কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বুঝতে কি খুব শিক্ষিত হওয়া লাগে?
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ১৪ জুলাই, ২০১৬, ১২:২২:৪২ দুপুর
কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বুঝতে কি খুব শিক্ষিত হওয়া লাগে?
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিবেশের ক্ষতি করবে না: ভারতীয় হাইকমিশনার
ভারতীয় রাষ্ট্রদুতকে বলছি- যেহেতু প্রকল্পটি পরিবেশের কোনো ক্ষতি করবে না, তাহলে আপনাদের দেশে করলেন না কেন?
আমাদের সুন্দরবন একটিই, কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনের আরো বিকল্প আছে।
কয়লাভিত্তিক প্রকল্প বন্ধ করেছে ভারত। রামপালের এই প্রকল্প ভারতে নিষিদ্ধ কেন ?
২০০৭ সালে ভারতের রাজীব গান্ধী ন্যশনাল পার্ক থেকে ২০ কিমি দূরে ১০০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার পরিকল্পনা করে, কিন্তু জনগনের বিরোধিতার কারনে ২০০৮ সালে এই প্রকল্প বাতিল করতে বাধ্য হয় ভারত সরকার।
" দ্য হিন্দু, ৮ অক্টোবর ২০১০ সালের খবরের শিরোনাম ছিল - ভারতের এনটিপিসি তার নিজ দেশ ভারতের মধ্যপ্রদেশে ১৩২০ মেগাওয়াটের একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব দিয়ে সরাসরি এবং তদন্তের বিশ্লেষণে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল (NTPC's coal-based project in MP turned down অর্থাৎ " এনটিপিসি'র কয়লা ভিত্তিক প্রকল্প বাতিল।
কৃষি ও পরিবেশগত সমস্যা হবে, সে কারণেই ভারত সরকার এনটিপিসির প্রস্তাব বাতিল করে দেয়। ২০০৭ সালে রাজীব গান্ধী ন্যশনাল পার্ক থেকে ২০ কিমি দূরে ১০০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার পরিকল্পনা করে, কিন্তু জনগনের বিরোধিতার কারনে ২০০৮ সালে এই প্রকল্প বাতিল করতে বাধ্য হয় ভারত সরকার। এরপর ও বাংলাদেশের কেন এই প্রকল্প বাংলাদেশের জনগণকে বুঝে না ?
১২ জুলাই ২০১৬, রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নামে বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ চুক্তি সই হয়।
গত মঙ্গলবার রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নামে ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ চুক্তি সই হয়। চুক্তিতে সই করেন বিআইএফপিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উজ্জ্বল কান্তি ভট্টাচার্য ও নির্মাণ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভারত হেভি ইলেকট্রিক লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক প্রেমলাল যাদব।
বাংলাদেশেরও বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হলে
এই এলাকায় জীববৈচিত্রে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। মানুষ , প্রাণীদের শ্বাস রোগ , ক্যান্সার হয়। ঠিকমতো বৃষ্টি হয় না, ফসল হয় না। বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুল্লিকে কেন্দ্র করে বিশাল এলাকা নিয়ে স্থায়ী ধোঁয়ার আস্তরণ তৈরি হয়। ৫০০ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বার্ষিক ৩৭ লক্ষ টন কার্বন নির্গত হয় যা ১৬ কোটি গাছ কেটে ফেলার সমান।
বার্ষিক ৩৭ লক্ষ টন কার্বন নির্গত হলে বাংলাদেশের কি হবে কেউ কি চিন্তা করবেন না ?
আমরা দলীয় রাজনৈতিক হীন মানসিকতার জন্য এই চুক্তির বিরোধীতা করছি না। দেশ রক্ষার জন্য এই চুক্তির বিরোধীতা করছি , করে যাবো। ভাড়াটে বিজ্ঞানী - সুশীল বুদ্ধিজীবীদের বেতন বড় নাকি দেশের ধ্বংস কামনা বড় ?
সুন্দরবন চাই?
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে লেখার প্রয়োজন আছে কি ?
আমরা বিরোধীতা করি অসম চুক্তির।
আমাদের সুন্দরবন একটিই, কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনের আরো বিকল্প আছে। কিন্তু গায়ের জোরে চুক্তি করে সুন্দর বন কে হত্যা করা হচ্ছে না , হত্যা করা হচ্ছে সবুজ বাংলাদেশকে।
ভারত শুধু সুন্দরবন না যেকোনও বনাঞ্চলের মধ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে পারে না। অথচ বাংলাদেশে এসে সুন্দরবনের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে।
জীবিকার জন্য সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল প্রায় কয়েক লাখ মানুষ।ছোট-বড় বহু শাখা-প্রশাখা বিশিষ্ট নদী-খাল দিয়ে বিভক্ত দ্বীপমণ্ডলীর সমষ্টি এই বন ধ্বংস হবে , সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে।
সরকারের পরিবেশ সমীক্ষা অনুযায়ী রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে প্রতিদিন ১৪২ টন বিষাক্ত সালফার ডাই অক্সাইড, ৮৫ টন বিষাক্ত নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড নির্গত হবে। বছরে ৯ লাখ টন অত্যন্ত ক্ষতিকর বিষাক্ত ছাই বাতাসে মিশবে। পরিবেশ জন্যে ভয়ঙ্কর ক্ষতির কারণ বিষাক্ত কার্বন-সালফার-নাইট্রোজেন, ধোঁয়া-ছাই মিশ্রিত বিষাক্ত ধোয়া।
সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে কয়লা পরিবহনের জন্য জাহাজ চলবে। শব্দ ও আলোক দূষণ হবে। এই বিষাক্ত জিনিসগুলো যাবে কোথায়?
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে প্রতিদিন প্রায় ১৪২ টন বিষাক্ত সালফার ডাই-অক্সাইড (বছরে ৫১ হাজার ৮৩০ টন) এবং ৮৫ টন বিষাক্ত নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড ( প্রতি বছরে ৩১ হাজার ২৫ টন) নির্গত হবে। এই বিশাল পরিমাণ বিষাক্ত গ্যাস বাতাসে সালফার ডাই-অক্সাইড ও নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব তখনকার চেয়ে অনেক গুণ বাড়িয়ে দেবে। ফলে ভয়ানক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে সুন্দরবনের প্রাণ ও পরিবেশ।এর কুফল সাগর এলাকার মানুষ থেকে শুরু করে সারা বাংলাদেশের জনগণকে ভুগতে হবে।
২০০৮ সালে জাতিসংঘের একটি রিপোর্টে দেখা যায় - ১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিলে ইউক্রেনের চেরনোবিলে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিস্ফোরণ ও পরবর্তী অগ্নিকান্ডে বিপুল পরিমাণে তেজস্ক্রিয় পদার্থ বাতাসে মিশে পশ্চিম সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ইউরোপের বিরাট অংশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসে।
ভয়াবহ বিপর্যয় ঠেকাতে প্রায় ১৮ বিলিয়ন সোভিয়েত কারেন্সি ব্যয় হয়। তখনকার সোভিয়েত সরকারের মান বজায় রাখতে কত ব্যাক্তি নিহত হয়েছিলেন তার পূর্ণাঙ্গ হিসাব আজ পর্যন্ত প্রকাশ হয়নি।
১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিলে ইউক্রেনের চেরনোবিলে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিস্ফোরণ সহ বিপর্যয়ের ফলে এখনো ক্যান্সার ও শারীরিক প্রতিবন্ধকতার মতো তেজস্ক্রিয়তার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবে আক্রান্ত মানুষকে এখনো সনাক্ত হচ্ছেন এমনকি এখনো বিকলাঙ্গ শিশু জন্ম নিচ্ছে।
বাংলাদেশের বুকে প্রতিবছর প্রাকৃতিক বন্যা , ঝড় তুফান হয়। সিডরের আক্রমণের কথা কি বাংলাদেশ ভুলে গেলো ?
জাপানে ২০১১ সালের ১১ মার্চ তারিখে ভূমিকম্প স্কেলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প ও এর ফলে সৃষ্ট সুনামির (সামুদ্রিক জ্বলোচ্ছ্বাস) কারণে জাপানের ফুকুশিমায় অবস্থিত দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটিতে শীতলীকরণ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার ফলে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে। এ দুর্ঘটনায় তাৎক্ষনিকভাবে হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও তেজস্ক্রিয়তার আক্রমন থেকে জাপানি জনগণকে রক্ষা করতে জাপান সরকার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আশেপাশে ৮০ কিলোমিটার এলাকা থেকে সকল নাগরিককে সরিয়ে নেয় এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ঐ সময় বন্ধ করে দেয়, ২০১৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ছিল।যেখানে জাপান পারেনি , সেই অবস্থায় বাংলাদেশ ? একটি রানা প্লাজার বিপর্যয় থেকে জনগণকে রক্ষা করতে জনগণ নিজ যুদ্ধেই নিজেকে নামতে হয়। কিন্তু পারমাণবিক চুল্লি ?
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের ফায়েত্তি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৩০ হাজার টন সালফার ডাই অক্সাইড নির্গত হতো তার ফলাফল হলো যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের হাইওয়ে ২১ এর ৪৮ কিমি এলাকা জুড়ে গাছ ধ্বংস হয়েছে।
যারা রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিবেশের ক্ষতি করবে না , বলছেনঃ তাদের যুক্তি জাতির জন্য মঙ্গলজনক ?
তারা বলছেন - রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবনের ক্ষতি হবে না, বাতাস সুন্দরবনের দিকে যাবে না।
আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল’ প্রযুক্তি ব্যবহার করব, কোনও দূষণ হবে না, সুন্দরবনের ক্ষতি হবে ন।
সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে কয়লা পরিবহনের জন্য জাহাজ চলবে। ঐ সব জাহাজ মোড়ানো থাকবে।
বর্তমান আওয়ামীলীগের সরকারের একজন উপদেষ্টা ( জ্বালানি ) বলেছেন - প্রয়োজনে বাংলাদেশে কৃত্তিম সুন্দরবন করা যাবে !!!!!
জাহাজে আনা কয়লা এমনভাবে ঢেকে আনা হবে, যা সুন্দরবনের ভেতরে নদীতে পড়বে না। বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে করে।
আরো কত এই সেই যুক্তি।
যা সম্পূর্ণ ‘অসত্য’ এবং বাস্তবতা বিবর্জিত কথা।
রামপালের চুক্তিতে লোকানোর জন্য অতি সরল ব্যাখ্যা জাতিকে জানানো হয়নি।
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২০১ কোটি ডলার।এর মধ্যে সন্নিবেশিত ব্যয় ও যোগ হতে পারে। মোট ব্যয় ডলার হিসাবে ৭০ শতাংশ ব্যাংক ঋণ নেয়া হবে,(৭০ ভাগ ঋণের সুদ টানা এবং সকল ঋণ পরিশোধ করার দায়িত্ব বাংলাদেশের)। ১৫ শতাংশ অর্থ দেবে পিডিবি এবং বাকি ১৫ শতাংশ দেবে ভারতের এনটিপিসি।
আরো ভয়াবহ দিকটি ও জাতিকে বলা হচ্ছে না -
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রকল্পের জন্য পুরো ব্যবহারের জন্য জমি, অবকাঠামোগত বিনা মাশুলে বিভিন্ন কিছু, সব সরবরাহ করবে বাংলাদেশ।
লাভ-লোকসানের হিসাব করলে দেখা যায়, রামপালের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ পেতে বাংলাদেশকে বড়সড় মাশুল গুনতে হবে। নির্মাণ সম্পন্ন হলে প্রকল্পটির প্রায় ৮৫ ভাগ মালিকানা থাকবে ভারতের হাতে । এ প্রকল্পের জন্য ভারতের কাছ থেকে উচ্চমূল্যে (বড়পুকুরিয়ার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ দামে) কয়লা কিনতে হবে। ফলে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কিনতে বেশি খরচ হবে। তাছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে এমন চুক্তি হলো, যাতে কোনোধরনের কর ছাড়াই অন্যপক্ষ লাভ নিতে পারবে। মোটকথা অর্থনৈতিক দিক থেকে এ প্রকল্প আমাদের জন্য মোটেই লাভজনক হবে না।
অথচ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির মালিকানা ভারতের হাতে। অবাক হচ্ছেন ? না সহজ হিসাব। মাত্র ১৫ শতাংশ বিনিয়োগ করে ভারত হর্তাকর্তা , এককালীন মালিকানা। তাছাড়া এই কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ কিনতে হবে বাংলাদেশের পিডিবিকে। সার্বিক খরচের পর যে নীট লাভ হবে, তার অর্ধেক নিয়ে নেবে ভারত অর্থাৎ লাভ ৫০% ভারত , ৫০ % বাংলাদেশ। চুক্তি অনুযায়ী কয়লা আমদানির দায়িত্ব বাংলাদেশের এবং ক্ষয়ক্ষতির দায় বহন করতে হবে বাংলাদেশেরই। এরপর কি বলবেন ?
পরিবহনের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় কিছু দিন পূর্বে এক লাখ ব্যারেল তেল পড়েও তো সুন্দরবনের ক্ষতি হলো। জনগণ তুলে নিলো , মাছ , পাখি , বন ধ্বংস হলো। যদিও তখন আপওয়ামীলীগের নেতার শ্যালক জড়িত থাকায় কেউ আর কিছু বলেন নাই। সামান্য কি তাদের দেশ প্রেম আছে ?
আমরা কি দেশের উন্নয়ন চাই , জাতির উন্নতি চাই। কিন্তু ভয়ঙ্কর বিপদের চুক্তি করে এমন উন্নতি কি যুক্তি সঙ্গত ? উন্নয়নের নামে ভয়ঙ্কর ক্ষতির কারণ বিষাক্ত কার্বন-সালফার-নাইট্রোজেন, ধোঁয়া-ছাই মিশ্রিত বিষাক্ত ধোয়া ? বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ সমীক্ষা অনুযায়ী রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে প্রতিদিন ১৪২ টন বিষাক্ত সালফার ডাই অক্সাইড, ৮৫ টন বিষাক্ত নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড নির্গত হবে। বছরে ৯ লাখ টন অত্যন্ত ক্ষতিকর বিষাক্ত ছাই বাতাসে মিশবে। তার পর ????
বিষয়: বিবিধ
২০৬২ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ ওরা নিজেরা মল খাবে না তবে অন্যকে মল খাওয়ানোর জন্য এর গুনাগুন বর্ণনা করে যাবে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন