জিল্লুর রহমানের শ্যালক , আওয়ামীলীগের নেত্রী আইভি রহমানের কনিষ্ঠ ভাই ফরিদের বিশ্বাসঘাতকতায় শেষ হয় মুক্তিযুদ্ধের দুর্ধর্ষ গেরিলা গ্রুপটিই।

লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০৭ মে, ২০১৬, ০৩:৪৬:০৬ দুপুর



ইতিহাস থেকে বিষয় গুলো আর কত গোপন ?

আওয়ামীলীগের নেতা আওয়ামীলীগের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের স্ত্রী সাবেক আওয়ামীলীগের নেত্রী আইভি রহমানের ভাই ছিলেন বিশ্বাসঘাতক। যে ২৯ শে আগস্ট ১৯৭১ সালে ঢাকা শহরে মুক্তিযোদ্ধাকে ধরিয়ে দেয়।

১৯৭১ সালে যে গেরিলা গ্রুপটি দেশের বিভিন্ন স্থাপনা এবং ঢাকা শহরে অবিশ্বাস্য দুঃসাহসিক অপারেশন করে, সেই গ্রুপকেই পাকিস্থানিদের হাতে বিশ্বাস ঘাতকতা করে ধরিয়ে দেয় ফরিদ।

আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আওয়ামীলীগের পরলোকগত নেত্রী আইভি রহমানের কনিষ্ঠ ভাই ফরিদের বিশ্বাসঘাতকতায় একইরাতে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনী এক আচমকা ঝটিকা অপারেশন চালিয়ে বন্দী করে ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ হয়েও প্রানে বেঁচে যেতে সক্ষম হয় মাত্র দুইজন, স্বপন ও কাজি কামালুদ্দিন।

সেই ইতিহাস থেকেই কিছু লিখিত অংশ তুলে ধরলাম।

আবার ঢাকায়

এক সপ্তাহের মধ্যেই ঢাকায় যাওয়া ঠিক হলো। সপরিবারে ঢাকা পৌঁছে মিনিফুপ্পুর বাসাতেই ডেরা বাঁধলাম কিন্তু স্বপন আর রোজির জোরাজুরিতে প্রথম দুইতিন দিন ওদের বাসায় থাকতে হল। কামরুল হক স্বপন বীর বিক্রম আমার একমাত্র ছোট ভাই বয়সে আমার চেয়ে বছর চারেকের ছোট একজন বহুল পরিচিত মুক্তিযোদ্ধা এবং একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। ৬০ এর দশকে ফৌজদার হাট ক্যাডেট কলেজ থেকে পাশ করে স্কলারশিপ নিয়ে বৈরুত আমেরিকান ইউনিভার্সিটি চলে যায়। সেখানকার পড়াশুনা শেষে উচ্চশিক্ষার্থে চলে যায় জার্মানিতে। সেখান থেকে ডিগ্রী নিয়ে দেশে ফিরে নিজের ব্যবসা শুরু করে একই সাথে ঢাকা ইউনিভার্সিটির IBA Department এ ভর্তি হয়ে MBA করার জন্য কিন্তু ডিগ্রী লাভের আগেই শুরু হয়ে যায় মুক্তিযুদ্ধ। যুদ্ধের প্রারম্ভেই স্বপন, বদি, কাজি, শাচো, জুয়েল, আজাদ, বাদাল, আলম, চুল্লু, সামাদ, মেওয়া, রুমি, ফাজলে, ফতেহ আলি, উলফাত, মোখতার, তৈয়ব আলি এবং তাদের আরও কয়েকজন বন্ধু ও পরিচিতজন ২নম্বর সেক্টরের অধীন ত্রিপুরার মেলাঘর ক্যাম্পে গিয়ে গেরিলা হয়ে যোগদান করে ট্রেনিং এর জন্য। ট্রেনিং শেষে তাদের ঢাকায় পাঠানো হয় খানসেনাদের বিরুদ্ধে অপারেশন করার জন্য। এদের সবাই আমার অতিপ্রিয় আপনজন। এই গেরিলা গ্রুপটি ঢাকা শহরে অবিশ্বাস্য দুঃসাহসিক অপারেশন করে খানসেনাদের মনে ত্রাসের সঞ্চার করে। ঢাকা শহরের প্রায় সবকয়টি দুঃসাহসিক অপারেশনের হোতা ছিল স্বপনদের দুর্ধর্ষ গেরিলা গ্রুপটিই। তাদের দুঃসাহসিক অপারেশনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল হোটেল ইন্টার কন্টিন্যেন্টালের অপারেশন, ফার্মগেট অপারেশন, সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার প্লান্ট অপারেশন, ডেমরা অপারেশন, গুলবাগ পাওয়ার হউস অপারেশন, ধানমণ্ডি অপারেশন, যাত্রাবাড়ী অপারেশন। এই অমিত সাহসী গ্রুপটি নিজেদের জীবন বাজী রেখে জেনারেল নুরুল ইসলাম শিশু এবং ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের পরিবার এবং বাচ্চাদের খান সেনাদের হাতে বন্দী অবস্থা থেকে উদ্ধার করে সাফল্যের সাথে তাঁদের সহি সালামত সীমান্তের ওপারে পৌঁছে দেয়। এই জানবাজ বিচ্ছু দলটির তৎপরতায় ভয় এবং আতংকে তটস্থ হয়ে উঠেছিল হানাদারবাহিনী এবং ঢাকার হেডকোয়ার্টারস এ অবস্থিত তাদের কমান্ডাররা। কিন্তু যুদ্ধের এক পর্যায়ে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের পত্নি আওয়ামীলীগের পরলোকগত নেত্রী আইভি রহমানের কনিষ্ঠ ভ্রাতা ফরিদের বিশ্বাসঘাতকতায় একইরাতে হানাদার বাহিনী এক আচমকা ঝটিকা অপারেশন চালিয়ে আমার আব্বা, বাসায় সেই রাতে অবস্থানরত সব আত্মীয়স্বজন কাজের লোকজনসহ গেরিলা দলটির বেশীরভাগ সদস্যদের শহরের বিভিন্ন অবস্থান থেকে বন্দী করে ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়। গুলিবিদ্ধ হয়েও প্রানে বেঁচে যেতে সক্ষম হয় মাত্র দুইজন, স্বপন ও কাজি কামালুদ্দিন। বেঁচে যায় এই বিচ্ছু দলের আরো কয়েকজন, যারা সেই কালরাত্রিতে ঢাকার বাইরে অবস্থান করছিলো। মীরজাফরের অবতার ফরিদের বিশ্বাসঘাতকতায় বন্দী মুক্তিযোদ্ধাদের কেউই জীবিত ফিরে আসতে পারেনি ক্যান্টনমেন্ট থেকে।

আওয়ামীলীগের সহযোগীরা কি ইতিহাস থেকে মুছে দেবে এই নারকীয় বিশ্বাস ঘাতকতা ?

আইভি রহমানের ভাই সেই বিশ্বাসঘাতক যে ২৯ শে আগস্ট ১৯৭১ সালে ঢাকা শহরের সব মুক্তিযোদ্ধাকে ধরিয়ে দেয় সেই ইতিহাস লোকানো হয়। [b] আজ যারা জাহানার ইমামের ছবি নিয়ে আম্মা আমমা করে বিরিয়ানি মঞ্চে চিত্কার দেন - তারা কেন রুমি সহ অন্য দের ঘাতক ফরিদের বিচার দাবি করে না।
আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জনাব জিল্লুর রহমানের স্ত্রীআওয়ামীলীগের পরলোকগত নেত্রী আইভি রহমানের কনিষ্ঠ ভাই ফরিদের চেয়ে কি আরো বড় রাজাকার বাংলাদেশে আছে ?

এতবড় খুনির ভাগ্নে এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সব কিছু। যার ভাই এত বড় অপরাধ করলো , সেই মহিলা আওয়ামীলীগের নেত্রী। যার স্ত্রীর পরিবার এত বড় অপরাধী , সেই ব্যক্তি হলেন আওয়ামী মনোনিত রাষ্ট্রপতি।

বিষয়: বিবিধ

২০২৯ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

368297
০৭ মে ২০১৬ বিকাল ০৪:৪৩
বিবেক নাই লিখেছেন : গিন্নীর পাদে গন্ধ থাকেনা৷ ওনারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল অতএব, তাদের সব কর্মই সঠিক অপকর্ম তাদের অভিধানে নেই৷ আমাদের চুপকরে থাকা ছাড়া পথও নাই৷
368303
০৭ মে ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:১৫
শেখের পোলা লিখেছেন : আওয়ামীদের সব কিছুই অবতারের লীলার মতন। ধরা ছোঁয়া নিষেধ।
368318
০৭ মে ২০১৬ রাত ০৯:৩৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : চুপ থাকেন!!!
কৃষ্ণ করলে লিলা খেলা!
368810
১২ মে ২০১৬ সকাল ০৮:৪৯
কাঁচের বালি লিখেছেন : এই সব অতীত ইতিহাস জানাতে হবে আওয়ামীলীগ কি জিনিস এবার যদি মানুষ টের পাই , যেই দল নিজেদের স্বার্থে জনগনের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File