স্কাইপ সংলাপের সেই বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমসহ আরো ২ জনের পদোন্নতি । আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০৩:৫৭:২৬ দুপুর
পদোন্নতি পেয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি হলেন তিনজন
বহুল আলোচিত স্কাইপ সংলাপের সেই বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম সহ আরো ২ জন সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগ থেকে পদোন্নতি পেয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
‘বিচারপতির স্কাইপ সংলাপ—গভর্নমেন্ট গেছে পাগল হইয়া, তারা একটি রায় চায়’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়। ধারাবাহিকভাবে এ স্ক্যান্ডাল প্রকাশিত হয়। এতে ফাঁস হয়ে যায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের নানা কীর্তি, যেখানে দেখা যায়, ডিসেম্বরের মধ্যে বিচারের মুখোমুখি তিন জামায়াত নেতাকে ফাঁসি দেয়া হলে তাকে প্রমোশন দিয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি করার আশ্বাস দেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এসকে সিনহা। ফাঁস হয়ে যায়, বিভিন্ন রায়ের খসড়া বাইরে থেকে লিখে দেয়াসহ নানা অপকর্ম। এরপর দেশে ও বিদেশে তীব্র বিতর্কের জের ধরে ১১ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন বর্তমান আওয়ামীলীগের আমলে হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী হওয়া এ বিচারপতি।
স্কাইপে কথপোকথন ফাঁস হওয়া সেই নিজামুল হক নাসিম সহ তিনজন আপিল বিভাগে পদোন্নতি।
মনে আছে সিনহা বাবু কইছে রু দিয়া লো প্রমোশন দিমু।
দ্য ইকোনমিস্টে ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম এবং প্রবাসী জিয়াউদ্দিনের মধ্যকার ষড়যন্ত্রমূলক স্কাইপে কথপোকথনের অংশবিশেষঃ
কথোপথনের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১২
নিজামুল হক নাসিম : হ্যালো...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কেমন আছেন, কেমন?
নিজামুল হক নাসিম : আছি ভালোই, আপনে কেমন আছেন?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আছি ভালোই, আজকে আমরা তো একটু গণতন্ত্র চর্চা করে এলাম আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : কী চর্চা...?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : গণতন্ত্রের চর্চা আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : ও গণতন্ত্র!
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আজকে আমাদের এই লোকাল, স্থানীয় সরকার ও প্রাদেশিক সরকারের ইয়ে ছিল আরকি।
নিজামুল হক নাসিম : আচ্ছা...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ভোট ছিল।
নিজামুল হক নাসিম : ভোট ছিল, ভোট?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, ভোট।
নিজামুল হক নাসিম : বা... বা... বা খুব ভালো।
আহমদ জিয়াউদ্দিন: কিন্তু এগুলো তো হচ্ছে, পানসা ভোট আসলে।
নিজামুল হক নাসিম : এ্যা...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এগুলো পানসা-টানসা টাইপের ভোট আরকি।
নিজামুল হক নাসিম : তা তো বটে, ভোট হয় বাংলাদেশে। ওইসব ভোটে কোনো আরাম আছে—কেনো আরাম নাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মানুষ যাচ্ছে ভোটিং সেন্টারে যার যার। একটা, দুইটা, তিনটা কইরা মানুষ যাইতেছে, চাইরটা কইরা যাইতেছে, আস্তে কইরা গাড়ি থেকে নাইমা চইলা গে। আবার আস্তে... কোনো মানুষ নাই, কেউ রিসিভ করতেছে না, কেউ জিন্দাবাদ নাই... কোনো কিছু নাই।
নিজামুল হক নাসিম : ভালো...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইবারে আরেকটু নতুন জিনিস করেছে আরকি। এর আগের বারে ইলেকট্রোনিক ভোটিংই ছিল, কিন্তু এইবার টাচ্ ইলেকট্রোনিক ভোটিংয়ের আরেকটা, সেফটি মেজার এইবার ইনট্রিডিউস করছে আরকি। তাতে হচ্ছে যে, এটা আরও সিকিউরড হইছে যে, আপনার ভোটটা ওরা আইডেনটিফাই করতে পারবে।
নিজামুল হক নাসিম : ও জাগায় তো ভোট দেয়া কম্পালসারি, না?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ কম্পালসারি দেইখাইতো যাইতে হয়, না হইলে তো মানুষ বোধহয় যাইতও না। এইবার একটু বেশি মনে হচ্ছে আমার কাছে, স্থানীয় নির্বাচনে একটু ইন্টারেস্ট থাকে মানুষের। কারণ এটা এই, এই লোকাল গভর্নমেন্টের তো, এখানে রাস্তাঘাটের প্ল্যানিং-ট্যানিং থেকে শুরু করে সার্ভিস-টার্ভিস সবই তো লোকাল গভর্নমেন্ট প্রভাইড করে। সেই জন্য একটা ইন্টারেস্ট আছে আর কি। বাট এ্যাঁ, এটা হচ্ছে যে, বাসায় বাসায় চিঠি পাঠাচ্ছে যে, চিঠি দিয়ে যাচ্ছে দুই-চারটা ক্যানডিডেট দেখি, দু-একটা পার্টির ক্যানডিডেট আসছেও আর কি। মানে চিঠি দিতে আসছে আর কি। সব কেনডিডেটই আসে আর কি। নিজে আইসা বাসায় বাসায় চিঠি দিয়া যায় আর কি। কিন্তু এতটুকুই আর কি, এর বেশি কিছু না। দুই-একজন বইলা গেছে, আমরা কিন্তু তোমার প্রতিবেশী।
নিজামুল হক নাসিম : হে, এ্যাঁ...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তা ঠিক আছে। আপনার আজকের দিন কেমন ছিল? আমি তো দেখলাম কয়েকটা নিউজ আজকে।
নিজামুল হক নাসিম : ভালোই, আর খবর-টবর কী?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এ্যাঁ..., খবর তো আমরা কালকে নিজেরা কথা বলছি। সো... একটা চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে এগুলোর। আপনার সাথে কালকে যেটা কথা হইছে। কাল মালুম ভাইর সাথে কথা হয় নাই। কাজেই... আজকে ওই গোলাম আযমেরটা কতদূর আগাইছে?
নিজামুল হক নাসিম : গোলাম আযম ফাস্ট হাফ হইছে। সেকেন্ড হাফে আবার সাঈদী ধরছিলাম। আগাচ্ছে আর কি। সাঈদীর তো ওই ডকুমেন্ট জমা হচ্ছে। ১৩ নম্বর সাক্ষী এখনও চলতেছে, চলবে...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন: উনাদের কারো সঙ্গে কালকে কথা হয় নাই অবশ্য। কালকে বোধহয় ছুটির দিন ছিল দেইখ্যা উনারা ব্যস্ত ছিলেন বোধহয়, এইজন্য স্কাইপি আসতে পারে নাই।
নিজামুল হক নাসিম : আইজকে তো... আচ্ছা দেখা যাক, সাঈদী এবং গোলাম আজম কেইসই তো আগাচ্ছি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন: হ্যাঁ, ওই যে দুই নাম্বারের চক্করটা। এটা বুঝার জন্য আলোচনা কালকে রাত্রে হওয়ার কথা ছিল। আমি ধারণা করছিলাম হয়তোবা আজকে হবে। দেখা যাক, আমি মনে করি এইটা যে, দুই-তিনটা স্ট্র্যাটিজি হতে হবে। একটা হচ্ছে যে, একটা অলরেডি মেসেজ দেওয়া হইছে আর কি...। আইনমন্ত্রীকে দেয়া হইছে। মানে দেওয়ার কথা আজকে মেসেজ পৌঁছানোর কথা আছে।
নিজামুল হক নাসিম : মেসেজ দেলে কি কাজ হইবে..., মেসেজে?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তা জানি না। কিন্তু এটা তো দিতে হবে। একদিক থেকে শুরু করতে হবে আরকি। এটা উনাকে মেসেজটা দেওয়া হচ্ছে যে একটা, ইয়েটা-ডিসিশনটা হবে দুই বছরে। মানে এটা একটা কাইন্ড অব পলিসি ডিসিশনের পার্ট হিসাবে হবে। যে, কোন কেইসটা আগে যাচ্ছে? অ্যাটলিস্ট প্রথম কেইসটা। সেকেন্ড হচ্ছে যে, না হলে এটা একদম উপরে যেতে হবে। কারণ এখানে গুড রিজন আছে। যে, সবচেয়ে বেশি যার দায়বদ্ধতা—বেশি, যেটা সবচেয়ে বেশি সিগনিফিকেন্ট পলিটিক্যালি অ্যান্ড আদারওয়াইজ, সেগুলো তো আগে অ্যাড্রেস করতে হবে। বিশেষ করে রেসপনসিবিলিটির দিক থেকে। এটার রিয়েল এরিয়াতেও সিগনিফিকেন্ট এবং পলিটিক্যাল কনটেক্সটেও সিগনিফিকেন্ট। যে বড়গুলারে বাদ দিয়া ছোটগুলারে আগে নিয়া আসার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। এটা প্রথম থাইকা এই সমস্যাটা ছিল। কিন্তু এখন এইটা যে পর্যায়ে আসছে, এটাকে ওভারকাম করা যেতে পারে, যদি মন্ত্রীর একটা সিদ্ধান্ত হয়। এখন পর্যন্ত ১২টা সাক্ষী এই সেন্সে বাকি আছে। আর ওইখানে যে কেইসটা নিয়ে কথা হচ্ছে, একজাক্টলি সেই কেইসটা কী অবস্থায় আছে, সেটা আমি জানি না। কয়টা সাক্ষী ডি ডব্লিউ চলতেছে... ডিডব্লিউই তো চলতেছে ওদের ওইখানে, তাই না?
নিজামুল হক নাসিম : না, ডি ডব্লিউ শুরু হয় নাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওই কেইসে ডিডব্লিও শুরু হয় নাই এখনও?
নিজামুল হক নাসিম : না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, তার মানে তারা অনেক বেশি... না কাছাকাছিই তো এগিয়ে আছে বলা যেতে পারে। নাকি না ?
নিজামুল হক নাসিম : হ্যা.. হ্যা... হ্যা...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওইটার ডি ডব্লিউ শুরু হইতে... ওইটার ব্যপারে আপনার কি কোন ধারণা আছে? ঠিক আছে...। আজকে আমি জিজ্ঞাসা করব।
নিজামুল হক নাসিম : না... না... আমার ধারণা নাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওইটার প্রসিকিউটিং ল’ইয়ার কে?
নিজামুল হক নাসিম : তা-ও আমি জানি না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইগুলাই জিজ্ঞাসা করে নিব আজকে, যদি কথা হয়। আর আমাদের আরেকটা লিস্টও করতে হবে। আসলে কে কে হেল্প করতেছে, কে প্রসিকিউটার, মানে লিড প্রসিকিউটার, এই আর কি। কাদের মোল্লার মামলাটা... এটা বোধহয় তারেক।
নিজামুল হক নাসিম : না, তারেক না। তারেক দেখে কামারুজ্জামান। সে মামলা ঢিল দেছে...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, তার মানে, এটা অন্য কেউ দেখে তাহলে। এটা একটা সিনক্রোনাইজ একটা ডিসিশনটা হতে হবে, এই জিনিসটা বুঝাতে হবে যদি...।
নিজামুল হক নাসিম : শোনেন, আমি একটা জিনিস মনে করি। যেডা আমার ব্যক্তিগত মতামত যে, সম্ভব হইলে গোলাম আযম ফাস্ট, সাঈদী সেকেন্ড, কাদের মোল্লা থার্ড। আর যদি তা প্রবলেম হয়, তাইলে সাঈদী ফাস্ট, গোলাম আযম সেকেন্ড, কাদের মোল্লা থার্ডই থাক। কেননা সাঈদীর কেইসটা ডিফারেন্ট। এই সাঈদীর কেইসটার লগে আইনের সম্পর্ক খুব বেশি না। এডা আমাদের দেশি দরবারের মতোই। গোলাম আযম হইল সেটেলমেন্ট অব ল’ হয়ে যাবে এবং...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : রাইট।
নিজামুল হক নাসিম : এই গোলাম আযম হইলো টিম লিডার। সাঈদী সাইড ট্র্যাক। সাঈদীর লগে আপনার লিডার-টিডারশিপের কোনো প্রশ্ন আসতেছে না। গোলম আযমের রায়ের পরে আপনার নিজামী, মুজাহিদ, কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান—সবগুলা রায় হইতে পারে, এর পরে। কিন্তু গোলাম আযম ফাস্টে। ওই গ্রুপের থেকে একমাত্র সাঈদী, সাকা এরা বায়রায় (বাইরে)। সাকারে তো আমি থামাইয়াই দিছি। সাঈদীরে থামাচ্ছি না। কারণ, সাঈদী প্রায় শেষ। এইটা যদি উনাদেরকে বইল্লা... এইডা ওনাদেরকে (ট্রাইব্যুনাল-২) হায়ার লেভেল থেইকা বইল্লা, থামায়া দিতে হবে যে, আপনি কাদের মোল্লারে ঢিল দেন। ঢিল দিয়া বাকিগুলারে সামনে আগান। কেননা, ওই যে অ্যাবসেন্ট যে আছে, ওর নাম জানি কী...? ও বাচ্চু, হ্যারে দিয়া শুরু করেন। আরেকজনরে নিয়া আগান সামনে। এরপর আপনার, পর পর ৩-৪টা রায় দিয়া দেন, অসুবিধা নাই কোন। বাট আফটার গোলাম আযম। নট বিফোর দ্যাট।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইখানে আরেকটা ব্যাপার আছে, এটা আপনি যেটা বললেন, সেটা ঠিক। আবার লিগ্যাল অ্যাঙ্গেল থেকেও এটা ঠিকই যে, সাঈদীরটা লিডারশিপে বা অফ ল’ ইনভলবমেন্ট নাই। কিন্তু আপনাকে মনে রাখতে হবে যে, বাইরের ওয়ার্ল্ডে অর্থাত্ আউটসাইড দ্য কোর্ট রুম...।
