লেন্দুপ দর্জি ও সিকিমের ভাগ্য মাত্র ১৯৭৪ সালে পাতানো নির্বাচনে সংসদের হাতেই শেষ।
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ২৯ মে, ২০১৬, ০৪:২৪:৫৬ রাত
৭০৯৬ কিলোমিটার আয়তনের এই দেশটি ছিলো স্বাধীন স্বার্বভৌম একটি দেশ। ১৮৪৪ সালে তিব্বত দখলের জন্য বৃটিশরা দখল করে দেশটি। কিন্তু ৪ বছর পরেই আবার স্বাধীনতা ফিরে পায় সিকিমবাসি। ১৯৪৭ সালে ইংরেজরা ভারত ছেড়ে চলে গেলে স্বাধীনতা অথবা ভারত প্রশ্নে সিকেমে গণভোট হয় এবং সিকিমের জনগণ স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দেয়।
লেন্দুপ দর্জি ১৯০৪ সালের ১১ই অক্টোবর সিকিমের পালইয়ংয়ে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি সিকিম ন্যাসনাল কংগ্রেসের প্রতিস্ঠাতা।
ইন্দিরাগান্ধী সরকার ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী দিয়ে সিকিমের ভিতরে অরাজকতা বিভক্তি তৈরী করে। রাজপ্রাসাদের সামনে দাঙ্গা লাগিয়ে দেয় ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী।
১৯৭০ সালে লেন্দুপ দর্জির সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেস দল দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে। রাজপ্রাসাদের সামনে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়লে ইন্দিরাগান্ধী সরকার রাজার নিরাপত্তায় সৈন্য পাঠায়। সিকিমের রাজা লেন্দুপ তখন গৃহবন্দী হন। এরপর ভারত সরকার বিএস দাশ নামের একজনকে সিকিমের প্রধান প্রশাসক নিয়োগ করে। ভারতের তাঁবেদার লেন্দুপ দর্জির নেতৃত্বাধীন সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেস (এসএনসি) ১৯৭৪ সালে পাতানো নির্বাচনে সংসদের ৩২ আসনের মধ্যে ৩১টি আসনে বিজয়ী হয়।
সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে গণতন্ত্রের সংগ্রাম চলছে, চলবে এই শ্লোগান দিয়ে লেন্দুপ দর্জির নেতৃত্বে ২৭ মার্চ ১৯৭৫ সালে রাজতন্ত্র বিসর্জন দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে। রাজা লেন্দুপ দর্জিকে সেইদিনই ভারতীয় সেনারা গ্রেফতার করে এবং ভারতীয় সেনারা সিকিমে স্থায়ী ঘাঁটি স্থাপন করে। ১৯৭৫ সালের ৬ এপ্রিল লেন্দুপ দর্জি সিকিমকে ভারতের সঙ্গে একত্রীভূত করার প্রশ্নে গনভোটের আয়োজন করে এবং সিকিমবাসী ভারতের সঙ্গে মিশে যেতে চায় বলে রায় দেয়। ঐ বছরের ১৬ মে সিকিম হাজার বছরের স্বাধীনতা বিকিয়ে ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত হয়।এভাবেই একটি স্বাধীন দেশের অপমৃত্যু ঘটে। ভারতের সাথে অতাত ও তাবেদারী করার ফলাফলে স্বাধীন দেশের অপমৃত্যু ঘটে।
A “Double Game”
In fact, India was playing a “double game”. On one hand, it was supporting Lhendup in whatever way possible against the King. On the other hand, it was assuring the king that monarchy would survive in Sikkim. The Chogyal was also an honorary Major General of the Indian Army. He never thought that his ‘own army’ would act against him. It was only an illusion
The Chogyal of Sikkim was in his palace on the morning of 6 April 1975 when the roar of army trucks climbing the steep streets of Gangtok brought him running to the window. There were Indian soldiers everywhere, they had surrounded the palace, and short rapid bursts of machine gun fire could be heard. Basanta Kumar Chhetri, a 19-year-old guard at the palace’s main gate, was struck by a bullet and killed – the first casualty of the takeover. The 5,000-strong Indian force didn’t take more than 30 minutes to subdue the palace guards who numbered only 243. By 12:45 pm it was all over, Sikkim ceased to exist as an independent kingdom.
Sudheer Sharma is the editor in chief of ‘Kantipur’, the largest selling daily newspaper in Nepal.
ভারতের প্রখ্যাত সাংবাদিক সুধীর শর্মা তার Pain Of Loosing Nation
The Pain of losing a Nation
by Sudeer Sharma
[Originally published in September 2007]
The last Prime Minister of the Himalayan Kingdom of Sikkim, Kazi Lhendup Dorji, met an ignominious Death.
বইতে লিখেছেন, “আমাকে লেন্দুপ দর্জি নিজে বলেছেন যে, বছরে তিন-চার বার আমার সাথে “র” এর লোক দেখা করতো এবং দেশে অশান্তি, অরাজকতা ও সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে বলতো।জীবনের পড়ন্ত বেলায় (২০০৪ সালে) নেপালের একটি সাপ্তাহিকের সাথে কথা (বাণীবদ্ধকৃত) বলতে গিয়ে আত্ম অপরাধ স্বীকার করে দর্জি বলেন, সিকিমকে ভারতভুক্ত করার জন্য আমি সবকিছুই করেছি। কিন্তু কার্যসিদ্ধির পর ভারত আমাকে ভুলে গেছে, আমাকে উপেক্ষা করেছে। তিনি বলেন, আগে আমাকে লালগালিচা অভ্যর্থনা দেয়া হতো, এখন দ্বিতীয় সারির রাজনীতিকের সাথে সাক্ষাৎ করতে চাইলে আমাকে কয়েক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হয়।’
বিষয়: বিবিধ
১২৯৩ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন