সোয়াত, পুলিশ, র্যাব ও ডিবি যৌথভাবে অভিযানে প্রায় ঘন্টাকালব্যাপী বন্দুকযুদ্ধ পাল্টা জবাবে ৪টি পিস্তল ? তাজ্জব হন নাই ?
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ২৭ জুলাই, ২০১৬, ১২:০৪:৫৯ রাত
সোয়াত, পুলিশ, র্যাব ও ডিবি যৌথভাবে অভিযানে প্রায় ঘন্টাকালব্যাপী বন্দুকযুদ্ধ পাল্টা জবাবে ৪টি পিস্তল
http://www.banglamail24.com/news/163545
নিহত ‘জঙ্গি’ ও গুলশানে হামলাকারীরা একই গ্রুপের: ডিএমপি কমিশনার: http://www.amardeshonline.com/pages/details/2016/07/27/345972#.V5ennOV5c4I
পুলিশি বক্তব্য -
কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে নিহতদের পোশাক, কথার ধরন, ব্যবহার্য জিনিসপত্র সবকিছু দেখে মনে হয়েছে তারা সবাই উচ্চশিক্ষিত ও এলিট শ্রেণির।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান নিয়ে বিস্তারিত ব্রিফ করার সময় ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এ কথা বলেন।
তিনি জানান, নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তবে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার দেয়া তথ্য যাচাই করে যথাসময়ে নাম পরিচয় জানানো হবে।
সোয়াট টিমের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়। এতে সহায়তা করেছে থানা পুলিশসহ ডিএমপির অন্য সদস্যরা।
অভিযানে একজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অভিযান শতভাগ সফল হয়েছে।’
ব্রিফিংয়ের কিছুক্ষণ আগেই কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম জানান, কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালানোর সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে মোট ১১টি গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। এরমধ্যে একটি গ্রেনেড অবিস্ফোরিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, আস্তানা থেকে ৪ থেকে ৫ কেজি বিস্ফোরক, ৪টি পিস্তল, ২১ রাউন্ড গুলি, ১টি তলোয়ার, ৩টি অটোমেটিক ছুরি, ৭টি ছোট ছুুুরি এবং বেশ কিছু আইএস লেখা কালো পতাকা পাওয়া গেছে।
এর আগে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে কল্যাণপুরের ৫ নম্বর রোডের জাহাজ বিল্ডিং নামের ৫ তলা বাড়িটিতে অভিযান শুরু করে পুলিশ।
সে সময় বাড়ির তিনতলা পর্যন্ত ওঠার পর পাঁচতলা থেকে দুই যুবক নেমে এসে গুলি চালালে এক পুলিশ কর্মকর্তা হাতে গুলিবিদ্ধ হন। একই সঙ্গে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেলও নিক্ষেপ করে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে হাসান নামে এক জঙ্গি আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। রাত প্রায় সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে জঙ্গিদের গুলি বিনিময় চলে। পরে পুরো এলাকাটি ঘিরে রেখে ভোরে সোয়াত, পুলিশ, র্যাব ও ডিবি যৌথভাবে অভিযান চালায়।
রাজধানীর কল্যাণপুরে কথিত 'জঙ্গী আস্তানায়' পুলিশের অভিযানে কয়েকজন নিহতের ছবিসহ বেশ কিছু ছবি পাওয়া গেছে। কিন্তু এতো দেরি কেন ? সবার ছবি দিতে কেন এতো দেরি ?
ডিএমপি কমিশনার জানান, ভোর ৫টা ৫১ মিনিটে সোয়াত টিমের নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয়। এ সময় জঙ্গিদের সাথে প্রায় ঘন্টাকালব্যাপী বন্দুকযুদ্ধ হয়।
ঘন্টাকালব্যাপী বন্দুকযুদ্ধ পাল্টা জবাবে ৪টি পিস্তল ?
জনগণের প্রশ্ন - প্রায় ঘন্টাকালব্যাপী বন্দুকযুদ্ধ মাত্র ৯ জনের সাথে ?
মাত্র ৪ পিস্তল দিয়ে এক হাজারের সাথে কয়েক ঘন্টা বন্দুক যুদ্ধ। তাজ্জব হবেন না ?
http://www.sheershanewsbd.com/2016/07/26/136278
প্রায় ঘন্টাকালব্যাপী বন্দুকযুদ্ধ করতে কত গুলো গুলি খরচ ?
প্রায় ঘন্টাকালব্যাপী বন্দুকযুদ্ধ করতে একজন পুলিশ ও মারা গেলো না ?
পুলিশ জনগণকে আতংকিত করতে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এখন বলছে ঘন্টাকালব্যাপী বন্দুকযুদ্ধ ?
যদি কালো পাঞ্জাবি জঙ্গি লেবাস হয় , তাহলে র্যাবের পোশাক জঙ্গিদের নয়কি ?
পুলিশের প্রকাশিত ছবিতে দেখলাম - কিছু গুলির ছবি।
কিন্তু স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে গুলো গুলো কেউ রেখে ছবি তুলেছে।
পুলিশের প্রকাশিত ছবিতে দেখলাম - কালো পাঞ্জাবি বোরো করে দেখানোর ইঙ্গিত। কিন্তু পাশে সেনাবাহিনীর পোশাকের রঙে তৈরী ট্রাভেল ব্যাগ দেখা গেলো। তাহলে যদি কি সেনাবাহিনীর পোশাক ও আগামীতে জঙ্গি নাটকে যোগ করা হবে ?
রাজধানীর কল্যাণপুরে কথিত 'জঙ্গী আস্তানায়' পুলিশের অভিযানে উদ্ধার ভাঙ্গা লেপটপ এবং ব্যাগ গুলো কি প্রমান করে ?
রাজধানীর কল্যাণপুরে কথিত 'জঙ্গী আস্তানায়' পুলিশের অভিযানে উদ্ধার
পতাকার ছবি কি বলে ? ঝক ঝোকে নতুন এবং যেভাবে লাগানো হয়েছে ?
উল্লেখ্য প্রতিটি কথার সাথে পুলিশের বক্তব্যের লিংক দেয়া হয়েছে। এখানে ব্যক্তিগত কোন ছবি ব্যবহার হয়নি।
http://www.thedailystar.net/frontpage/similar-gulshans-1260061
যদিও বাংলাদেশের পাহাড়ি জঙ্গি গুষ্ঠি বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর পোশাকের রঙের পোশাক পরে। ভারতের প্রায় ৪৫ থেকে ৬২ টি জঙ্গি সংগঠন ভারতের সেনা বাহিনীর পোশাকের রঙের পোশাক ব্যবহার করে। ভারতের জঙ্গি গুলো প্রায় প্রতিমাসে সেনাবাহিনীকে হত্যা করে , থানায় হামলা করে। পুলিশ হত্যা করে। সেই কাহিনী কি তাহলে আমদানি হচ্ছে ?
যাদের হত্যা করা হয়েছে , তাদেরকে পুলিশ আগে থেকেই কাপড় পরিয়ে রেখেছিলো ?
করলো গোলাগুলি, ছুড়লো গ্রেনেড, কিন্তু মরার পরে হাতে সবজি কাটার চুরি ?
চারটি পিস্তল দিয়ে রাতভর মুহুর্মুহু গুলি ছোড়া কিভাবে সম্ভব?
এই চার পিস্তল দিয়ে হাজার খানেক পুলিশের সঙ্গে কতক্ষণ লড়াই সম্ভব?
এর পর পুলিশ বন্দুক লাশের কাছে রেখে ছবি প্রকাশ করবে।
শুধু কথিত আল্লাহু আকবার স্লোগান নাটকের শেষ কোথায় ?
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান নিয়ে বিস্তারিত ব্রিফ করার সময় ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, আস্তানা থেকে ৪ থেকে ৫ কেজি বিস্ফোরক, ৪টি পিস্তল, ২১ রাউন্ড গুলি, ১টি তলোয়ার, ৩টি অটোমেটিক ছুরি, ৭টি ছোট ছুুুরি এবং বেশ কিছু আইএস লেখা কালো পতাকা পাওয়া গেছে।
প্রিয় পাঠক আপনারাই বলুন - মাত্র ৪টি পিস্তল দিয়ে প্রায় ঘন্টাকালব্যাপী বন্দুকযুদ্ধ করা কতটা হাস্যকর।
তার সাথে দেখুন আরো আছে ১টি তলোয়ার, ৩টি অটোমেটিক ছুরি, ৭টি ছোট ছুুুরি।
জাতিকে আর কত জঙ্গি জুজুর ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা লোভীদের তামাশা ?
আরো আছে এই মুহূর্তে আর বেশি বলছি না। অপেক্ষায় আছি তারা কি বলে ?
কল্যাণপুরে নিহতরা আসলে কারা?
পুলিশের তরফ থেকে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, নিহতরা সবাই ‘জঙ্গি' ছিল, যাদের বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে এবং যাদের অধিকাংশই ছিল উচ্চশিক্ষিত৷ এমনকি গুলশান হামলায় অংশ নেয়ারাও এই একই গ্রুপের সদস্য৷ ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানানোর পাশাপাশি এটাও জানিয়েছেন, নিহতদের নাম, ঠিকানা, পরিচয় এখনো জানা যায়নি৷ প্রশ্ন হচ্ছে, যাদের নাম, ঠিকানা, পরিচয় এখনো পুলিশ জানে না, তাদের জঙ্গি পরিচয়, শিক্ষাগত যোগ্যতা, গুলশান হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়ে কীভাবে নিশ্চিত হলো পুলিশ? নিহতরা আসলে কারা?
যখন নিহতদের নাম প্রকাশ হবে তখন দেখা যাবে তারা আগে থেকেই পুলিশ হেফাজতে ছিল।
বিষয়: বিবিধ
১৮১৪ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
"তাজ্জব" না হয়ে উপায় আছে??
তাজ্জব হতেই হবে-
বলেছেন যখন মহারাণী
২) ছয়তলা বাড়িতে সরু সিড়ি। উপর থেকে গুলি হচ্ছে। তারপরও ঐ পথ দিয়ে পুলিশ গিয়ে হত্যা করে কথিত জঙ্গিদের। কোনো পুলিশ মারা যায়নি, গুরুতর আহত হয়নি। আবার জঙ্গিদের কাছে অব্যবহৃত গুলিও উদ্ধার হয়! এটা সিনেমায় সম্ভব, বাস্তবে নয়! বিশ্বের কোনো সন্ত্রাসী ঘটনায় গোলাগুলির সাথে মিল নাই এর। সত্যি বন্দুকযুদ্ধ হলে অবশ্যই পুলিশ মারা যেতো।
৩) পাশের ঘরেই লোকজন ছিল। তাদেরকে বাইরে থেকে তালা দিয়ে রাখে পুলিশ। তার মানে উপর থেকে গোলাগুলির খবর পুরাটাই বানোয়াট। আগেই ওখানে গিয়ে পুলিশ পজিশন নিয়ে ঘটনা ঘটায়। পুলিশের সাথে গোলাগুলি সত্যি হলে পাশের রুমের লোকও গুলিবিদ্ধ হতো। সেটা হয়নি।
৪) গুণে গুণে ৯ জনের গায়েই গুলি লাগলো, অন্য কারো গায়ে নয়! কি তামশা?
৫) মরার আগে হুরপরিও চাইছিলো জঙ্গিরা! হাসিনার বক্তব্য কিভাবে সত্য প্রমান করতে হয়, জানে পুলিশ!
৬) জালায় নীলরঙের পর্দা ছিল। সেটার একদিক খুলে সেখানে নতুন ঝকঝকে আইএস-এর কালো পতাকা টাঙিয়ে ফটো সেশন করে পুলিশ। আবার এটা জানালার চেয়ে ছোট সাইজের। এমন আবাল কাজ করে ধরা খাওয়ার কি দরকার ছিলো? এটায় ফিঙার প্রিন্ট কিন্তু পাওয়া যাবে পুলিশের।
৭) মালসামনা সব যে কালো পতাকা দিয়ে ঢেকে দিচ্ছে পুলিশ! ঘটনা কি? কয়টা পতাকা নিয়া গেছিলো? খোদ আইএস হেডকোয়ার্টারেও ঐ পতাকাকে ওভাবে অপব্যবহার করা হয় না। (সাধারন মুসলমান মাত্রই জানে, ওটা রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর সিলমোহর ছিল, এবং কলেমা। সেটাকে অবমূল্যায়ন করার জন্য ই্হুদিরা এরা অপব্যবহার করছে আইএস পতাকা বানিয়েছে।) কাজেই কোনো জঙ্গি এটা দিয়ে মাল সামানা ঢাকবে না! এটা করতে গেলো কেনো পুলিশ?
৮) স্ক্রীপ্টে ছিল, তাই ছুরি রাখছেন, ভালো কথা। কিন্তু রক্ত মাখালেন কেনো? গুলশানের মত কাউকে তো জবাই করেনি এখানে? তবে কি অতি নাটকীতা সৃষ্টি করলেন?
৯) আইজিপি বললো- নিহতরা সবাই শিক্ষিত, এলিট ফ্যামিলির! ক্যামনে বুঝিলো? সে তো গেছে লাশ হওয়ার পরে। তার মানে ওদের বায়োডাটা আগে থেকেই আছে পুলিশের কাছে!
১০) কমিশনার বলছে, এটা গুলশানের ধারাবাহিকতা। তদন্তের আগে একথা বলে দেয়ার অর্থ হলো, গুলশান আইএসের কেস নয়, সেটা প্রমান করতেই এই উদ্যোগ।
১১) অবৈধ প্রধানমন্ত্রী বলেছে, আমাদের গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল, তাই তারা ওদের হত্যা করতে পারছে। তিনি তো আবেগ ধরে রাখতে পারেননি, তাই ফস করে বলেছেন কোথায় ঘটাতে হবে, সেটা পূর্বনির্ধারিত ছিল।
১২) অবাক হব না, যদি দেখা যায়, ঐ বাড়িটা নিয়ে কোনো বড় পুলিশ অফিসার বা লীগের নেতার সাথে গোলমাল ছিল (যদিও বলা হচ্ছে মালিক লীগ করে), বাড়িটা বেদখল করা উদ্দেশ্য ছিলো।
.........ঘটনাটা যে বানানো, তা নানা আলামত দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে হাসিনার আবাল ফুলিশ। আমাদের আর কষ্ট করতে হলো না। এরপরে পরে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অনুসিদ্ধান্তে আসতে অসুবিধা হবে না যে- হাসিনার সরকার ও পুলিশ এখন আইএস পোষাক ও উপকরনের সাপ্লায়ার। কি করবেন বুঝে দেখুন। কামরুল ইসলাম !!
পেল সরকার।
মন্তব্য করতে লগইন করুন