নিজামুল হক নাসিম : তারা চাইবে গোলাম আযমের রায়।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, এটা হচ্ছে ইম্পরটেম্লট। সেই অডিয়েন্সটা আছে। আর সেকেন্ড হচ্ছে খুবই ইম্পরটেম্লট... । যদি, সাঈদী যদি প্রথম হইয়া যায়, তাইলে এইটা কিন্তু হিস্টোরিক। মানে ইট উইল নট হিস্টোরিক অ্যানিথিং। মানুষের প্রত্যাশাটা থাকবে হচ্ছে এ্যাঁ এ্যাঁ......।
নিজামুল হক নাসিম : গোলাম আযমের দিকে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সকল দিক বিবেচনা করে বড়টার রায়...।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ... শিওর।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কাজেই সেইটাকে ওইভাবেই টিউন করে নিতে হবে। এখন হয়তোবা পরের দিন জাজমেন্ট দিলেন বা এক সপ্তাহ পরে জাজমেন্ট দিলেন, কোনো অসুবিধা নাই। মানে ডিসিশন এরা পরে দেক, কোনো অসুবিধা নাই। কিন্তু পরে হতে হবে।
নিজামুল হক নাসিম : এডা আমি একমত আপনার লগে। এরা চাপে কেবল... গোলাম আযম শেষ করতে গেলে...। কেননা গোলাম আযম এখনও আইও চলতেছে, তারপর ডিফেন্স উইটনেস হবে। তারপরও এইডা আপনার জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির আগে হবে না। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি লাগবে শেষ করতে। এই পর্যন্ত গভর্নমেন্ট ওয়েট করবে না। গভর্নমেন্ট রায়ের জন্য পাগল হইয়া গেছে। সাঈদীরডা হলে আমি ডিসেম্বরে রায় দেতে পারব। গভর্নমেন্ট গেছে পাগল হইয়া। তারা একটা রায় চায়।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ..., না মানে.., কিন্তু আরেকটা, তাদের সাথে তো কোনো কথা হইতেছে না। সাঈদীরটা আগে রায়ের মধ্যে সিগনিফিকেন্সটা কী? তারা তো শুধু একচোখা হিসাবেই আগাইতেছে, বা তারা পেনিকড হইতেছে। এখানে পেনিক তো হওয়ার কিছু নাই।
নিজামুল হক নাসিম : তারা গেছে পাগল হইয়া মোটমাট, আমি আপনারে বলতেছি। একটা জাজমেন্ট না পাইলে ১৬ই ডিসেম্বর... ১৬ই ডিসেম্বর কইরা ডাহাডাহি করতেছে। এটা কোনো অর্থ হয় না। তারা একটা জাজমেন্ট চাচ্ছে, সোজা হিসাব।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ১৬ই ডিসেম্বরের ভূত তো এর আগেরবারেও ছিল।
নিজামুল হক নাসিম :সে ব্যাপারে সাঈদী আগাইয়া আছে, সাঈদীর রায়ডা হইয়া গেলে গভর্নমেন্ট ঠা-া হইত।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ১৬ই ডিসেম্বরে ভূত কিন্তু, এটা নুতন ভূত না।
নিজামুল হক নাসিম : ডিসেম্বরের আগে না, ডিসেম্বরে হইতে পারে সাঈদীরডা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এই ১৬ই ডিসেম্বরের ভূত করতে করতেই তো সমস্ত বিপদে ফেলতেছে আরকি।
নিজামুল হক নাসিম : সব, আর শুরু হইছে তো গোলাম আযম ছয় নাম্বরে। সাঈদী এক, সাকা দুই, নিজামী তিন, কাদের মোল্লা চাইর, কামারুজ্জামান পাঁচ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তদন্ত সংস্থা তো ওইখানেই প্রবলেমটা করেছে।
নিজামুল হক নাসিম : তাইলে এইডা করবেন কী আপনি?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওয়েল, এইটা যদি হয়ে যায়, তাইলে তো আর অসুবিধা নাই।
নিজামুল হক নাসিম: তারা তো বাই হুক-অর বাই ক্রুক, এইটা ঠেকাইবে সবাই এবং আমরাও তো তাল পাচ্ছি না। কারণ সাঈদীর সাক্ষী কমে যাচ্ছে। আমি তাকে ফিরিয়ে দিব কীভাবে... ডিফেন্স উইটনেস! সাঈদী তো প্রায় শেষ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না না ডিফেন্স উইটনেস তো আর ফেরানো যাবে না।
নিজামুল হক নাসিম : সাঈদী তো প্রায় শেষ। ঈদের আগে তাদের সাক্ষী শেষ হয়া যাবে আশা করতেছি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ঈদের আগে কি তার সাক্ষী, ডি ডব্লিউ শেষ হয়া যাবে?
নিজামুল হক নাসিম: হ্যাঁ শেষ হয়া যাবে। আর গোলাম আযমের কেইসে তারা দুই সপ্তাহ সময় চাইছে, সাক্ষীর নাম দেওয়ার জন্য। সেইডা আমি রিজেক্ট কইরা বলছি, কালকে পাঁচটা দিবেন, পরশু সাতটা দিবেন, এইডা লাস্ট চান্স। বললাম আমি। কিন্তু, তারা দেল না, তাইলে কী করবেন আপনে। আমি যদি স্টপ কইরা দেই, তাইলেও তো হইচই হবে যে, সাক্ষীর নামই জমা দিতে দেয় নাই। টাইম চাইছে টাইম দিতা...। তখন গভর্নমেন্ট কইবে, তুমি টাইম দেতা, খমাহা (খামোখা) তাদেরকে আরেকটা পয়েন্ট, তাগো পক্ষে যোগ করাইলা...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কিন্তু এরা তো আসলে কাউন্টার-এনকাউন্টার।
নিজামুল হক নাসিম : তাই তো।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এজন্যই তো প্রবলেমটা। যে, আইসিটি যে যতগুলা কাজ করছে...।
নিজামুল হক নাসিম : এ গভর্নমেন্টই তো তহন আমারে কইবে, তুমি টাইম দিতা। তুমি একদিন সময় তাগো দেতা, দিয়া রাখতা হেগো কোর্টে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ঠিক আছে। দেখেন আপনি ওইভাবে। দেখা যাক এই... এইটা কতদূর আগানো যায়।
নিজামুল হক নাসিম : আমার প্ল্যান হইল, ল’ সেটেল হইবে গোলাম আযমের কেইসে, এইডা ঠিক। সাঈদীর কেইসে কোনো ল’ সেটল হইবে না। নরমাল একটা জাজমেন্ট দিয়া, নরমাল না সেডা ভালো জাজমেন্ট ইনশাল্লাহ হবে। তবুও যা হয় হবে, সেডা ভিন্ন কথা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ফাস্ট কেইস তো...! ফাস্ট কেইসের একটা সিগনিফিকেন্ট আছে। এবং ফাস্ট কেইসের জাজমেন্টটা একটা ফরম্যাটের মধ্যে আসবে।
নিজামুল হক নাসিম : সে তো বটেই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন :এবং পরবর্তীগুলাও ‘মোর অর লেস’ ওই একই ফরম্যাটের উপরে হবে। ভিন্ন ভিন্ন জিনিস হবে। কিন্তু, ফরম্যাটিংটা ঠিকই থাকবে। আর এইটাকে ছোট কেইস হিসাবে দেখার কোনো স্কোপই নাই, যেহেতু এইটা আইসিটির কেস। আইসিটির প্রত্যেকটা কেইসই সিগনিফিকেন্ট। আর এইটা এইভাবেই দিতে হবে। কারণ এটা ন্যাশনালি এবং ইন্টারন্যাশনালী স্ক্রটিনাইজ হবে।
নিজামুল হক নাসিম : আর আমি এমন টেকনিক শুরু করছি যে, আমি সাকার কেইস রাখি না, টাইম দিয়া দেই। আপনার নিজামী রাখি না। যদি সাঈদীরে বাধা দেতে চায় তাইলে গোলাম আযম চলবে। গোলাম আযমরে বাধা দিলে, সাঈদী চলবে। যার ফলে ওরা...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না... না... ঠিকই আছে। এটাই আপনার ফাস্ট ট্র্যাকে থাকতে হবে। ডান-বাম সব চালাইয়া যেতে হবে।
নিজামুল হক নাসিম :আমি তো সুযোগ দিচ্ছি তাদের। তারা বলে যে, এইডা এডজর্নমেন্ট দেন ওইডা শুরু করেন। এই সুযোগই দিচ্ছি না আমি, এ দুইডার মধ্যে একটা আরম্ভ করতে হইবে। কেইস করতে হইবে তোমার, কোনডা করবা কও। যেডা করবা, যেডার সাক্ষী আছে হেইডাই নিব। বল, কোনডা করবা। হা... হা....হা ....(হাসি)
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হা... হা... হি... হি...(হাসি)
নিজামুল হক নাসিম : আইদার সাঈদী অর গোলাম আযম—এই দুইডার কোনো এডজর্নমেন্ট হবে না, এডাও বলে দিছি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ভেরি গুড।
নিজামুল হক নাসিম : আমি আজকে এডাও বলছি, যেদিন ক্রস আইওর শেষ হবে, সঙ্গে সঙ্গে ডিফেন্স উইটনেস শুরু হয়ে যাবে। এটা বলে দিলাম আপনাদের। বি রেডি ফর দ্যাট। উইদাউট অ্যানি গ্যাপ, উইদাউট অ্যানি এডজর্নমেন্ট, ইমিডিয়েটলি আফটার অ্যান্ড অফকর্স একজামিনেশন অব আইও, দ্য ডিফেন্স উইটনেস উইল বি স্টার্টেড। ওরা খুশি মনে নেয় নাই, কিন্তু শোনতে হইছে ওদেরকে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না... না... এর মধ্যে তো কোনো অন্যায় নাই।
নিজামুল হক নাসিম : সোজা হিসাব।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইটা তো আগে থাইকা জানিয়ে দেওয়াই উচিত। ইটস্্ নট দ্যাট যে, আপনি হঠাত্ কইরা বললেন যে, এখনই তোমারে সাক্ষী দিতে হইবে আরকি। সো.. দে আর গেটিং এনাফ ওয়ার্নিং বিফোর হ্যান্ড। এইটা ভালো আর কি। এই যে কথাগুলা না, মিডিয়াতে আসতেছে না। এগুলা আবার অন্য কোনো থার্ড কোনো অপশন নাই তো। কারণ গভর্নমেন্ট আইসিটির কোনো একটা, মানে কিছুই তো করল না, ইভেন আইসিটির নিজের একটা মিডিয়া উইংও করল না ট্রাইব্যুনালে এই গভর্নমেন্ট। তারা আসলে একটা প্রো-অ্যাক্টিভলি, এটার পক্ষে ক্যাম্পেইনটা করতে পারে বা জানাতে পারে। যে, দেখ-কীভাবে এ ঘটনাটা কিন্তু এইভাবে ঘটে নাই। আজকে যদি বন্ধ করে, এটার পিছনে অনেকগুলি কারণ আছে। এত কিছু এইভাবে এইভাবে বলা হইছে...।
নিজামুল হক নাসিম : ওই, একমাত্র উঠলে ওডে ডেইলি স্টারে। উঠতে পারে কালকে। এইসব ল্যাঙ্গুয়েজ ডেইলি স্টারে দিয়ে দেয়।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইটা ভেরি ইম্পোর্টেন্ট যে, এই কথাগুলা আসা, যে এটা কোনো আনফেয়ার প্রসেস না। এটা টার্গেটেড প্রসেস না এবং তাদের যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। যদি কোনো অ্যাডভার্স ডিসিশন নেওয়া হচ্ছে এটা বিকজ অব দেম। হ্যাঁ, ঠিক আছে এটা ভালো হইছে।
নিজামুল হক নাসিম : আপনি তো ইনশাআল্লাহ ২২ তারিখ নামতেছেন, না ?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, আমি ২২ তারিখে।
নিজামুল হক নাসিম: আচ্ছা, আজকে ওই আনোয়ার সাহেব আমারে জিজ্ঞাস করছিল, আমি বলছি উনারা চেষ্টা করতেছে। এখনও শিওর না, দেখা যাক আর কি। বুঝছেন কোনটা?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হে... এ্যা?
নিজামুল হক নাসিম : নতুন জজ দুইজন যে...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যা.. হ্যা.. হ্যা..। আজকে যে পারমান্যান্ট করা হইছে, এটা কি বাবুরে (বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস) পারমান্যান্ট করা হইছে?
নিজামুল হক নাসিম : করছে.. করছে হ্যাঁ, হ্যাঁ তো করবেই। আপনার সঙ্গে কি যোগাযোগ করতে পারছেন ওবায়দুল করিম?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কেন, মেসেজ দিয়া রাখছি। এখন তো উইক এন্ড না এইখানে।
নিজামুল হক নাসিম : ও উইক এন্ড! আচ্ছা ঠিক আছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কালকে বিকালের আগে হয়তোবা কোনো ইয়েই পাওয়া যাবে না। তারে যদি ইটা দেয় ও, আমি তারে একবার বলব, বিকালে ওইখানে একটা ঢুঁ মারতে।
নিজামুল হক নাসিম : আমি বলছি যে, আপনি ২২ তারিখ আসতেছেন। এর মধ্যেই একটা মেসেজ পাওয়া যাবে আর কি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমি আশা করি সেটা।
নিজামুল হক নাসিম : তারপরে তো টাইম থাকবে না। কেননা, ঈদে বন্ধ হয়ে যাবে। হের পর তো আর টাইম থাকবে না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না, তারপরে টাইম থাকতেছে না। ওই সেন্সে টাইম থাকছে না। কিন্তু আপনাদের যাওয়া-আসার ব্যাপারে তো শুধু ডিসাইড করা দুটো জিনিস। একটা হচ্ছে রিটার্নটা যদি অ্যামসটারডামে করা যায়, এটা এই লোকেরে ধইরা করতে হবে...।
নিজামুল হক নাসিম : না... যদি আপনাদেরটা হয় তাইলে তো...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, সেটাই বলছি।
নিজামুল হক নাসিম : যদি ওই ডেইটে আপনাদেরটা হয়, তাহলে সেটা আগে ঠিক করতে হবে তো।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ভিসা হলে তো আর সমস্যা নাই। একটা ভিসাই যথেষ্ট।
নিজামুল হক নাসিম : তা এইটা জানি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কাজেই ঝামেলা অনেক কম। মানে এখন শুধু হইল যে, এইটাকে সেট করাটাই হইল। এদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়াটাই বড় কথা।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ... পেলে হবে। না হইলে তো আমর ধারণা, অনেক পিছাইয়া যাবে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না হইলে তো আবার কাভার করতে হইব আর কি। মানে আরেক রাউন্ড দিতে হবে। প্রবাবলি নিউ ইয়ারে করতে হইব সব।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ নিউ ইয়ারে। সেটাই... সেটাই মনে হচ্ছে আমার...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : অ্যা... তো মানে অত ইয়ের ভিতরে... মিড উইন্টারে আসাটা ঠিক হবে না। সবারই জন্য কষ্টকর হয়া যাবে। দেখা যাক এটা।
নিজামুল হক নাসিম : সেইটাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এমনেও তিন-চার দিনের ব্যাপার। চারদিন-পাঁচ দিনের ব্যাপার। এটা খুব বেশি সময় না।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ,
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইটা হলে একচোটে হয়া যেত।
নিজামুল হক নাসিম : রায়হানের কোনো খবর-টবর আছে...?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, রায়হান তো খুব অ্যাক্টিভ এখন। সে তো, তার যে কাজগুলো সে করে, সে একটার পর একটা লেখা লিখতেছে। কালকে আপনাকে একটা কথা বললাম না, ইনফ্রেইমইও, ইন কেইস জাজমেন্টটা যদি দিতে হয়, সাঈদীর কথাটা।
নিজামুল হক নাসিম : হুম...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সাঈদীর জাজমেন্টের একটা রাফ স্কেচ তৈরি করা হইছে। স্ট্রাকচারটা কী হতে পারে হয়তোবা কাল আমি স্ট্রাকচারটা আপনাকে পাঠাব। জাস্ট টু দেখার জন্য। এটাকে আমরা রিয়েলি, এই স্ট্রাকাচরটা এমনভাবে করছি আমরা, তাতে খুব বেশি কষ্ট হবে না আপনার। আমাদের কিন্তু এমন করতে হবে, যেটা আমাদের দেশের কিছু টুকু থাকে। কিন্তু, এইটার স্ট্যান্ডার্ডটা, মানে অন্যরা যেন এইটা ফিল করে। আমাদের মেইন টার্গেট যদিও ডিসিশনের ক্ষেত্রে, মেইন টার্গেট হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ। কিন্তু, এটার যে ক্রিটিক্যাল অ্যাঙ্গেলে যেটা দেখবে, সেটা কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ ওইভাবে দেখবে না। তো, এই জাজমেন্টটা কীভাবে ওয়ার্ডেড হচ্ছে, কীভাবে স্ট্রাকচার্ড হইছে, কীভাবে ফ্রেইম হইছে...।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ সেটা তো বটেই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এই জিসিগুলো কিন্তু আমাদের লোকগুলা বেশি দেখবে না। আমাদের লোকেরা দেখবে, সে আপনার কনক্লিউশনটা কী হইছে এবং বড় বড় ফ্যাক্ট কী হইছে। কিন্তু যারা এই জিনিসটা ক্রিটিক্যালি দেখবে এবং রেফার করবে এবং পরবর্তীকালে এটাকে আন্ডারমাইন্ড করার চেষ্টা করতে পারে এবং সেইটা না করার জন্য এইটাকে ফরম্যাটের দিক থেকে..., এইটাকে ওই স্ট্যান্ডার্ডে নিয়ে আসতে হবে আমাদেরকে।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ...। ..............................
বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম এরই একপর্যায়ে সব কেলেঙ্কারির দায় মাথায় নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১-এর চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেন।
স্কাইপ কেলেংকারীর পরেও আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন নাসিম, কথা রেখেছেন ।
নাসিম ও জিয়াউদ্দিনের স্কাইপ কথপোকথন ফাঁস হওয়ার পর পরই বিচারপতি নাসিম ট্রাইবনাল থেকে পদত্যাগ করলেও হাইকোর্টে যথারীতি দায়িত্বপালন করে যান। যদিও তখন আইন বিশেষজ্ঞরা বিচারপতি হিসেবে তার দায়িত্ব পালনের নৈতিক অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
সেই ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডিংয়ে বিচারপতি নাসিম বেলজিয়াম প্রবাসী তার আইনজীবী বন্ধু ড. আহমদ জিয়াউদ্দিনের সাথে আলাপকালে সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে বিচারপতি নাসিম কর্তৃক ‘সিনহা বাবু’ বলে সম্বোধন করতে শোনা যায়। ওই স্কাইপ কথপোকথনে বিচারপতি নাসিম বিচারকের সাংবিধানিক দায়িত্বের বাইরে গিয়ে বহু কাজ করছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। এমনকি সরকার কর্তৃক বিচার প্রভাবিত করারও নানা প্রমাণ মিলেছে ওইসব অডিও রেকর্ডিংয়ে। বিচারপতি নাসিম ট্রাইবুন্যালের সাথে সরকারের কর্তাব্যক্তিদের আচরণ নিয়ে নানা কথা বলেন। এসবের মধ্যে জামায়াত নেতাদের ‘দুই/তিনজনের’ রায় দ্রুত দিয়ে দিলে ১নং ট্রাইবুনালের প্রধান বিচারক হিসেবে তাকে (নাসিম) হাইকোর্ট থেকে পদোন্নতি দিয়ে আপীল বিভাগের নিয়োগ দেয়ার সরকারি ‘অফার’ এর কথাও জানান।
স্কাইপ কেলেঙ্কারীতে নাসিম বলছিলেন,
“.....উনি কয় একটা দেন। সিনহা বাবু কইছে, ডিসেম্বর এর মধ্যে তিনটা দেন। এইটা গোলাম আযম সাহেবের, আর সাকা। এই তিনডা দিয়া ফালাইতে পারলেই হইছে। তারপরে নিয়ে আসি আপনারে আমরা এইখানে। এরপরে ওহানে আপনারে আর লাগবে না। এই হইছে কথা আর কি। আমি কইছি, যা করেন করেন, প্রমোশনডা দিয়া লন আগে। হা... হা... হা..”
ঐ কেলেঙ্কারীসূত্রেই জাতি জানতে পারে....প্রসিকিউশন আদালত ষড়যন্ত্র, “আমি খাড়ায়া যামু, আপনে বসায়া দিবেন!”
বিষয়: বিবিধ
১৪২০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন