বিষয় গুলো অরাজনৈতিক। বিচার হয়েছে কি ?পুলিশ কেন এত বেপরোয়া, এরা কারা?
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০৯:৫০:১১ রাত
রাজধানীতে ওসি নারীর শ্লীলতাহানি। মফস্বলে মা মেয়েকে দিনের পর দিন থানা হেফাজতে আটকে রেখে যৌন নির্যাতন। আদালত চত্বরে কিশোরীর শ্লীলতাহানি পুলিশের আগুনে দগ্ধ সেই চা বিক্রেতার মৃত্যু। রাস্তা থেকে যা কাউকে ধরে নিয়ে চাদা দাবি। ইয়াবা দিয়ে মাদক ব্যবসায়ী বলে কোটি টাকার বানিজ্য। জঙ্গি নাটকের মাধ্যমে প্রতিদিন নারকীয় নির্যাতন ও গ্রেফতার বানিজ্য। ।
পুলিশের হাতে একের পর এক নারী লাঞ্ছনার অভিযোগ যেন ক্রমেই বেড়ে চলছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) আদাবর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রতনকুমারের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা হয়েছে। হয়রানির শিকার বেসরকারি আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী ফারহানা আক্তার। সোমবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক সালেহ উদ্দিন আহমেদের আদালতে ওই ছাত্রী মামলাটি করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, রোববার বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাস শেষে বাড়ি ফেরার পথে এসআই রতনসহ দুই কনস্টেবল রিকশা থেকে নামিয়ে তাকে একটি দোকানে নিয়ে যান। এরপর ওই ছাত্রীর কাছে ২০০ পিস ইয়াবা আছে বলে দাবি করেন এসআই রতন। এ সময় ওই ছাত্রীকে নানা ধরনের বাজে মন্তব্য করা হয়। এ দিকে রতনের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লবকুমার সরকার সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগ ওঠার পর এসআই রতনকে প্রত্যাহার করে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনারের দফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
পুলিশি ভীতির কারণেই নির্যাতনের শিকার সিংহভাগ নারীই তার নির্যাতনের কথা গোপন করেন।
একটি বেসরকারি সংস্থার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে ৩৭ জন নারী পুলিশ কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তার মধ্যে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির অভিযোগও রয়েছে।
কয়েক দিন ধরে চাঞ্চল্যকর ঘটনার মধ্যে রয়েছে যাত্রাবাড়ী থানার ওসির হাতে দুই নারীর শ্লীলতাহানি। এ ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চলছে। সাবেক সচিবকন্যা ও গায়িকা বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে পুলিশের বিরুদ্ধে লাঞ্ছনার অভিযোগ এনে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এক সময় জোর করে তিনি আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন।’ এখন ওই পুলিশ কর্মকর্তা সিআইডির ইন্সপেক্টর। এখনো তিনি হুমকি দিয়ে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করছেন বলে ওই নারী অভিযোগ করেন।
চলেই গেলেন পুলিশের আগুনে দগ্ধ সেই চা বিক্রেতা
০৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
নারীর শ্লীলতাহানি: ওসির বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ
২১ জানুয়ারি,২০১৬
http://www.rtnn.net/bangla//newsdetail/detail/1/41/132168#.VrNtCx3RCCh
থানা হেফাজতে কলেজ ছাত্রীর শরীরে মরিচের গুড়ো ঢেলে পুলিশি নির্যাতন
এব্যাপারে কলেজ ছাত্রী শাপলা খাতুন সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুবিনা পারভিনের আদালতে গত ২৭ জানুয়ারি দুপুরে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে আরো উল্লেখ করা হয়ছে গত ২২ জানুয়ারি আটকের পর থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কাজিপুর উপজলার টেংলাহাটা ডিগ্রী কলেজের বিএ ২য় বর্ষের ছাত্রী শাপলা খাতুনকে থানা হেফাজতের মধ্যে চোখে কাপড় বেঁধে পর্যায়ক্রমে নির্যাতন করা হতো। নির্যাতনের এক পর্যায়ে কলেজ ছাত্রী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এঅবস্থায় ২৭ জানুয়ারি কলেজ ছাত্রী শাপলা খাতুনকে সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। এই রিমান্ডের শুনানী চলাকালে নির্যাতনের বর্ণনা দেন কলেজ ছাত্রী শাপলা খাতুন।
৫৪ ধারা, খুনের মামলা তার আগে মা-মেয়েকে আটকে রেখে নির্যাতন
একজন বিধবা মা (৪২) আর তাঁর মেয়ের (২১) সঙ্গে এই আচরণ করেছে কুষ্টিয়ার পুলিশ।
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ও অধিকারের কর্মীরা অনুসন্ধান করে ওই বিধবা মা ও তাঁর মেয়ের ওপর পুলিশ হেফাজতে অমানবিক নির্যাতনের তথ্য পেয়েছেন। সংস্থা দুটির কর্মকর্তারা জানান, তাঁদের কাছে ওই মা অভিযোগ করেছেন, অন্ধকার ঘরে ছয় দিন আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতনের শিকার তাঁর মেয়েটি আত্মহত্যারও চেষ্টা করেছিলেন। আসক বিষয়টি লিখিতভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানায়।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২৮ জুলাই শিলাইদহ খেয়াঘাটে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে খোকসা উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম, আমবাড়িয়া গ্রামের আনসার আলী, মনিরুল ইসলামকে গুলি ও জবাই করে হত্যা করে। ওই তিন খুনের মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি তোফাজ্জেল ১২ সেপ্টেম্বর ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত হয়েছেন। কিন্তু রাজবাড়ীতে বসবাসরত এই মা-মেয়ে মামলার আসামি নন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিচালক (তদন্ত) মো. নূর খান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা এই ঘটনায় অনুসন্ধান করে মা ও মেয়ের ওপর অমানবিক নির্যাতনের বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-উপাত্ত পেয়েছেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, তিন খুনের ঘটনায় যদি সম্পৃক্ততার তথ্য-প্রমাণ থাকে, তা হলে পুলিশ প্রথমে মা-মেয়েকে খুনের মামলায় গ্রেপ্তার না দেখিয়ে কেন ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখাল?
