রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ সুন্দরবনে না করে রাজধানীর বিশেষ এলাকায় করলে আমরা সমর্থন দেবো।
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ১৪ আগস্ট, ২০১৬, ০১:২৬:৩৫ রাত
সুন্দরবন নিয়ে দেশের বেশির ভাগ ( একমাত্র ছুপা শয়তান গুলো ছাড়া ) সবাই চিৎকার দিচ্ছেন সুন্দরবন বাঁচাতে। কিছু অংশ তুলে ধরলাম।
সুন্দরবন বাঁচাতে সরোয়ার্দী উদ্যান , রাজধানীর সেনা ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে , তেজগাঁও বিমানবন্দর, সকল গলফ ক্লাব ও সংসদের ফাঁকা জায়গায় বিদ্যুৎকেন্দ্র চাই। ..
বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার জায়গা যদি একান্ত নাই পাওয়া যায় তবে উন্নত প্রযুক্তির পরিবেশ বান্ধব রামপাল প্রকল্প বিজিবি হেড কোয়ার্টারে স্থানান্তরিত হোক আর বিজিবি'কে রামপালে কিছু জায়গা বরাদ্দ দিয়ে হেড অফিস করে দেয়া হোক। রামপাল এলাকাটা আবার সীমান্তেরও খুব কাছে। এতে বিজিবি'র সুবিধাই হবে।
আশা করা যায় দেশের বৃহত্তর স্বার্থে সুন্দরবন বাঁচাতে এই প্রস্তাবে কেউই অরাজী হবেন না।
আপনারা সুন্দরবন বাঁচাতে এইসব অলস কিংবা বিকল্প জায়গার তালিকা তৈরী করে সরকারকে সাহায্য করুন।
রাষ্ট্রায়ত্ত ভবনের পাশে ও কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা যায়। সরকারি ভবন পদ্মা , যমুনার চারিদিকে স্টক শত শত শতক জমি আছে , সেই খালি জায়গায় ও কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা যায়।
সুন্দরবনের এই দুর্দিনে সংসদ ভবনের ২০৮ একর জায়গা অলস ফেলে রাখার কোন যুক্তি নাই। বিদ্যুৎকেন্দ্র করার যদি আর কোন জায়গা নাই পাওয়া যায় তবে এই এলাকার ফাঁকা জায়গায় করা হোক কিংবা পুরো এলাকাতে বিদ্যুৎকেন্দ্র করে সংসদ ভবন সেটার উপরের তলায় স্থানান্তরিত করা হোক।
পরিবেশবান্ধব উন্নত প্রযুক্তির বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপরের তলায় বসে গল্প-গুজব করতে আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্যদের অসুবিধা হবার কথা না।
সুন্দরবন বাঁচাতে নিজ স্বার্থের উর্দ্ধে উঠে উনারা এ প্রস্তাবনা নিয়ে অগ্রসর হবেন বলে আশা করি।
বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার জায়গার যদি একান্ত অভাবই হয় তবে দেশের স্বার্থে এইসব গলফ ক্লাবের সুবিশাল চত্তর গুলোতে উন্নত প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক।গলফ নামটা আমাদের অনেকের কাছেই অপরিচিত। আর ১৬ কোটি মানুষের কাছে অপরিচিত, অজনপ্রিয় একটা খেলার জন্য শৌখিন কিছু মানুষের স্বার্থে ১২৬ একরের বিশাল জায়গা অলস ফেলে রাখার কোন কারণ নাই। বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে জায়গা সংকট থাকলে সুন্দরবন ধবংস না করে এইসকল অলস জায়গায় করা হোক।
আপনারা সুন্দরবন বাঁচাতে এইসব অলস জায়গার তালিকা তৈরী করে সরকারকে সাহায্য করুন।
প্রয়োজন হলে সেইসব কোটি কোটি টাকার মালিক শৌখিন খেলোয়াড়দের প্রতি বছর কিছু সময়ের জন্য বিদেশের কোন গলফ কোর্সে খেলার ব্যবস্থা করে দেয়া যেতে পারে।
প্রয়োজনে গলফ খেলতে একান্ত ইচ্ছুক হাতে গোনা সেইসব শৌখিন মানুষকে বিদেশে খেলতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক। এরপরও সুন্দরবন বাঁচুক।
সপ্তম আশ্চর্যের তালিকায় সুন্দরবনের নাম লিখানোর জন্য গোটা বাংলাদেশের মানুষ এক যোগে জেগে উঠেছিলো লক্ষ লক্ষ ভোট পড়েছিলো সুন্দরবনের পক্ষে তখন কিন্তু আমরা প্রমান করেছিলাম সুন্দরবনের জন্য আমরা সবাই এক।
এখন আমাদের দেশের সরকার রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নামে এই সুন্দরবন ধংস করতে উঠে পড়ে লেগেছে।
আমরা কিছুতেই সুন্দরবনকে ধংস করতে দিতে পারি ?
উপরের লেখা গুলো পড়ে গায়ে আগুন লেগে গেছে তাই না ? অনেকে আবার পাগলমি লেখা বলে চিন্তা করছেন তাই নাই ? অনেকে বলবেন এতো বড় ভয়ঙ্কর কাজ ঐসব এলাকায় হতেই পারে না তাই ? --------- এতো যুক্তি থাকলে কেন সুন্দরবনের জন্য যুক্তি কি উল্টে যায় ?
কয়লাভিত্তিক প্রকল্প বন্ধ করেছে ভারত। রামপালের এই প্রকল্প ভারতে নিষিদ্ধ কেন ?
২০০৭ সালে ভারতের রাজীব গান্ধী ন্যশনাল পার্ক থেকে ২০ কিমি দূরে ১০০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার পরিকল্পনা করে, কিন্তু জনগনের বিরোধিতার কারনে ২০০৮ সালে এই প্রকল্প বাতিল করতে বাধ্য হয় ভারত সরকার।
" দ্য হিন্দু, ৮ অক্টোবর ২০১০ সালের খবরের শিরোনাম ছিল - ভারতের এনটিপিসি তার নিজ দেশ ভারতের মধ্যপ্রদেশে ১৩২০ মেগাওয়াটের একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব দিয়ে সরাসরি এবং তদন্তের বিশ্লেষণে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল (NTPC's coal-based project in MP turned down অর্থাৎ " এনটিপিসি'র কয়লা ভিত্তিক প্রকল্প বাতিল।
যদি সুন্দরবনের ক্ষতি না হয় , তাহলে রাজধানীর বুকে নির্মাণের সমস্যা কোথায় ?
http://www.bd-news.net/blog/blogdetail/detail/2601/muhon/78234#.V691I_krJiw
সুন্দরবন শেষ করে , সব সভ্যতা ধ্বংস করে ও রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পক্ষে আওয়ামীলীগ ও তাদের কিছু সমর্থক।
যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ভারতে নিষিদ্ধ , সেই প্রকল্প বাংলদেশে বুকে কার স্বার্থে ?
http://www.news-bd.net/blog/blogdetail/detail/2601/muhon/78514#.V6-We_krJix
রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে প্রতিদিন ১৪২ টন বিষাক্ত সালফার ডাই অক্সাইড, ৮৫ টন বিষাক্ত নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড নির্গত হবে। বছরে ৯ লাখ টন অত্যন্ত ক্ষতিকর বিষাক্ত ছাই বাতাসে মিশবে। পরিবেশ জন্যে ভয়ঙ্কর ক্ষতির কারণ বিষাক্ত কার্বন-সালফার-নাইট্রোজেন, ধোঁয়া-ছাই মিশ্রিত বিষাক্ত ধোয়া।
সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে কয়লা পরিবহনের জন্য জাহাজ চলবে। শব্দ ও আলোক দূষণ হবে। এই বিষাক্ত জিনিসগুলো যাবে কোথায়?
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে প্রতিদিন প্রায় ১৪২ টন বিষাক্ত সালফার ডাই-অক্সাইড (বছরে ৫১ হাজার ৮৩০ টন) এবং ৮৫ টন বিষাক্ত নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড ( প্রতি বছরে ৩১ হাজার ২৫ টন) নির্গত হবে। এই বিশাল পরিমাণ বিষাক্ত গ্যাস বাতাসে সালফার ডাই-অক্সাইড ও নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব তখনকার চেয়ে অনেক গুণ বাড়িয়ে দেবে। ফলে ভয়ানক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে সুন্দরবনের প্রাণ ও পরিবেশ।এর কুফল সাগর এলাকার মানুষ থেকে শুরু করে সারা বাংলাদেশের জনগণকে ভুগতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
১২৪৪ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সুন্দরবন রক্ষা কর"
মন্তব্য করতে লগইন করুন