পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্ত এবং বাংলাদেশে তাহলে ভারতীয় সিরিয়াল গুলো ইসলামসম্মত ? কোকাকোলার উৎপাদন , আমদানি বন্ধের দাবি তুলেছিলেন ? সেই সাথে আরো অনেক প্রশ্নের জবাব দেয়া যাবে কি ?
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ১২ জুলাই, ২০১৬, ০৩:০৪:১৯ দুপুর
গুলশান হামলায় জাকির নায়েকের সংশ্লিষ্টতা পাইনি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কেন মাত্র ৭/৮ ঘন্টার মধ্যে বাংলাদেশের সরকার বক্তব্য পাল্টিয়েছিলো - দেখুন মূল কাহিনী।
(১) শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছিলেন, জাকির নায়েক বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয়। তদন্ত ছাড়া এমন একজন জনপ্রিয় ব্যক্তির ক্ষেত্রে হঠাৎ করেই কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।
তিনি আরো বলেছিলেন, এখন পর্যন্ত আমরা গুলশান হামলায় ডা. জাকির নায়েকের কোনো সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাইনি। তবে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জাকির নায়েকের বক্তব্য, আর্থিক সংযোগ খতিয়ে দেখেছে।
(২) পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
রবিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা-সম্পর্কিত মন্ত্রিসভা কমিটির বিশেষ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় ।মন্ত্রিসভা কমিটির বৈশষ বৈঠকে আরো বেশ কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে জুমার বয়ান ও খুতবা মনিটরিং করা হবে, দেশের বিভিন্নস্থানে যেসব ওয়াজ মাহফিল হয় তাও মনিটরিংয়ের আওতায় আসবে।
রবিবারের বিশেষ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম ও নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
এ ছাড়া পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক, ঢাকার পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বৈঠকে অংশ নেন।
সহজ প্রশ্নের উত্তর নিশ্চই আর বলে হবে না , কেন এবং কাদের নির্দেশনা পেয়ে বন্ধের দাবি তুলেছিলেন ?
হাসানুল হক ইনু জানিয়েছেন - 'কিছু আলেম ওলামা লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন পিস টিভি বন্ধের, এর প্রচারণা ইসলামসম্মত নয় এজন্য এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জনগণের প্রশ্ন
তাহলে বাংলাদেশে বাকি যতো টিভি চ্যানেল প্রচার হয় সেগুলো নিশ্চয় ইসলামসম্মত!!
তাহলে ভারতীয় সিরিয়াল গুলো ইসলামসম্মত।
কোরআন, হাদিস, আরবীভাষা, ইংরেজি ভাষা এবং ইসলামের উপরে গভীর জ্ঞান সম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসার শিক্ষক এবং স্কলার নাগরিদের সাথে প্রায় প্রতিদিন সেমিনার , আলোচনা , বিতর্ক , প্রশ্ন উত্তর পর্বে অংশ নিচ্ছেন ডাক্তার জাকির নায়েক।
সন্ত্রাসী সংগঠন দায়েশ বা ‘আইএস-এর লোকেরা জাহান্ননামের কুকুর। আবুবকর আল বাগদাদিকে হাতে পেলে তাকে খণ্ড খণ্ড করে ফেলা হবে। গত ৮ জুলাই ২০১৬ হায়দ্রাবাদে এক বড় জনসভায় এভাবেই সন্ত্রাসী সংগঠন আইএস সম্পর্কে মন্তব্য তথা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মজলিশ ই ইত্তেহাদুল মুসলেমিন বা ‘মিম’প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।
এক বিবৃতি পাঠিয়ে জাকির নায়েক বলছেন- তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে ভারত সরকারের কোনো সংস্থা থেকে এ পর্যন্ত তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি।তিনি বলেন, ভারতের তদন্তকারী সংস্থার কোনো কর্মকর্তাকে তাদের প্রয়োজনীয় কোনো তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে পারলে আমি আনন্দিত বোধ করব।
http://indianexpress.com/article/india/india-news-india/zakir-naik-dhaka-attack-islamic-preacher-peace-tv-muslims2907507/
ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের গোয়েন্দা সংস্থা ‘SID’ তাদের তদন্ত রিপোর্টে সুস্পষ্টভাবে জানিয়েছে - তারা জাকের নায়েকের বিরুদ্ধে করা কোন অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পায়নি। SID তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে যে তারা দেশ ও বিদেশে দেওয়া জাকের নায়েকের প্রায় সব বক্তব্য ও ইউ-টিউব ভিডিও পরীক্ষা ও বিশ্লেষন করে দেখেছে কিন্তু সেখানে তার ‘সন্ত্রাসবাদে উস্কানি, জঙ্গীবাদে মদদ বা সন্ত্রাসী কার্যক্রমে’ জড়িত থাকার কোন প্রমান তারা খুঁজে পায়নি , এবং তাই ডাক্তার জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে আইনগত কোন অভিযোগ আনা যায় না’’।
জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে অভিযোগের সামান্যতম প্রমাণও মেলেনি : ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা
http://www.sheershanewsbd.com/2016/07/12/134701
”এতদিন তো মাদ্রাসা দোষলেন। এখন কী বলবেন? হামলাকারীরা তো ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া ছেলে। এবার বলুন দেশের ইউনিভার্সিটিগুলোতে জঙ্গির চাষ হয় কি ? বলুন এগুলোও বন্ধ করে দেয়া দরকার”তাই না ?
কেউ কি তখন কোকাকোলার উৎপাদন , আমদানি বন্ধের দাবি তুলেছিলেন ?
ভারতের পর বাংলাদেশেও নিষিদ্ধ হয়েছে পিস টিভি। ডা. জাকির নায়েকের বক্তব্য শুনে নাকি অনেকে জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে।
( ১ ) তাহলে ভারতের মাওবাদী জঙ্গিরা কোন ধর্মের ? কে অনুসারী ?
(২) তাহলে ভারতের আর এস এস কোন ধর্মের ? কার অনুসারী ?
(৩) আসামের প্রায় ১৬ টি ছোট বড় জঙ্গি কোন ধর্মের ? কার অনুসারী ?
(৪) উলফা কোন ধর্মের ? কার অনুসারী ?
(৫) উগ্র শিখদের প্রায় ৯ থেকে ১৩ টি ছোট বড় জঙ্গি বাহিনী আছে ? তারা কার অনুসারী ?
(৬) ভারতের গারো , হাজং সহ উপজাতিদের মধ্যে কয়েকটি জঙ্গি আছে , তারা কোন ধরনের জঙ্গি ?
এমন তালিকা লিখতে গেলে অনেক লম্বা হয়ে যাবে তাই বিস্তারিত এই লিংকে প্রমান সহ আছে
Indian Terrorist & Terrorism , ভারত রাষ্ট্র বাংলাদেশের মাঠিতে তদন্ত করতে আসছে কেন ?
http://www.desh-bd.net/blog/blogdetail/detail/2601/muhon/78132#.V4SyTfkrJiw
শুনে নিন কিছু প্রকাশিত খবর , যা আওয়ামীলীগের সেন্সরে আটকে যায় - কয়েকজন উগ্রপন্থির ব্যাপারে তথ্য দিয়েছিলেন কোকাকোলার তৎকালীন আইটি প্রধান আমিনুল ইসলাম বেগ। তখন গোয়েন্দারা জানতে পারেন, আমিনুল ও তার সহযোগীদের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সিরিয়া ও ইরাকে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন দুই নারীসহ আরও ২২ জন।
‘জঙ্গী’ শব্দটা ব্যবহার হয় উদ্দেশ্যমূলকভাবে, কোন ঘটনার মূল উদ্দেশ্য আড়াল করার সবচেয়ে সহজ কৌশল জঙ্গী হামলার দাবি করা।
গুলশানের হামলাকারি রোহান আওয়ামীলিগের নেতার ছেলে!
জিএমবির প্রধান আঃ রহমান আওয়ামীলিগের এমপি মির্জা আজমের আপন বোনের জামাই শোলাকিয়ারঈদের জামাতে হামলাকারী আওয়ামীলিগের নেতা। এমন শত শত সত্য
কথাগুলি আজ সবারই জানা এবং প্রমাণিত।
বিএনপি,জামাতকে যতই জঙ্গি অপবাদ দিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে পারবেন ?
আলোচনায় এখন যা আসছে। যেমন কিছুদিন আগে মিতু হত্যাকাণ্ড ঘটনায় শুরুতে দাবি করা হয়েছে জঙ্গীরা হত্যা করেছে। কিন্তু এখন ঘটনার টার্ন নিয়েছে অন্যদিকে। এখন জঙ্গী হামলা গেলো কোথায় ?
রিজার্ভ ব্যংকের টাকা পাচার তদন্ত এখনো কি প্রকাশ হয়েছে ? হবে কি ?
এদিকে, বিভিন্ন সময় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিখোঁজ ছাত্র ও শিক্ষকের তালিকা চেয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। উগ্রপন্থিদের কর্মকাণ্ডের ওপর নজরদারি বাড়াতে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসানকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। এই সব কমিটির রিপোর্টের বিষয় নিয়ে কথা বলার নূন্যতম রুচি নাই। এই সব কমিটি এক সময় ফ্রিজে বন্ধি হয় যায়। যেমন ফ্রিজে গায়েব হয়েছে শেয়ার বাজার লুটপাট। নির্বাচন কমিশনে নিজের আয়ের স্বীকারোক্তি দেয়া হাজার হাজার কোটি টাকার খতিয়ান , এর পর সেই খতিয়ান গায়েব। সোনালী ব্যংকের মূল ডাকাত চক্রের তথ্য সহ অনেক লুটপাটের তদন্ত।
১) নিহত সাত জাপানির মধ্যে ছয় জন ছিলো মেট্রোরেল প্রকল্পের সমীক্ষক। এই সমীক্ষকদের রিপোর্টের উপর নির্ভর করছে ২২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প সহ বৈদেশিক নীতির ভবিষ্যত।
২) নিহত ইতালি নাগরিকদের মধ্যে ৬ জন ছিলো গার্মেন্টস বায়ার। একসাথে এতজন গার্মেন্টস বায়ার ঐ রেস্ট্রুরেন্ট গেলো কিভাবে ? জাপানি কনসালটেন্ট কিংবা ইতালিয় বায়াররা মঞ্চের নাটকের ফলাফল ? বলির শিকার ?
৩) হাসনাত করীম কে ? আসলে তিনি কি হুট করে গেলেন , নাকি কেসিং এসাইন করা ছিল ? বলা হয়েছে তার মেয়ের জন্মদিন ছিলো। এইজন্য গিয়েছিলেন ? রেস্তুরার রুমের মধ্যে প্রকাশ্যে কথিত জঙ্গি খুনিদের পাশে হাটছিলেন কিভাবে ? আর কেমন করে আউট প্রটেকশন ছাড়া নারীদের বের করে আনলেনও বা কিভাবে ?
গুলশান ডিপ্লোমেটিক জোনের মত কড়া এলাকায় এ ধরনের একটি বিদেশী রেস্ট্রুরেন্টে-এ বিদেশী গোয়েন্দাদের ঘাটি হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। এই বিষয়ে অনেক লেখা লেখি হয়েছে। কোন কোন এলাকায় কি আছে প্রায় নাম ধরে ধরে বলা হয়েছে।
(৪) কোন গোয়েন্দা সংস্থার লোক উদ্দেশ্যমূলক টার্গেট করে তাদেরকে ডেকেও নিয়ে এসেছে ? নিহত বাংলাদেশীদের তালিকায় যারা। যেমন প্রথম আলো- ডেইলি স্টারের ট্রান্সকম গ্রুপের মালিকের নাতি মারা গেছে। অথচ ট্র্যান্সকম গ্রুপের মালিক লতিফুর যে বিদেশী এজেন্ট । নিহত অবিন্তা কবীর এলিগেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যানের মেয়ে। নিহত ইশরাত আখন্দ ছিলো বিজিএমইয়ের সাবেক মানবসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা।
ডিজিএফআইএ এর এক সদস্যের লিখিত বই ‘বাংলাদেশে র’-তে বলা হয়েছিলো- বিদেশী রেস্ট্রুরেন্টগু লো সাধারণত বিদেশী গোয়েন্দাদের বেনামে অফিস হয়ে থাকে। কারণ সেখানে খাবার খাওয়ার অজুহাত দিয়ে এসে গোয়েন্দারা মিটিং করতে পারে, কিন্তু কেউ সন্দেহ করতে পারে না, সবাইভাবে খেতে এসেছে।
পুলিশ জানিয়েছে হাসনাত-তাহমিদ ছাড়াও ‘সন্দেহে’ আরও যারা
গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় হামলার পর উদ্ধারকৃতদের মধ্যে চারজনকে সন্দেহে রেখেছে তদন্তকারীরা। তারা হলেন— জাকিরুল ইসলাম (২২), নাজরুল সারেন (৫০), তাহমিদ হাসিব খান (২২) ও আবুল হাসনাত রেজাউল করিম (৪৭)।
পাঁচ বিদেশিসহ উদ্ধারকৃত অপর ৩০ জনকেও নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চারজনের মধ্যে এক বা একাধিক ব্যক্তি হামলার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। আহত দুজন সুস্থ হলে তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
কিন্তু এরাও কি কথিত বন্ধুকে যুদ্ধে মারা যাবে ?
মাত্র একজন স্বাক্ষীর কথা বলছি দেখুন এবং সহজে বুঝতে পারবেন কেন এবং কাদের ইঙ্গিত
গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার কয়েক ঘণ্টার মাথায় ওই এলাকা থেকে রক্তাক্ত যে তরুণকে পুলিশ আটক করেছিল, সেই জাকির হোসেন শাওন পুলিশি হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার পরিবার দাবি করেছে, পুলিশের অমানবিক নির্যাতনে এই তরুণের মৃত্যু ঘটেছে।
শাওনের বাবা এএফপিকে বলেন, ১ জুলাইয়ের ওই ভয়াবহ হামলার ঘণ্টাখানেক আগেও শাওন তাকে ফোন করে জানিয়েছে সে ঈদের বোনাস পেয়েছে। পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপনের উদ্দেশ্যে সে শীঘ্রই বাড়িতে আসবে।
গুলশান হামলার পরের দিন শাওনকে দেখতে তার বাবা-মা হাসপাতালে গেলে সে তাদের চিনতে পারেনি। তার বাবা বলেন, ‘সে আমাদের চিনতে পারছিলো না। সে আমাকে তার ভাই মনে করেছিল’।
তিনি আরো বলেন, ‘ সে ঘুমন্ত অবস্থায় কাঁদছিলো আর কাউকে কাকুতি-মিনতি করে বলছিলো, ‘আমারে আর মাইরেন না। আমারে ছাইড়া দেন’।’
শাওনের বাবা আব্দুস সাত্তার তার মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত দাবি করে জানান, ‘তার নিরপরাধ ও প্রধান উপার্জনক্ষম সন্তানটিকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে পুলিশ’।
তিনি বলেন, ‘তার পুরো শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। শরীরের অনেক জায়গায় রক্ত জমাট অবস্থায় ছিল। তার এক চোখে ও দুই হাঁটুতে কালচে দাগ পড়েছে। তার কব্জিগুলোতেও কালচে দাগ ছিল। দেখে মনে হয় তার দুই হাতে রশি বেঁধে ঝুলিয়ে পেটানো হয়েছে।’
দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, হলি আর্টিসানের শেফ জাকিরুলকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে। সে বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। সুস্থ হলেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কেন তাকে জঙ্গিদের সহযোগী হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে- এমন প্রশ্নে ওই সূত্রটি বলছে, ঘটনার সময় তার আচরণ ছিল কিছুটা রহস্যজনক। তা ছাড়া মাত্র এক মাস আগে সে আর্টিসান রেস্টুরেন্টে চাকরি নিয়েছিল। জাকিরুলের বাড়িও উত্তরবঙ্গে। গুলশানের ঘটনায় নিহত দুই জঙ্গি খায়রুল ওরফে খায়রুজ্জামান ও শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ওরফে বিকাশের বাড়িও উত্তরবঙ্গে। তাই জাকিরুল সন্দেহের বাইরে নয়।
এ ছাড়া জিম্মি সংকট থেকে উদ্ধার তাহমিদ ও হাসানাত কিছু পুলিশের আচরণের সন্দেহে রয়েছে। ঘটনার সময় হলি আর্টিসানের ভেতর থেকে লেকের দিকে তাকিয়ে তাহমিদ কাউকে ইঙ্গিত করে কিছু বোঝানোর চেষ্টা করে। এ ছাড়া হাসানাতের আচরণও ছিল সন্দেহজনক। রেস্টুরেন্টের ভেতরেই তিনি পোশাক পরিবর্তন করেন। তার হাতে অস্ত্রও ছিল। তবে হাসানাত ব্যাখ্যা দিয়েছেন, জঙ্গিদের ভয়ে তিনি হাতে অস্ত্র নিয়েছিলেন।
হাসানাতের বাবা রেজাউল করিম আওয়ামীলীগ সমর্থিত একটি খবরের কাগজে স্বাক্ষাৎকারে বলেন, ছেলে কোথায় আছে জানি না। গুলশানের ঘটনার পর একবারই গোয়েন্দারা তাকে বাসায় নিয়ে এসে ল্যাপটপ নিয়ে যায়। ছেলের সন্ধান চেয়ে পুলিশ প্রধান ও ডিএমপি কমিশনারকে চিঠি দিয়েছি। জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে নর্থ সাউথ থেকে তার ছেলেকে বহিষ্কার করা হয়নি বলে দাবি রেজাউলের।
কলেজ-ভার্সিটি পড়ুয়া শিক্ষর্থী কোনো মুসলমান ঘরের ছেলেকে যদি বাবা মা দেখেন নামাজ পড়তে শুরু করেছে, যদি দেখেন কোরআন তেলাওয়াত করছে অথবা কোরআনের তরজমা পড়ছে, ইসলামী বই পড়ছে তাঁরা আতংকিত হয়ে যাবেন তাই না ?
ব্রেইনওয়াশের কথা বলা হচ্ছে। বলাহচ্ছে, বাচ্চা ছেলেগুলোর ব্রেইনওয়াশ করে তাদেরকে কূপথে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যুক্তি কি ? এরা প্রাপ্ত বয়স্ক এবং অতি আধুনিক সম্পদশালী ঘরের সন্তান।ব্রেইনওয়াশের জুজুর কাহিনী বানোয়াট নয়কি ? আসলেই এরা কারা? কারা মূল ক্রিড়নক? কাদের সৃষ্টি? কারা বেনিফিশিয়ারি?
হামলা করার পর শুরু হলো নাটকীয়তা - ”জঙ্গীরা” হামলা করেছে বলে মুহূর্তে খবর দিতে থাকে ভারতীয় মিডিয়া। তথ্য পায় কোথা থেকে কেউ প্রশ্ন করলো না। হামলা করার পর দায় স্বীকার করল ”আই এস”,পুলিশ দোষ দিল আওয়ামীলীগের নেতা র আপন বোনের জামাইয়ের ”জে এমবি” কে,জঙ্গীরা পড়ত বিলাস বহুল ভার্সিটিতে।
কিন্তু পরিকল্পনার তালিকা থেকে এক এক করে শুরু হলো ফায়দা লুট। নিষিদ্ধ হল ”পিস টিভি”আর ”জুম্মার খুতবায়” করা হল নজরদারি।
এরা স্টার জলসা, জি বাংলা সহ ভারতীয় সিরিয়াল চ্যানেগুলো গুলো বন্ধের দাবি জানাচ্ছে না, জানাচ্ছে ইসলাম প্রচারক পীস টিভি বন্ধের। বুঝতে হবে সমস্যা কোথায়।।
ড্যানিয়েল ডেনেট , রিচার্ড ডকিন্স , স্যাম হ্যারিস, ক্রিস্টোফার হেচেন্স সহ আবর্জনা প্রচারক চ্যানেগুলো থাকুক, ওদের দেখে দিন দিন সবাই নাস্তিক হয়ে গেলে যাক তাই না ?
ভারতের হিন্দি চ্যানেলের অশ্লীল সিরিয়াল সামাজিক অবক্ষয় আজ ভয়াবহ আকার ধারণ করে মগজে ড্রোন হামলা চালিয়ে অসামাজিক কার্যক্রম , পারিবারিক অশান্তি , সহ জগতের সকল অপকর্মের প্যাকেজে পরিণত হয়েছে।
কিন্তু কোথায় কথিত জর্দা মোল্লারা ? কোথায় মাজার পূজারীরা ? কোথায় পীর পুজারীরা ? কোথায় কথিত সুশীল সমাজ ?
রাষ্ট্র, সরকার, শাসনব্যবস্থা, আইন আদালত , সমাজ, পরিবার , ধর্ম, শিক্ষা, ঐতিহ্য গত সুস্থ সংষ্কৃতি, জন কল্যান মূলক রাজনীতি, দল মত নির্বিশেষে নিরাপত্তা, আইন, রাষ্ট্রীয় শান্তিরক্ষা, সুষ্ঠ তদন্ত, মানবিক বিচার, সারা বিশ্বের সাথে কূটনীতি ও বাণিজ্য, জনগণের আয়নার গণমাধ্যম সবকিছুই এখন ভয়ঙ্কর বিকৃত রূপ নিয়েছে।
সন্ত্রাসীরা কারা? ‘এরা জেএমবি! হরকতুল জিহাদ। প্রশিক্ষিত শিবির । আইএস । জামাত-বিএনপি। কিন্তু সবশেষে দেখা যাচ্ছে এরা আওয়ামীলীগের ঘরের লোক।
আওয়ামী এবং তাদের সহযোগীরা এক আজব মিশিন, এরশাদকে পিছনে ফেলে দিচ্ছে ।
যখন আওয়ামীলীগ ধরা পড়ে তখন তাদের বক্তব্য পাল্টে যায়।
সন্ত্রাসী কার্যকলাপে ধরা পড়লেই দেখা যায় আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগীরা।
আর পালিয়ে গেলে দোষ অন্য দলের। কিছু ঘটলেই আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে বলা হয় সব দোষ বিএনপি , জামায়াত , মাদ্রাসার ছাত্রদের। কিন্তু পড়লেই দেখা যায় আওয়ামীরা।
বিষয়: বিবিধ
১৮৪৫ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন