মীর কাশেম আলী অবশ্যই অপরাধ করেছেন !! কি অপরাধ ছিল জানতে ইচ্ছে করে তাই না ?
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০৬:৪৭ দুপুর
আসুন দেখে নেই মীর কাশেম আলীর ভয়ঙ্কর অপরাধ গুলো ........
(১) একজন মহৎ শিল্পোদ্যোক্তা, মীর কাসেম আলী ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন।
(২) দেশকে স্বনির্ভর ও বেকারত্বমুক্ত করার প্রচেষ্টা করেছিলেন।
(৩) দেশের শিল্প, স্বাস্থ্য খাত ও অর্থনীতিকে সদূরপ্রসারী প্রচেষ্টা করেছিলেন।
(৪) শরীয়া ভিত্তিক ব্যাংকিং সেবা এদেশে চালু করেছিলেন।
(৫) গরীব অসহায় মানুষ মানুষকে সেবা দিতে এ ফাউন্ডেশনের অধীনে সারা দেশে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল বানিয়ে চারিদিকে চিকিৎসা সেবা ছড়িয়ে দেন।
(৬) সুস্থ শিক্ষার জন্য আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা সহ ইসলামী ব্যাংক মডেল স্কুল
এণ্ড কলেজ।
(৭) আন্তর্জাতিক মানের ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষা ব্যবস্থার কথা চিন্তা করলেন। গঠন করলেন ইসলামী ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, আল রাবেতা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল।
(৮) দেশ বিরোধী চক্রের বিরুদ্ধে দেশ ও জনগণের জন্য দেশকে বাঁচাতে তিনি বানালেন
দিগন্ত মাল্টিমিডিয়া কর্পোরেশন।
(৯) আবাসন সমস্যা সমাধানের জন্য গঠন করলেন কেয়ারি ডেভোলপার।
(১০) বিশ্বের সকল প্রান্তে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করার লক্ষে সুদ মুক্ত বিদেশী এনজিও থেকে সহায়তা এনে সারা দেশে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন।
(১১) ইবনে সিনা ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ও রাবিতা আল-আলম আল ইসলাম নামের এনজিও-এর পরিচালক।
(১২) ‘ইন্ড্রাস্টিয়ালিস্ট অ্যান্ড বিজনেসম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর পরিচালনা পর্ষদের সাথে যুক্ত ছিলেন।
(১৩) আল্লামা ইকবাল সংসদ এর পরিচালনা পর্ষদের সাথে যুক্ত ছিলেন।
(১৪ ) সেন্টার ফর স্ট্রেটেজি ও পিস স্টাডিস-এর পরিচালনা পর্ষদের সাথে যুক্ত ছিলেন।
(১৫) দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটি -এর পরিচালনা পর্ষদের সাথে যুক্ত ছিলেন।
(১৬) ইসলামীক ইউনিভার্সিটি অব চিটাগং এর পরিচালনা পর্ষদের সাথে যুক্ত ছিলেন।
(১৭ ) এতো কিছুর পর ও সুইস ব্যাংকে টাকা পাচার করে জমা রাখেন নাই। অন্যদের মত সুইস ব্যাংকে দেশের টাকা পাচার করিনি।
--------- উপরের সব গুলোই ছিল মীর কাশেম আলীর অপরাধ।
উপরের সব পদে নিজে ছিলেন মধ্যমনি।
জন্ম ৩১ ডিসেম্বর ১৯৫২
মৃত্যু ৩ সেপ্টম্বর ২০১৬
মীর কাসেম আলী ১৯৫২ সালের ৩১শে ডিসেম্বর মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার চালা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।১৯৭১ সালে তার বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছরের একজন কিশোর কি করে এত মানবাধিকার অপরাধ করেছিলেন ?
কাশেম আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে মীর কাশেম আলী ইসলামী ছাত্রসংঘের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি ছিলেন অতচ তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৮ এবং তখন তিনি তার বাবার কর্মস্থল কুলিল্লায় ছিলেন। যুদ্ধ শুরুর কিছু দিন পর তিনি পুরান ঢাকাস্থ আগামসী লেনে তার বোনের বাড়িতে চলে আসেন এবং সেখানে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত তার ভগ্নীপতির বাড়িতেই অবস্থান করেন। তার নেতৃত্বে আলবদর, আলশামস ও রাজাকার বাহিনী হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে বলে রাষ্ট্র থেকে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে তা সাধারণ মানুষ মোটেও বিশ্বাস করতে পারছে না। কি ভাবে এই পিচ্চি ছেলে এতো বড় বিভাগের কামান্ডার হবেন এবং চট্রগ্রামে এতো বড় বড় মানুষ থাকতে কীভাবে আর্মি মীর কাশেমের মত বাচ্চা মানুষের কামান্ডে চলছিলো। অতচ মীর কাশেম আলী কোন আর্মি পারসন ছিলেন না।
১৯৭১-৭৫ সালের গোয়েন্দা রিপোর্টে আলবদরে মীর কাসেম আলীর নাম ছিল না
জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো: নূরুল ইসলাম বলেছেন এটা সত্য যে, ১৯৭১ সালের এবং ১৯৭২-৭৫ সালের গোয়েন্দা রিপোর্টে মীর কাশেম আলীকে আল-বদর হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি।গত ১১ এপ্রিল ২০১৪ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ নূরুল ইসলাম জবানবন্দী প্রধানের পর আসামীপক্ষের আংশিক জেরার জবাবে এ কথা বলেন।
বিষয়: বিবিধ
১৩৬১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভিডিও দেখুন:
মন্তব্য করতে লগইন করুন