নিহত মাহমুদা আক্তার মিতুর লাশ নিয়ে রাষ্ট্র এবং মিডিয়ার দাবা খেলা

লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ২৬ জুন, ২০১৬, ০৫:১৪:৪৬ বিকাল



যেমন করে আদালতের বারান্দায় , কারাগারের সামনে গলা ফাটিয়ে এরা লাইভ গল্প বলে একজন মানুষকে খুনি , লম্পট , ডাকাত বানিয়ে দিয়েছে। ওদের লাইভ সংবাদ শুনে মনে হয় সেই ধর্ষণের , ডাকাতির সময় ঐ মিডিয়া কর্মী পাশেই ছিল।

বাবুল আক্তারের নিহত স্ত্রী মিতু আজ বাংলাদেশের কতিপয় মিডিয়ার হাতে মরণোত্তর নিগৃহীত হলেন। তার চরিত্রে কলঙ্ক দেয়া হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তারকে গত ৫ই মে তাদের বাসার কাছে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা ।

সরকারি ভাবে ঘোষণা দিয়ে পুলিশ প্রায় ১৪ হাজার মানুষকে গ্রেফতার করে। সেই সাথে গ্রেফতার বাণিজ্যে কয়েক কোটি টাকা লুটে নেয় পুলিশ বাহিনী ।

‘অভিযান ছিল লোক দেখানো, বাণিজ্য হয়েছে পুলিশের’...

অভিযানের নামে গণগ্রেপ্তার করে ঈদের আগে ‘বাণিজ্য' করছে ..




এদিকে মিতু হত্যায় সরাসরি জড়িত সন্দেহে আবু মুছা (৪৫) ও এহতেশামুল হক ভোলা (৩৮) নামে দুই ব্যক্তিকে ইতোমধ্যেই আটক করেছে পুলিশের একটি ইউনিট। এরা দু’জনই এসপি বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। ধারণা করা হচ্ছে, তৃতীয় কোনো পক্ষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভাড়াটে খুনি হিসেবে তারা মিতুকে হত্যা করেছে অথবা সাহায্য করেছে। তাছাড়া মিতু হত্যায় যে অস্ত্রটি ব্যবহার হয়েছে, সেটি নাকি বাবুল আক্তরের সোর্স বিভিন্ন সময় ভাড়া দিতো।

এর মধ্যে আবু মুছা দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। অনেক সময় ভাড়াটে খুনি হিসেবেও কাজ করেন। এসপি বাবুল আক্তারের হাতে একবার গ্রেপ্তারও হয়েছিল । অন্যদিকে ভোলাও একজন সন্ত্রাসী ছিল। এখন সে ৩৫ নম্বর বকশিরহাট ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি। তার বিরুদ্ধেও রয়েছে একাধিক মামলা। বেশ কিছুদিন ধরে দু’জনই বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে কাজ করছে।

মিতু হত্যার জঙ্গি স্লোগান তুলে সারা দেশে পুলিশি ঈদ বাণিজ্যে সাঁড়াশি তান্ডবে প্রায় ১৪ হাজার মানুষকে কারাগারে পাঠানো হলো।

যেসব কাহিনী মিডিয়া প্রচার করেছে।

যেভাবে মিডিয়ার অপকর্মের সূত্রপাত -









নিহত মাহমুদা আক্তারের চরিত্রে কালিমা লেপন সম্পন্ন করা হয়েছে।

আওয়ামীলীগের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে

পরকীয়া নাটকের সূত্রপাত করেন পিআইবির ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার এবং তার অনুগত রমেন দাশ গুপ্ত।


http://www.amadershomoy.biz/beta/2016/06/26/627769/#.V2_FwPkrJiw



টুয়েনটিফোরডটকম , বিডি লাইভ , বাংলাদেশ প্রতিদিন , সহ আরো কয়েকটি অনলাইনের রিপোর্টে বলা ছিল, স্ত্রীর পরকীয়া নিশ্চিত হয়ে নিজের সোর্সদের মাধ্যমে স্ত্রীকে খুন করিয়েছেন এসপি বাবুল আক্তার। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এসব স্বীকার করেছেন।











ভুয়া নিউজ পরিবেশনের দায়ে এখন কেন এদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা.....?

কোথায় আজ তথ্যমন্ত্রণালয়ের কথিত তেনারা ?





পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের পারিবারিক সূত্রের খবরের বিবরণী -

নিজের স্ত্রী হত্যা মামলার বাদী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। তার করা মামলার আসামীদের নাকি গ্রেপ্তার করেছে, তারই সহকর্মী পুলিশ সদস্যরা। সেই আসামীদের সনাক্ত বা সে বিষয়ে আইজিপি কথা বলবেন বলে, ওসি পুলিশ সুপারকে ডেকে বা ধরে নিয়ে গেল মাঝ রাতে। তারপর থেকে পরিবারের সঙ্গে পুলিশ সুপারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ফোন বাজে কেউ ধরে না। ওসি ফোন ধরে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সকালে জানালেন, বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার মানে সারা রাত এবং দিনের বিকেল পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ চলেছে। পরিবার এবং দুই শিশু সন্তানের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে। এর মধ্যে আবার হলুদ গল্পবাদিকদের আগমণ ঘটানো হয়েছে। নিহত মাহমুদা আক্তার মিতুর চরিত্রে কালিমা লেপন সম্পন্ন করা হয়েছে।

মিডিয়া দিয়ে মিতুর চরিত্র হননের পর বের করা হলো বাবুল আক্তারকে





আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতারের কথা অস্বীকার করে।কিন্তু ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেন, ‘সেসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে বাবুলকে নিয়ে আসা হয়েছিলো। আইন মেনেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে,’।



সংবাদ মাধ্যমে ‘স্ত্রী মিতু হত্যা পরিকল্পনার ছক স্বামী বাবুল আক্তার নিজেই করেছিলেন’ এমন সংবাদ প্রচার হয়েছে।

মেয়ে মিতুকে হত্যার পরিকল্পনার ছক জামাতা বাবুল আক্তার নিজেই করেছিলেন’, কয়েকটি গণমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রচার হয়েছে। মেয়ের বাবা হিসেবে এমন অভিযোগ বিশ্বাস করেন কিনা জানতে চাইতেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন বাবুল আক্তারের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন।



আওয়ামীলীগের অনলাইন এক্টিভিস্ট সুশান্ত বাবুল আক্তারকে দেখে নেবার হুমকিও দিয়েছিল।




দ্বিতীয়ত, বাবুল আক্তারের স্ত্রীকে হত্যার মূল আসামী শনাক্ত হয়ে যাবার পর মহাজোট সরকার বিপদে পড়ে যায়। কারণ হাসিনা থেকে শুরু করে পুলিশের আইজি পর্যন্ত বলেছিল ঘটনার সাথে জামায়াত- শিবির জড়িত। এখন তাদেরই পুলিশ তদন্ত করে দেখছে জড়িত স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতারা। আর এ কারণেই বাবুলকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমত চেষ্টা করা হয় বাবুলকে ম্যানেজ করতে। যাতে মূল আসামীদের ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখা যায়। সে চেষ্টায় রাজি না হওয়ায় বাবুলকেই ফাঁসিয়ে দেয়া হয় নিজ স্ত্রী হত্যার সাথে।



বিকেলে ডিবি ডিসি (পূর্ব) মাহবুবুল আলমের গাড়িতে করে বাবুলকে শ্বশুর বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়।


এর আগে, শুক্রবার রাত ১টার দিকে বাবুল আক্তারকে শ্বশুরবাড়ি থেকে ডেকে নেয়া হয় ডিবি কার্যালয়ে। পরদিন শনিবার বিকেল ৪টায় তিনি শ্বশুরকে ফোন করে বলেন, ‘আমি রিলিজ হয়েছি। এখন বাসায় ফিরছি।’

রাতের বেলা ডিবি কার্যালয়ে টানা ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদে মানসিকভাবে ‘আপসেট’ হয়ে পড়েছেন পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার। এমনটাই জানিয়েছেন তার নিকটজনেরা।

গত শুক্রবার রাতে রাজধানীর খিলগাঁও মেরাদিয়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে ডিবির লোকেরা তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর শনিবার বিকেলে বাসায় ফিরেন বাবুল আক্তার। ফিরে গোসল করেই দরজা বন্ধ করে শুয়ে পড়েন তিনি।



রোববার বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশারফ হোসেন বাংলামেইলকে জানান, বেলা দেড়টায়ও তিনি রুম থেকে বের হননি।

তিনি বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার বিকেলে বাসায় ফেরে বাবুল। এরপর গোসল করে দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়েছে। এখনও সে দরজা খোলেনি।’



>>>>>>>>><<<<<<<<<>>>>>>>><<<<<<



দেশে যেসব অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, তার সঙ্গে আওয়ামী লীগ, উগ্র হিন্দু আসকান , ভারতীয় "র" , ছাত্রলীগ ও পুলিশ জড়িত।

চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় সরাসরি জড়িত সন্দেহে আবু মুছা (৪৫) ও এহতেশামুল হক ভোলা (৩৮) নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশের একটি ইউনিট।

মুছাকে মঙ্গলবার সকালে চকবাজার এলাকা থেকে ও একইদিন বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রাজাখালী গুলবাহার কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায়।

চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় সরাসরি জড়িত সন্দেহে আবু মুছা (৪৫) ও এহতেশামুল হক ভোলা (৩৮) নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশের একটি ইউনিট।

ভোলা একজন সন্ত্রাসী ছিল। সে এখন ৩৫ নম্বর বকশিরহাট ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা।

আবু মুছা দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। অনেক সময় ভাড়াটে খুনি হিসেবে কাজ করে। তার বাড়ি রাঙ্গুনিয়ার রানীহাট এলাকায়। দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আবু মুছা এসপি বাবুল আক্তারের হাতে একবার গ্রেফতারও হয়েছিল । বেশ কিছুদিন ধরে দু’জনই বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে কাজ করছে। পুলিশের ওই বিশ্বস্ত সূত্র যুগান্তরকে আরও জানিয়েছে, ভোলা ও মুছাকে নগরীর বন্দর থানায় রাখা হয়েছে।

"রাষ্ট্রের মাথা কী পুরোটাই নষ্ট নাকি বিদেশ ইঙ্গিতের বাহিরে যেতে বাধা পাচ্ছে। পুলিশের এসপি বাবুল আখতারের স্ত্রীর হত্যাকাণ্ডের পর সারাদেশে কম্বিং অপারেশন চালানো হলো। ১৪ হাজার গ্রেফতার করা হলো. আর এখন স্ত্রী হত্যার দায়ে সন্দেহভাজন হিসাবে আটক করা হয়েছে বাবুল আখতারকে ?



একজন এসপিকে আটক করতে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের অনুমতি লাগে। সেটি দেয়া হয়েছে বলে তাকে আটক করা হয়েছে। কিন্তু খেলাটা কোথাকার দেখতে জানতে হবে। চট্টগ্রামের বাবুলের কাজকর্মে সেখানকার পুলিশ সহ কোন মহলই স্বস্তিতে ছিলোনা। তারাই এখন বাবুলকে ফাঁসাচ্ছে কীনা জানতে হবে। এর পিছনে কারা জড়িত ?

‘ক্রসফায়ার’ নয়, সন্দেহভাজন জঙ্গি গোলাম ফায়জুল্লাহ ফাহিমকে হত্যা করা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ সাজানো ঘটনা।

ফায়জুল্লাহ ফাহি মের মতই মুছা (৪৫) ও এহতেশামুল হক ভোলা (৩৮) নামে দুই ব্যক্তিকে ‘ক্রসফায়ার’ নাটকে হত্যা করা হবে ?

সবশেষে সহজেই প্রশ্ন জাগে -

অতীতে ব্যক্তি গত বৈঠকে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের বারবার বলেছেন, সব জায়গায় আমার পক্ষে হাত দেয়া সম্ভব নয়।

অনেককে আমি ধরলেও রাখতে পারব না । হয়তো উপরের মহলও বিস্মিত হয়ে যাবে তাদের মুখ দেখে। তবে কোন উপরের মহল সেটি কখনও পরিষ্কার করেননি তিনি।

আমি হেড অব দ্য গভর্নমেন্ট, আমার কাছে নিশ্চয়ই তথ্য আছে- শেখ হাসিনা

গত কয়েক দিন ধরে গুপ্তহত্যার ঘটনায় দেশের দু’টি দলের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন অভিযোগ এনে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একটা কথা ভুলে গেলে চলবে না। আমি হেড অব দ্য গভর্নমেন্ট (সরকারপ্রধান)। আমার কাছে নিশ্চয়ই তথ্য আছে। তদন্তের স্বার্থে হয়তো সব কথা সব তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। কিন্তু সূত্রটা জানা যায়। আর সেই সূত্র ধরেই আমরা কথা বলি।’

বুধবার দুপুরে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।



খুন হওয়া এসপির স্ত্রীর বাসায় প্রতিদিন সকালে আসতেন একজন পুলিশ কনস্টেবল। এসপির ছেলেকে স্কুলে নিয়ে যেতে। রোববার তিনি আসেননি। কেনো আসেননি এই নিয়ে প্রশ্ন কি খুজবেন ?

পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে বর্বরোচিত কায়দায় খুনের সাথে কারা জড়িত , কত টাকার লেনদেন হয়েছে ?

চট্টগ্রামের এ বি এম মহি উদ্দিন , কক্স বাজারের বদি সহ কার্যক্রমে আওয়ামীলীগের রাগব বোয়াল জড়িত। টাকার যোগান দেয় ইয়াবার ব্যবসায় আঙ্গুল ফুলে কয়েক শত টাকার মালিক বদি। তাদের সাথে খুনের সার্বিক সহযোগী

পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি (প্রশাসন) বিনয় কৃষ্ণ বালা,পিআইবির ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার ইকবাল বাহার , গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মোকতার আহমেদ, সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাশ ভট্টচার্য। এবং খুনের পরিকল্পনার বিষয়ে শেখ হাসিনা ও তার একজন উপদেষ্ঠা ,ভারতীয় দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) রাজেশ উকাইয়া অবগত ছিলেন।

http://www.amadershomoy.biz/beta/2016/06/26/627769/#.V2_FX_krJiw

আবার সেই সাগর -রুনীর ঘটনার মতো পরকীয়া নাটক প্রচার হতে পারে। সেই সাথে চক অনুযায়ী কিছু মিডিয়া সেটাকে হাইলাইটস করবে।

কনস্টেবলের না আসার কারণ কি?

অসুস্থতা, দেরী, ডিউটি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) আদেশ, না অন্য কিছু?

আমানবাজারের ঘটনায় নানামুখি চাপের মধ্যেও ওই জঙ্গি আস্তানায় পাওয়া আলামত ও জঙ্গিদের সঙ্গে মোবাইলে কথোপকথনের তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে কিছু ব্যক্তির নামের একটি তালিকা আইজিপিকে দিয়েছিলেন বাবুল আক্তার।

অতি উত্সাহী বাবুল আক্তার যে তালিকা ডিজিকে দিয়েছিলেন , সেই তালিকায় আওয়ামীলীগের খুনি চক্র এবং তাদের অবস্থান উল্লেখ ছিল। সেই সাথে যারা বাবুল আক্তারের স্ত্রীকে খুন করেছে , তাদের খবরের সুত্রে বাবুল আক্তার কয়েক জনকে গুম করে লাশ গায়েব ও করেছিলেন। পরের লেখায় তাদের নাম উল্লেখ করা হবে।

শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে তড়িৎ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আইজিপি তাকে আশ্বস্তও করেছিলেন। কিন্তু এরপর একটি বিশেষ অভিযান হয়েছে জানলেও মূল জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।

তখন চূড়ান্ত হয় খুনের।

(চলবে )

বিষয়: বিবিধ

২২২৪ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

373201
২৬ জুন ২০১৬ বিকাল ০৫:৫৪
কুয়েত থেকে লিখেছেন : লেখাটি ভালো লাগলো চট্টগ্রামের এ বি এম মহি উদ্দিন , কক্স বাজারের বদি সহ কার্যক্রমে আওয়ামীলীগের রাগব বোয়াল জড়িত। টাকার যোগান দেয় ইয়াবার ব্যবসায় আঙ্গুল ফুলে কয়েক শত টাকার মালিক বদি। তাদের সাথে খুনের সার্বিক সহযোগী ধন্যবাদ
২৬ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৩২
309807
মাহফুজ মুহন লিখেছেন : হত্যা কাণ্ডের মূল খুনি আওয়ামীলীগের এবং জড়িত বাহিনীর নাম প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে দেখে আওয়ামীলীগের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে
পরকীয়া নাটকের সূত্রপাত করেন পিআইবির ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার এবং তার অনুগত রমেন দাশ গুপ্ত।
২৬ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৩২
309808
মাহফুজ মুহন লিখেছেন : হত্যা কাণ্ডের মূল খুনি আওয়ামীলীগের এবং জড়িত বাহিনীর নাম প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে দেখে আওয়ামীলীগের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে
পরকীয়া নাটকের সূত্রপাত করেন পিআইবির ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার এবং তার অনুগত রমেন দাশ গুপ্ত।
373202
২৬ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৩২
মাঈনউদ্দিন মিয়াজী লিখেছেন : হুম
২৬ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:১৩
309810
মাহফুজ মুহন লিখেছেন : ৮ জুন বুধবার গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত গুপ্তহত্যা ও টার্গেট কিলিং হত্যা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, ‘গুপ্তহত্যার বিষয়ে আমার কাছে অনেক তথ্য আছে। একটি বিষয় ভুলে গেলে চলবে না আমি হেড অব দ্য গভর্নমেন্ট। সরকারপ্রধান হিসেবে বিভিন্ন সংস্থার তথ্য আমার কাছে আসে। তদন্তের স্বার্থে সবকিছু বলতে পারি না। তবে গুপ্তহত্যাকারী ও সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এদের কেউ ছাড় পাবে না।’ তিনি বলেন, ‘এদের হত্যা করার প্রক্রিয়া একই রকম। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট এবং দেশের অগ্রগতি বিনষ্ট করার জন্য এগুলো ঘটানো হচ্ছে। এমনকি বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, এতে তাদের মদদ রয়েছে। তারা যখন মানুষ পুড়িয়ে মারছিল তখন দেশবাসী যেভাবে জেগে উঠেছিল, ঠিক সেভাবেই আবার জেগে উঠতে হবে। একই বক্তব্য দিচ্ছেন সরকারের মন্ত্রীরাও।

যদিও ৫ জানুয়ারির নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সহিংস ঘটনায় সরকারের বিশেষ সংস্থার হাত রয়েছে দাবি করে বিএনপি সে সময় এক বিবৃতি দিয়েছিল। শেখ হাসিনর বক্তব্যের একদিন জবাব দেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক আলোচিত সব গুম-খুনের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা জড়িত। তাদের গ্রেফতার করলেই সত্য বেরিয়ে আসবে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এসপির স্ত্রী হত্যায় কারা জড়িত তা এখন কেন বের করা গেল না? হাসিনার সঙ্গে যারা আছেন তারাই হলেন গুম-খুনের ওস্তাদ। পেট্রলবোমার আবিষ্কারক।’ অতঃপর জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে শুরু হয় পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান। এ অভিযান চলে সাতদিন। এই সাতদিনে গ্রেফতার হয়েছে প্রায় ১৪ হাজার জনগণ ।
373207
২৬ জুন ২০১৬ রাত ০৮:০১
শেখের পোলা লিখেছেন : এসব ভেল্কিবাজির শেষ কোথায় কে বলবে। দেশ কববে আতঙ্ক কাটিয়য়ে উঠবে কে জানে? এ নাাটক বন্ধ হোক।
373209
২৬ জুন ২০১৬ রাত ০৮:০৭
হতভাগা লিখেছেন : সাধারণ জনগনকে ভালই ঘোল খাওয়ানো হচ্ছে
373255
২৭ জুন ২০১৬ সকাল ০৭:০৩
কাঁচের বালি লিখেছেন : পুলিশ মানুষের বন্ধু না হয়ে শত্রু হিসেবে কাজ করে! এদের তো আরও কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত, আইনের পোশাকে বেআইনি কাজ করে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File