ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমী পিএসসিকে নিয়ে অন্তত সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তাদের কথা বলা উচিত।
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ২৬ নভেম্বর, ২০১৬, ০২:৫৪:৪৪ দুপুর
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমী পিএসসিকে নিয়ে কথা বলা উচিত। একজন সামরিক অফিসারকে বিনা গ্রেফতারি পরোয়ানায় তুলে নিয়ে গেলে আগামীতে ও যদি এমন হয় তাহলে কি হবে ?
অন্তত সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারা
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল(অব ) আব্দুল্লাহিল আমান আযমী পিএসসিকে উদ্ধারের বিষয়ে সোচ্চার হতে অসুবিধা কোথায় ? একজন মেধাবী অফিসারকে তুলে নিয়ে যাবে আর সেনাবাহিনী কিছুই বলবে না , সেটা হতে পারে না।
আযমীকে তার মগবাজারের বাসা থেকে সাদা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মহানগর পুলিশের পোশাকধারীরা তুলে নিয়ে যায়।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমী পিএসসি সেনাবাহিনীর একজন মেধাবী ও চৌকস সেনা কর্মকর্তা ছিলেন। সেনাবাহিনী জীবনে তিনি অনেক পদক ও পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। কিন্তু কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেয়া হয়নি তাঁকে।
“সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আল আযমী একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তি। তিনি অবসর জীবন-যাপন করছেন। তিনি দেশের একজন সুনাগরিক। তিনি দেশের আইন ও সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তার নামে কোন মামলা নেই। ফলে তাকে গ্রেফতার করা অযৌক্তিক ও বেআইনী।’’
বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের ছয় মাস সময়ে ২০০৯ সালের ২৩ জুন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমী পিএসসিকে বরখাস্ত করে। রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের আদেশক্রমে উপসচিব সেলিনা হক এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ জারি করেন। পরদিন সামরিক সচিবের পক্ষে কর্ণেল এন এম নূর ইসলামের দেয়া চিঠির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ আর্মি সেনা সদর দপ্তর লগ এরিয়া ঢাকা সেনানিবাসে সংযুক্ত বিএ-২১৭১ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমী পিএসসিকে সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
সেই সময়ে প্রকাশিত সংবাদ
ইত্তেফাক -
http://www.ittefaq.com.bd/capital/2016/08/23/81539.html
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে আযমীকে আটকের অভিযোগ করেন তার ভাই সালমান আল-আযমী। ডিবি পুলিশের অন্তত ৩০-৩৫ জন তার ভাইকে তুলে নিয়ে গেছে।
বিষয়: বিবিধ
৪৬৬৪৭ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন