কলকাতায় বাংলাদেশের ব্যান্ড মাইলস-এর অনুষ্ঠান বাতিল এবং এপার বাংলা, ওপার বাংলার ভণ্ডামি।
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০৪ আগস্ট, ২০১৬, ০১:৩৮:০৫ দুপুর
বাংলাদেশী ব্যান্ড মাইলস-এর কয়েকজন সদস্য ধারাবাহিকভাবে ভারত বিরোধী মন্তব্য করেন-এই অভিযোগে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারণার পরে কলকাতায় তাদের নির্ধারিত অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়েছে। ওই প্রচারণাকে সমর্থন জানিয়ে মাইলসের সঙ্গে একই মঞ্চে গান গাইতে অস্বীকার করে কলকাতার ব্যান্ড ফসিলস-ও।
ভারতের স্বাধীনতা দিবসের আগে আজাদী কনসার্ট নামের ওই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছিল একটি কলকাতার একটি এফ এম রেডিও স্টেশন। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে লাগাতার প্রচারণা আর ফসিলসের গান গাইতে অস্বীকার করার পরে শেষমেশ ওই দুটি ব্যান্ডকেই অনুষ্ঠানের বাইরে রাখা হচ্ছে বলে ফেসবুকে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
এবার কি বলবে বাংলাদেশের কথিত চেতনাজরা ?
পিলখানার গণ হত্যা দিবসে ভারত থেকে ৪ র্থ শ্রেণীর মর্যাদাভুক্ত গায়ক গায়িকা , অশ্লীল অঙ্গ ভঙ্গির অর্ধ উলগ্ন নাচের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জনগণের কোটি কোটি টাকা রাষ্ট্র নষ্ট করে। এরাই আবার মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলে ওপর বাংলা এপার বাংলা।
আর কত লজ্জিত হলে বাংলাদেশ লজ্জা পাবে ?
ফসিলস-এর ম্যানেজার রূপসা দাশগুপ্ত বলেন, আমরা কিন্তু মাইলসের গান শুনেই বড় হয়েছি, ওদের খুব ভক্ত আমরা। হামিন ভাই বা শাফিন ভাই কেউই যেহেতু আমাদের ফেসবুক বন্ধু নন, তাই আমরা আগে উনাদের পোস্টগুলো দেখি নি। এই কনসার্টটা ঘোষণা হওয়ার পরে আমাদের দেখানো হয় যে কী রকম খারাপ গালাগালি দেওয়া হয়েছে ভারতকে নিয়ে। উনারা যখন এতই ভারত-বিদ্বেষী আর দর্শকরাও যখন চাইছেন না, সেজন্যই ফসিলস সিদ্ধান্ত নেয় যে এরকম একটা ব্যান্ডের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করাটা কঠিন আমাদের পক্ষে।
নিয়মিত ভারত বিদ্বেষী মন্তব্য ফেসবুক পোস্ট করেন বলে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, সেই বিষয়ে শাফিন আহমেদ বলেন, ফেসবুকের প্রোফাইল একান্ত আমার। বাংলাদেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে দেশের ক্ষতি হয়, এমন বিষয়ে নজরে এলে সেটা নিয়ে কথা বলার, লেখার অধিকার আমার আছে। ক্রিকেট ম্যাচ হলে আমি বাংলাদেশকে সমর্থন করে দুটো কথা আমি লিখতেই পারি। এটা ভারত বিদ্বেষ নয়, এটা দেশপ্রেম। কিন্তু মাইলস গান গাইতে যাবে, সেখানে এ বিষয়গুলোর প্রতিফলন হবে কেন?
বর্ডারে যদি প্রতিনিয়ত দেশের মানুষকে মারা হয়, অথবা পানিবন্টন যদি ঠিকমতো না করা হয় আর তারফলে যদি দেশের কোনও অংশ যদি মরুভূমির মতো হয়ে যায়, সেটা নিয়ে কথা বলার অধিকার তার রয়েছে বলে মন্তব্য মি. আহমেদের।
তিনি আরও বলেন, পাশের দেশ থেকে এত শিল্পী এখানে এসে অনুষ্ঠান করে যান, আমরা তো তাদের সাদর অভ্যর্থনাই করি। সে তুলনায় এতদিন পরে মাইলসের একটা অনুষ্ঠান করার সুযোগ এল কলকাতায়, সেটাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা একটা হীন মানসিকতার পরিচয়।
অনুষ্ঠানটির আয়োজক একটি ফেসবুক পোস্টে ওই এফ এম চ্যানেলটি জানিয়েছে যে ওই কনসার্টে মাইলস বা ফসিলস, দুটি ব্যান্ডের কোনটিই থাকছে না।
বিষয়: বিবিধ
১৩১৪ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন মানসিকতায় আমরা বাংলাদেশীরা ওদের চেয়ে অনেক উঁচুস্তরের ।
বাংলা ভাষার জন্য বাংলাদেশীরা রক্ত দিয়েছে , মজা লুটেছে ওরা । বাংলাদেশ নামে আলাদা একটা দেশ যুদ্ধ জিতে গঠন করেছে এই বাংলাদেশীরা । আর ওরা দিল্লী তথা হিন্দীর উচ্ছিষ্ট খেয়ে কোনমতে টিকে থাকা সামান্য একটা প্রদেশ / রাজ্য , নিজেদের একটা স্বাধীন দেশের কাতারের মনে করে !
আগে যুদ্ধ করে ভারত থেকে আলাদা হোক তখন না হয় দেখা যাবে তারা বাংলাদেশের ফেলে দেওয়া উচ্ছিষ্ট খাবার যোগ্যতা রাখে কি না ।
ধর্মীর কারণে আলাদা হয়ে গেলেও পশ্চিম পাকিস্তানীদের সাথে আমাদের কিছুরই মিল ছিল না শুধু মুসলমান হওয়া ছাড়া ।
এই মুসলমান হওয়াটাও পশ্চিম পাকিস্তানিদেরকে তাদের পূর্ব পাকিস্তানী ভাইদের সাথে শোষন করার মানসিকতা থেকে বের করে আনতে পারে নি । তাই ৫২/৭১ অবশ্যম্ভাবীই ছিল , হয় সেটা ১০ বছর পরেই হত।
মন্তব্য করতে লগইন করুন