পার্বত্য চট্টগ্রাম কি পূর্ব তিমুরের মতো স্বাধীন হতে যাচ্ছে? আরেকটি পুর্ব তিমূর বা ইসরাইল ?
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০৪ মার্চ, ২০১৬, ০১:৩১:৪৭ দুপুর
শান্তিচুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভেতরেই পাহাড়িদের আরেকটি রাষ্ট্র বানিয়ে দেয়া হলো। মাত্র ২০ বছরের মাথায় পূর্ব তিমুরকে ইন্দোনেশিয়া থেকে আলাদা করে দিয়ে জাতিসঙ্ঘের নেতৃত্বে একটি আলাদা রাষ্ট্র করে দেয়া হয়। কারণ, পূর্ব তিমুরের অধিকাংশ মানুষ খ্রিষ্টান। এভাবেই হয়ত আগামীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম পূর্ব তিমুরের মডেলে স্বাধীন করে দেওয়া হবে ।
কয়েক বছর পূর্বেই আগাম সতর্কতা , কিন্তু পিলখানার সেনা , বিডিআর হত্যা কান্ডের পর সব কিছু গায়েব হয়ে যাচ্ছে।
তত্কালীন সেনা বাহিনীর গোপন রিপোর্ট
পার্বত্য চট্টগ্রামে যাতে পূর্ব তিমুর ও দক্ষিণ সুদানের মতো কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে সেজন্য সরকারের ঊর্ধ্বতন নীতিনির্ধারণী মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে সেনা সদর দফতর। সেনা সদর দফতর থেকে বলা হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ও সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো অস্ত্রশস্ত্র জোগাড় করছে।
মিয়ানমার ও ভারতীয় কয়েকটি গ্রুপের কাছ থেকে পার্বত্যাঞ্চলে অস্ত্র আসছে। সম্প্রতি পূর্ব তিমুর ও দক্ষিণ সুদানের রাজনৈতিক পরিবর্তন লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, সেখানে এর সূচনা হয়েছিল প্রায় ৭৫-৮০ বছর আগে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে যাতে দক্ষিণ সুদান ও পূর্ব তিমুরের মতো কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে, তা এখন থেকেই সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে।
সেনা সদরের আশঙ্কা ও প্রস্তাব : বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিষয়ে সেনা সদরের বক্তব্য প্রসঙ্গে কার্যবিবরণীর ২য় পৃষ্ঠার ১০নং প্যারায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে সভায় উপস্থিত সেনা সদরের প্রতিনিধি সভাকে অবহিত করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নিয়মিত রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্ত অস্ত্র ও মাদকের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।’
একই কার্যবিবরণীর ১১নং প্যারায় সেনা সদরের প্রতিনিধির উদ্ধৃতি দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কে আরও বলা হয়েছে, ‘সেনা সদরের প্রতিনিধি সভাকে আরও জানান, সম্প্রতি দক্ষিণ সুদান ও পূর্ব তিমুরের রাজনৈতিক পরিবর্তন লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, এর সূচনা হয়েছিল প্রায় ৭৫ থেকে ৮০ বছর আগে। পার্বত্য চট্টগ্রামে যাতে এ ধরনের কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে, তা এখন থেকেই আাামাদের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে চিন্তা করতে হবে।
সেনা সদরের প্রতিনিধি আরও উল্লেখ করেন যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাসীদের কাছে আর্মস আসে মূলত মিয়ানমারের বিভিন্ন গ্রুপ থেকে। পাশাপাশি ভারতীয় কিছু গ্রুপও আর্থিক কষ্টে পড়লে পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাসীদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করে।
দাতা সংস্থাকে দায়ী করছে ডিজিএফআই : পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই’র প্রতিনিধির উদ্ধৃতি দিয়ে কার্যবিবরণীর ১২নং প্যারায় উল্লেখ করা হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, ইন্টারনেটের কারণে তথ্য আদান-প্রদান খুবই সহজ হয়েছে। কোনো কোনো বিষয়ে বিদেশি সাংবাদিকরা চট্টগ্রামে না গিয়েও তথ্য সংগ্রহ করছেন।
ইউএনডিপিসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে নিয়োগকৃত উপজাতীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকা থেকে এটা স্পষ্ট যে, এতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান উপজাতীয়রা চাকরির মাধ্যমে পুনর্বাসিত হচ্ছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম অদুর ভবিষ্যতে কি হতে যাচ্ছে তার একটা ধারনা পেতে আমাদের নিচের কিছু টুকরো খবরের দিকে নজর দিতে হবে। ---
ক. বাংলাদেশের ভিতর থেকে ইসরাইলের মতো আলাদা রাষ্ট্র হবে?
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের আলাদা রাষ্ট্র গঠনে সহায়তা চেয়ে সিআইএর কাছে চিঠি দিয়েছেন মাইনরিটি কংগ্রেস পার্টির আন্তর্জাতিক সম্পাদক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক ক্যাপ্টেন শচীন কর্মকার। ভারতের পূর্ব সীমানা সংলগ্ন বাংলাদেশ ভুখন্ডে ইরাকের কুর্দিস্তানের অনুরূপ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানদের জন্য একটি পৃথক স্বায়ত্তশাসিত সংখ্যালঘু এলাকা প্রতিষ্ঠায় মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএর সহায়তা চেয়েছে দলটি।
সাবেক ক্যাপ্টেন শচীন কর্মকার গত ২৭ জুলাই ২০০৭ এক ই-মেইল মেসেজের মাধ্যমে সিআইএ পরিচালকের কাছে এই সাহায্য চেয়ে পাঠিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সংখ্যালঘুরা বাংলাদেশে মুসলিম মৌলবাদের বিরুদ্ধে সেফটিক ভালভ। তাই আজ আমাদের সাহায্য করো, আগামীকাল আমরা তোমাদের সহায়তা করবো। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে নাৎসি জার্মানির পরাজয় ও মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল রাষ্ট্রের সৃষ্টি। গত প্রায় ৬০ বছর যাবৎ এই ইসরাইল মৌলবাদী আরব রাষ্ট্রগুলো ও গণতান্ত্রিক পাশ্চাত্যের মধ্যে সাফল্যজনকভাবে একটি বাফার রাষ্ট্র হিসেবে কাজ করে আসছে। যদি ইসরাইল না থাকত, তাহলে এর মধ্যেই আরবরা পাশ্চাত্যের বিরুদ্ধে আরেকটি ক্রুসেড বা মহাযুদ্ধ চাপিয়ে দিত।
ই-মেইল বার্তায় আরও বলা হয়, সিআইএর সামনে বাংলাদেশে দুটি পথ রয়েছে। এ দুটি পথ হচ্ছে- হয় বাংলাদেশকে বহুমাত্রিক গণতন্ত্রের জন্য চাপ দাও, অথবা কুর্দিস্তানের মতো পূর্ব ভারত সীমান্ত ঘেঁষে সংখ্যালঘুদের জন্য একটি আলাদা স্বায়ত্তশাসিত রাষ্ট্র গঠন কর। যদি এই দল ইউরোপ ও আমেরিকা থেকে রাজনৈতিক ও আর্থিক সাহায্য পায়, তাহলে তারা সহজেই এটা পালন করেতে পারবে। Free Jummaland (CHT) in line with East Timor
Bappi Chakma
Over two and one half decades, the indigenous people of the
Chittagong Hill Tracts, mostly Buddhists, Hindus and
Christians by faith, fought with Bangladesh for autonomy
and for protection of their distinct identity and culture
threatened with extinction for the latter’s policy of
so-called national integration, locally called
‘Islamization policy”. The policy encourages systematic
demographic invasion or settlement of millions of majority
ethnic Bengalis, locally called “settlers”, in the region
with state-fund and direct involvement of state-agencies
like military. It has virtually reduced the local people to
a minority (45% in 2001. Of the total population of the
CHT, Bengalis constituted 1.5% in 1941, 6.29% in 1951,
11.77% in 1961, 41% in 1981, 49% in 1991, and 65% in 2001)
with complete control over the local administration and
land and resources by Bengalis.
The 1997 peace agreement signed between indigenous leaders
and the government of Bangladesh provides provisions for,
among others, restoration of land right to indigenous
people, demilitarization of the CHT region and a local
government within the framework of a Regional Council and
three Hill District Councils.
পার্বত্য চট্টগ্রামে পাচ ইউরোপীয় রাষ্ট্রদূতদের গোপন বৈঠক
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ৫টি দেশের রাষ্ট্রদূতরা ২০০৭ সালে রহস্যজনকভাবে পার্বত্য সফর করেন। ২০ থেকে ২২ মার্চ ২০০৭ পর্যন্ত ৩ দিন ফ্রান্স, সুইডেন, নেদারল্যান্ড, ডেনমার্ক ও জার্মানির রাষ্ট্রদূতরা পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে যান। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে উল্লেখযোগ্য কোনো আলোচনা হয়নি। সফরকালে রাষ্ট্রদূতরা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি (জেএসএস) ও আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমার সঙ্গে দুদফা গোপন বৈঠক করেন। বৈঠককালে জনসংহতি সমিতির শীর্ষ নেতা রুপায়ন দেওয়ানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। এ প্রসঙ্গে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক হারুনুর রশিদ খান ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ৫টি দেশের রাষ্ট্রদূতের পার্বত্য চট্টগ্রাম সফরের কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রদূতরা আমাদের কাছে শুধু নিরাপত্তা চান। তারা আমাদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এছাড়া তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোনো বিষয়ে আলোচনা হয়নি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে রয়েছেন ডেনমার্কের জেনসন, নেদারল্যান্ডের মেজিংন্ডার, সুইডেনের ব্রিট হারসন, ফ্রান্সের জেকস এন্ডার, জার্মানির ফ্রাঙ্ক মিয়াকি। এদের নেতৃত্বে ছিলেন ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের ইসি ডেলিগেশন ড:স্টিফেন প্রোইন।
জানা গেছে, সেই ২০০৭ সালের ২০ মার্চ বিকাল ৩টায় ও ২১ মার্চ বিকাল ৫টায় জেএসএস নেতাদের সঙ্গে তারা দুদুফা মিটিং করেন। ২২ মার্চ এনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে তারা মতবিনিময় করেন। ৩টি বাঙালি এনজিওকে আমন্ত্রণ জানালেও রহস্যজনক কারণে মতবিনিময় থেকে তারা বিরত থাকে। বাঙালি ৩টি এনজিও হচ্ছে পাহারা, গেস্নাবাল ভিলেজ ও সাইনিং হিল।
তিন পার্বত্য জেলায় রয়েছে ১৪টি জাতিসত্তা। এর মধ্যে চাকমা, মারমা, রাখাইন, তংচইঙ্গা, পাংখোয়া, লুসাই ও বোমাং উল্লেখযোগ্য। তবে সাম্প্রতিক সময়ে পাংখোয়া, লুসাই ও বোমাং উপজাতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক লোক ধর্মান্তরিত হয়েছে। খাগড়াছড়ির পানছড়ি, মহালছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি, মানিকছড়ি, বাঘাইছড়ি ও সাজেক এলাকায় গভীর পাহাড়ে বসবাসকারী মানুষজনই আকৃষ্ট হচ্ছে ভিন্নধর্মে। এনজিও এবং মিশনারিদের সহায়তায় ধর্ম পরিবর্তনকারী মানুষের জীবনযাত্রার মান বাড়ছে। অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা ও বাসস্থানসহ বিভিন্ন সুবিধা পাচ্ছে অবহেলিত এসব পাহাড়িবাসী। মিশনারিগুলো সেই দুবর্লতাকে কাজে লাগাচ্ছে। বলা হচ্ছে, খিস্ট্রান হলেই কেউ তাদের জায়গাজমি থেকে উচ্ছেদ করতে পারবে না। খিস্ট্র ধর্ম গ্রহণকারীরা স্বেচ্ছায় গ্রহণ করছে বলে জানান।
পার্বত্য চট্টগ্রামকে যে আরেকটি পূব তিমুর বানানোর চেষ্টা হচ্ছে, এটা প্রথম দেখা যায় Peace Campaign Group নামের পার্বত্য বিছিন্নতাবাদীদের একটি গ্রুপের ইমেইলে ও ওয়েব সাইটে। তাদের মতে পার্বত্য অঞ্চলের গেরিলারা আবার সংগঠিত হচ্ছে একটি নতুন মন্ত্রে, আর সেটি হচ্ছে, পূব তিমুরের আদলে এলাকাটি স্বাধীন করা।
(Peace Campaign Group, Fri Apr 25, 2008, Free Jummaland (CHT) in line with East Timor, Bappi Chakma, Over two and one half decades, the indigenous people of the Chittagong Hill Tracts, mostly Buddhists, Hindus and Christians by faith, fought with Bangladesh for autonomy and for protection of their distinct identity and culture threatened with extinction for the latter
পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে বিদেশী ষড়যন্ত্র চলছে । আমরা এখানে পূর্ব তিমুর বা ইসরাইল হতে দিতে চাইনা। কারো হস্তক্ষেপ সহ্য করবো না। বাঙালীরা এখানে থাকবে কি থাকবেনা এটা দেখা আমাদের দায়িত্ব।’(সুত্র, আরটিএনএন, ১৮/০৯/২০০৯)
গরুর গোয়াল ঘরে গাদাগাদি করে বসবাস করছে পার্বত্য বাংগালী জনগোষ্টি
সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের ফলে তাদের নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এখন তাদের নিরাপত্তা কে দেবে? তারা তখন বিএসএফর আক্রমণের শিকারে পরিণত হবে। ফলে নিরাপত্তার জন্য বাঙালি রিফুজিরা ভেতরে চলে আসছে। ওই এলাকা বাঙালিশূন্য হয়ে যাচ্ছে। আর পার্বত্য এলাকাকে বাঙালিশূন্য করাই ইউরোপীয় ইউনিয়নের লক্ষ্য।
মজার ব্যপার হলো খোদ সন্তুলারমা স্বীকার করেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সরকার ও স্থানীয় পার্বত্য প্রশাসনক প্রচুর অর্থ দিতে চেয়েছিল, যা দিয়ে পার্বত্য বাঙ্গালীদের সরিয়ে দেশের অন্য জায়গায় পুনর্বাসন করা হয়, এনিয়ে সন্তু লারমার সাক্ষাতটির পড়ুন (প্রথম আলো, ১৬/০৮/২০০৯)।
কথা হলো পার্বত্য-চট্রগ্রামে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এমন কি স্বার্থ আছে যার কারনে প্রচুর টাকা ঢেলে বাংগালীদের ভিটেমাটি ছাড়া করে শুধু চাকমাদের রাখতে হবে?
ইউএনডিপি পার্বত্য চট্টগ্রামে হাজার হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর দরিদ্র বাঙালিদের মাথাপিছু ৫ লাখ টাকা করে দিয়ে বলা হবে, তোমাদের তো এখানে কিছু নেই। থাকো কুঁড়েঘরে, চালাও রিকশা, তোমরা এ টাকা নিয়ে সমতলে চলে যাও। সেখানে তোমরা ভালোভাবে থাকতে পারবে। এভাবে কৌশলে বাঙালিদের বিতাড়ন করে সেখানে উপজাতি খ্রিষ্টানদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করবে।
এদিকে The Peace Campaign Group নামের পার্বত্য বিছিন্নতাবাদীদের একটি গ্রুপ বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী দেশ গুলোর কাছে স্বারকলিপি দিয়ে দাবী করেছে বাংলাদেশ সরকার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মিলে পার্বত্য অঞ্চলে ইসলামীকরন চালাচ্ছে ও বাংলাদেশ একটি মৌলবাদী রাষ্ট্র হয়ে গেছে। দেখুন The Peace Campaign Group গ্রুপের ওয়েব সাইটে(Chittagong Hill Tracts: The Peace Campaign Group Meeting on Bangladesh)
Chittagong Hill Tracts: The Peace Campaign Group - Meeting on Bangladesh
Peace Campaign Group urges Bangladesh Development Partners to suspend all kinds of aid to the present coalition-ruled Bangladesh until and unless it fulfills its commitments made at the previous Bangladesh Development Forums
To Bangladesh Development Partners Participating in A Special Meeting on Bangladesh
23-24 February 2005
Washington
21 February 2005
Dear Sir/Madame,
WE, the Peace Campaign Group, welcome the meeting.
Our paper, "BANGLADESH DEVELOPMENT FORUM 2004 AND CHALLENGES FOR DEVELOPMENT IN THE CHITTAGONG HILL TRACTS", that we had emailed to some of the representatives of Bangladesh development partners prior to the start of the last year's Forum in Dhaka, foretold: "Islamic fundamentalism is on increase in the CHT to an alarming extent". Within a short span of time this prediction has manifested itself as a real threat not only to the Jumma indigenous people in the CHT, but also to all democratic institutions in Bangladesh. Today, it is the main challenge to any Bangladesh development planning.
Express News Service
Chittagong Hill Tracts support group, kolkata
Posted: Thu Mar 04 2010, 02:41 hrs Kolkata: The members of the Chittagong Hill Tracts (CHT) support group today organised a meeting in the city to protest against the atrocities meted out to them by the Bangladeshi Army. Around 50 members of the CHT support group, Kolkata, assembled to highlight the plight of the community and garner support for their cause. They demanded withdrawal of Armed forces from the area.-------------
Document - Bangladesh: Investigate army's alleged involvement in human rights abuses in Chittagong Hill Tracts
AMNESTY INTERNATIONAL
PUBLIC STATEMENT
26 February 2010
For immediate release
AI Index: ASA 13/006/2010
BANGLADESH: INVESTIGATE ARMY’S ALLEGED INVOLVEMENT IN HUMAN RIGHTS ABUSES IN CHITTAGONG HILL TRACTS
Amnesty International calls on the government of Bangladesh to carry out a prompt, independent
আরেকটি পুর্ব তিমূর বা ইসরাইল কি সম্ভব?
কাকতালীয় ভাবে দেখা যায় বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম (আয়তন ১৪,০০০ বর্গ কিলোমিটার), পূর্বতিমুর ( আয়তন ১৪,৫০০ বর্গ কিলোমিটার) ও ইসরাইলের (দখলকৃত আরব ভূমিসহ বর্তমান আয়তন ২০,৫০০ বর্গ কিলোমিটার) আয়তন প্রায় কাছাকাছি।
১৯৭৫ সালে পূর্ব তিমুরে ক্যাথোলিক খ্রীষ্টানের হার ছিল ৩০-৪০% যা ১৯৯০ এর দিকে বেড়ে দাড়ায় ৯০%। ঠিক তেমনি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন খ্রিষ্টান মিশনারি এনজিও পশ্চিমা শক্তি বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহতায় তৎপরতা চালাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামে। খ্রিষ্টানাইজেশান প্রক্রিয়ার মাধ্যেমে মাত্র ২০ বছরের মাথায় পূর্ব তিমুরকে ইন্দোনেশিয়া থেকে আলাদা করে দিয়ে জাতিসঙ্ঘের নেতৃত্বে একটি পৃথক রাষ্ট্র করে দেয়া হল।
বাংলাদেশে পুর্ব তিমূর বাস্তবায়নে সহযোগী যারা
আরেকটি পূর্ব তিমূর বাস্তবায়নে সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম, ইউরোপীয় কমিশন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও তার প্রচার মাধ্যম। বিপুল সার্কুলেশানের অধিকারী একটি পত্রিকা, তার ইংরেজী সহযোগীসহ প্রায় সব প্রিন্ট, ইলেট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়া। টেলিভিশন অনবরত বলছে, পাহাড়িরা নিগৃহীত। তাদের রক্ষা করতে হবে। ইউএনডিপি সেখানে পাহাড়িদের পক্ষে প্রকাশ্যে প্রচারণা চালাচ্ছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ভূমি কমিশানে লর্ড এরিক এভেরি্র সাথে আছেন এদেশীয় ড. জাফর ইকবাল (উপরে), এ্যাড সুলতানা কামাল চক্রবর্তী (স্বামী শ্রী রঞ্জন চক্রবর্তী) ড. স্বপন আদনান (সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), ব্যারিষ্টার সারা হোসেন (স্বামী ডেভিড বার্গমান) , অধ্যাপক মেজবাহ কামাল , সুরঞ্জিত সেন , এইচ টি ইমাম , দিলীপ বড়ুয়া , হাসানুল হক ইনু , গহর রিজবী , এডভোকেট রানা দাস গুপ্ত , বিমল বিশ্বাস , শেখ হাসিনার পলিসি, প্ল্যানিং ও ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষনের জন্য মনোনীত ১৪ জন হিন্দু অতিরিক্ত সচিব সহ আওয়ামীলীগের শীর্ষ কয়েকজন নেতা। ড. মেঘনা গুহ ঠাকুরদা , ।
এর সাথে যোগ হয়েছে মুক্তমনা নামের পার্শ্ববর্তী দেশের গোয়েন্দা সংস্থার অর্থে পরিচালিত কিছু গ্রুপ, যাদের মুল কাজেই হচ্ছে বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো।
সম্প্রীতি মঞ্চ ও অজয় রায়রা (বামপন্থি বুদ্ধিজীবী অজয় রায় ইন্টারনেট ভিত্তিক গ্রুপ মুক্ত-মনার প্রধান উপদেষ্টা। এদের মুল কাজেই হচ্ছে বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষী ছড়ানো) হচ্ছেন সেই গ্রুপ গুলোর বাংলাদেশী সহযোগী। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে বলা যায়, পার্বত্য অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়েছে শুধু নিরাপত্তার জন্য, সেখানে কোনো উপনিবেশ কায়েমের জন্য নয়। তারা সেখানে কোনো ধরনের অন্যায় কাজেও লিপ্ত নয়। একটি দেশের সেনাবাহিনী নিজের দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতে পারবে না।এ কেমন দাবি ?
বিষয়: বিবিধ
৮৫৯৩ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন