কোথায় 'রামপালে বিদুৎকেন্দ্র নির্মাণে ইউনেস্কোর আপত্তি নেই' রেজ্যুলেশন। ভুল সংবাদ দিয়েই কি রামপাল হয়ে যাবে ?

লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০৭ জুলাই, ২০১৭, ০৪:৪৮:০২ বিকাল

আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে যা বলা হলো সেটাই কি সঠিক ? রানা প্লাজার কাহিনীর মত বিল্ডিং নাড়াচাড়ার কাহিনী ?

আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেস্কো) রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যাপারে তাদের আপত্তি তুলে নিয়েছে। একই সঙ্গে সুন্দরবনের নাম বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল হয়েছে বলে দাবি করা হয়।


রামপালে নির্ধারিত স্থানে বিদুৎকেন্দ্র নির্মাণে ইউনেস্কোর কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তবে এজন্য ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে কিছু শর্ত দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশও সেসব শর্ত মেনে নিয়েছে বলে তিনি জানান।

শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে নিজের বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন ।

ডাক ডোল পিঠিয়ে বাংলাদেশের প্রায় সবকটি জাতীয় দৈনিক, অনলাইন পত্রিকা ও টেলিভিশন খবর প্রকাশ করেছে যে- রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বিষয়ে আপত্তি তুলে নিয়েছে ইউনেস্কো। বাংলাদেশের সরকারি সংবাদ সংস্থা বাসসও একই ধরনের খবর দিয়েছে। বাসসের সংবাদের শিরোনাম- ‘রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বিষয়ে আপত্তি তুলে নিল ইউনেস্কো’।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পোলান্ডের ক্র্যাকো শহরে আয়োজিত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির ৪১তম অধিবেশনে ইউনেস্কো তাদের আপত্তি প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্ত নেয়।

http://whc.unesco.org/archive/2017/whc17-41com-7B-en.pdf

কিন্তু কোথায় সেই আপত্তি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ?

কিন্তু কোথায় সেই রেগুলেশন ? কোথায় সেই ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে 'রামপালে বিদুৎকেন্দ্র নির্মাণে ইউনেস্কোর আপত্তি নেই ?'



[
b]ইউনেস্কোর ৪১তম সভায় বাংলাদেশের সুন্দরবনের বিষয়টি[/b]






চার পৃষ্ঠা পড়ুন ; ৫৫ থেকে ৫৮, তাহলেই বুঝতে পারবেন ইউনেস্কো কী বলেছে;






ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটি পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন করার ক্ষেত্রে আইইউসিএন এর বিশ্ব ঐতিহ্য পরামর্শমালা অনুসরণ করা ও রামপাল প্রকল্পের বর্তমান অবস্থানে সকল সম্প্রসারণ কার্যক্রম বন্ধ করার সুপারিশ করেছে ।

উল্লিখিত ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কমিটির ৪১তম সভার প্রতিবেদনের ৫৫ থেকে ৫৮ পৃষ্ঠার তথ্য অনুযায়ী সুন্দরবন ও তার আশেপাশে বিশেষকরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর “কৌশলগত পরিবেশ প্রভাব সমীক্ষা” সম্পন্ন করতে হবে এবং তার আগে ঐ এলাকায় রামপাল তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ সকল প্রকার শিল্প কারখানার কার্যক্রম স্থগিত করতে বাংলাদেশের প্রতি বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটি আহ্বান জানিয়েছে।

একইভাবে, সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া পশুর নদের খননের আগে তার পরিবেশগত প্রভাব ও সুন্দরবনের পরিবেশগত পরিবীক্ষণ প্রতিবেদন প্রণয়নসহ মার্চ ২০১৬ এর মিশন উপস্থাপিত সুপারিশসমূহ কতটুকু বাস্তবায়ন করা হয়েছে তার প্রতিবেদন ২০১৮ এর ফেব্রুয়ারি’র মধ্যে ইউনেস্কোর নিকট দিতে হবে।

একইসাথে, সুন্দরবন সুরক্ষায় বাংলাদেশের সাথে ভারতের সহযোগিতার অধিকতর সম্প্রসারণের অপরিহার্যতার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে কমিটি ইউনেস্কোর ২০১৬ এর মার্চ মিশনের সকল সুপারিশ অতীব জরুরী ভিত্তিতে পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য জোরালো আহ্বান জানিয়েছে।

বিষয়: বিবিধ

১৯৮৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

383515
০৭ জুলাই ২০১৭ সন্ধ্যা ০৭:৪৪
মনসুর আহামেদ লিখেছেন :

Excellent brother
383533
১০ জুলাই ২০১৭ বিকাল ০৫:০৮
হতভাগা লিখেছেন : সরকারের এই প্রোপাগান্ডা যে ভুল সেটার প্রতিবাদ করতে ইউনেস্কো এগিয়ে আসছে না কেন ? বাংলাদেশে কি ইউনেস্কোর আনাগোনা নেই ?

আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় পাওয়ার হল - এরা মিডিয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ভালই ঘোলাপানি খাওয়াতে পারে। সাধারণ মানুষ এসব প্রপাগান্ডা ভালকই হজম করে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File