দেশের বৃহৎ তিন ইয়াবা কারখানার মালিক আওয়ামীলীগের মন্ত্রী মায়ার ছেলে রনি। তাহলে বদি কয়টা ? আওয়ামীলীগের ইয়াবার চেতনায় উন্নয়ের ভাবনা।
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ২৮ জুন, ২০১৬, ০৫:৩২:৫৭ বিকাল
আওয়ামীলীগের বিনা ভোটের খয়রাতি সরকারের মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার (লুঙ্গি মায়া ) ছেলের নাম রনি চৌধুরী। দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আন্ডারওয়ার্ল্ড। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কায়েম করেছে ত্রাসের রাজত্ব। মাদক কারবারের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ তার হাতে। ইয়াবা বানানোর অন্তত তিনটি কারখানা আছে তার।
তিন ইয়াবা কারখানার মালিক রনি চৌধুরী |
কালের কণ্ঠ
https://shar.es/1l3UUW
সেই হিসাবে প্রতি রাতে ওই কারখানায় ৫০ হাজারেরও বেশি ইয়াবা বড়ি প্রস্তুত হয়। পরে নিজস্ব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সেগুলো রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে সরবরাহ করা হয়।
‘সিসা হাউজ’ ও ইয়াবা কারখানা : গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, সাবেক এক মন্ত্রীর ভাই নাঈম ও ভাগ্নে সারোয়ার এবং রনি চৌধুরী মিলে ইয়াবা কারখানা বসিয়েছেন রাজধানীর গুলশানে। গুলশান-২ এর ৪৩ নম্বর সড়কে ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর বাড়িতে গড়ে তুলেছেন ‘সিসা হাউজ’। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সেখানে সিসাসহ নানা রকম মাদক বেচাকেনা চলে। পাশাপাশি চলে তরুণ-তরুণীদের উদ্দাম নৃত্য। তিন বছর ধরে কোনো বাধা ছাড়াই চলছে এ আখড়া।
সাত খুন মামলার আসামি নূর হোসেনের সঙ্গে লেনদেন : নারায়ণগঞ্জে সাত খুন মামলার অন্যতম আসামি নূর হোসেনের সঙ্গেও রনি চৌধুরীর সখ্য রয়েছে। র্যাব ১১-এর তৎকালীন অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ (চাকরিচ্যুত এবং সাত খুন মামলায় বর্তমানে কারাগারে) হলেন রনি চৌধুরী ভগ্নিপতি। সেই সুবাদে নূর হোসেনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে রনি ।
রনির সহায়তায় কারাগার থেকে পালানোর পরিকল্পনা তারেক সাঈদের : গোয়েন্দা সূত্র জানায়, সাত খুন মামলার অন্যতম আসামি তারেক সাঈদ তাঁর শ্যালক দিপু ও রনি চৌধুরীর প্রত্যক্ষ সহায়তায় জেল থেকে পালানোর পরিকল্পনা করছেন। চিকিৎসার নামে তারেক সাঈদ ইতিমধ্যে দিনের পর দিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আয়েশে কাটিয়েছেন। হাসপাতাল থেকে তিনি দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে শাহবাগ থানার পুলিশ একটি প্রতিবেদন পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠিয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
১৮৬৬ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন