শাকিলকে নিয়ে মিডিয়ার লাফালাফি। যেন কোন দেশের প্রেসিডেন্ট মারা গেছেন।আসলেই কি হত্যা নাকি আত্বহত্যা ?
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০৩:৩২:২২ দুপুর
কিন্তু যখন দেখলাম মূল ঘটনা কে অন্য দিকে নিয়ে যাচ্ছে নাটকের প্রযোজক এবং নাটকের নির্মাতা। তখন বাধ্য হয়ে লিখলাম।যদিও তাকে আরো পরে গাড়ি একসিডেন্ট অথবা বাসায় হত্যা করে অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়ার প্ল্যান ছিল। কিন্তু পরিকল্পনাকারী বাহিনী নিজেরাই নিজেদের প্ল্যান মুহূর্তে বদলায়। কারণ তারাও জেনে গিয়েছিলো সেটা হলে নাটক ফ্লপ হয়ে যাবে।
সারাদেশের বিদেশের মানুষ জানে শাকিলের অভ্যাস কেমন ছিল। শেখ হাসিনার সফর সঙ্গী হয়ে জাতিসংঘে গিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের উর্ধতন এক মহিলার বেড রুমে অসামাজিক কার্যকলাপের কাহিনী ।২০১০ সালে নিউইয়র্কের গ্রান্ড হায়াত হোটেলের ঘটনার সাথে সাথে সাকিলকে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। হাসিনা কিছুদিনের জন্য শাকিলকে বরখাস্ত করেছিল। পরে আবার যেই সেই শাকিল আবার একই পদে বহাল।
এখনো যা যাচ্ছে নাটকের স্কিপ্টে -
শাকিল আজ ঢাকায় মারা যাবার পর অবৈধ সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার তার মৃতদেহের ময়না তদন্ত করা হবে।
গুলশানের একটি রেস্তোরাঁয় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে, তার ড্রাইভারের আত্মীয়স্বজনকে খবর দেয়া হয়।
সেই রেস্তোরাঁতেই একজন চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।
এরপরই সেখানে তার স্বজনদের পাশাপাশি কয়েকজন মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের নেতারা আসেন। পুলিশও আসে। সন্ধ্যা নাগাদ তার মরদেহ ঢাকার বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। আগামীকাল ময়নাতদন্তের পর দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।
সামদাদো নামের ওই রেস্তোরাঁটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং রেস্তোরাঁর ছয়জন কর্মীকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে । রেস্তোরাঁর ছয়জন কর্মীকে তাহলে ক্রসফায়ারে দেয়া হচ্ছে ?
সিআইডির ফরেনসিক টিম এবং পুলিশের কয়েকটি টিমও সেখানে কাজ করছে। আপাতত সামদাদো নামের ওই রেস্তোরাঁটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং রেস্তোরাঁর ছয়জন কর্মীকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ।
আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের বিবৃতি মাদকে মাতাল কেউ লিখেছে না কি জেনে শুনে বানোয়াট কাহিনী ?
রিমান্ডে কাদেরকে নিতে হবে দেখুন
এবার দেখুন অন্য দিকে বিবেচনা করলে কি পাচ্ছি আমরা
শাকিল ছিল বর্তমান অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী। যাকে বলা হয় দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি। প্রশ্ন হলো, শাকিলকে এমন শক্তিশালী কোন ঘাতক রয়েছে যে হত্যা করবে? আবার সে ঘাতক সম্পর্কে অবগত থাকার পরও কেন অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সহকারীর নিরাপত্তা বিধানে কোন পদক্ষেপ নিলেন না?
শাকিলের অবস্থান তো গোয়েন্দারা জানে। তারা তখন কার নির্দেশ পালন করেছিল ? ভালো করে লক্ষ্য করুন কেউ কাউকে এমনি হুমকি দিলে সাথে সাথে হামলা মামলা দিয়ে রিমান্ড শুরু হয়ে যায়। অথচ শাকিলের ক্ষেত্রে ?
শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিলের মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করেছেন আওয়ামীপন্থী সাংবাদিক ও শাকিলের বন্ধু পীর হাবিবুর রহমান। তিনি লিখলেন শাকিল আত্বহত্যা করেছে।
তাহলে কেমন করে আগেই জেনে গেলেন পীর হাবিব। সেই সাথে অঞ্জন রায় , জই মানুম সহ সেই রাতের আড্ডার গ্রূপ ?
একটা সুস্থ মানুষ কেন হোটেলে আত্মহত্যা করবে ? কেন আত্মহত্যার আগে চিঠিতে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের কথা জানাবে? তার বন্ধু মারফত জানা যায়, তিনি শারীরিক অসুস্থতা বোধ করছিলেন। চিকিতসার জন্য বিদেশে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার একাউন্টে মাত্র ৩০ হাজার টাকা ছিল। প্রধানমন্ত্রীর সহকারীরর একেউন্টে মাত্র ৩০ হাজার টাকা কেন? তাহলে মদ খাওয়ার টাকা কোথায় পেলেন?
চিকিৎসার নামে তিনি বিদেশে পালাতে চেয়েছিল শাকিল ?
তাহলে কি শাকিল কে মনে করা হয়েছিল আরেক মুক্তি যোদ্ধা মতিউর রহমান রিন্টু ? যে কিনা বিবেকের কারণে লিখেছিলেন আমার ফাঁসি চাই ? কিন্তু সেখানেও হিসাব মিলবে না। কারণ ক্ষমতার লোভে ক্ষমতার থাকার জন্য শাকিল বহু অপরাধ করে পোষাকি বাহিনীর সাথে হাত মিলিয়ে বহু জীবন শেষ করেছিল। তার প্রমান কি গায়েব করা ?
তাহলে কে এই ঘাতক? কোন তার ভালোলাগার মানুষ তাকে অসাধারণ পরিপক্ক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করবে বলে তিনি আশঙ্কা করেছেন? শাকিলের লেখা স্যুইসাইড নোট বা চিঠিটা কার কাছে? কী লেখা আছে সেই চিঠিতে?
শাকিল তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখে…. ‘‘সম্ভবত খুব শীঘ্রই মারা যাব আমি ঘাতকের হাতে, অসাধারণ পরিপক্ক এই হত্যা ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত আমার খুব বেশি ভালোলাগার একজন মানুষ। তাকে একটি পত্র লিখে সিলগালা করে রেখে দিয়েছি খুবই আস্থাভাজন আরেকজনের কাছে। আমি মরে যাবার পর তাকে পৌঁছবে বলে। আমার না থাকা জুড়ে থাকব আরো বেশি আমি…..,,
গুলশান থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বিকাল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে সামদাদোর পাঁচ কর্মীকে পুলিশের ভ্যানে তুলে নিয়ে যান।
মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে সিআইডির ৮-১০ জনের একটি টিম ঘটনাস্থল গুলশান-২ এর ৩৫ নম্বর রোডে ২৭ নম্বর বাসার ওই রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করে।
বিকাল সাড়ে ৫টায় আওয়ামী লীগের সভাপতিম লীর সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন। বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে মাহবুবুল হক শাকিলের মরদেহ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স সামদাদো থেকে বারডেমের উদ্দেশে রওনা হয়।
সামদাদো হোটেল কর্তৃপক্ষের সূত্র জানায়, সোমবার রাতে মাহবুবুল হক শাকিল ওই হোটেলের একটি কক্ষে ছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হোটেল কর্মকর্তারা কক্ষটিতে গিয়ে শাকিলের মরদেহ দেখতে পান বলে জানান ।
রাতে রাজধানীতে শাকিল কেন হোটেলে রাতযাপন করে ? তার বাসা থেকে হোটেলের দূরত্ব ? কেন রাত যাপন করেছিল শাকিল ? কাদের সাথে তার আলোচনা হয় ?
সহজ প্রশ্ন শাকিলের কথিত চিঠি কার কাছে ? তাহলে কি যারাই খুনের সাথে জড়িত সেই চক্রের কাছে চিঠি ?অতিরিক্ত সচিব মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারীর দায়িত্বে থাকা আওয়ামীলীগের ক্যাডার কেন রাতে হোটেলে ?
মদ পান করতে এই পদে থেকে হোটেলে ? সেখানে আগে থেকে কারা ছিল ? শাকিল কার সাথে ছিল ? বিদেশী কোন গুপ্তচর তার সাথে এসে আড্ডা দিয়েছিলো সন্ধ্যায় ? সিসিটিভির ফুটেজ কেন কাটাছেড়া করা হচ্ছে ?
বিষয়: বিবিধ
১৯৫৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন