ড. জাফর ইকবাল এখন লিখবেন না - খাদিজা আক্তার নার্গিসের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায় কোপানি ছাত্রলীগের বদরুল। খাদিজা আক্তার নার্গিসের কেড়ে নিল স্বপ্ন”।
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০৯ অক্টোবর, ২০১৬, ০৫:২৩:২৩ বিকাল
২০১২ সালের মধ্য জানুয়ারীর ঘটনা। খাদিজাকে উত্যক্ত করতে গিয়ে সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ থানার জাঙ্গাইল সফির উদ্দিন স্কুলের সামনে গনধোলাই খেয়ে গুরুতর আহত হয় বদরুল। তখনকার সময়ে আওয়ামীলীগ নেতা ও কিছু মিডিয়া এটাকে রাজনৈতিক হামলা বলে চালিয়ে দেন এবং ঘটনার জন্য প্রতিপক্ষ জামায়াত-শিবিরকে এককভাবে দায়ী করে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে দেন। সে সময়ে বদরুলের পক্ষে শাসকদল আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতারা মানববন্ধনও করেন। পত্রিকায় বক্তৃতা বিবৃতি দেন। তাদের কর্মসূচী পালনের সচিত্র সংবাদ গনমাধ্যমে ফলাও করে প্রকাশ পায়। উত্যক্ত ও গনপিটুনী খাওয়ার ঘটনায় অতি উৎসাহী হয়ে থানা পুলিশ মামলা নেয় এবং জামায়াত-শিবিরের ৮ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। মামলাটি এখনো আদালতের বিচারাধীন।
তখনকার ঘটনায় মিডিয়া তাকে ছাত্রলীগের নিবেদিত উল্লেখ করে সংবাদের শিরোনাম করেছিল “বদরুল আর হাটতে পারবে না, শিবির কেড়ে নিল তার স্বপ্ন”। তার প্রতি সহানুভতি দেখাতে গিয়ে ড. জাফর ইকবাল লিখেছিলেন “মেধাবী বদরুলের আর হাটা হবে না”।
এখানেই শেষ নয়, তাকে দেয়া হয় শাবি ছাত্রলীগের সহ সম্পাদকের মত গুরুত্বপূর্ন পদ, যে পদে সে এখনো বহাল রয়েছে। কিন্তু গত ৩ অক্টোবর সোমবার সিলেট এমসি কলেজের পুকুরপারে প্রকাশ্যে খাদিজার উপর পৈশাচিক হামলার পর ঘটনার মুখোশ উন্মোচিত হয়ে যায়। ওই মিডিয়াই অতীত ভুলে গিয়ে এখন স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে যে খাদিজাকে উত্যক্তের ঘটনায়ই সে সময় মার খেয়েছিল বদরুল। আর তখনই ছাত্রলীগ বলছে বদরুল তাদের দলের কেউ নয়। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন তার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনপত্রটা এখন আর বদলাতেও পারছেন না তারা।
আওয়ামী সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থায়নেই সুস্থ হয়েছিল বদরুল
https://shar.es/1Egwew
উল্লেখ্য, গত সোমবার বিকালে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে সরকারি মহিলা কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার নার্গিসের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায় শাহাজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল আলম।
এ সময় সে চাপাতি দিয়ে খাদিজার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপাতে থাকে।
আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা যখন অপকর্মে হাতে নাতে ধরা পড়ে তখন আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেত্রী থেকে শুরু করে পাতি নেতারা পর্যন্ত বলে - ওই অপরাধী আমাদের দলের না , দল করতো এখনই বহিস্কার করা হয়েছে।
উদাহরণ লাগবে -
বিষয়: বিবিধ
১২৩৮ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভালো লাগলো
মন্তব্য করতে লগইন করুন