেন, তারা কিভাবে সেই বাহাত্তরের সংবিধানের বিরুদ্ধে কথা বলেন? আমি আদালতের রায় নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। কিন্তু ড. কামাল হোসেনকে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, সংবিধান প্রণয়নের সময় আমরা ভারতের সংবিধানকে ফলো করেছিলাম। এখন ভারতে এ বিষয়টি নেই ।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ড. কামাল হোসেন ৯ এপ্রিল পাকিস্তানি জেনারেল মিঠ্ঠা খানকে ফোন করে সে দেশে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। এটা আমার কথা নয়, মিট্ঠা খানের বইয়ে লেখা আছে।

ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলামের বিষয়ে মতিয়া চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমিরুল ইসলাম বৈদেশিক সাহায্য জোগাড়ে ব্যস্ত ছিলেন। ওই সময় বিদেশ থেকে তার বিরুদ্ধে তহবিল তছরুপের অভিযোগ উঠেছিল।

পাকিস্তান হচ্ছে সিনহা সাহেবের আদর্শের


মতিয়া চৌধুরী বলেন, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা গুরুতর অসদাচরণ করেছেন। তিনি আপিল বিভাগের সাবেক এক বিচারপতির বিরুদ্ধে দুদকের নেয়া পদক্ষেপ হাস্যকর কারণ দেখিয়ে থামিয়ে দিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি যুক্তি দেখিয়েছেন, ওই বিচারপতি মৃত্যুদণ্ডসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে তদন্তে নেতিবাচক কিছু বেরিয়ে এলে রায়গুলো বিতর্কিত হয়ে পড়বে। তিনি এটা করতে পারেন না। সম্পূর্ণ নিজস্ব সিদ্ধান্তে প্রধান বিচারপতির প্যাড ব্যবহার করতে পারেন না। আমাদের ছাত্রজীবনে স্লোগান ছিল জিন্নাহ সাহেবের পাকিস্তান চলে গেছে গোরস্থান। যে পাকিস্তানকে আমরা গোরস্থানে পাঠিয়েছি সেই পাকিস্তান হচ্ছে সিনহা সাহেবের আদর্শের।

প্রিয় পাঠক। আপনারা লক্ষ্য করছেন কি বক্তব্যে কি আছে ?

অতীতের কর্মকান্ডের কথা এবং প্রমান গুলো আগামীতে কাজে লাগবে।


যেমন দেখুন একটি বক্তব্য -

মতিয়া চৌধুরী বললেন - , মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ড. কামাল হোসেন ৯ এপ্রিল পাকিস্তানি জেনারেল মিঠ্ঠা খানকে ফোন করে সে দেশে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। এটা আমার কথা নয়, মিট্ঠা খানের বইয়ে লেখা আছে।

তাহলে ড. কামাল হোসেন কি একা পাকিস্থানে গিয়েছিলেন ?

ঐতিহাসিক প্রমাণিত ড. কামাল হোসেন এক যান নাই , সাথে মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান ও গিয়েছিলেন। এবং একসাথে ফেরত ও এসেছিলেন।


মতিয়া চৌধুরী মতিয়া চৌধুরী বললেন -প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা গুরুতর অসদাচরণ করেছেন। তিনি আপিল বিভাগের সাবেক এক বিচারপতির বিরুদ্ধে দুদকের নেয়া পদক্ষেপ হাস্যকর কারণ দেখিয়ে থামিয়ে দিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি যুক্তি দেখিয়েছেন, ওই বিচারপতি মৃত্যুদণ্ডসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে তদন্তে নেতিবাচক কিছু বেরিয়ে এলে রায়গুলো বিতর্কিত হয়ে পড়বে। তিনি এটা করতে পারেন না। সম্পূর্ণ নিজস্ব সিদ্ধান্তে প্রধান বিচারপতির প্যাড ব্যবহার করতে পারেন না। আমাদের ছাত্রজীবনে স্লোগান ছিল জিন্নাহ সাহেবের পাকিস্তান চলে গেছে গোরস্থান। যে পাকিস্তানকে আমরা গোরস্থানে পাঠিয়েছি সেই পাকিস্তান হচ্ছে সিনহা সাহেবের আদর্শের।



প্রিয় পাঠক তাহলে কি -


আওয়ামীরা পাকিস্তানকে আমরা গোরস্থানে পাঠিয়েছি সেই পাকিস্তান হচ্ছে সিনহা সাহেবের আদর্শের। কাহিনী দিয়ে আদালতে জবাইয়ের রায় দিচ্ছে ? তাহলে কোন শক্তিতে একজন বিচারপতি এখনো বহাল , সেই সাথে তাকে দিয়ে কি করানো হয়েছে সেটা জাতি স্কাইপি কেলেঙ্কারিতে জেনেছে।



তোফায়েল আহমেদ বলেন,-- জাতীয় সংসদের অনির্ধারিত আলোচনায় তোফায়েল আহমেদ বললেন যারা দাবি করেন সংবিধান প্রণেতা, বাহাত্তরের সংবিধানকে শ্রেষ্ঠ সংবিধান বলেন, তারা কিভাবে সেই বাহাত্তরের সংবিধানের বিরুদ্ধে কথা বলেন? আমি আদালতের রায় নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। কিন্তু ড. কামাল হোসেনকে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, সংবিধান প্রণয়নের সময় আমরা ভারতের সংবিধানকে ফলো করেছিলাম।

প্রিয় পাঠক তাহলে কি আওয়ামী নেতারা নিজেরাই স্বীকার করলেন - ভারতের সংবিধান বাংলাদেশের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া রায় সুপ্রিম কোর্টে বহাল রাখার বিরোধিতায় জাতীয় সংসদ আলোচনার বক্তব্যে আওয়ামীলীগ ,

ক্ষমতাচ্যুত মরহুম শেখ মুজিব , ড. কামাল হোসেন ও ব্যারিস্টার আমীর উল ইসলাম, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিচার যেকোন আদালতে করা যাবে। সময়ের পরিবর্তনে যদিও আওয়ামীলীগের নেতারা চিরতরের পুরোনো অভ্যাসের মত আবার অস্বীকার ও করবে।

বিষয়: বিবিধ

১৭৫৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

383534
১০ জুলাই ২০১৭ বিকাল ০৫:৪১
হতভাগা লিখেছেন : এখনকার টপ টপ নেতারা মুক্তিযুদ্ধের সুদীর্ঘ ৯ মাস কে কোথায় ছিলেন , কি কাজ করেছেন সে সময়ে সেটা জানতে মুন্চায়।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File