ধর্মীয় সম্প্রীতি এবং সকল ধর্মের মর্যাদা রক্ষায় আমরা সবসময়ই সচেষ্ট থেকেছি । কিন্তু ধর্মীয় অনুভূতিতে’ আঘাতের উদ্দেশ্যে সব স্কুলের বই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ২১ মে, ২০১৬, ০৪:৩৭:২০ বিকাল
ইসলাম বিদ্বেষী শিক্ষানীতি, বিতর্কিত শিক্ষা আইন ২০১৬ ও শিক্ষানীতি ২০১০ বাতিল না করলে আমাদের সকল সন্তান আল্লাহকে ভুলে রাম-নারায়ণ শিখবে। ৯২% মুসলমানের দেশে অমুসলিমদের ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে’ আঘাতের রামরাজ্য বানানোর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দেয়া হবে না।
ধর্মীয় সম্প্রীতি এবং সকল ধর্মের মর্যাদা রক্ষায় আমরা সবসময়ই সচেষ্ট থেকেছি এবং আগামীতেও সে প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। কিন্তু ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে’ আঘাতের উদ্দেশ্যে নাস্তিকরা পরিকল্পিতভাবে এদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে চলছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে’ আঘাতের উদ্দেশ্যে সব স্কুলের বই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
৬ষ্ঠ শ্রেণীর বইয়ে সত্যেন সেনের ‘লাল গরুটা’ নামক একটি ছোট গল্পে মুসলিম শিক্ষার্থীদের শিখানো হচ্ছে, গরু হল মায়ের মত, তাই গরু জবাই করা ঠিক নয়; অর্থাৎ হিন্দুত্ববাদ। স্কুলের সিলেবাসও করা হয়েছে ইসলাম বিরোধী, যেখানে পড়ানো হচ্ছে নাস্তিক্য ও হিন্দুত্ববাদের মতাদর্শ।
বাংলাদেশের নব গঠিত জাতীয় পাঠ্যক্রম থেকে কী কী বাদ দেয়া হলো আর কী কী সংযুক্ত করা হলো দেখলেই জানা যাবে নাস্তিক্য ও হিন্দুত্ববাদের নিল নকশা।
পাঠ্যপুস্তকে বাংলা বই থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে-
১) দ্বিতীয় শ্রেণী: ‘সবাই মিলে করি কাজ’ – শিরোনামে মুসলমানদের শেষ নবীর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত্র।
২) তৃতীয় শ্রেণী: ‘খলিফা হযরত আবু বকর’ শিরোনামে একটি সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত।
৩) চতুর্থ শ্রেণী: খলিফা হযরত ওমর এর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত্র।
৪) পঞ্চম শ্রেণী: ‘বিদায় হজ্জ’ নামক শেষ নবীর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিতত্র।
৫) পঞ্চম শ্রেণী: বাদ দেওয়া হয়েছে কাজী কাদের নেওয়াজের লিখিত ‘শিক্ষা গুরুর মর্যাদা’ নামক একটি কবিতা। যা বাদশাহ আলমগীরের মহত্ব বর্ণনা উঠে এসেছে। এবং শিক্ষক ও ছাত্রের মধ্যে আদব কেমন হওয়া উচিত তা বর্ণনা করা হয়েছে।
৬) পঞ্চম শ্রেণী: শহীদ তিতুমীর নামক একটি জীবন চরিত্র। এ প্রবন্ধটিতে শহীদ তিতুমীরের ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘটনা উল্লেখ ছিলো।
৭) ষষ্ঠ শ্রেণী: ড. মুহম্মদ শহীদু্ল্লাহ লিখিত ‘সততার পুরষ্কার’ নামক একটি ধর্মীয় শিক্ষনীয় ঘটনা।
৮) ষষ্ঠ শ্রেণী: মুসলিম দেশ ভ্রমণ কাহিনী- ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’।
৯) ষষ্ঠ শ্রেণী: মুসলিম সাহিত্যিক কায়কোবাদের লেখা ‘প্রার্থনা’ নামক কবিতাটি।
১০) সপ্তম শ্রেণী: বাদ দেয়া হয়েছে মরু ভাষ্কর নামক শেষ নবীর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত্র।
১১) অষ্টম শ্রেণী: বাদ দেওয়া হয়েছে‘বাবরের মহত্ত্ব’ নামক কবিতাটি।
১২) নবম-দশম শ্রেণী: বাদ দেওয়া হয়েছে মধ্যযুগের বাংলা কবি শাহ মুহম্মদ সগীরের লেখা ‘বন্দনা’ নামক ধর্মভিত্তিক কবিতাটি।
১৩) নবম-দশম শ্রেণী: এরপর বাদ দেওয়া হয়েছে মধ্যযুগের মুসলিম কবি‘আলাওল’ এর ধর্মভিত্তিক ‘হামদ’ নামক কবিতাটি।
১৪) অষ্টম শ্রেণী থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বেগম সুফিয়া কামালের লেখা “প্রার্থনা” কবিতা।
১৫) নবম-দশম শ্রেণী: বাদ দেওয়া হয়েছে মধ্যযুগের মুসলিম কবি আব্দুল হাকিমের লেখা বঙ্গবাণী কবিতাটি।
১৬) নবম-দশম শ্রেণী: বাদ দেয়া হয়েছে শিক্ষণীয় লেখা জীবন বিনিময় কবিতাটি। কবিতাটিতে মোঘল বাদশাহ বাবর ও তার পুত্র হুমায়ুনকে নিয়ে লেখা।
১৭) নবম-দশম শ্রেণী: কাজী নজরুল ইসলামের লেখা বিখ্যাত ‘উমর ফারুক’ কবিতা।
এর বদলে বাংলা বইয়ে প্রবেশ করেছে-
১) পঞ্চম শ্রেণী: স্বঘোষিত নাস্তিক হুমায়ুন আজাদ লিখিত ‘বই’ নামক একটি কবিতা, যা মূলত মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন বিরোধী কবিতা।
২) ষষ্ঠ শ্রেণী: প্রবেশ করানো হয়েছে ‘বাংলাদেশের হৃদয়’ নামক একটি কবিতা। যেখানে রয়েছে হিন্দুদের দেবী দূর্গার প্রশংসা।
৩) ষষ্ঠ শ্রেণী: সংযুক্ত হয়েছে ‘লাল গরুটা’ নামক একটি ছোটগল্প। যা দিয়ে মুসলিম শিক্ষার্থীদের শেখানো হচ্ছে গরু হচ্ছে মায়ের মত, অর্থাৎ হিন্দুত্ববাদ।
৪) ষষ্ঠ শ্রেণী: অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ভারতের হিন্দুদের তীর্থস্থান রাঁচি’র ভ্রমণ কাহিনী।
৫) সপ্তম শ্রেণী: `লালু’ নামক গল্পে বাচ্চাদের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে পাঁঠাবলির নিয়ম কানুন।
৬) অষ্টম শ্রেণী: পড়ানো হচ্ছে হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ ‘রামায়ণ’ এর সংক্ষিপ্তরূপ।
৭) নবম-দশম শ্রেণী: প্রবেশে করেছে‘আমার সন্তান’ নামক একটি কবিতা। কবিতাটি হিন্দুদের ধর্ম সম্পর্কিত‘মঙ্গলকাব্যের অন্তর্ভুক্ত, যা দেবী অন্নপূর্ণার প্রশংসা ও তার কাছে প্রার্থনাসূচক কবিতা।
৮) নবম-দশম শ্রেণী: অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ভারতের পর্যটন স্পট ‘পালমৌ’ এর ভ্রমণ কাহিনী।
৯) নবম-দশম শ্রেণী: পড়ানো হচ্ছে ‘সময় গেলে সাধন হবে না’ শিরোনামে বাউলদের বিকৃত যৌনাচার।
১০) নবম-দশম শ্রেণী: ‘সাকোটা দুলছে’ শিরোনামের কবিতা দিয়ে ৪৭ এর দেশভাগকে হেয় করা হচ্ছে, যা দিয়ে কৌশলে ‘দুই বাংলা এক করে দেওয়া’ অর্থাৎ বাংলাদেশকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হতে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
১১) প্রাথমিক ও উচ্চবিদ্যালয় গুলোতে দেওয়া হয়েছে (নিজেকে জানুন) নামক যৌন শিক্ষার বই।
১২) নবম-দশম শ্রেণী: প্রবেশ করেছে ‘সুখের লাগিয়া’ নামক একটি কবিতা, যা হিন্দুদের রাধা-কৃষ্ণের লীলাকৃর্তন।
বিষয়: বিবিধ
১৩৭৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনুকূল পরিবেশে এরা এখন নিজেদের দক্ষতা দেখাচ্ছে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন