বন্ধু চাইলাম পানি পাঠালে বিষাক্ত ইউরেনিয়াম। কুছ তো মিল্যা।
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ২৩ এপ্রিল, ২০১৭, ০৩:১৬:০৫ দুপুর
পানি ম্যাংগা, ইউরেনিয়ামের তেজস্ক্রিয়তা মিল্যা ---- কুছ তো মিল্যা
পানিতে ইউরেনিয়াম বা তেজস্ক্রিয় পদার্থ নিয়ে এসব কি হচ্ছে ?
যেখানে বাংলাদেশ তীব্র নিন্দা এবং ক্ষয়ক্ষতি দাবি করার কথা , সেখানে ড. দিলীপ কুমার সাহা আগেই বলে দিলেন ‘হাওরের পানিতে তেজস্ক্রিয়তা নেই’ ?
সুনামগঞ্জের হাওরের পানিতে কোনো ধরনের ইউরেনিয়াম বা তেজস্ক্রিয় পদার্থের নমুনা পাওয়া যায়নি। বরং দেশভিত্তিক ইউরেনিয়ামের সাধারণ যে সূচক, হাওরে তার চেয়ে কম রয়েছে। আজ রোববার সকালে সুনামগঞ্জের হাওরপাড়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে পরমাণু শক্তি কমিশনের ফিজিক্যাল সায়েন্স অ্যাটোনমিক্যাল কমিশনের সদস্য ড. দিলীপ কুমার সাহা এ কথা জানান।
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রতিনিধিদল বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যাপ্ত নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারপরই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে জানান ড. দিলীপ।
ভারতের নেমে আসা পানিতে ইউরেনিয়াম আছে কিনা তা দেখতে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আরো রয়েছেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. দেবাশীষ পাল ও বাংলাদেশ কেমিস্ট্রি ডিভিশনের প্রধান ড. বিলকিস আরা বেগম। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় প্রতিনিধিদল সুনামগঞ্জে পৌঁছায়।
এপ্রিলের শুরুতে উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢল ও অতিবৃষ্টিতে বাঁধ ভেঙে বন্যার পাশাপাশি সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, মৌলভীবাজার, সিলেট ও হবিগঞ্জের বিস্তীর্ণ হাওরাঞ্চলের সমস্ত বোরো ধান পানিতে তলিয়ে যায়। ভারত থেকে ইউরেনিয়াম মিশ্রিত পানি বাংলাদেশের হাওরগুলোতে আসার পর মাছ মরা শুরু হয় তারপর মরতে থাকে হাঁস এবং জলজ প্রাণীদের মরা সেই সঙ্গে পচে দুর্গন্ধ ছাড়াচ্ছে । মারা যাচ্ছে কয়েক কোটি টাকার বনজ সম্পদ। আরো কয়েক হাজার কোটি টাকার দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতি।
তেজস্ক্রিয়তা থাকলে তার দায়ভার গিয়ে পড়বে ভারতের ওপর।
৩ কোটি মানুষের চেয়েও কি মূল্যবান ছিল ভারতীয় হাতি বঙ্গবাহাদুর ?
ভারতীয় হাতি বঙ্গ বাহাদুর নাম দিয়ে মিডিয়ার লাইভ কান্না জাতি দেখলো কয়েকেদিন।
কিন্তু ভারতের ইউরোনিয়াম হামলার শিকার প্রায় ৩ কোটি মানুষের জন্য কি তাহলে চেতনা চুপ ?
সব দিয়েও পানি নাই। চাইলাম পানি , দিলো ইউরোনিয়ম। মারা যাচ্ছে কয়েক কোটি টাকার বনজ সম্পদ। আরো কয়েক হাজার কোটি টাকার দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতি। কোথায় চেতনার চেতনার ফেরিয়ালারা ? কেন চুপ ? যারা চুপ তারাই হচ্ছে বাংলাদেশের একনাম্বার শত্রু।
সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ এলাকার প্রায় ৩ কোটি মানুষ এখন ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখোমুখি। ফসল হারিয়ে ভাটি অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষের দিন কাটছে এখন অর্ধাহারে অনাহারে।
পানিতে ফসল হারিয়ে দিশেহারা হাজার হাজার কৃষক। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে হাওরে বসবাসরত আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা তাদের আহাজারীতে ভারী হয়ে উঠেছে সেখানের আকাশ বাতাস। তাদের পাশে কেউ নেই।
ভারতের উন্মুক্ত ইউরেনিয়াম খনি থেকে বানের পানিতে ভেসে আসায় তেজষ্ক্রিয়তা ছড়িয়েই হাওরের মাছ-ব্যাঙসহ সব কীট-পতঙ্গ মারা যাচ্ছে।
ভারত থেকে ফিরে এসে শেখ হাসিনা বললেন পানি ম্যাংগা, ইলেকট্রিসিটি মিল্যা—কুছ তো মিল্যা।
বিষয়: বিবিধ
২৮২০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন