নকলরত অবস্থায় শিক্ষার্থীকে ধরার ‘অপরাধে’ অস্ত্রশস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেছেন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ০১:৫০:৩৫ রাত
নকলরত অবস্থায় শিক্ষার্থীকে ধরার ‘অপরাধে’ এবার ‘ভাগ্যের জোরে’ কোনমতেই হয়তো নিশ্চিত ‘উল্টো শাস্তি’র হাত থেকে ‘রক্ষা পেয়েছেন এক শিক্ষক .
প্রকাশঃ ২৬-০২-২০১৭,
শিক্ষার্থীর নকল ধরায় রাজশাহীর নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ও সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল আওয়াল আনসারীকে অস্ত্রশস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেছে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।
শনিবার দুপুরের পর এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ওই শিক্ষকের ওপর চড়াও হন বিক্ষুদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শনিবার নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের ইনকোর্স পরীক্ষা চলছিল। দুপুর ১টার পর শুরু হয় এ পরীক্ষা। পরীক্ষা চলাকালে ৪০১ নম্বর কক্ষে অসদ-উপায় অবলম্বনের চেষ্টা করেন ছাত্রলীগ কর্মী ফাহিম।
এসময় তাকে বাধা দেন কর্তব্যরত শিক্ষক রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি আব্দুল আওয়াল আনসারী এবং সহকারী অধ্যাপক তানবিরুল হক। শিক্ষকের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়ে ফাহিম পরীক্ষার হলে চিৎকার-চেঁচামেচি করে বের হয়ে আসে। কিছুক্ষন পরে ছাত্রলীগের অন্য নেতাকর্মীদের ফোনে ডেকে নেয় ক্যাম্পাসে। সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের একদল নেতা-কর্মী চলে আসে ক্যাম্পাসে।
এরপর ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদে ফেটে পড়ে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। একপর্যায়ে অফিসকক্ষে একপ্রকা’ অবরুদ্ধ’ করে ওই শিক্ষককে সবার সামনে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার কাছে ‘ক্ষমা চাইতে বাধ্য’ করে তারা।মান-সম্মানের ভয়ে কলেজে বিশৃংখল পরিস্থিতি এড়াতে ও ‘ নিশ্চিত আসন্ন বিপদ’ থেকে রক্ষা পেতে ওই শিক্ষক অফিসের সামনে ক্ষমা চান তার প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফাহিমের কাছে।
অন্যদিকে, বর্তমানে অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকা উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক হাবিবুর রহমানের কাছে মুঠোফোনে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে তিনি ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘ বিষয়টি সবার উপস্থিতিতেই ‘মীমাংসা’ হয়ে গেছে। এ নিয়ে আর কিছু বলার নেই আমার।
কিন্তু কী ধরনের মীমাংসা হয়েছে? ‘অজানা আতংকে’ এ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলছে না কেউ।
বিষয়: বিবিধ
৯০৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন