এসব আলামত দেশের জন্য ভালো না। গোপন করে গণহারে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে ভারতীয়দের।
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ১৯ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:৩২:৪০ দুপুর
গোপন করে গণহারে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে ভারতীয়দের। কিন্তু এই ভয়ঙ্কর নিল নকশার শেষ কি তাহলে লেন্দুপ দর্জির সিকিম হবে বাংলাদেশ ?
বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গার ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে পুলিশে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে গণহারে । যাদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে তাদের কাউকেই চিনেন না সেই সব এলাকার স্থানীয় লোকজন। চেনেন না, স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, এলাকার বয়স্করা লোকজন । এমনই একটি ইনুসন্ধানী রিপোর্ট করছে যমুনা টিভি । সেখানে দেখা যাচ্ছে ঢাকার কয়েকটি উপজেলা যেমন দোহার, ধামরাই বেশ কিছু যুবক সম্প্রতি পুলিশে নিয়োগ পেয়েছেন। কিন্তু তারা ঐ এলাকার বাসিন্দা নন । এলাকার কেউই তাদের চিনেনও না । এমনকি তাদের দেয়া সব ঠিকানাই ভুয়া । টিভির রিপোর্টে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য হচ্ছে এদের ভাষাও কেউ বুঝতে পারেননি । একই সময় পুলিশের চাকরীর জন্য লাইনে দাঁড়ানো এক যুবকের ভাষ্য মতে, সেই অপরিচিত ব্যক্তিদের আচরণ রহস্যজনক। এমনকি তারা ভালো ভাবে বাংলাও বলতে পারেন না ( ভিডিওর ৫ মিনিট থেকে দেখুন) ! তাহলে স্বাভাবিক প্রশ্ন হচ্ছে, এরা কারা? পরিচয় গোপন করে এক জেলার লোকজন আরেক জেলার বলে পচিয়ন দিচ্ছে কেন? এভাবে কোন বাংলাদেশীর চাকরী নেয়ার দরকার হয়না ।
বিমান, নৌ ও স্থলবন্দরগুলোতে নজরদারি চালাতে ভারতের নাগরিক বাংলাদেশী সরকারী পোশাকে >>>>>>>
অসাধু পন্থায় নিয়োগ পেতে স্থানীয় ঠিকানাইবা ভুয়া দেখাতে হবে কেন? তাহলে কি সাম্প্রতিককালে ব্যাপক হারে বিরোধী দলের কর্মীদের তুলে নিয়ে গিয়ে গুম,খুন করছে যারা তারা পুলিশ বাহিনীর মধ্যে অন্য কেউ ? ভিন্ন দেশের কেউ?
স্বচ্ছতা, জনসম্মতি এবং জাতীয় স্বার্থ নিশ্চিত না করে ,জমি দখল ও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে জোর জবরদস্তিমূলক ভাবে তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, বন্দর ও খনিজ সম্পদ রক্ষার জুজুর ভয় দেখিয়ে ভারত বাংলাদেশের ভিতরে তাদের প্রকল্প গুলোর নিরাপথ্বার কথা বলে এক এক করে বাংলাদেশের বুকে আগ্রাসন করবেই।
এমনিতেই বাংলাদেশের মানুষের দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই, সে দেশে তখন আর মানুষের কোনো অধিকার থাকে না।সরকার স্বাধীন মত প্রকাশকে দমন করে স্বৈরাচারিতা প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে। সরকার উন্নয়নের নামে গণতন্ত্রকেও হরণ করছে।
বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে ট্রানজিট বিদ্যুৎ, বন্দর ও খনিজ সম্পদ রক্ষার আগাম প্রস্তুতি কি তাহলে ভারত আওয়ামিলিগ কে দিয়েই করে নিচ্ছে ?
লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে, সকল হত্যার বিরুদ্ধে, অপশাসনের বিরুদ্ধে জনতাকে হত্যার কাজটি যারা করবে , তারাই কি তাহলে এই ভারতীয় নাগরিক নামের বাংলাদেশী পুলিশ ?
আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে হতাহতের তালিকা সহজেই লম্বা হবে তাই না ?
সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর পরিচয়ে কি এরাই বাংলাদেশের নদী নালায় লাশ ফেলে রাখবে ?
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সহজ ভাবেই যা খুশি করতে পারবে তাই না ?
বিষয়: বিবিধ
১২৫৭ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এখন ভারতকে অনুরোধ করে তাদের একটা প্রদেশ হিসেবে কাগজে কলমে নিয়ে নেবার জন্য আবেদন করলেই পারে ামাদের সরকার । বাংলাদেশের কোন মানুষ এর প্রতিবাদ করবে বলে মনে হয় না।
মন্তব্য করতে লগইন করুন