ধর্ষণের আলামত মেলেনি তনুর প্রথম ময়নাতদন্তে। নাকে তেল দিয়ে ঘুমাও।
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০৪ এপ্রিল, ২০১৬, ০৬:২৪:২২ সন্ধ্যা
লাফালাফি করে লাভ নাই।
এখানে কুমার , সরকার , সাহা, কর্মকার , আখন্দ আছেন
ভিসেরার নমুনা পরীক্ষার জন্য রাজধানীতে সিআইডির কেন্দ্রীয় রাসায়নিক পরীক্ষাগারের প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক দিলীপ কুমার সাহার নেতৃত্বে দুই সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠিত হয়।
ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. কান্ত প্রসাদ সাহাকে সভাপতি করে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন কুমেকের সহযোগী অধ্যাপক ডা. করুণা রানী কর্মকার এবং প্রভাষক ডা. ওমর ফারুক।
লাফালাফি করে চেয়েছিলে ভারতের ধুতি খুলে সবাইকে জানিয়ে দিতে , পারলে না। কারণ ভারতের কৃতদাস এখন বাংলাদেশের ক্ষমতায়। সেনাবিরোধী একটি তান্ডব চালিয়ে এখন বিষয়টি হজম করার কাজ চলছে।
বলেছিলাম তদন্তে আছেন সেই আব্দুল কাহ্হার আখন্দ। যে পিলখানার সেনা বিডিআর হত্যাকান্ড শেখ হাসিনা ও ভারতের কথা মত শত ভাগ পূরণ করেছিল।
তনুর ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডা. কামদা প্রসাদ সাহা সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, “ওই প্রতিবেদনে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিভাগের প্রতিবেদনটি পুলিশে দেবেন।
অনলাইনের বন্ধুদের জন্য বলছি। তনু নামক মেয়েকে নিয়ে এটাই আমার শেষ লেখা। কিন্তু প্রশ্ন রেখে যাচ্ছি আগামী দিনের জন্য।
'কবর দিয়ে আবার লাশ তোলা হয়েছে।
তাহলে অনেক কাজ না করেই তাড়াহুড়ো করা হয়েছিল কেন ?
লাশের প্রথম সুরতহাল প্রস্তুতকারী পুলিশের এসআই সাইফুল ইসলাম কেন রিপোর্ট তৈরী করতে গড়ি মসি করেছিলেন ?
জেলার পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন বাংলাদেশের মিডিয়াকে জানিয়েছিলেন , যেখানে তনুর লাশ পাওয়া গেছে, সেখানে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়নি। সেখানে শুধু লাশটি ফেলা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত হয়েছি।
তাহলে কেন এত প্রহসন ? এর মধ্যে কি অন্য ভয়ঙ্কর কিছু শেষ হয়েছে , যা রাষ্ট্র জানে না ?
সেনসিটিভ ক্যান্টনমেন্ট এরিয়ার। এর মধ্যে লাশ যাবে কি করে ?
মরদেহ দাফনের ১০ দিন পর লাশ উত্তোলন করায় তা অর্ধগলিত ছিল।
ধর্ষণ করা হলে সাধারণত তার শরীরে 'স্পার্ম ম্যাটোজোয়া' ২৪ ঘণ্টা জীবিত থাকে। এ সময়ের পর মাইক্রোবায়োলজিক্যাল পরীক্ষায়ও ধর্ষণের আলামত নির্ণয় করা দুঃসাধ্য। সাধারণত ২৪ ঘণ্টা পর অসম্ভব, যদি না কারও শরীরে বাহ্যিকভাবে ধর্ষণের কোনো আলামত থাকে। এ ছাড়া মৃতদেহ পাওয়ার জায়গায় কিছু আলামত ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা হয়েছিল। এটা সাজানো নাটকের মতো করা হয়েছিল।
প্রথম দফায় ময়নাতদন্ত করেছিলেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. শারমিন সুলতানা শাম্মী। ময়নাতদন্তের পর থেকে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হচ্ছেন না। দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্ত করছে তিন সদস্যের একটি বোর্ড। সেখানে কামদা প্রসাদ সাহা ছাড়াও ছিলেন ডা. ওমর ফারুক ও ডা. শারমিন সুলতানা শাম্মী।
শেষ কথা ------------
যে দেশে প্রতিদিন ধর্ষণের পর খুনের ঘটনা বেড়েই চলছে ,
সেই দেশের কথিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন - কয়েকটি ধর্ষণ আর খুনের কারণ দেশের আইন অবনতি হয়েছে বলা যাবে না।
বিষয়: বিবিধ
১১৯৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যে দেশে সরকারের সহযোগিতায় প্রতিদিন অসংখ্য ধর্ষণ হচ্ছে সেখানে সরকারের সাজানো ঘটনায় নিহত তনুকে নিয়ে লাফালাফি করা অর্থহীন!! সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার একটি ষড়যন্ত্র, কিম্বা আরো ভয়ানক কিছুর প্রস্তুতি চলছে হয়তো!
মন্তব্য করতে লগইন করুন