রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস এবং পুলিশের নির্মমতার মধ্য দিয়ে কাশ্মীরের স্বাধীনতা আন্দোলনের নৈতিক অধিকার ও সশস্ত্র আন্দোলনের পক্ষে সমর্থন বাড়ছে।
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ১৮ জুলাই, ২০১৬, ০৩:২৪:৪২ দুপুর
ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের জনপ্রিয় স্বাধীনতাকামী , কাশ্মীরি অধিকার আদায়ের তরুণ নেতা বুরহান ওয়ানির (২২) মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহজুড়ে আবারো ঘটে গেল ভয়াবহ সহিংসতা। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর বর্বরোচিত গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে ৫৬ জন। সর্বশেষ ওই এলাকার গণমাধ্যমও বন্ধ করে দিয়েছে ভারত সরকার।
ভারত অধিকৃত কাশ্মীর রাজ্যে গত কয়েকদিন ধরে চলমান সহিংসতায় আশঙ্কা রয়েছে যেকোনো মুহূর্তে আবারো সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়তে পারে এলাকাটিতে। পাম্পোর এবং কুপওয়ারাসহ কাশ্মীরের বেশ কিছু এলাকায় জারি রয়েছে কারফিউ। অন্যত্র কারফিউ না থাকলেও সাধারণ মানুষের গতিবিধির ওপর নিয়ন্ত্রণ জারি করা রয়েছে।
ভারতীয় বর্বরোচিত নারকীয় তান্ডবে কাশ্মীরের প্রতি টি ঘরে কম পক্ষে ২/১ জন শহীদ।
নেতা বুরহান উয়ানিকে হত্যার ঘটনায় গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কাশ্মীর। বুরহানের হত্যার বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে স্বতস্ফূর্তভাবে বিক্ষোভ করেছে কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন।
নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা প্রতিনিয়তই কাশ্মীরি তরুণীদের উদ্দেশ্য করে নানা অশ্লীল মন্তব্য করে। তাদের নানাভাবে বিরক্ত করে। এসবের প্রতিবাদ করা যায় না। কারণ সৈন্যদের হাতে থাকে বন্দুক।
সব ভুলে এখন ভারতের দাবি : ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মির ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
শেখ আবদুল্লাহ ১৯৪৬ সালে ১৯ এপ্রিল ব্রিটিশ ক্যাবিনেট মিশনে একটি টেলিগ্রাম পাঠিয়ে দাবি তোলেন কাশ্মিরের স্বাধীনতার। কারণ, কাশ্মিরি জাতি বসবাস করে ভারতের এক অনন্য অঞ্চলে। শেখ আবদুল্লাহ কারাগার থেকে মুক্তি পান ১৯৪৭ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি বলেন- ‘আমরা সে পথই বেছে নেব, যে পথে আমাদের স্বাধীনতা আসবে।’ একই সাথে তিনি বলেন : ‘ইফ দ্য ফোরটি লাকস অব পিপল লিভিং ইন জম্মু অ্যান্ড কাশ্মির আর বাই-পাসড অ্যান্ড দি স্টেট ডিক্লেয়ার্স অ্যাসেশন টু ইন্ডিয়া অর পাকিস্তান, আই শ্যাল রেইজ দ্য ব্যানার অব রিভোল্ট অ্যান্ড উই ফেস অ্যা স্ট্রাগল।’ বক্তব্য স্পষ্ট, তিনি চান না কাশিা¥র ভারত কিংবা পাকিস্তানের সাথে একীভূত হোক। তেমনটি হলে তিনি বিদ্রোহের ব্যানার হাতে লড়াই করবেন স্বাধীন কাশ্মিরের জন্য।
‘বুরহান পাকিস্তানের সমর্থনের বাইরে গিয়েই ভারতকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। কারণ সে একজন কাশ্মীরি। সে কখনো সীমান্ত পাড়ি দেয়নি। পাকিস্তানের প্রশিক্ষণও নেয়নি। প্রত্যেকে তাকে নিজের সন্তান মনে করতো। এজন্যই তার হত্যাকাণ্ডে সবাই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল।’
এক দশকে এই প্রথম এত লোক মারা গেল। তরুণরা একটি রাজনৈতিক সমাধান চাচ্ছে। শিক্ষিত তরুণরা স্বাধীনতার পথ বেঁছে নিচ্ছে। বুরহানও একটি শিক্ষিত পরিবার থেকে এসেছিল। শুধু একটি সমাধানের আশায় তরুণরা অস্ত্র হাতে তুলে নিচ্ছে। এটাকেই তারা একমাত্র সমাধান মনে করছে।
বহুল প্রচারিত গ্রেটার কাশ্মিরের ছাপাখানা বন্ধ করেও দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। শনিবার রাতে পুলিশ ছাপাখানায় হামলা করেছে এবং কাশ্মির রিডারের ছাপানো কপিগুলো জব্দ করেছে।
কাশ্মীরের নিজস্ব ভাষা উর্দুভাষী দৈনিক কাশ্মির উজমার অর্ধ লক্ষ কপি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষাগত এবং সাংস্কৃতিক চাহিদা পূরণ করা হচ্ছে না। কোনো উপায় না পেয়েই তরুণরা অস্ত্র হাতে তুলে নিচ্ছে। তারা শান্তিপূর্ণভাবেই সমস্যার সমাধান চায়। কিন্তু তা হচ্ছে না। সশস্ত্র আন্দোলনের পক্ষে সমর্থন বাড়ছে। তরুণরা আবারো বন্দুকের দিকে ঝুঁকছে।’
কাশ্মীরে মূলত কারা সহনশীল ?
রহান ওয়ানি নিহত হওয়ার ঘটনায় উত্তপ্ত রাজ্য। জারি করা হয়েছে কারফিউ।
চারদিন ধরে এ ঘটনায় কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। স্তব্ধ হয়ে পাড়েছে পরিবহন ব্যবস্থাও। আর এতে দেখা দিয়েছে চরম খাদ্য সঙ্কটও।
আর এমন সময়ই ঝিলম নদীর তীর থেকে এক হিন্দু বন্ধুর ফোন পেল মুসলিম দম্পতি। ভেসে এলো বন্ধুর কাতর কণ্ঠস্বর। থাকতে না পেরে কারফিউ উপেক্ষা করেই ওই বন্ধুর জন্য বাড়ির বাইরে পা রাখলেন মুসলিম দম্পতি। শ্রীনগরের জনশূন্য রাস্তায় হাঁটতে দেখা গেল তাদেরকে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঁধে বস্তা ভর্তি খাদ্যসামগ্রী নিয়ে বন্ধুর পরিবারকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলেন তারা।
বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার পথেই শ্রীনগরের ওই গৃহবধূ জুবায়দা বেগম এক সাংবাদিককে বলেন, ‘সকালে আমাদের বন্ধুর ফোন এসেছিল। জানিয়েছিল বাড়িতে খাবার নেই। বন্ধুর সঙ্গে থাকেন তার অসুস্থ ঠাকুমা। তাদের জন্যই খাবার নিয়ে যাচ্ছি আমরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা খুবই কঠিন কাজ। কিন্তু আমরা তাদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করছি।’
হিন্দু ওই বন্ধুর নাম দিওয়ান চাঁদ। তিনি বলেন, ‘এখানে প্রত্যেকেই ভোগান্তির শিকার। এমন সময় বন্ধুকে পাশে পেয়ে ভালো লাগছে। একেই বলে মানবিকতা।’
দিওয়ান চাঁদ অল ইন্ডিয়া রেডিওতে কাজ করেন। আর তার স্ত্রী স্থানীয় একটি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা। সেখানেই জুবায়দার সঙ্গে পরিচয় হয় তার স্ত্রীর।
ইতিহাসের অংশ
জম্মু ও কাশ্মির হাইকোর্ট বলছে, জম্মু ও কাশ্মির ভারতের কোনো অংশ নয়। ২০১০ সালের দিকে ভারতের স্পষ্টবাদী লেখিকা অরুন্ধতী রায় ঠিক একই কথা বলেছিলেন : ‘কাশ্মির ইজ নট অ্যা পার্ট অব ইন্ডিয়া’।
প্রথম আলোর নির্লজ্জ্বতা ..............
ভারতীয় বাহিনী বুরহানকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করেছে।
বাংলাদেশের প্রথম আলো পাকিস্তানি বানিয়েছে।
সারা বিশ্ব জানে , আজ প্রায় এক সপ্তাহ জুড়ে বিদেশের সব খবরের কাগজে প্রকাশিত হচ্ছে রহান ওয়ানি নিহত হওয়ার ঘটনায় উত্তপ্ত রাজ্য।নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে শ্রীনগর এবং দক্ষিণ কাশ্মিরের বেশ কিছু এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। জারি করা হয়েছে কারফিউ। কাশ্মিরিদের দাবি, বুরহানকে ‘ভুয়া এনকাউন্টারে’ হত্যা করা হয়েছে।‘বিচার বহির্ভূত হত্যা’র অভিযোগ ঘোচাতে বুরহানকে সন্ত্রাসী প্রমাণে মরিয়া ভারত।
কথিত বন্দুকযুদ্ধের গল্প ফাঁদা হলেও পরোক্ষভাবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ একরকম স্বীকারই করে নিয়েছে যে তারা বুরহান ওয়ানিকে হত্যা করেছে। তবে জাতিসংঘ অধিবেশনে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে বুরহানকে ‘বিচার বহির্ভূত হত্যা’র অভিযোগ তোলার পর তা ভালোভাবে পরিষ্কার হয়ে গেছে।
সব চেয়ে অবাক কান্ড করলো বাংলাদেশের একটি চরম বিতর্কিত এবং ভুয়া কাহিনীর জন্ম দেয়া প্রথম আলো নামের পত্রিকা। একটি চরম বিতর্কিত এবং ভুয়া কাহিনীর জন্ম দেয়া প্রথম আলো ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে জন্ম নেয়া কাশ্মীরি জনগণের অধিকার আদায়ের তরুণ নেতা ‘বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’র শিকার বুরহান কে পাকিস্তানি পরিচয়ে পত্রিকায় খবর ছাপে।
ধিক্কার মতি , ধিক্কার প্রথম আলো। জন্মই তোমার বেইমানি মিথ্যাচার করার জন্য
বিষয়: বিবিধ
১৫৭৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন