গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলাকারীর পরিচয় কি ? মনে আছে জে এম বি প্রধান আওয়ামীলীগের নেতার আপন বোনের জামাই।
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০৩ জুলাই, ২০১৬, ০১:৫৭:২৭ দুপুর
এরা মাদ্রাসার ছাত্র , বিএনপি জামায়াতের কোনো নেতার কেউ না। আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে বাইনোকুলার দিয়ে খুঁজে পায়নি। তার পর ও চেতনার ফিরিয়ালাদের মুখে শুনা যাবে কত কাল্পনিক কাহিনী।
বাংলাদেশ প্রথম জংগি সংগঠন জেএমবি প্রধান শায়খ আব্দুর রহমান।
আওয়ামীলীগ নেতা,অবৈধ সরকারের বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের বোন জামাই।
সবাই দেখুনতো জঙ্গি কারা
আওয়ামীলীগের সাবেক সংসদ সদস্য কয়েকটি খুনের সাথে জড়িত মকবুল হোসেনের শ্যালক ইমতিয়াজ বাবুল। তাছাড়া বাবুল দীর্ঘদিন মোহাম্মদপুর থানা আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আর বাবুলের শ্যালক টপটেরর কামাল পাশা। এই পাশা তখনকার আলোচিত দুই ভাই রুবেল এবং জুয়েলকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুই ভাইকে খুন করেছিলো। মামলা হলেও আওয়ামীলীগের ক্ষমতার চাপে মামলা উধাও।
মীর সামিহ স্কলাস্টিকা স্কুলের ছাত্র। মাত্র ও লেভেল সম্পন্ন করেছে ।
বাকি সকল জঙ্গীর ফেসবুক আইডি দেখলে দেখা যায় তারা কেউ ইসলাম ধর্মের প্রাক্টিসে ছিলোনা। মর্ডান ফুর্তিবাজ করা ছেলে তারা। নায়ক, নায়িকা ও বিভিন্ন মেয়েদের সাথে সেলফি তুলে দিন কেটেছে। কিছুদিন ধরে তারা সবাই পরিবার থেকে নিখোঁজ ছিল...
নির্বাস ইসলাম - ৫ মাস আগেও তার স্ট্যাটাস Every Life matters, কি এমন হলো এই কয়েকদিনে যে সে নিজেই মানুষের জীবন নিয়ে নিলো?
আন্দালীব আহমেদ এর ছবি তার ছোট বোনের সাথে। আধুনিক লেখাপড়া জানা ধনী পরিবারের সন্তান!
রাইয়ান মিনহাজ এর প্রোফাইল পিকচার তার মাকে নিয়ে, কনভোকেশন নিয়ে তোলা ছবি। আধুনিক পাঙ্কুবাজ ছেলে.
যতদূর দেখা যায় এরা প্রত্যেকেই পরিচিত একে অপরের সাথে এবং দামাল পার্টি মার্ক করা ছেলেরা ।
প্রত্যেকটা হাস্যজ্জ্বল মুখ। কারো ব্যাক্তি জীবনে ইসলামের কোন ছায়া দেখা যায়না। সবাই আওয়ামী ব্যাকগ্রাউন্ডের আধুনিক শিক্ষিত ছেলে।
নাম রোহান ইমতিয়াজ। সে স্কলাসটিকা স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী।
মা ও বাবার সঙ্গে রোহানের একাধিক ছবি ফেসবুকে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, রোহানের বাবা এস এম ইমতিয়াজ খান বাবুল রাজধানীর ৩১ নং ওয়ার্ডে (মোহাম্মাদপুর) গত বছরের ২৮ এপ্রিল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে অংশ নিয়েছিলেন।ফেসবুকে ছেলেকে ফিরে আসার আহ্বান বাবা ইমতিয়াজ বাবুলের
আওয়ামী লীগ সমর্থিত এই কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রতীক ছিল 'রেডিও'। তিনি ভোট ঘিরে স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানকের ছবি এবং স্বাক্ষর সম্বলিত লিফলেটও ছাপিয়েছিলেন।
সেখানে নিজের রাজনৈতিক পরিচয় হিসেবে ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন । ইমতিয়াজ খান বাবুল সর্বশেষ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বিদায়ী কমিটির যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত এই কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রতীক ছিল 'রেডিও'।
ইমতিয়াজ বাবুলের পক্ষে নানকের লিফলেট
৪ মাস ধরে নিখোঁজ ছিল মোবাশ্বির
রাজধানীর স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্কলাসটিকা স্কুলের ছাত্র মীর সামিহ মোবাশ্বির গত ৪ মাস ধরে নিখোঁজ ছিল। নিখোঁজের দিন মোবাশ্বিরের বাবা মীর এ হায়াত কবীর গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নম্বর ১৮৪৮) দায়ের করেছিলেন।
বি ; দ্রঃ কেউ রেস্টুরেন্ট সহ কূটনৈতিক, ভিআইপি এলাকার সিসি ক্যামেরা গুলোর ফুটেজ কোথায় এই প্রশ্ন করবেন না। করলে রাজাকার উপাধি দেয়া হবে।
১২ ঘন্টা বিলম্বে কমান্ডো অভিযানে শুধু জঙ্গিই মারা গেলো কেন ? এই প্রশ্ন করলে খুনিদের সহযোগী বলা হবে। গুম হয়ে যাবেন।
১২ ঘন্টা বিলম্বে কমান্ডো অভিযানে একজন ও সাধারণ মানুষ মারা গেলো না ? প্রশ্ন করলে করলে রাজাকার , জামায়াত বিএনপি উপাধি দেয়া হবে।
গুলশানের মত ঘটনায় যে কোন জঙ্গি , অধিকার আদায়ের বিপ্লবীরা তাদের বক্তব্য পেশ করে। তারপর তান্ডব চালায়। কিন্তু এই সব ধনী আধুনিক , লিপিস্টিক মার্ক করা ছেলেরা কি এই রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলো , নাকি তাদের কে অন্য কিছু বলে পাতানো নাটকে অভিনয় করতে বাধ্য করা হয়েছিল। চুপ এমন প্রশ্ন করা যাবে না কারণ দেশের মান সম্মান চলে যাবে। ওপারের ওদের দাদারা রাগ করবে।
খুনিরা পালিয়ে গেলো , কিন্তু খুনিদের সাথে মস্করা পার্টি মারা গেলো কেন ? চুপ থাকুন। বেনজির বলেছিলেন মিডিয়া দূরে যায়। ওয়ার শেষ ওরা পালাবে।
কমান্ডোদের গুলিতে সেখানে ছয় হামলাকারী নিহত হন এবং একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে শেখ হাসিনা, পুলিশ সহ সকল বাহিনী জানিয়েছে।
আরো প্রশ্ন হচ্ছে -
গ্রেপ্তার করা লোকটির পরিচয় প্রকাশ করতে এতো দেরী কেন ?
সেখানকার ফ্রিকোয়েন্সি (তরঙ্গ) জ্যাম করে দেওয়া।কিন্তু কেন করা হয়নি প্রশ্ন করা যাবে না। তাহলে বলা হবে জঙ্গি।
ওই রেস্তোরাঁ থেকে উদ্ধার লোকদের কি তাহলে হুমকি দিয়ে বিশেষ কোনো বক্তব্য মুখস্ত করানো হচ্ছে ?
বিষয়: বিবিধ
২২৫৩ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন