তোমরা যারা হিন্দিতে এবং উর্দুতে সাক্ষাৎকার দিয়েছো , তোমাদের কাছে কোন যুক্তি আছেকি ?
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০১ আগস্ট, ২০১৬, ১২:৪৯:৫৭ দুপুর
কিছুদিন আগে দেখলাম একজন মন্ত্রীকে, দাদাদের খুশি করার জন্য ভুলভাল হিন্দিতে কথা বলছে ।
তারা যদি বাংলাদেশি হয় তাহলে নিজ দেশে , হিন্দিতে কথা বলার নির্লজ্জতা কে শিক্ষা দিয়েছে ? তাহলে কি দরকার ৫২ , কি দরকার ২১ তাই নয় কি ?
দেশের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে তা ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি নিজের দেশে বসে নিজের দেশের কোনো বিষয় নিয়ে অন্য ভাষাভাষী দেশের কোনো সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন, তখন অবশ্যই মাতৃভাষাতেই কথা বলতে হবে, অথবা আন্তর্জাতিক ভাষা ব্যবহার করতে হবে। এখানে হিন্দি উর্ধু কেন ?
বিবিসি হিন্দির লাইভ অনুষ্ঠানে ধারণ করা এই ভিডিওচিত্রটি প্রকাশ করা হয়েছে সংবাদমাধ্যমটির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে।
সংবাদ মাধ্যমের কারসাজিতে রয়েছে নীল নকশা। ‘বিবিসি হিন্দির সাংবাদিক হিন্দিতে কথা বলে ভারতের জনগণের কাছে বিদেশ ম্যাসেজ পাচার করলেন।
‘বিবিসি হিন্দির সাংবাদিকরা যদি অন্য দেশে রিপোর্টিং করতে যান, তাহলেও কি তাঁরা হিন্দিতেই প্রশ্ন করেন?’
বিবিসি হিন্দির ফেসবুক পেজে গতকাল সাক্ষাৎকারটি প্রকাশের পর থেকেই নিজের বিবেক এবং দেশের জনগণের বিবেক নিয়ে চিন্তা করলাম।
সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বিবিসি হিন্দির প্রতিবেদক নিতিন শ্রীবাস্তব তরুণদের চিন্তাভাবনা দেখতে এসেছিল ঢাকায়।
“বিবিসি হিন্দি, বাংলাদেশের এক বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। তাঁরা প্রশ্ন করেছে হিন্দিতে। কিন্তু কেন হিন্দিতে ? বাংলাদেশ তো ভারতের অঙ্গ রাজ্য নয়। এমনকি বাংলাদেশের জনগণের ভাষাও হিন্দি নয়। তাহলে কেন এমন নির্লজ্জতা ? আর তার চেয়ে বড় নির্লজ্জতা দিয়েছে ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী। হিন্দিতে কথা বলতে বলতে দুই একজন ইংরেজিতেও বলার চেষ্টা করেছে।যদিও ইংলিশ ভুলে একাকার।
বেসরকারি ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব শিক্ষার্থীদের হয় বাংলায় অথবা ইংরেজিতে কথা বলার বদলে তারা হিন্দিতে নেকামো করলো কেন ?
বিবিসি হিন্দির পরিকল্পিত প্রতিবেদনটির শেষ দিকে দেখা যায় একজনের ( ছাত্র ) হাতে একটি বাংলা প্লাকার্ড, তাতে লেখা ছিলো ‘দুর্জয় তারুণ্য জঙ্গিবাদ রুখবেই’; আশ্চর্য ব্যাপার হলো, বিবিসি হিন্দির শ্রীবাস্তব ওই শিক্ষার্থীদের বলে বাংলায় কী লেখা সেটা পড়তে। কিন্তু তারা প্লাকার্ডটি ঠিকভাবে পড়তে পারেননি। মনে হয়েছে হিন্দি হিন্দি বলতে বলতে বাংলাটা ভুলেই গেছে।সেই সাথে ওদের জিব্বা মনে হয় কেটে কেউ নিয়ে গেছে। বাহ্ কি তাজ্জব কারবার। যারা তিলক পরাকে বাঙালিয়ানা বলে , তারা মাতৃ ভাষাকে উলঙ্গ করে কার ঐতিহ্য লালন করে ?
বিবিসি হিন্দির প্রশ্ন শুনে ওই শিক্ষার্থী হিন্দিতেই উত্তর দেয়া শুরু করেন। তার সঙ্গে এ সময় একই সোফায় আরো ছয়জন শিক্ষার্থী বসা ছিলেন। আশপাশে ছিলেন পাঁচজন। তারা সবাই শ্রীবাস্তবের সঙ্গে হিন্দিতেই কথা বলে।
বিবিসি হিন্দির সাংবাদিক ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ঢুকে হিন্দিতে বর্ণনা করছেন বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের জঙ্গি ইস্যু সম্পর্কে। কিন্তু কোন যুক্তিতে এই বর্বরতম কাজটি করলো বিবিসি হিন্দির সাংবাদিক ? সে কি জানে না এটা বাংলাদেশ ? আমাদের মাতৃ ভাষা বাংলা ?
সবাই জানেন কোন দেশে অন্য দেশের মিডিয়া অথবা সরকারি বেসরকারি ব্যক্তি সংস্থা কে হয় আন্তর্জাতিক ভাষা ব্যবহার করে প্রশ্ন করতে হয় , জানতে হয়। অথবা নিজ মার্তি ভাষায় কথা বললে তার অনুবাদক সেই দেশের ভাষায় অথবা ইংরেজিতে বলে। এখানে ইনুর হিন্দি উর্দু , আর বিবিসি হিন্দির প্রতিবেদক নিতিন শ্রীবাস্তব কেন হিন্দিতে জানতে চাইবে ? আর যারা হিন্দিতে উত্তর দিয়েছে তাদের জন্ম পরিচয় জানার অপেক্ষায় থাকলাম।
শিক্ষার্থীদের হিন্দি সাক্ষাৎকার, নিন্দা-তিরস্কারের ঝড়।
বাংলাদেশ কি তাহলে ভারতের অঙ্গ রাজ্য ?
বাংলাদেশ কি তাহলে পাক ভারতের দাস রাষ্ট্র ?
আমরা যারা প্রবাসে কাজ করি আমাদের জীবন জীবিকার জন্য বিদেশী ভাষা বাধ্য হয়ে শিখতে হয়। তখন যদি সেই দেশের মিডিয়া অবস্থানরত দেশের ভাষায় প্রশ্ন করে তাহলে বেশি যুক্তিসঙ্গত। কিন্ত বাংলাদেশের ইনু কেন উড়ু উর্দু আর কিছু হিন্দি মিশিয়ে বাতাবি লেবু মার্কা সাক্ষাৎকারটি দিলেন তার জবাব দিতে হবে। সব কিছুতে গায়ের জোর দেখলে জনগণ কিছু চামড়া তুলে নিতে ভুল করবে না। সেই সাথে কিছু অর্বাচীন হিন্দিতে যে নেকামো করেছে তাদেরকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
১৩৪৮ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
হিন্দি সিরিয়ালের বাস্তবায়ন পর্ব শুরু হলো..
বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর ট্যাংকের উপর দাঁড়িয়ে উল্লাসকারি ইনু এখন আওয়ামী লীগের আমলেই বেশ পশ একটা মন্ত্রনালয় হাতিয়েছেন ।
খুব ধুরন্ধর এই লোক জানেন কোনখানে হিট করলে কাজ হয় ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন