৪টি ব্রিগেড ছাড়া অন্য সব সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা শেখ হাসিনা দিয়েছেন । শান্তির বদলে আসবে অশান্তি।

লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০৯ মে, ২০১৬, ০২:১৫:৩৯ দুপুর



পার্বত্য চট্টগ্রাম অদুর ভবিষ্যতে কি হতে যাচ্ছে তার একটা ধারনা পেতে আমাদের নিচের কিছু টুকরো খবরের দিকে নজর দিতে হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভেঙ্গে নতুন রাষ্ট্র গঠনের পায়তারা নয় কি ?

http://www.bd2day.net/blog/blogdetail/detail/2601/muhon/48655#.VdggtPlVhHw

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির শান্তিচুক্তির নামে পাহাড়ে জঙ্গি পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের কাছে বাংলাদেশের ভূমি তুলে দেয়া হয়। ৩০ হাজার বাঙালী হত্যাকারী সন্তু লারমাদের পক্ষে আওয়ামী লীগ কেন ?

বাংলাদেশী বাঙালিদের ভূমিহীন অসহায় করে, পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের কাছে আওয়ামিলিগ দেশ বিরোধী চুক্তি করে। সংবিধান ও রাষ্ট্র বিরোধী পার্বত্য শান্তিচুক্তি

আওয়ামীলীগের নেত্রী আবার সেই নিল নকশার একধাপ এগিয়ে এখন দেশকে বিছিন্ন করে দিচ্ছেন।

রোববার ঢাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সের ভিত্তিফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, “সেনা ক্যাম্পগুলোর অধিকাংশই আমরা তুলে নিয়েছি। চারটা জায়গায় চারটা ব্রিগেড থাকবে। বাকিগুলো আমরা তুলে নিয়ে আসব।



শেখ হাসিনা বাংলাদেশ বিরোধী আরেকটি দেশের জন্য দিচ্ছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ে।


পার্বত্য চট্টগ্রামই বোধহয় পৃথিবীর একমাত্র সভ্য এলাকা যেখানে সন্ত্রাসীদের দাবীর মুখে সুষ্ঠুভাবে সন্ত্রাসকর্ম পরিচালনার জন্য আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রত্যাহার করা হয়! সেনাবাহিনী তো বাংলাদেশেরই একটা অংশ যা বাংলাদেশের যেকোন স্থানে থাকতে পারে এবং আছেও। শুধু পার্বত্য এলাকায় থাকলেই দোষ?

৮ মে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ৪টি ব্রিগেড ছাড়া অন্য সব সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করে নেওয়ার যে ঘোষণা শেখ হাসিনা দিয়েছেন অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিত বলে মনে করেন একসময় ওই এলাকায় ব্রিগেড কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক।



বিষয়: বিবিধ

১১৮৩ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

368495
০৯ মে ২০১৬ দুপুর ০২:৫৪
কুয়েত থেকে লিখেছেন : এই অবৈধ দালাল সরকার দেশের কল্যানে কোন কাজ করতে পারে নাই পারবেও না কারন পুতলিরা কোন দিনও নিজের ইচ্ছাই কোন কাজ করতে পারে না। ভালো লাগলো ধন্যবাদ
368500
০৯ মে ২০১৬ বিকাল ০৪:৫৬
এমরুল কায়েস ভুট্টো লিখেছেন : দেশ স্বাধীন হওয়ার পর (1973 সালে) শেখ মুজিবুর রহমান কে সন্ত লারমার বড় ভাই নারায়ণ লারমা বলেছিল, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত অনেক উপজাতি আছে, যাদের ভাষাও সংস্কৃতি আলাদা। যা আপনারা বুঝেন না। তাদের নিয়ন্ত্রনের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম এ স্বায়িত্ব শাসন দিয়ে আমাদের উপর ছেড়ে দিন।”
তার জবাবে শেখ মুজিব কড়া ভাষায় বলেছিল, “মাত্র দেশ স্বাধীন করেছি, লাখ লাখ জীবন দিয়ে যে দেশ স্বাধীন হয়েছে সে দেশকে আপনি ভাগ করার কথা কি ভাবে বলেন? তাছাড়া পার্বত্য অঞ্চলে তো শুধু উপজাতিরা বসবাস করে না। সেখানে অনেক বাঙ্গালীও রয়েছে।”
তখন নারায়ন লারমা খুব উদ্যত ভাষায় বলেছিল, আজ না হওক কাল, অথবা পঞ্চাশ বছর পর হলেও আমাদেরকে (উপজাতিদের)পার্বত্য চট্টগ্রাম দিয়ে দিতে হবে। নারায়ন লারমার চ্যালেঞ্জ সত্যি হতে 50 বছর লাগেনি। 25 বছরের মধ্যেই শেখ হাসিনা কর্তৃক শান্তিচুক্তি নামক কাল চুক্তি করে তারা স্বায়িত্ব শাসনের ভিত্তি স্থাপন করে। পরবর্তীতে 2001 সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পর বিড়ালকে মাছ পাহারা দেওয়ার মত করে হাজার হাজার বাঙ্গালী হত্যা কারী একজন বিছিন্নতাবাদি সন্ত্রাসীকে পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রী বানিয়ে সন্ত্রসীদের ভিত গড়ে দিয়ে দেশের স্বার্বভৌমত্ব কে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন।
এখন শোনা যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রান থেকে আরো সেনা বাহিনী প্রত্যাহার করা হবে। যেখানে সেনা বাহিনী থাকা সত্ব্যেও উপজাতিরা রশিদ দিয়ে বাঙ্গালীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে সেখানে সেনা বাহিনীকে প্রত্যাহার করা হলে বাঙ্গালীদের অবস্থা কি হবে একটু কিন্তা করে দেখুন।
যদিও 1975 সালে শেখ মুজিবের মর্মান্তিক মৃত্যুর পরও জিয়াউর রহমানও এই নীতি মেনে চলেছিল। আজ আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি শেখ মুজিবের অথবা জিয়াউর রহমান কেউ যদি বেচে থাকত তবে এসব সন্ত্রাসীদের কাছে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের অসহায় আত্মসমর্পন করতে হত না। খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনা যা করেছে বা করতেছে তা সন্ত্রাসীদের কাছে বাংলাদেশের আত্বসমর্পন ছাড়া আর কিছুই নয়।
368539
০৯ মে ২০১৬ রাত ০৮:২৫
শেখের পোলা লিখেছেন : ঐ খালের দ্বারাই কূমীর আসবে বলে মনেহয়।
368571
১০ মে ২০১৬ রাত ১২:৩৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : দেশটাই বিক্রি হচ্ছে!!
368806
১২ মে ২০১৬ সকাল ০৮:৪২
কাঁচের বালি লিখেছেন : শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন দেশের মানুষ শান্তি পাবে না

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File