নূর খান দাবি করেন, তাঁরা অনুসন্ধানে জেনেছেন, পুরো বিষয়টি কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নুল আবেদীনের তত্ত্বাবধানে হয়েছে। এই কর্মকর্তা কুষ্টিয়ায় লেখাপড়া করেন। বিয়ে করেন এই জেলায়। এখানে এই সরকারের আমলে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি হন। পদোন্নতি পেয়ে এখনো তিনি কুষ্টিয়াতেই আছেন।
প্রায় চার বছর আগে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার আমবাড়িয়ার সালাম মোল্লা খুন হন। এরপর তাঁর বিধবা স্ত্রী দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে রাজবাড়ী জেলার বেড়াডাঙ্গায় বাপের বাড়ির এলাকায় চলে যান।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র, অধিকার ও আসকের অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, ৯ সেপ্টেম্বর ভোররাতে রাজবাড়ী শহরের বাসা থেকে ওই বিধবা মা ও তাঁর মেয়েকে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ ধরে নিয়ে আসে। কিন্তু তাঁদের দুই দিন দুই রাত আটকে রাখা হয় ২৫ কিলোমিটার দূরের খোকসা থানায় নিয়ে। সেখানেই মেয়েটি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন বলে অভিযোগ আছে। এরপর মা-মেয়েকে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ লাইনে অবস্থিত গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানেও অন্ধকার কক্ষে রেখে দুজনকে নির্যাতন করা হয় বলে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কাছে অভিযোগ আছে ।
ফুটপাতে চা বিক্রেতার কান্না কেউ শুনবে না।
কারণ চেতনা ফিল্টারে আটকে যায়.
বাঁচানো গেল না পুলিশের হামলায় অগ্নিদগ্ধ ও নির্যাতনের শিকার চা বিক্রেতা বাবুল মাতুব্বরকে (৪৫)। পুলিশকে চাদা না দিলেই কি তাহলে পুলিশ যে কাউকে পুড়িয়ে মারবে ?
পুলিশ থেকে বাঁচতে ডিসির কাছে যে আবেদন করেছিলেন চা-দোকানি বাবুল
চা-দোকানি বাবুল মাতবরপুলিশের হয়রানি ও চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনারের (ডিসি) কাছে দুই দফায় আবেদন করেছিলেন
রাষ্ট্র তুমি কি শুনতে পাও ?
এরই নাম কি আইনের মধুর সময়।
প্রত্যাহার নাটক আর কত ?
ঢাকার মিরপুরে পুলিশের হামলায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে চা দোকানি বাবুল মাতুব্বরের (৪৫) মৃত্যুর ঘটনায় শাহ আলী থানার চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) কাইয়ুমুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
শাহ আলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শ্রীধাম চন্দ্র হাওলাদারের নেতৃত্ব পুলিশ সদস্য ও পুলিশের সোর্স গায়ে আগুন দিয়ে তাকে হত্যা করে।
তড়িঘড়ি মামলা, আসামি হলো না কোনো পুলিশ সদস্য ...
পুলিশের দেওয়া আগুনে চা বিক্রেতা বাবুল মাতুব্বরের মৃত্যুতে মামলা হয়েছে, যেখানে পুলিশের কোনো সদস্যকে আসামি করা হয়নি।
রাজধানীর শাহআলী থানায় স্বজনদের দিয়ে বাবুলের মৃত্যুর আগেই বুধবার রাত দেড়টার দিকে তড়িঘড়ি করে এ মামলা করা হয়।
পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করতে চাইলেও শাহআলী থানায় মামলা না নিয়ে অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে নেয়া হয়েছে।
দগ্ধ বাবুল মাতুব্বরের মেয়ে রোকসানা আকতারের করা মামলায় আসামি করা হয়েছে স্থানীয় কয়েকজন ‘মাদক ব্যবসায়ীকে’। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- পারুল, দেলোয়ার, রবিন, শংকর, দুলাল হাওলাদার এবং পারভীন। এদের মধ্যে পুলিশ পারুলকে গ্রেপ্তার করেছে।
‘সমস্ত অনলাইন পত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাছের রাজা ইলিশ, আর মানুষের রাজা পুলিশ বলে অভিহিত করা হচ্ছে। পুলিশের এ আচরণের নিন্দা জানানো হচ্ছে।’
সরকারের পক্ষ থেকে পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অন্যায়ভাবে ব্যবহারের কারণে এধরণের ঘটনা ঘটছে ।
পুলিশকে যখন অন্যায়ভাবে সরকার ব্যবহার করেন তখন তারা সরকারি দলের স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য অন্যায় কাজে লিপ্ত হয়।
পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বিনা অপরাধে মানুষকে গ্রেফতার করে তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগও রয়েছে। সর্বোপরি বিনা বিচারে হত্যার অভিযোগও রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
বিষয়: বিবিধ
১৬৬০ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন